মিয়ানমারে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের লড়াই
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২৪
মিয়ানমার নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে যে ব্যাপক পার্থক্য আছে, এটা কারও অজানা নয়। দেশটিতে চীনের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ আছে। এ বিনিয়োগের পরিমাণ এত বেশি যে, মিয়ানমার একটি ‘ছদ্মবেশী চীনা রাষ্ট্র’ বা চীনের করদ রাজ্যে পরিণত হচ্ছে। ভারত মহাসাগরে বাধাহীন প্রবেশের দরজা হিসেবে মিয়ানমারের ভূ-কৌশলগত তাৎপর্যের কারণেও এসব বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। চীনের আশা, বিনিয়োগের পরিমাণ ও এলাকাগুলো ব্যবহার করে এ অঞ্চলে আরও প্রভাব বিস্তার করবে, যা বেইজিংকে কৌশলগত নতুন সুযোগ এনে দেবে।
চীন আজ পর্যন্ত মিয়ানমারের প্রতিটি সামরিক সরকারকে সুরক্ষা দিয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিন্দা ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ ঠেকিয়ে দিয়েছে। বিনিময়ে সে দেশটির সীমান্ত এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের পাশাপাশি কৌশলগত অর্থনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার সুযোগ পেয়েছে। বেইজিংয়ের মিয়ানমারবিষয়ক এ নীতির বিপরীতে মার্কিন সরকার মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক শক্তিকে সমর্থন দিতে বিভিন্ন সামরিক শাসনের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
২০১১ সালে মিয়ানমার যখন প্রায় বেসামরিক এক সরকারের অধীনে বহির্বিশ্বের জন্য দুয়ার খুলতে থাকে, তখন যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। ২০১৬ সালে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র দুই দশকের জন্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সে সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুশাসন ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছিল। মিয়ানমারে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব যুক্তরাষ্ট্র ও তার সমগোত্রীয়দের জন্য অন্যতম উদ্বেগের বিষয়। এসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মিয়ানমারে চীনের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যেহেতু সামরিক বাহিনী ও ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট উভয়ে দেশটিতে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে চীনের প্রভাব ব্যবহার করে। ১০২৭ অভিযান চালানোর ফলে দেশটিতে চীনবিরোধী মনোভাব প্রাথমিকভাবে চাগাড় দিয়ে উঠেছিল। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর প্রতি সমর্থনের কারণে সাধারণ মানুষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বারবার সমালোচনা করেছে। এ সত্ত্বেও জান্তা বাহিনী বেইজিংয়ের প্রতি সৃষ্টি হওয়া এই তিরস্কারকে আরও দীর্ঘায়িত করার সাহস করবে না।
ইতোমধ্যে মিয়ানমারের জনগণ একের পর এক সামরিক শাসনের অধীন দীর্ঘ সময় ভোগান্তিতে ছিল। তারা চেয়েছিল একটি ফেডারেল গণতন্ত্র ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি। তারা নিজেদের বিপ্লবী প্রচেষ্টার জন্য চীন থেকে যে কোনো ধরনের সহায়তা নেবে। এমনকি যদি তা স্বয়ং চীনের স্বার্থেও হয়, তবুও তারা সেই সুযোগ নেবে। ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট এক গণবিবৃতিতে চীনের সঙ্গে তাদের একাত্মবোধের নিশ্চয়তা দিয়েছে।
১০২৭ অভিযানের ফলে বিপ্লবাত্মক প্রচেষ্টা গতি পেয়েছিল। সামরিক বাহিনীর ভ্রাতৃঘাতী দৃষ্টিভঙ্গি ও যে কোনো ধরনের পারস্পরিক সমর্থনে চীন নিজেদের স্বার্থ নিরঙ্কুশ রাখতে বেইজিংয়ের প্রত্যাশার ব্যাপারে মিয়ানমারের জনগণ ও প্রতিরোধ বাহিনীর নেতা ও দলগুলোর সতর্ক থাকা দরকার। চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে সুশাসনের সঙ্গে ফেডারেল গণতান্ত্রিক দেশের জন্য স্বল্পকালীন চীনের সমর্থন পাওয়ার চেয়ে বরং অভ্যন্তরীণ একতা নিশ্চিত করাই বেশি প্রয়োজন। একমাত্র সেটা করার মধ্য দিয়ে তারা যে কোনো বিদেশি স্বার্থের বিরুদ্ধে নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। কেবল এর মাধ্যমে তারা চীনের সমর্থনকে কাজে লাগাতে পারবে।
এই চূড়ান্ত লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিতে প্রতিরোধ বাহিনীর নেতারা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার প্রতিযোগিতাকে কাজে লাগাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র চায় না মিয়ানমার চীনের নিরঙ্কুশ প্রভাবাধীনে থাকুক। প্রতিটি দেশের জাতীয় স্বার্থ একে অন্যের বিরুদ্ধে গেলে মিয়ানমারের মতো ছোট একটি রাষ্ট্র খেলার মাঠ সমতল করতে এবং আরও অনুকূলে কৌশলগত পরিবেশ তৈরিতে নিজেদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার ওপর জোর দিতে পারে, যেভাবে এনএলডি সরকার আগের সামরিক আমলে করেছিল। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের প্রতিযোগিতাকে আরও ভালোভাবে চালিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের পিছিয়ে থাকার কারণ হলো, দেশটির পরিচালনার ভঙ্গুর অবস্থা। জান্তা বাহিনীর ওপর এখনও যুক্তরাষ্ট্র জোরালোভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি প্রতিরোধের মানে হলো, জান্তাবিরোধী লড়াইয়ে যে কোনো ধরনের সহযোগিতাকে আগ বাড়িয়ে নিয়ে নেওয়া। তবে সুশাসন ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে বেসামরিক শাসনে ফিরে আসতে হলে প্রতিরোধ বাহিনীকে মিয়ানমারের নাগরিকদের খরচে চলা বিদেশি স্বার্থ রুখে দেওয়ার ক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে।
ফু নিন: মিয়ানমারের সংঘাত নিয়ে কাজ করছেন; ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস থেকে সংক্ষেপে অনুবাদ করেছেন ইফতেখারুল ইসলাম
- অস্ত্রোপচার শেষে মারা যান ওসমান হাদি: ডা. আহাদ
- ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু
- সারাদেশে সব ভোটকেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা
- কাদের-আরাফাতসহ ৭ নেতার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল
- সৌদি আরবে ভূমিকম্প
- শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন
- রেকর্ড গড়ে আইপিএলে দল পেলেন মোস্তাফিজ
- ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি ‘যেকোনো সময়ের চেয়ে কাছাকাছি’:ট্রাম্প
- হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত ৩ অস্ত্র উদ্ধার, শুটার ফয়সালের বাবা
- প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সংখ্যা চার লাখ ৪৫ হাজার ছাড়ালো
- খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ : প্রধান উপদেষ্টা
- বিজয় দিবসে বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার অঙ্গীকার
- নির্ধারিত সময়ের আগেই পদত্যাগ করলেন মার্কিন অ্যাডমিরাল
- যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর হামলা, দুই শিক্ষার্থী ন
- ইঞ্জিনে ত্রুটি, মাঝপথেই ফিরল মার্কিন বিমান
- প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে শোক প্রকাশ করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব
- ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে সোমবার
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে গড়াতে পারে
- কলকাতায় একই মঞ্চে আসছেন শাহরুখ-মেসি
- ‘ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেল চান’, এটাই কি যুক্তরাষ্ট্রের আসল লক্ষ্য
- ট্যানেল দিয়ে ইউরোপে অনুপ্রবেশ, বাংলাদেশিসহ আটক ১৩০
- খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান
- সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
- সুদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত
- হিরামন্ডি’র উইন্টার ফিস্ট নিউইয়র্কে দর্শক মাতালো
- ৪ লাখ ৫০ হাজার নিউ ইয়র্কার স্বাস্থ্য বীমা হারাবেন
- ব্রুকলিনে ‘মনি মেডিকেল কেয়ার’র শুভ উদ্বোধন আজ শুক্রবার
- কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটি’র অভিষেক অনুষ্ঠিত
- প্রহসনের বিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহ্বান
- শেকল পরিয়ে ফেরত আরও ৩১ বাংলাদেশিকে
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- আজকের আজকাল ৮৭৩
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- ট্রাম্পের চাপে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা অ্যাপলের
- মানুষের ধ্বংসই শয়তানি শক্তির আরাধ্য
- হারিয়ে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ বই বিক্রেতারা
- ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নিষেধাজ্ঞা’র রাজনৈতিক অর্থনীতি
- ‘নিজের পাশে অন্যকে দাঁড়াবার জায়গাটা দিতে হবে’
- অসম্মান তো সবার জোটে না, আমার না হয় জুটলো
- অগুণিত সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে
- নিষেধাজ্ঞা নয় হুশিয়ারি
- নাইপলের মৃত্যুতে শোকাহত বিশ্বসাহিত্য অঙ্গন
- ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার!
- ‘এই ছাত্র রাজনীতির কাছে আমরা অসহায়’
- বাংলাদেশকে বাঁচাবেন কারা
- নতুন ভিসা নীতির প্রেক্ষাপট-উদ্দেশ্য
- বাংলাদেশ ও আমার সেই ভালো লাগার অনুভূতি
- যুক্তরাষ্ট্র কি আবার স্বেচ্ছায় একঘরে হতে চলেছে
- ‘অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার সম্পর্ক নেই’
