বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১   ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৪২৮

যুক্তরাষ্ট্র কি আবার স্বেচ্ছায় একঘরে হতে চলেছে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২৪  

যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অজস্র দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চলেছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন।

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নতুন বন্ধু খুঁজছে, গাজায় আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল ও রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন সফলভাবে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া অকাস চুক্তি ও কোয়াডের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অর্থ হলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জন্য নিরাশার বার্তা বয়ে আনা। ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। রিপাবলিকান পার্টির মুখচ্ছবি ট্রাম্প। সাম্প্রতিক জরিপ দেখাচ্ছে, বাইডেন ও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা সমানে সমান।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ প্রথম মেয়াদের চেয়ে কট্টর হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, তার একটিতেও দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকতে হবে। কিন্তু তিনি এটাও বুঝতে পেরেছেন যে তাঁর রাজনৈতিক সমর্থকেরা প্রয়োজনের সময় আনন্দিত চিত্তেই ডেমোক্র্যাট, প্রগতিশীল, মুসলিম, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়ে দেবে। 

ট্রাম্প তাঁর প্রচারণায় বারবার অঙ্গীকার করছেন বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের এমন সব প্রতিষ্ঠানে তাঁর অনুগত সমর্থকদের নিয়োগ দেবেন, ঐতিহ্যগতভাবে যেসব জায়গায় নির্দলীয় ও পেশাদার লোকদের বসানো হয়। প্রথমবারের অভিজ্ঞতা থেকে ট্রাম্প খুব ভালো করেই বুঝেছেন যে তিনি কত ভালোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবেন, তার ওপর নির্ভর করবে তাঁর ক্ষমতা। আর এটা কোনো গোপন বিষয়ও নয়।

ফেডারেল সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতির একেবারে কেন্দ্র। এখানে কোনো কিছু ঘটলে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত তার প্রভাব পড়ে। 

রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের অনুরাগ, নিজের ব্যক্তিগত লাভের স্বার্থে ইউক্রেনের জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার ইচ্ছা, কংগ্রেসে আন্তর্জাতিকতাবাদী মধ্যপন্থী রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সংখ্যা কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে ট্রাম্প নির্বাচিত হলে ইউরোপের ক্ষেত্রে মার্কিন নীতি অনেকটাই বদলে যাবে। এর মধ্যে ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করা এবং ইউক্রেনে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

ট্রাম্প একইভাবে এশিয়া প্যাসিফিকের নিরাপত্তাসৌধে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও প্রতিশ্রুতিহীন। এখন পর্যন্ত এটা পরিষ্কার নয় যে ট্রাম্প তাঁর নিত্যদিনের চীনবিরোধী বাগাড়ম্বর ও কিম জং–উনের প্রতি আগ্রহের বাইরে গিয়ে ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তার গুরুত্ব কতটা বুঝতে পারছেন। 

এশিয়ার প্রতি ট্রাম্পের ধারণার পার্থক্য তুলনামূলক কম হওয়ায় ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন মিত্রদের দশা ইউরোপের মতো অতটা খারাপ না–ও হতে পারে। কিন্তু যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, তাতে করে সেখানকার শৃঙ্খলায় হুমকি তৈরি হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে ট্রাম্প ইসরায়েলি সমাজের সেই অংশের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে চাইবেন, যঁারা কিনা চান চরমপন্থা অবলম্বন করে এই সংঘাতের অবসান হোক। এ ক্ষেত্রে সমাধানগুলো হতে পারে গাজা পুরোপুরি দখলে নেওয়া, পশ্চিম তীরে আরও সংঘাত উসকে দেওয়া, ফিলিস্তিনি জনসাধারণের ব্যাপক ও স্থায়ী গণবাস্তুচ্যুতি এবং পবিত্র স্থান জেরুজালেমের স্থিতাবস্থার অবসান।

বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি বিশ্বজুড়ে আমেরিকার মিত্র ও বন্ধুদের জন্য আশীর্বাদ। বাইডেন বহুপক্ষীয় প্রাতিষ্ঠানিকতার ওপর আস্থাশীল। তিনি বুঝতে পেরেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যেটা আমেরিকানদের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি দেয়। এই একই ব্যবস্থা এশিয়া প্যাসিফিকের মিত্রদেরও নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা দেয়। 

কিন্তু ট্রাম্প পুরোপুরি ভিন্ন ভাবনার লোক। তাঁর রাজনীতির মূলে রয়েছে সবকিছুই নাকচ করে দেওয়া। বাইডেন যদি আমেরিকার বৈশ্বিক নেতৃত্ব, বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান ও সহযোগিতামূলক পররাষ্ট্রনীতির সমর্থক হন, ট্রাম্প সে ক্ষেত্রে পুরোপুরি বিপরীত চরিত্রের। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হলে আমেরিকাকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবেন তিনি।

● টমাস পেপিনস্কাই যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক কর্মসূচির পরিচালক

এশিয়া টাইমস থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত­

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর