মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প
শওকত হোসেন
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৫

হাসিনার হাতে কতজন শহীদ হয়েছেন আর কতজনইবা চোখ ও অংগ হারিয়েছেন, তাদের পুরো একটা তালিকা এ সরকার এবং বিপ্লবের তথাকথিত দাবিদাররা গেল নয় মাসেও তৈরী করতে পারে নাই। কারণ, তারা এতদিন চাঁদাবাজী ও নিজেদের আখের গুছিয়ে ড: ইউনুসের দ্বারা আদিষ্ট হইয়া রাজসিক কায়দায় এন পি সি নামক বহুল বিতর্কিত একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে নির্বাচনের আগেই ক্ষমতার মসনদ নিশ্চিত করার পাঁয়তারা করছে। আরও পাঁচ বছর, আরও পাঁচ বছর জিকির তুলছে। এদের মুখে হাসিনার বিচার ভূতের মুখে রাম রামের মতোই শোনায়। অভিযুক্ত হাসিনা ও তার সকল রাগব বোয়ালেরা তো পালিয়েই গেছে। চুনোপুঁটিদের বিচারই শুরুই করতে পারে নাই। বিচারের নামে অযথা সময় নষ্ট করা হচ্ছে। এ সরকার এখন পর্যন্ত ৮০০ শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার তালিকা প্রকাশ করেছে। অথচ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে ১৪০০ জনকে হত্যার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এ থেকেই বুঝা যায়, জুলাই গনহত্যা নিয়ে ইউনুস সরকারের ও তথাকথিত বিপ্লবীদের উদাসীনতা। অথচ জুলাই বিপ্লবে শহীদদের ও আহতদের পুরো তালিকা করে বিচার কাজ শুরু করলে আর সংস্কার নাটক করতে হতো না। খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করতে পারলেই, আগামীতে দেশে আর কোন ফ্যাসিস্ট শক্তির জন্ম হতো না। তথাকথিত সংস্কারের চেয়ে হাসিনা ও তার দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলেই দেশে গনতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারতো। ভুলে গেলে চলবে না, হাসিনাার কারচুপির ইলেকশনের চেয়ে ড: ইউনূসের ভোট ছাড়া দীর্ঘদিন গদি আঁকড়ে থাকার অবৈধ ইেেচ্ছ জাতির গনতন্ত্রের ইতিহাসে আরও একটি কলংকজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। আর খারাপ গনতন্ত্রের চেয়ে গনতন্ত্রহীনতা নিশ্চয় দেশের জন্য কোনমতেই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। দেশের সামগ্রিক অথনৈতিক অবস্থা কি তা বিশ্ব ব্যাংক পরিস্কারভাবে বলে দিয়েছে। আর দেশের ডুবন্ত পুঁজিবাজারের দিকে একটু তাকালেই তা বুঝতে পারবে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীরাও। সুতরাং জাতির সাথে আর ভেলকিবাজি না দেখিয়ে চাপাবাজী বন্ধ কইরা, জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা কইরা জাতির ভবিষ্যতের অনিশ্চিয়তা দূর করা এখন সময়ের দাবি। আর ডিসেম্বর থেকে জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের যে কথা বলা হচ্ছে তাও জাতির সাথে আরও একটি প্রতারনারই সামিল। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে ডিসেম্বরের পর কিংবা জানুয়ারী মাসের পর আর কোন ইলেকশন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। কারণ এবার ফেব্রুয়ারী মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে মাহে রমজান, রোজার পরই রোজার ঈদ, তারপরই আবার আসবে কুরবানির ঈদ, তার পর শুরু হবে এস এস সি এবং এইচ এস সি পরীক্ষা। আর জুন জুলাই তো বর্ষাকালই। এ সময়ের মধ্যে কোন মতেই কি ইতিহাসের সেরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করা কি আদৌ সম্ভব? সুতরাং আষাঢ় মাসে আষাঢ়ী নির্বাচনের আষাঢ়ী গল্পটি বন্ধ করেন দয়া করে। এদেশের মানুষ বোকা না। হাসিনাও এ দেশের মানুষকে বোকা মনে করেছিল। শেখ হাসিনার সুবিধাভোগীরাও শেষ মুহূর্তেও মুখে ফেনা তুলে জিকির উঠিয়ে স্লোগান দিয়েছিল 'শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার।' তার করুন পরিনতি কি হয়েছিল তা সারা বিশ্ব দেখেছে। সুতরাং যদি গদিতে আরও থাকতে মন চায়, আর জনগনও যদি আপনাদেরকেই চায়, তাহলে আর সমস্যাটা কোথায়? একটা ইলেকশন দিয়ে, কোন প্রকার ছল চাতুরীর আশ্রয় না নিয়ে জনগণের বৈধ ম্যানডেট নিয়ে মনের সাধ মেটান। অবৈধভাবে ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘদিন গদিতে আসীন কোন সরকারই দেশের জন্য কোনমতেই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। আর দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীকে দিয়ে আর কতদিনইবা পুলিশের কাজ করাবেন। এটা ওনাদের কাজ না। ওনাদের কাজ দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। ওনারা যেন শিগগিরই তাদের আসল জায়গায় ফিরে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। আর মনে করাইয়া দিলাম, সোসাল মিডিয়া আপনাদের পক্ষে পাঁচ বছরের জন্য যে জিকির তুলবার অপচেষ্টা হয়েছিল, তা কিন্তু অংকুরেই শেষ অই গেছে। মানে অইলো গিয়া এ জিকিরও হালে পানি পায় নাই। আপনার নিজস্ব লোকজনও অনেক চেষ্টা করছিল পালে হাওয়া দিতে, তাদের কেবলই নিজস্ব কোটারি ইন্টারেস্টে। সুতরাং সাধু সাবধান।
শওকত হোসেন: সিনিয়র সাংবাদিক

- সঞ্চয়পত্রে কমল মুনাফার হার
- ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার হলেন ১ হাজার ৬৯০ জন
- বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই
- রাশিয়ার মিসাইল হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
- সরকারি স্কুলের গাছ কেটে বাড়ি নিলেন বিএনপির নেতা
- মার্কিন ডিটেনশন সেন্টারের ভয়াবহ চিত্র ফাঁস
- নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে: আসিফ মাহমুদ
- ইরানে স্টারলিংক ব্যবহারে হতে পারে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি
- এনবিআরের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ সেনা নিহত
- ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত : হারেৎজ
- মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের
- খামেনির প্রাণ বাঁচালাম, ধন্যবাদটুকুও দিলো না: ট্রাম্প
- টাকা ছাপিয়ে ধার
দুর্বল ১২ ব্যাংক পেল ৫৩ হাজার কোটি টাকা - কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন কেন চান না, জানালেন সালাহউদ্দিন
- সাংবাদিক অধ্যাপক সিরাজুল হকের ইন্তেকাল
- ‘সিরাজুল আলম খান ইতিহাসের অংশ’
- ব্রুকলিন পথমেলায় অপমানিত সংগীত শিল্পীরা
- আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বনভোজন
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক
- আজকাল সম্পাদকের অভিনন্দন
- সপ্তাহে ৫ হাজার ইমিগ্রান্টকে গ্রেফতার করছে আইস পুলিশ
- ইউনূস-সিইসি’র একান্ত বৈঠক
পর্দার আড়ালে কী ঘটছে! - মেয়র পদে রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া
- বিজয়ের মুকুট শাহানা হানিফের
- মামদানি-শাহানার ভূমিধস বিজয়
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবসের’ তারিখ নিয়ে আখতার-সারজিস-হাসনাতের আপত্তি
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- বিপিএলে কানাডিয়ান মডেল নিয়োগ দিল চট্টগ্রাম কিংস
- আজকাল ৮৫০
- ‘আজকাল’-৮৪৯ সংখ্যা
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে
- এ সময়ে শিশুর রোগবালাই এবং চিকিৎসা
- আজকাল ৮৫৫ তম সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৫৮
- ৩০ দিন পর থাকবে না ফেসবুক লাইভ ভিডিও, বিকল্প কী?
- চিনি ছাড়ার সহজ ৫ উপায়
- যুক্তরাষ্ট্রের ‘এআই ঘোড়ার’ লাগাম টেনে ধরল চীনের ডিপসিক
- ‘আজকাল’- ৮৫৯
- তামান্না ভাটিয়ার মতো উজ্জ্বল ত্বক পেতে কী করবেন
- আজকাল ৮৫৪
- আজ ভালোবাসা দিবস

- মানুষের ধ্বংসই শয়তানি শক্তির আরাধ্য
- হারিয়ে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ বই বিক্রেতারা
- ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নিষেধাজ্ঞা’র রাজনৈতিক অর্থনীতি
- অসম্মান তো সবার জোটে না, আমার না হয় জুটলো
- অগুণিত সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে
- নাইপলের মৃত্যুতে শোকাহত বিশ্বসাহিত্য অঙ্গন
- ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার!
- ‘নিজের পাশে অন্যকে দাঁড়াবার জায়গাটা দিতে হবে’
- ‘এই ছাত্র রাজনীতির কাছে আমরা অসহায়’
- নিষেধাজ্ঞা নয় হুশিয়ারি
- বাংলাদেশকে বাঁচাবেন কারা
- বাংলাদেশ ও আমার সেই ভালো লাগার অনুভূতি
- যুক্তরাষ্ট্র কি আবার স্বেচ্ছায় একঘরে হতে চলেছে
- নতুন ভিসা নীতির প্রেক্ষাপট-উদ্দেশ্য
- ‘অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার সম্পর্ক নেই’