নো ওয়ান কিলড তিন্নি!
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

এ সপ্তাহে সংবাদপত্রের প্রথম পাতা বেশ রমরমা ছিল। প্রচুর নতুন নতুন খবর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের জ্বালাময়ী ভাষণ কিংবা হুমকি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র, শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি, শুল্ক বাড়ার পরও মানুষের কষ্ট তেমন হবে না বলে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের জাদুকরি উক্তি, চারটি সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পেশ—এই সবই গুরুত্বপূর্ণ খবর। দেশ ও জাতির জন্য এতসব গুরুত্বপূর্ণ খবরের বাইরে গিয়ে ভিন্ন একটা খবর নিয়ে আমি আজ আলোচনা করতে চাই। দুদিন আগে খবরটা জানার পর থেকে আমি আসলে ঠিক স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। বিষয়টি হচ্ছে—তিন্নি হত্যা মামলার রায়।
আজকের প্রজন্মের কাছে ‘তিন্নি’ নামটি সম্ভবত তেমন কোনো গুরুত্ব বহন করে না। কারণ, তিনি মারা গেছেন আজ থেকে ২২ বছর আগে। সেই সময়ে আমাদের বয়সও বর্তমানের চেয়ে ২২ বছর কম ছিল। ফলে সেই বয়সে সুন্দরী নারীর মুখ আমাদের হৃদয়কে কিছুটা হলেও বিচলিত করত। কিন্তু এত বছর পরে এসে দুদিন আগে তিন্নিসংক্রান্ত যে খবরটি পড়লাম, তাতে একজন বয়স্ক নাগরিক হিসেবে আমি যেন আরও অনেক বেশি বিচলিত হলাম।
তিন্নি মডেল ছিলেন। সেই সময়ের খুবই আলোচিত মডেল। এই জগতে পা রাখার পর খুব অল্প সময়েই অনেক বেশি আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। বলা হয়ে থাকে, তাঁর এই সাফল্যের পেছনে তাঁর স্বামীর বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিন বছরের সংসার তাঁদের, একটি কন্যাসন্তানও ছিল। সাফল্যের ঢেউয়ে ভাসতে থাকার সময়ে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় সেই সময়ের আলোচিত ব্যক্তি গোলাম ফারুক অভির। অভি ছাত্রনেতা ছিলেন, রাজনীতিবিদ ছিলেন, সাবেক এমপি ছিলেন। ছাত্রনেতা থাকাকালে তাঁর খুব সুনাম ছিল না। এরশাদবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা অভি গোপনে এরশাদের সঙ্গে আঁতাত করে সাধারণ ছাত্রদের কাছ থেকে প্রচুর ঘৃণা অর্জন করেছিলেন। তারপর এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে একবার সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০০২ সালে এই ঘটনা যখন ঘটে, অভি তখন আর সংসদ সদস্য নন। তখন তিনি ব্যবসায়ী, শিল্প-সংস্কৃতির জগতে তাঁর অবাধ যাতায়াত। এ রকম এক সময়েই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় মডেল তিন্নির। বলা হয়ে থাকে, এই সময়ে তিন্নি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অভির সঙ্গে। এবং অভির প্ররোচনায় তিন্নি তাঁর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কও ছিন্ন করেন। স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তিনি গিয়ে ওঠেন অভির ফ্ল্যাটে। তিন্নি হয়তো ভেবেছিলেন, অভি তাঁকে বিয়ে করবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। নভেম্বরের ৬ তারিখে স্বামীকে ডিভোর্স দেন তিন্নি, এর ঠিক চার দিন পর তাঁর লাশ মেলে বুড়িগঙ্গায় চীন মৈত্রী সেতুর নিচে। ছয় বছর তদন্ত করে পুলিশ অভিকে আসামি করে চার্জশিট দেয়। এরপর নানা নাটকীয়তা, নানা আইনি মারপ্যাঁচ, দীর্ঘ বিলম্ব। অবশেষে দুদিন আগে বিচারিক আদালত থেকে পাওয়া গেল রায়। রায়ে বলা হলো—গোলাম ফারুক অভি নির্দোষ। খালাস দেওয়া হলো তাঁকে।
তাহলে তিন্নিকে মারল কে? তাঁকে কি কেউ হত্যা করেনি? অথবা তিন্নি কি আসলেই মারা গেছেন? যে মেয়েটির লাশ পাওয়া গেল সেতুর নিচে একটা পিলারের ওপর, সেটি কি আসলেই তিন্নির ছিল? তাঁর পরিবারের লোকেরা তো লাশ শনাক্ত করেছেন। তাহলে অভির মতো গুরুত্বপূর্ণ লোককে ফাঁসাতে সবাই মিলে ওই নাটকটা করেছে? তিন্নি যদি না মারা গিয়ে থাকে, তাহলে সে এখন কোথায়? সে কি তাহলে অন্য নামে মডেলিং করে? আমি জানি, আমার এতসব প্রশ্নকে আপনারা হাস্যকর বিবেচনা করছেন। কিন্তু আমি যদি বলি, আমার এই প্রশ্নগুলো যদি হাস্যকর হয়, তাহলে অভির খালাসপ্রাপ্তিকে আপনারা কী বলবেন?
ইদানীং আমাদের দেশের বিচারালয়গুলোতে ‘খালাস’ কিংবা ‘সকল আসামি খালাস’ এই শব্দগুলো বেশ উচ্চারিত হচ্ছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনা সব মামলা—এ রকম আরও অনেক মামলায় সবাই যেন আরামদায়ক ভঙ্গিতে খালাস পেয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে কিছু কিছু যে আমার কাছে খুবই যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয়নি, তা-ও নয়। আবার কিছু কিছু রায় নিয়ে ভিন্ন ধরনের পাবলিক পারসেপশনও দেখা গেছে। মানুষ কী মনে করে, তা দিয়ে অবশ্যই বিচারের রায়কে কিংবা বিচারব্যবস্থাকে বিচার করা যাবে না। সে বিবেচনায় পাবলিক পারসেপশন মোটামুটি অর্থহীন। কিন্তু পুঞ্জীভূত ‘পাবলিক পারসেপশন’ অনেক সময় পুরো ব্যবস্থাকেই উল্টে-পাল্টে দিতে পারে।
আমি বলছি না, অন্যসব রাজনৈতিক মামলার সঙ্গে অভির এই খালাসপ্রাপ্তির দারুণ কিছু মিল রয়েছে। আমি কেবল সময় এবং হুজুগের কথাটা উচ্চারণ করলাম। এসবের বিপরীতে আমার মূল প্রশ্নটা আসলে সুবিচার প্রাপ্তি নিয়ে। একটা বিচার অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। সাক্ষ্য-প্রমাণ, আলামত, আইনজীবীর যুক্তিতর্ক—এ রকম অনেক কিছুই লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যদি দরিদ্র হয়, তাহলে সে মামলা চালাতে গিয়ে হিমশিম খায়। অপরাধী যদি ক্ষমতাধর বা অর্থবান হয়, তাহলে সে জাঁদরেল আইনজীবী ভাড়া করে যে বাদীপক্ষকে নাকানি-চুবানি খাওয়াতে পারে, এ সবই আমরা জানি। কিন্তু এতকিছুর পরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে কি রাষ্ট্রের কোনো দায়িত্ব থাকে না তার নাগরিককে সুবিচার প্রদানে? ঘাটতিটা কোথায়? বিচার বিভাগের দুর্বলতায়, নাকি রাষ্ট্রের সদিচ্ছায়? এ প্রশ্নগুলো সম্ভবত আগামী দিনেও উঠতে থাকবে।
শেষ করি আবার সেই তিন্নির প্রসঙ্গটি দিয়েই। এত চিন্তার মধ্যেও আমি ভাবছিলাম তিন্নির কন্যাটিকে নিয়ে। যত দূর জানি তিনি তাঁর পিতার সঙ্গে এখন বিদেশে অবস্থান করছেন। তিন্নির মৃত্যুর কিছুদিনের মধ্যেই কন্যাকে নিয়ে বিদেশে চলে যান তাঁর স্বামী। সেই কন্যা এখন নিশ্চয়ই ২৪ বছর বয়স্ক পরিণত মানুষ। কী চলছে এখন তাঁর মনে? তাঁর হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কি আমাদের এই রাষ্ট্র উপলব্ধি করতে পারে? তাঁর অনুভূতি কি রাষ্ট্রকে বিচলিত করে?
মাসুদ কামাল, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

- হায়াইট হাউসের সামনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ
- ইরান প্রবাসিদের জন্য দেশে আহাজারি
- মামদানি-কুমো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বুধবার
- মামদানিকে গাড়ী বোমা বিস্ফোরণে হত্যার হুমকি
- মাদক নিয়ে সংঘর্ষ
জ্যামাইকা বিষাক্ত হয়ে উঠেছে - ঐক্যবদ্ধ ৩৯তম সম্মেলন নায়াগ্রায়
- ‘রোহিঙ্গা সমস্যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি’
- পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর
- ভিসা প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের নতুন নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের
- মুক্তচিন্তা
হানি ট্র্যাপ: প্রেম, ক্ষমতা ও প্রতারণার রাজনীতি - কে এই জোহরান মামদানি ?
- মামদানিকে সমর্থন দিলেন বার্নি স্যান্ডার্স
- ইরান-ইসরাইল ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- বাধ্যতামূলক অবসরে পাঁচ সচিবসহ ছয় কর্মকর্তা
- প্রশ্ন করায় ডিসির সামনেই সাংবাদিককে মারতে উদ্যত হলেন বিএনপি নেতা
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পকে সংযতের আহ্বান জানালেন স্টারমার
- ইউরোপে পালানোর চেষ্টায় ইসরায়েলিরা, সিনাই উপদ্বীপে ভিড়
- নেতানিয়াহু ভুল, তার যুদ্ধে আমরা জড়াব না : বার্নি স্যান্ডার্স
- ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে দুই সপ্তাহ সময় নিলেন ট্রাম্প
- সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড়, বেড়েছে ২৩ গুণ
- ইরানের একাধিক ওয়ারহেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রে হতভম্ব ইসরায়েল
- সম্ভাব্য যুদ্ধের আদেশ বাস্তবায়নে প্রস্তুত প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- ইসরায়েলে এবার ‘সেজ্জিল’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান: সিএনএন
- যুদ্ধই নেতানিয়াহুর টিকে থাকার শেষ আশ্রয়!
- হোয়াইট হাউজের ‘পা চাটবে না’ ইরান
- ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছি : ইর
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
- ইরানের ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- আজকাল ৮৫০
- বিপিএলে কানাডিয়ান মডেল নিয়োগ দিল চট্টগ্রাম কিংস
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে
- ‘আজকাল’-৮৪৯ সংখ্যা
- এ সময়ে শিশুর রোগবালাই এবং চিকিৎসা
- আজকাল ৮৫৫ তম সংখ্যা
- আজকাল ৮৪৭ সংখ্যা
- ৩০ দিন পর থাকবে না ফেসবুক লাইভ ভিডিও, বিকল্প কী?
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৫৮
- চিনি ছাড়ার সহজ ৫ উপায়
- যুক্তরাষ্ট্রের ‘এআই ঘোড়ার’ লাগাম টেনে ধরল চীনের ডিপসিক

- মানুষের ধ্বংসই শয়তানি শক্তির আরাধ্য
- হারিয়ে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ বই বিক্রেতারা
- ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নিষেধাজ্ঞা’র রাজনৈতিক অর্থনীতি
- অসম্মান তো সবার জোটে না, আমার না হয় জুটলো
- অগুণিত সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে
- নাইপলের মৃত্যুতে শোকাহত বিশ্বসাহিত্য অঙ্গন
- ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার!
- ‘এই ছাত্র রাজনীতির কাছে আমরা অসহায়’
- নিষেধাজ্ঞা নয় হুশিয়ারি
- ‘নিজের পাশে অন্যকে দাঁড়াবার জায়গাটা দিতে হবে’
- বাংলাদেশকে বাঁচাবেন কারা
- বাংলাদেশ ও আমার সেই ভালো লাগার অনুভূতি
- যুক্তরাষ্ট্র কি আবার স্বেচ্ছায় একঘরে হতে চলেছে
- নতুন ভিসা নীতির প্রেক্ষাপট-উদ্দেশ্য
- ‘অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার সম্পর্ক নেই’