যেভাবে বেহাত নগদের শতকোটি টাকা
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৫

সংকটে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ। নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে নানা গ্রুপ-উপ-গ্রুপ জেঁকে বসেছে নগদে। ডাক বিভাগের একটি অংশ নগদের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া। আবার নতুন একটি রাজনৈতিক দলের নেতারাও নিয়মিত হস্তক্ষেপ করছেন। খোদ নগদ সূত্র থেকেই এই তথ্য জানা গেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশের লাখ লাখ গ্রাহকের জামানত ও নগদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তারা এগিয়ে এসেছে। রাষ্ট্রের অর্থনীতি খাতের নিয়ন্ত্রক এই ব্যাংকটি সরাসরি সহযোগিতার মাধ্যমে নগদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন। তবে তাতে আইনি বাধা সামনে আসছে। নগদ সিন্ডিকেটের সঙ্গে পেরে উঠছেন না বাংলাদেশ ব্যাংকও। গত ৫ই আগস্টের পরে নগদ ছেড়ে বিদেশে পালিয়েছেন তৎকালীন সিইও তানভির এ মিশুক। তবে বিদেশে গিয়েও তিনি থেমে নেই। সেখানে বসেই নিজস্ব নানা গ্রুপ দিয়ে নগদের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতেই রেখেছেন ডিজিটাল খাতের এই মাফিয়া। ভুয়া বিল ভাউচারে টাকা উত্তোলন, ডাটাবেইজ থেকে তথ্য মুছে ফেলা, গণছাঁটাই, ইভেন্ট দেখিয়ে বিল তোলা, মেইনটেন্যান্স কোম্পানির বকেয়া দেখিয়ে নগদ থেকে ২ মাসে অন্তত দেড়শ’ কোটি টাকা সরানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের সীমাহীন লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ও মূল হোতাদের একজন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকি। গত ১৮ই মে রাতে তাকে বেইলি রোডের বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তার সঙ্গে থাকা ইলেকট্রনিক ডিভাইস কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পরদিন বিকালে তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে ডিবি থেকেই ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, একজন বিশেষ সহকারীর সরাসরি হস্তক্ষেপে ডিবি পুলিশ তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তি পেয়ে তিনি আরও বেপরোয়া হয়েছেন। নগদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করতে চাপ দিচ্ছেন।
নগদের অফিসে কে এই আতিক মোর্শেদ: সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদ। ডেপুটি সিইও এবং আতিক মিলে নগদের সবকিছু সামলাচ্ছেন। নগদ ভবনের ৬ তলার একই রুমে নিয়মিত অফিস করছেন আতিক। অথচ তিনি নগদের কোনো কর্মকর্তা নন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগদের পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আতিক মোর্শেদ নগদে গিয়ে অফিস করছেন। কখনো কখনো সিইও’র চেয়ারে বসছেন। সম্প্রতি তিনি তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নগদের ম্যানেজার কমপ্লায়েন্স পদে বসিয়েছেন। চাকরি দিয়েছেন নিকট আত্মীয়দেরও। নগদ সূত্র বলছে, গত এক সপ্তাহ ধরে নগদে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকি (আগে ছিল চিফ স্ট্যাটেজি অফিসার)’র রুমে বসে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা আতিক মোর্শেদ ও ডাক বিভাগের ডিপিএমজি খন্দকার শাহনুর সাব্বির। ওই সূত্র দাবি করেছেন নগদের নতুন সিইও নিয়োগ হওয়ার পর থেকে আতিক মোর্শেদ নগদে নিয়মিত অফিস করছেন। গত ২০শে মে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে নগদের প্রধান কার্যালয়ের ছয় তলায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এর আগে ১৮ই মে তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে একইভাবে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নগদের সামপ্রতিক এই বাঁক বদলের সঙ্গে একজন বিশেষ সহকারীও যুক্ত রয়েছেন বলে নগদের ভেতরে ওপেন সিক্রেট আলোচনা চলছে।
নগদ সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশে নগদের প্রশাসকদের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসক নগদ ছেড়ে যাওয়ার পর পর ডাক বিভাগ তড়িঘড়ি করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেন। যা বাংলাদেশ ব্যাংককে চাপে রাখতে করা হয় বলে জানা গেছে। বলা হয়- ডাক বিভাগের কমিটির তত্ত্বাবধানে নগদ পরিচালিত হবে। ডাক বিভাগ থেকেই নগদের পুরো বিষয়টি নেতৃত্ব দেয়া হচ্ছে। নগদ সূত্র বলছে, মূলত বাংলাদেশ ব্যাংককে নগদের উপর নজরদারি ও হস্তক্ষেপ থেকে দূরে রাখতেই ডাক বিভাগ এই কাজ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংককে চাপে রাখতেই প্রশাসক চলে যাওয়ার পর একশ’ কোটি টাকার লেনদেন বৃদ্ধির খবর দিয়ে গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ দেয়া হয়। তবে এটি একটি লোক দেখানো প্রেস রিলিজ ছিল বলে সূত্র জানিয়েছে। নগদ সূত্র বলছে, এই সময়ে নগদের লেনদেন বাড়েনি বরং কমেছে। এমনকি গত আগস্টে সাবেক সিইও তানভীর এ মিশুক পালিয়ে গেলেও তিনি চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত নগদ থেকে বেতন নিয়েছেন। মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা করে বেতন নিয়েছেন তানভীর এ মিশুক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগদের নতুন সিইও মো. সাফায়েত আলম নিয়োগ পাওয়ার আগে থেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন। তিনি এখনো দেশে ফেরেননি। মূলত তানভীর এ মিশুক ও মো. সাফায়েত একই স্থানে বসবাস করছেন। গত ১২ই মে রাতে তিনি তানভীর এ মিশুকের এক ই-মেইলের মাধ্যমে দায়িত্ব পান। তবে গত ১৫ দিনে তাকে কখনোই নগদের অফিসে দেখা যায়নি। যদিও তিনি ই-মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নগদের অন্তত ১৯ জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন। এ ছাড়া তানভীর অনুসারীদের পদোন্নতি ও বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগদের এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, নতুন পরিচালক নিয়োগ হওয়ার পরে আমরা এখনো তাকে দেখতে পাইনি। সিইও সাধারণত ৬ তলায় বসেন। কিন্তু আমরা তাকে এখনো নগদে আসতে দেখিনি। তবে মোবাইল ফোন ও ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি নগদের সকল কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তিনি নিয়োগ পাওয়ার পরে নগদের অনেক উত্থান-পতন হচ্ছে। অনেক মানুষের চাকরি গেছে। আবার নিচু পদের অনেকে বড় পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। অনেক বহিরাগত নগদে এসে বড় পদে চাকরি পেয়েছেন। অদৃশ্য থেকেই নতুন সিইও এসব করছেন। জানা গেছে, গত ১২ই মে ই- মেইল ঘোষণায় মো. সাফায়েত আলমকে নগদের নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সময় তানভীর এ মিশুক ঘোষণা দেন তিনি এখন থেকে আর নগদের সঙ্গে নেই। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এখনো পেছন থেকে নগদের পুরো কলকাঠি নাড়ছেন এই তানভীর। নগদ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি আসলে তানভীরের ‘নিরাপদ প্রস্থান’-এর একটি কৌশল। তিনি সবাইকে দেখাতে চেয়েছেন যে, তিনি আর নগদে নেই। এর মাধ্যমে বিদেশে থেকেও নগদের বিষয়ে চাপ মুক্ত থাকতে চেয়েছেন তিনি।
পুরনো ডাটাবেজ ধ্বংস, ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি: গত ১২ই মে সন্ধ্যায় মৌখিকভাবে ঘোষণা দেয়া হয় আগামী এক সপ্তাহ নগদের আইটি বিভাগের সকলকে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন অফিস করতে হবে। এতে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবারও অফিস খোলা রাখা হয়। নগদ সূত্র বলছে, আগে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও কাজ না শেষ করে নগদের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের অফিস থেকে বের হতে দেয়া হতো না। কিন্তু এখন কয়েকটি বিশেষ বিভাগকে বিকাল ৫টার পরেই অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়। মূলত সবাইকে অফিস থেকে বের করে দিয়েই ডাটাবেজ থেকে নগদের পুরনো ডকুমেন্ট ধ্বংস করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগদ থেকে অযাচিত টাকা বের করতে পেছনের তারিখ দিয়ে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট নানান ইভেন্ট দেখিয়ে ভুয়া-বিল ভাউচার তৈরি করছে। পরে ওই ভাউচার দেখিয়ে মানবসম্পদ বিভাগ থেকে টাকা ছাড় করা হচ্ছে। আর এই কাজে সহায়তা করছেন সাবেক সিইও তানভীর এ মিশুক। ইতিমধ্যে অর্ধশত কোটি টাকা বের করে নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে কোনো কোনো কাজ দুই আড়াই বছর আগে করা হয়েছে বলেও ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করা হয়েছে। পরে এই কাজের টাকাও উত্তোলন করা হয়। তবে এ কাজে বাধা দিলে গত ১২ই মে রাতে ই-মেইলের মাধ্যমে মানবসম্পদ বিভাগের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। গত কয়েকদিনে ১৯ জন পদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। মূলত যারা বাংলাদেশ ব্যাংক ও কেপিএমজিকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকেই টার্গেট করে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত করার আগে প্রতিষ্ঠানের পূর্বের কিছু বিধিবিধানও ই-মেইলের মাধ্যমে বদলে দেয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগদের সাবেক এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, যাতে চাকরি যাওয়া কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ না দিতে হয় এজন্য তারা নতুন নিয়মনীতি তৈরি করছেন। আগে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের জন্যই তিন মাসের নোটিশ অথবা আর্থিক সুবিধার বিধান ছিল। কিন্তু নতুন যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের কিছুই দেয়া হয়নি। যেহেতু এদের কোনো রকম ক্ষতিপূরণ ছাড়া বিদায় করা হবে, ফলে বিদায়ের আগেই ওই নীতিমালা ই-মেইলের মাধ্যমে স্থগিত করেন সাফায়েত আলম। সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন-ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোলাম মর্তুজা চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক সাইদুল খন্দকার, হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোলার কমপ্লায়েন্স বিভাগ খালেদ বিন কামাল, হেড অব সোর্সি এবিএম আকরাম হোসাইন, হেড অব এন্ট্রি মানি লন্ডারিং বিভাগ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ও আহমেদ আলী। তবে অব্যাহতি দেয়ার সময় বলা হয়েছে, এই কর্মকর্তারা কেপিএমজি’র অডিট টিমকে অডিট করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন। নগদের মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করা এক কর্মকর্তা বলেন, নগদ নতুন কৌশলে হাঁটছে। মূলত ১১ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে এবং সব মিলিয়ে ১৯ জনকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি আরও অসংখ্য কর্মকর্তার ওপর বিদায়ের চাপ তৈরি করে রেখেছেন। অথচ এর মধ্যে আবার ই-মেইলের মাধ্যমে বিশেষ কয়েকজনকে পদোন্নতি দেয়া ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসিয়েছেন। এমনভাবে কাজগুলো করা হয়েছে, যাতে সামনের দিনে নগদের দখল হারালেও এসব কর্মকর্তার মাধ্যমে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় থাকে। তানভীর এ মিশুকের এপিএস ছিলেন ফকির বিদার উদ্দিন আহমেদ। ঠিকমতো ইংরেজি লিখতে-পড়তে পারেন না। অথচ তাকে দেয়া হয়েছে হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের বিষয় রয়েছে।
ভুয়া ভাউচারে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিকে বিল প্রদান: নগদের চিফ টেকনোলজি অফিসার আবু রায়হান জুলাই অভ্যুত্থানে রংপুরে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি। তিনি গত ৬ বছর ধরে নগদে তানভির এ মিশুকের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। গত বছর আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক। সম্প্রতি তানভির এ মিশুকের লোকজন নগদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ওয়ান ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একসঙ্গে এই রায়হানের ৯ মাসের বেতন পরিশোধ করেন। যা প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। অথচ গত আগস্ট মাস থেকেই নগদে তার চাকরি ছিল না।
যা বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও নগদ: এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসাইন খান মানবজমিনকে বলেন, আইনি সমস্যা সৃষ্টি করে আমাদের প্রশাসকদের নগদ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমরা আপিল করেছি। তা শুনানির অপেক্ষায় আছে। কিন্তু এই ফাঁকে তারা নানা অনিয়ম করেছে, এটা আমরাও শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারছি না। নগদের ডাটাবেজ মুছে ফেলা, নকল বিল ভাউচার তৈরি করা, যাকে তাকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এই তথ্য আমাদের কাছেও আসছে। কিন্তু আমরা তো ওখানে যেতে পারছি না। বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত যেন নগদে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে আমাদের মিডিয়ারও সহায়তা দরকার। এ বিষয়ে আতিক মোর্শেদ মানবজমিনকে বলেন, আমি নগদে কোনো চাকরি করি না। অভিযোগ সত্য নয়। ডাক বিভাগ থেকে কিছু বিষয় আমি কো-অর্ডিনেট করছি।
এদিকে নগদের নবনিযুক্ত ডেপুটি সিইও মুয়ীজ তাসনিম ত্বকী এক ক্ষুদে বার্তায় মানবজমিনকে বলেন, নগদের কোনো ডাটাবেজ ধ্বংস ও ভুয়া বিল ভাউচার করা হয়নি। এই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, এ ধরনের কোনো কার্যক্রম নগদে কখনো পরিচালিত হয়নি। আর আমি নগদে কাউকে নিয়োগ করিনি। এটা মানবসম্পদ বিভাগের দায়িত্ব। তারা যোগ্য ব্যক্তিকেই নিয়োগ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের রেগুলেটর। পূর্বেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি মানহানি, লোক দেখানো প্রেস রিলিজ প্রদান করা হয়নি। বরং নগদ বিশ্বাস করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে কাজ করতে।

- পশুতে পরিপূর্ণ হাট, জমেনি বেচাকেনা
- বিএসএফের পুশইন ঠেকাল মানবপ্রাচীর
- বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ব্লক ওয়ার্ক ভিসা স্থগিত করল সৌদি
- ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার রোববার সরাসরি সম্প্রচার হতে পারে
- কমল ডিজেল, পেট্রল ও অকটেনের দাম
- ভালো নেই দেশের মানুষ
- জ্যাকসন হাইটস’র মসজিদের তালা কেটে ডলার চুরি
- জামালপুর জেলা সমিতির বর্ণাঢ্য অভিষেক
- নিউইয়র্ক স্টেটে ঈদে ছুটির দাবি
- বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান
- ‘আমেরিকান কারি এওয়ার্ডসে’ নবীন-প্রবীণের সম্মিলন
- বিএনপি নেতা সম্্রাটের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি
- শুক্রবার জ্যাকসন হাইটসবাসী জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করব
- ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা’র সমাপ্তি
- বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ
- যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে উচ্চশিক্ষায় ধ্বস
- এসাইলাম প্রার্থীরা আতঙ্কে
- বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা
- ম্যানহাটনে কনজেশন প্রাইজিং বহালের পক্ষে আদালতের রায়
- সর্বোত্তম পথ একটি নির্বাচিত সরকার গঠন
- একটি দল ছাড়া ডিসেম্বরের আগে কেউ নির্বাচন চায় না: ড. ইউনূস
- উৎসবমুখর পরিবেশে প্রাণের বইমেলার সমাপ্তি
- আমেরিকায় ঈদুল আজহা ৬ জুন শুক্রবার
- লায়ন্স ক্লাবের নির্বাচনঃ সভাপতি রাসেল ও মশিউর সাধারন সম্পাদক পদে
- ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ওয়াকার, তারেক ও ভারতের ডেটলাইন
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- যেভাবে বেহাত নগদের শতকোটি টাকা
- দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, আরোহীদের সবাই নিহত
- বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় বিস্ফোরিত হলো স্পেসএক্সের ‘স্টারশিপ’
- হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে ট্রাম্পের আদেশে স্থগিতাদ
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- আজকাল ৮৫০
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে
- বিপিএলে কানাডিয়ান মডেল নিয়োগ দিল চট্টগ্রাম কিংস
- ‘আজকাল’-৮৪৯ সংখ্যা
- এ সময়ে শিশুর রোগবালাই এবং চিকিৎসা
- আজকাল ৮৪৬ সংখ্যা
- আজকাল ৮৫৫ তম সংখ্যা

- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা