যে কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে চায় চীন
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৪
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গত বছর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হেইলংজিয়াং প্রদেশ সফরে যান। এটি চীনের রাস্টবেল্ট (যেখানকার কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে) অঞ্চলের একটি। চীনের অর্থনীতিতে এখন কী ধরনের সমস্যা জেঁকে বসেছে, এই অঞ্চল তার একটি নজির।
হেইলংজিয়াং অঞ্চলের জন্মহার চীনের মধ্যে সবচেয়ে কম; এখানকার বড় বড় শহরে বাড়ির দাম কমছে। ২০২৩ সালে এই প্রদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয়ের পর দেখা যায়, এই অঞ্চলের জিডিপি প্রবৃদ্ধি একেবারে হয়নি বললেই চলে; উল্টো গভীর মূল্যহ্রাসের কবলে পড়েছে এই অঞ্চল।
দ্য ইকোনমিস্টের সংবাদে বলা হয়েছে, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই; কারণ সি চিন পিংয়ের পরিকল্পনা আছে। গত বছর সেই সফরে গিয়ে সি চিন পিং প্রাদেশিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, তাঁরা যেন ‘নতুন উৎপাদিকা শক্তির’ বিকাশ ঘটান। এরপর এই শব্দবন্ধ বেশ কয়েকবার সংবাদপত্র ও সরকারি অনুষ্ঠানে উচ্চারিত হয়েছে। গত মাসে দেশটির রাবার স্ট্যাম্প সংসদে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াং জিয়াংকিং এই শব্দবন্ধকে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের সঙ্গে তুলনা করেছেন; অর্থাৎ ১৯৭৮ সালে যে নব চীনের সূচনা হয়, সেই সময় যে নীতির ভিত্তিতে তা হয়েছিল, তার সঙ্গে এই ‘নতুন উৎপাদিকা শক্তি’ শীর্ষক স্লোগানের তুলনা করেছেন তিনি। সংস্কার ও বাজার উন্মুক্ত করার স্লোগান চীনের জাতীয় জীবনে এখনো জ্বলজ্বলে—নতুন এই স্লোগানও দীর্ঘদিন থেকে যাবে বলে ধারণা।
এই শব্দের অর্থ কী? চীনের সরকারি কর্মকর্তারা অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে হন্যে হয়ে যাচ্ছেন। বহু বছর ধরে চীনের উৎপাদক শক্তি ছিল মূলত শ্রমিক ও পুঁজি সংগ্রহনির্ভর। ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে চীনের শ্রমশক্তি আকার বেড়েছে ১০ কোটি; অর্থাৎ এই সময়ে আরও ১০ কোটি মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করেছেন। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এশিয়া প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের তথ্যানুসারে, ২০০১ সালের পরবর্তী দুই দশকে; অর্থাৎ ২০ বছরে চীনের পুঁজির পরিমাণ জিডিপির ২৫৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩০৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০০৭-০৯ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর এই পুঁজি সংগ্রহ হয়েছে মূলত নতুন নতুন সম্পদ ও অবকাঠামো খাতে।
চীনের কর্মশক্তি যেমন কমছে, তেমনি সে দেশে সম্পত্তির চাহিদাও কমছে। আগে যত মানুষ গ্রাম থেকে শহরে যেতেন, এখন তত মানুষ যাচ্ছেন না। আবাসন খাত থেকে যে ফাটকাবাজি করে মুনাফা করা যাবে, তার নিশ্চয়তা এখন আর নেই এবং সম্ভাব্য বাড়ি ক্রেতারাও এখন আগেভাগে ফ্ল্যাট কিনতে অনাগ্রহী। কারণ, তাঁদের মনে ভয়, বিপর্যস্ত আবাসন কোম্পানিগুলো ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার আগে নিঃস্ব হয়ে যায় কি না।
আবাসন খাতের সংকট সৃষ্টি হওয়ার পর ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাস যেমন কমেছে, তেমনি জমি বিক্রি করে স্থানীয় সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাচ্ছে। কোভিডজনিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরও চীনের অর্থনীতিতে গতি আসছে না। পুনরুদ্ধার যা হচ্ছে, তা সব খাতে সমানভাবে হচ্ছে না। অন্যদিকে সরকারের ব্যয় এত বেশি নয় যে সব কর্মক্ষম মানুষের কাজ সৃষ্টি হতে পারে। এসব কারণে টানা তিন ত্রৈমাসিকে চীনের মূল্যহ্রাস হচ্ছে, যেখানে অন্যান্য দেশ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে।
নতুন প্রযুক্তির পরিচর্যা
চীন এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে পর্যায়ে আছে, এসব ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ সাধারণত সেবা খাতমুখী হয়; অর্থাৎ উৎপাদন খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে সেবা খাত নির্ভর হয়। কিন্তু চীন সরকারের হৃদয় যেন অন্য কোনো খানে লুকিয়ে আছে। মহামারির কারণে চীনের উৎপাদিত পণ্য, যেমন সার্জিক্যাল মাস্ক থেকে শুরু করে এক্সারসাইজ বাইকের চাহিদা বেড়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় দেশের ভেতরেও লিথোগ্রাফি মেশিন থেকে শুরু করে বিমানে ব্যবহারের উপযোগী স্টেইনলেস স্টিল উৎপাদনের চাহিদা নতুন করে বেড়েছে।
দেশটির ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপিতে উৎপাদন খাতের হিস্যা ধরে রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে; ২০০৬ সালে যা ছিল জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ, ২০২০ সালে যা এক-চতুর্থাংশের কিছুটা ওপরে।
চীন অনেক দিন ধরেই উৎপাদন খাতে পরিশীলন আনার চেষ্টা করছে, সে জন্য তারা যথাযথ নীতি প্রণয়নেরও চেষ্টা করেছে। সম্প্রতি তারা সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলে নতুন একাডেমিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। শিল্পনীতিতে দেশটি যত ব্যয় করে, যেমন ভর্তুকি ও করছাড়, তা যুক্তরাষ্ট্রও করে না। নতুন প্রযুক্তির পরিচর্যা ও পুরোনো শিল্প খাতের আধুনিকায়ন করে চীন পরবর্তী শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে চায়; অর্থাৎ সেবা খাত নির্ভর না হয়ে চীন এখনো উৎপাদন খাতের ওপর ভর করে এগোতে চাইছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ‘নতুন উৎপাদিকা শক্তি’ স্লোগান দিয়ে চীন মার্ক্সবাদী ও নব্য ধ্রুপদি অর্থনীতির তত্ত্বের মিশেল ঘটিয়েছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে চীন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাইছে—প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছে দেশটি।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মনে করেন, উৎপাদন খাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগের মধ্য দিয়ে নতুন এই উৎপাদিকা শক্তির বিকাশ ঘটবে। এই কথার মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, প্রযুক্তি খাতে চীনের উচ্চাভিলাষ আগের চেয়ে বেড়েছে এবং অর্থনীতির সঙ্গে তা আরও ভালোভাবে সমন্বিত হচ্ছে। চীনের নেতারা প্রযুক্তি খাতে আত্মনির্ভরশীলতা বাড়াতে পুরো জাতিকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার অঙ্গীকার করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই গত মার্চ মাসে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার যে বাজেট দিয়েছে, সেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হাতে বরাদ্দ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। অন্য কোনো খাতে বরাদ্দ এতটা বাড়েনি।
শিল্প খাতের আধুনিকায়ন ও নতুন উৎপাদিকা শক্তির বিকাশ—এই দুই মন্ত্রে ভর করে এগোতে চায় চীন; অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি হতে চায় এই কৌশলে। তৃতীয় অগ্রাধিকার হচ্ছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি, মূল্যহ্রাসের প্রবণতা ঘুরিয়ে দিতে এটি জরুরি। দ্য ইকোনমিস্টের সংবাদে বলা হয়েছে, চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে প্রথমে অর্থনীতিকে আবারও মূল্যস্ফীতির ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
- যুক্তরাষ্ট্রে নার্সিং হোমে বিস্ফোরণ, নিহত ২
- ওজন কমানোর ওষুধ ‘ওয়েগোভি’কে অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
- ওয়াশিংটনের ‘ভারত প্রথম’ যুগের সমাপ্তি
- যে কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী হারাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন অর্থনীতি
- ভারতের অরুণাচল প্রদেশ চায় চীন
- পাঁচ ইউরোপীয় নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
- বৃহস্পতিবার চলাচলে ঢাকাবাসীকে মানতে হবে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
- মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে প্রাণ গেল পথচারীর
- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ
- দেশের পথে তারেক রহমান
- টেকনাফে আরও ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
- আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে বিএনপি-জামায়াতের ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে
- ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সরকার কাজ করছে’
- আলোচনা থাকলেও আপাতত উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে না
- হাইকমিশনের নিরাপত্তায় দিল্লির আশ্বাসের বাস্তবায়ন চায় ঢাকা
- জমিয়তকে ৪ আসনে ছাড়ের ঘোষণা বিএনপির
- যুক্তরাষ্ট্র উপকূলে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫
- মাদুরোকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, ভেনেজুয়েলাকে সমর্থন চীন-রাশিয়ার
- জি এম কাদেরের জাপা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না
- বেগম জিয়াকে নিয়ে জাইমা রহমানের আবেগঘন স্ট্যাটাস
- ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
- খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় যুবশক্তির নেত্রী আটক
- পরিচিতরাই গুলি করেন এনসিপি নেতা মোতালেবকে, পুলিশের ধারণা
- নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে: মার্কিন বিশেষ দূতকে প্রধান উপদেষ্টা
- বিচার বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে এপস্টেইনের ১৬ ফাইল রাতারাতি উধাও
- পিডি মাসউদুরের নোটে তিন হাজার কোটি টাকা ‘হরিলুট’
- যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে
- নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সরকারের সঙ্গে দলেরও ব্যাপক প্রস্তুতি
- ফিলিস্তিনিসহ ৮ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- আজকের আজকাল ৮৭৩
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- ২০২৬ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল
- অবৈধদের সন্তানরা নাগরিকত্ব পাবে না
- আমি আমার ৩টি টার্গেট ঠিক করে নিয়েছে : এসপি হারুন
- নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের পাশে নেই বিএনপি
- নতুন ইমিগ্র্যান্ট ঠেকাতে সিনেটে বিল পাস
- রোববার থেকে স্টুডেন্ট লোন মওকুফ কার্যক্রম শুরু
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রাতভর ফ্লাইট উড্ডয়ন বন্ধ
- যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা তালিকায় ১১ বাংলাদেশির নাম
- ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত গ্যাস
- ডিপোর্টেশন আতংকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
- ট্রাম্প-বাইডেন দু’জনই বুড়ো, কাউকে পছন্দ না ভোটারদের
- নাগরিকত্ব পেতে ইন্টারভিউ দিতে হবে না
- কাল ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিন
- ইংরেজিতে দুর্বলদের জন্য দুঃসংবাদ
নাগরিকত্ব পরীক্ষায় পরিবর্তন আসছে - অনিশ্চয়তার মুখে ২ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
- যুক্তরাষ্ট্রে ২৫২ বাড়ি আমলা-পুলিশের
