সোমবার   ০২ জুন ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ১৯ ১৪৩২   ০৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

সর্বশেষ:
মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৩০

ভালো নেই দেশের মানুষ

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৫  

♦ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ♦ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে সাধারণ মানুষ ♦ বিনিয়োগকারী ভীত ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে ♦ গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে ঘুরছে না শিল্পের চাকা ♦ আইনশৃঙ্খলার অবনতি, চলছে মব ভায়োলেন্স ♦ উচ্চ সুদের হার, ব্যাংকে টাকা সংকট

ভালো নেই দেশের মানুষ। শহর থেকে গ্রামে কোথাও স্বস্তি নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে মধ্যবিত্ত। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ফলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধ বেড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ। একের পর এক আন্দোলনে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। রাস্তা থেকে আন্দোলন ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় অবধি।

ভালো নেই ছোট ও বড় ব্যবসায়ীরাও। গ্যাস বিদ্যুৎ সংকটে ঘুরছে না শিল্প-কারখানার চাকা। ব্যবসায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। বাড়ছে বেকারত্ব। হঠাৎ চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। অভ্যন্তরীণ সংকটের পাশাপাশি একের পর এক বহিমুখী সংকট ধেয়ে আসছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ট্রানশিপমেন্ট বন্ধের পর স্থলপথে রপ্তানি সুবিধা স্থগিত করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র চাপিয়ে দিয়েছে ট্যারিফ। সুদের হার বেশি থাকায় ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিতে পারছে না শিল্পোদ্যোক্তারা। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। নজিরবিহীনভাবে মিথ্যা হত্যা মামলার আসামি করা হচ্ছে অনেককে। মব-ভায়োলেন্সে ও ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। অনেক ব্যবসায়ীকে চাঁদার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। চাঁদা না দিলে অফিস-আদালত এমনকি বাসাবাড়িতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এমন কি রাষ্ট্রীয়ভাবেও হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক শিল্পোদ্যোক্তা। বড় ব্যবসায়ী যারা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে রাখা হচ্ছে; হয়রানিমূলক অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকে তলব করা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে এক ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন কোনো খাত নেই, যে খাতের জন্য সরকার ন্যূনতম প্রশংসার দাবিদার হতে পারে।

বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এক অনুষ্ঠানে বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একদম আইসিইউতে আছে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ। যদি বিনিয়োগ আইসিইউতে থাকে, তাহলে যে বিনিয়োগকারী, সে তো বিনিয়োগ ফেরত নিতে পারছে না।

সব জায়গায় এখনো বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আয়ের বৈষম্য, সামাজিক বৈষম্য, সম্পদের বৈষম্য, রাজনৈতিক বৈষম্য- সবই বাংলাদেশে দিন দিন বেশি হচ্ছে। সরকারের কার্যক্রম বাংলাদেশে প্রতিনিয়তই প্রতিটি ক্ষেত্রে একটা বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছু বিষয়ে এখনো আস্থাহীনতা আছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মধ্যেও অনিশ্চয়তা রয়েছে। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি অনেকটা সহনীয় থাকলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা রয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এখনো মানুষ নির্বাচন নিয়ে যতটা ভাবছে, একই সঙ্গে নিজেদের নিরাপত্তা আর নিশ্চয়তা নিয়েও তার চেয়ে বেশি ভাবছে।

বিজিএমএইর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকারখানায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। শিল্পের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস, বিদ্যুৎ- সেটি নিশ্চিত করতে পারছে না সরকার। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেশি। শিল্পের জন্য কোথাও কোনো সুখবর নেই। অনেক শিল্পকারখানার মালিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে পারবেন কি না বুঝতে পারছেন না। এই অবস্থায় দেশীয় শিল্পে সুরক্ষা না দিয়ে বিদেশি শিল্পকে নানা প্রণোদনা দিয়ে ডেকে আনছে সরকার। দেশের শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেলে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমই) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, পুরো শিল্পখাত এখন আইসিইউতে আছে। সঠিক চিকিৎসা ছাড়া এগুলো টিকবে না। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা নেই। এতে করে বিনিয়োগকারীরা ভীত, ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে আছেন। স্বাস্থ্যসেবাতেও চরম অরাজকতা বিরাজ করছে। ভালো নেই জুলাই আন্দোলনের আহতরাও। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। এমন কি আহতদের কেউ কেউ আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন। ভালো নেই দেশের ব্যাংক-বীমার মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও। অনেক ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে দিনের পর দিন। ঋণ কার্যক্রম দূরের কথা আমানতকারীদের আমানত দিতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। মজুরির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হওয়ায় মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উন্নয়ন অধ্যয়নের শিক্ষক রাশেদ আল তিতুমীর এক অনুষ্ঠানে বলেন, প্রকৃত মজুরি কমছে, মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। নতুন করে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে দিকনির্দেশনা নেই। রাজস্ব আহরণে ব্যর্থতা এবং সংস্কারের অভাবে দেশের অর্থনীতি অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে।

নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের আবাসন খাতেও। নানা অনিশ্চয়তার কারণে নতুন ফ্ল্যাট কেনা বা বাসাবাড়ি করার হার কমে গেছে। আবাসন শিল্পে দেখা দিয়েছে চরম মন্দা। এডিপি কার্যক্রমের পাশাপাশি বড় প্রকল্প বন্ধ থাকায় কমে গেছে রড-সিমেন্টের চাহিদাও। এ অবস্থা চলতে থাকলে চরম সংকটে পড়বে এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও জেসিএক্স গ্রুপের কর্ণধার ইকবাল হোসেন চৌধুরী (জুয়েল) বলেন, দেশের এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের অনিশ্চয়তা রয়েছে। মানুষের ভিতরে ভয় ও আতঙ্ক কাজ করছে। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কেনাবেচা ও মার্কেটে টাকার প্রবাহ ভীতিকর অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় আরও কিছু মাস চললে ব্যবসাবাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়বে। দেশের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য উপদেষ্টা পরিষদ এবং সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সমন্বিত জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অর্থপ্রবাহ নিশ্চিত করে একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। অন্যথায় আমাদের তিল তিল করে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বোনাস দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা হারিয়ে যাবে। বাড়বে বোকারত্ব। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে চাপে আছে সাধারণ মানুষ। এই চাপ আরও বেড়েছে নানা ধরনের অনিশ্চয়তায়। দেশের রাজনীতি থেকে শুরু করে শিল্প-বাণিজ্য কোথাও সুখবর নেই। আউটসোর্সিংয়ের নামে হাজার হাজার শ্রমিকের চাকরি অনিশ্চয়তায় পড়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশন সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, গত কয়েক মাসে অনেক গার্মেন্ট বন্ধ হয়েছে। ১ লাখের বেশি বেকার শ্রমিক এখন অসহায় অবস্থায় আছে। সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারছে না। মালিকরা শ্রমিকের বেতন ঠিকমতো দিতে পারছে না। সামনে ঈদ। শ্রমিকরা মে মাসের বেতন পাচ্ছে না। তারা বেতন পাবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর