বিএনপি’র রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে তোলপাড় ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক
মাসুদ করিম, ঢাকা থেকে -
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৪
বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেয়ায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র রিজভী আহমেদ সম্প্রতি একটি সমাবেশে নিজের গায়ে থাকা ভারতীয় চাদর মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়ে পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান। তার পরপরই ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জরুরী ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের আলোচনায় ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্যে বিএনপি’র আহ্বানের বিষয়টি গুরুত্ব লাভ করেছে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় কাজে বিএনপি’র এক সমাবেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নেতারা তাদের বউদেরকে ভারতীয় শাড়ি পরা বন্ধ করুক। তারা ভারতীয় পেঁয়াজ, রসুন, আদা খাওয়া বন্ধ করুক। তারপর ভারতীয় পণ্য বর্জন করার কথা বলুক’।
বিএনপি গত নির্বাচনসহ কয়েকটি নির্বাচনে ক্ষমতায় না যাওয়ার জন্যে ভারতকে দায়ী করে থাকে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো বারবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলো। কিন্তু ভারত ওই সময়ে ঘোষণা করে যে, তারা বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে। নির্বাচনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবার আগে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। বিএনপি’র কোনও কোনও নেতা মনে করেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে দলের কোনও সম্মতি নেই। এই ঘোষণা রিজভী আহমেদের নিজের ব্যক্তিগত ঘোষণা। দলের সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু এতবড় একটা ঘোষণা ব্যক্তিগতভাবে দেবার পর বিএনপি তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না এটা অবিশ^াস্য। শুধু বিএনপি নয়, সমমনা দলগুলোও একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে।
সরকারের তরফে বলা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করতে একটি চক্রান্তের অংশ হলো এই ভারতীয় পণ বর্জন। তবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক যারা দিয়েছেন তারা মনে করেন, ভারতের ওপর এটা একটা চাপের সৃষ্টি হবে। এতে করে ভারত তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারে। তবে বিএনপি’র কোনও কোনও নেতারা মনে করেন, এটা হিতে বিপরীত হতে পারে। কেউ কেউ মনে করেন, বিএনপি’র অভ্যন্তরে থাকা কট্টর পাকিস্তানপন্থী অংশের পরামর্শের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।
ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিপণী বিতানে ভারতীয় পণ্যে সয়লাব। হাল ফ্যাশনের সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, লেহেঙ্গাসহ হরেক রকমের সামগ্রী বিক্রিও হচ্ছে। ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় ভারতীয় পণ্যের এতটাই কদর। এছাড়াও, ভারতের পেঁয়াজ, আদা এমনকি শাকসব্জি পর্যন্ত হরদম বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্যের বাজার বিস্তৃত। চার হাজার কিলোমিটারের বেশি স্থল সীমান্ত এবং নৌ ও আকাশ পথে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ নিবিড়। প্রতিবেশি হওয়ায় পরিবহন খরচ কম। ফলে দামেও সস্তা। এসব কারণে সাধারণত বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভারত বিরোধী মনোভাব থাকলেও ভারতীয় পণ্য ব্যবহারে কোনও বাছ-বিচার নেই। নানা কারণে ভারতকে যারা ঘৃণা করে, তারাও ভারতীয় পণ্য নিয়ে থাকে। ফলে রিজভীর ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক হালে পানি পায়নি।
বিএনপি’র রাজনীতিতে ভারত বিরোধিতা নতুন নয়। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভারতবিরোধী বক্তৃতা দিয়ে গোটা নব্বই দশকে উত্তাপ ছড়িয়ে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সই হলে খালেদা জিয়া চুক্তির বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি এই চুক্তির বিরুদ্ধে ঢাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত লং মার্চ করেন। ওই সময়ে খালেদা জিয়া বলেছেন, শান্তি চুক্তির কারণে বাংলাদেশের এক-দশমাংস ভূমি ভারতে চলে যাবে। চুক্তির মাধ্যমে ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি করে দিয়েছে। ইত্যাদি নানা ধরনের চুক্তি বিরোধী মন্তব্য তখন জমে ছিল।
বিএনপি’র ভারত বিরোধিতার সবচেয়ে বড় দৃশ্যমান ঘটনা ছিল ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফরকালে হরতাল দেয়া। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধ উপেক্ষা করে ওই হরতাল ডাকা হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে। এসব অস্ত্র ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাছে যাচ্ছিল বলে খবর বের হয়েছিল। এ ধরনের নানা কারণে ভারতের সঙ্গে বিএনপি’র দূরত্ব সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনা তার উল্টোটা করেন। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা দমনের ব্যাপারে ভারতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। এতে করে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়। ফলে ভারতের যে কোনও সরকারই শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে থাকে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সহায়তা করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সমর্থন করলেও কিছু কিছু ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধ লেগেই আছে। তার অন্যতম হলো, সীমান্তে হত্যাকান্ড এবং তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা না দেওয়া। এসব কারণে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারত বিরোধী মনোভাব ক্রমেই বাড়তে থাকে। এসত্ত্বেও বাংলাদেশে ভারতের পণ্যের চাহিদা রয়েছে। শুধু পণ্যই নয়; প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ পর্যটন, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি কাজে ভারত সফর করেন। প্রতি বছর ভারত প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশীকে ভিসা দিয়ে থাকে। তবে ভারতীয় ভিসা পেতে হয়রানি কিংবা নানা অজুহাতে ভিসা প্রত্যাখ্যান করার কারণেও মানুষের মধ্যে ভারত বিরোধিতার জন্ম হয়। এছাড়াও, ভারতের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ‘বড়ভাই’ সুলভ আচরণ ভারত বিরোধী মনোভাবের সৃষ্টি করেছে। ভারতে সংখ্যালঘূ মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়নও বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে নাগরিকত্ব আইনসহ বিজেপি সরকারের কিছু কিছু বৈষম্যমূলক আইন বাংলাদেশে প্রভাব ফেলেছে। এসব কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে ব্যাপক সহিংস ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল।
- সরকার সচল হলেও কাটেনি অ্যামেরিকার অর্থনীতির কুয়াশা
- ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
- বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মামলা করব: ট্রাম্প
- ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু
- বিএনপি কোনো মেগা প্রজেক্টের দিকে যাবে না: আমির খসরু
- অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থন পেয়ে আপ্লুত তারেক রহমান
- রাজধানীর ৩ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন
- বরিশালে দফায় দফায় সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর
- উৎসব গ্রুপের ২০ বছরপূর্তি
- ‘আসো’র দশ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা
- বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী ইউএসএ ইনকের কমিটি গঠন
- কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটি’র সভাপতি তোফায়েল ও সম্পাদক ফারুকুল
- কমিউনিটির ‘আনসাং হিরো’ টিপু সুলতান
- সভাপতি মনোয়ার ও সাধারন সম্পাদক মমিন
- প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ২ হাজার ডলার
- এনওয়াইপিডি-কমিউনিটি মতবিনিময়
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে ‘আজকাল’কে যা জানালেন
- আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
- আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের কিছুই আমরা জানি না: সিইসি
- এশিয়ান হেরিটেজ বিজনেস লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাহ নেওয়াজ
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চায় সরকারপক্ষ
- ভাষণ ঘিরে বিএনপি জামায়াত পক্ষে-বিপক্ষে
- নির্বাচনের দিনই ‘গণভোট’
- আজকাল ৮৯৬
- ভারতীয় কূটনীতিককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব, হাসিনার কথা বলা বন্ধ
- ইভ্যালির রাসেল-নাসরিনের ৫ বছর কারাদণ্ড
- ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণ: দুই ছাত্রীসহ আহত ৩
- বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
- প্রত্যেক মার্কিন নাগরিককে যেভাবে দেওয়া হবে ২ হাজার ডলার
- জুলিয়ানিসহ ৭০ সহযোগীকে ক্ষমা ট্রাম্পের
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- এসাইলাম আবেদন ফি হাজার ডলার!
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
