শুক্রবার   ১৭ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ১ ১৪৩২   ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
১০

উচ্চ মাধ্যমিকে ফল বিপর্যয়: মেধার মূল্যায়ন নাকি পড়াশোনায় ঘাটতি?

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৫  

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার গত ২১ বছরের মধ্যে নিম্ন পাসের হার। পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা তলানিতে নেমেছে।

 

গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।

 

শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইংরেজি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, উচ্চতর গণিতে শিক্ষার্থীরা খারাপ করেছে। ফলে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমে গেছে।

 

আর ফলাফল খারাপ করার কারণ অনুসন্ধানে তারা বলছেন, প্রশ্নপত্র কিছুটা কঠিন হলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ঘাটতি পড়েছে। তারা হয়তো মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেনি।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর বকশি বাজারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল প্রকাশ করেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।

 

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। এইচএসসিতে পাসের হার ৫৭.১২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৩ হাজার ২১৯ জন। আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫.৬১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬৮ জন। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৬২.৬৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬১০ জন।

 

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫৯.৪০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৪৮.৮৬ শতাংশ, যশোরে ৫০.২০ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৫২.৫৭ শতাংশ, বরিশালে ৬২.৫৭ শতাংশ, সিলেটে ৫১.৮৬ শতাংশ, দিনাজপুরে ৫৭.৪৯ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৫১.৫৪ শতাংশ। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৫.৬১ শতাংশ এবং কারিগরিতে পাসের হার ৬২.৯৭ শতাংশ।

 

ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৩ জন, রাজশাহীতে ১০ হাজার ১৩৭ জন, কুমিল্লায় ২ হাজার ৭০৭ জন, যশোরে ৫ হাজার ৯৯৫ জন, চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৯৭ জন, বরিশালে ১ হাজার ৬৭৪ জন, সিলেটে ১ হাজার ৬০২ জন, দিনাজপুরে ৬ হাজার ২৬০ জন, ময়মনসিংহে ২ হাজার ৬৮৪ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৮ জন এবং কারিগরিতে ১ হাজার ৬১০ জনসহ মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন।

 

 

ওভার মার্কিং করা হয়নি

 

শিক্ষা উপদেষ্টা এবং বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার উত্তরপত্র মূল্যায়নে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি। তেমনি কেউ যাতে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়েও পরীক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

 

সংবাদ সম্মেলনে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, বেশি নম্বর দিয়ে পাসের হার বাড়ানোর কোনো নির্দেশনা সরকার, মন্ত্রণালয় বা বোর্ড থেকে উত্তরপত্র মূল্যায়নকারীদের দেওয়া হয়নি। উত্তরপত্র মূল্যায়নের যে নিয়ম আছে, আমরা পরীক্ষকদের সেগুলো স্মরণ করিয়ে দিয়েছি যে, আপনারা জানেন কীভাবে খাতা দেখতে হয়। দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, সেই অভিজ্ঞতায় যদি কোনো বদঅভ্যাস থাকে যে, সামান্য লিখলে ভুল হলেও ১-২ নম্বর দেওয়া, সেগুলো দেওয়ার দরকার নেই।

 

তিনি আরও বলেন, এতে তারাও আমাদের সাথে একমত হয়েছেন। তারাও বেশ খুশি। তারা বলেছেন, তারা একটা ভালো খাতা মূল্যায়নের সুযোগ পেয়েছেন।

 

কয়েকটি বোর্ডে প্রশ্ন কঠিন হয়েছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি বলেন, প্রশ্ন আগেই প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রত্যেক বোর্ড প্রশ্ন করে। পরে তা আন্তঃবোর্ডে আসে এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে কোন বোর্ডের প্রশ্নে কোন বোর্ডে পরীক্ষা হবে, তা নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ, দেখা গেল, ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন প্রণয়ন করেছে রাজশাহী বোর্ড। প্রশ্ন কঠিন করার কোনো নির্দেশনা ছিল না।

 

তিনি বলেন, পাসের হার কম, এটি হলো বাস্তবতা। এটি আমাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে, আমরা এটি ফ্যাব্রিকেটেড করিনি, এটার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।

 

দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, আমি সকল শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি— যেন ভবিষ্যৎ পরীক্ষায়, বিশেষ করে এইচএসসি মূল্যায়নে, সীমান্তরেখায় থাকা শিক্ষার্থীদের প্রতি সর্বোচ্চ ন্যায্যতা বজায় রাখা হয়, কিন্তু একই সঙ্গে যেন ফলাফলের বাস্তবতা বিকৃত না হয়। আমরা ‘অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে সন্তুষ্টি’ নয়, বরং ‘ন্যায্য নম্বর দিয়ে সততা’কে বেছে নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত সহজ নয়, কিন্তু প্রয়োজনীয়। কারণ আজ যদি আমরা সাহস করে বাস্তবতা স্বীকার না করি তাহলে মেধাবীদের প্রতি এবং আগামী প্রজন্মের প্রতি আমরা অন্যায় করব।

 

 

ভেন্যু কেন্দ্র বাতিলে ফল বিপর্যয় কুমিল্লায়

 

ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এবং পিছিয়ে কুমিল্লা বোর্ড। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, আমাদের ১৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬২টি ভেন্যু কেন্দ্র। সেই ভেন্যু কেন্দ্রগুলো তুলে দিয়েছি। কোনো পরীক্ষার্থী নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিতে পারেনি। ফলাফলে এর একটা প্রভাব পড়েছে। ভেন্যু কেন্দ্র হলো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিলে একটি কেন্দ্র, যেখানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়।

 

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নে জন্য শিক্ষকদের বলেছি, যে নম্বর প্রাপ্য সেই নম্বর দেবেন। কম বা বেশি যেন না পায়। এসব প্রভাব পড়েছে। এই বোর্ডেও ইংরেজি পাসের হার কম বলে জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।

 

ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল ফলাফলে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রুনা নাসরীন। তিনি বলেন, ১৬২টি ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল করার শিক্ষার্থীরা বাড়তি সুযোগ পায়নি। ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীরাও নিজ কেন্দ্রে পরীক্ষা পারেনি।

 

তিনি বলেন, ভিজিলেন্স টিম কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার পুরো সময়টা ছিল। বোর্ড থেকে কেউ গেলে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বিষয় কাজ করে যে, অসুদপায় অবলম্বন করা যাবে না। উত্তরপত্র মূল্যায়নে বলেছি, বাড়তি নম্বর সংযোজনের কিছু নেই। কেউ বঞ্চিত হবে না, ওভার নাম্বারিংও হবে না, এভাবে বলেছি।

 

ইংরেজি, আইসিটি এবং উচ্চতর গণিতে খারাপ ফল করেছে। ফলাফল খারাপ হলেও এই বিষয়টাকে অনেকে পজেটিভলি নিয়েছে জানিয়ে রুনা নাসরীন বলেন, এভাবে প্রকৃত মেধাবীরা বের হয়ে আসতে পারবে।

 

বোর্ডের খারাপ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে বসে তাদের সমস্যাগুলো শুনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান বোর্ড চেয়ারম্যান এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

 

 

পড়াশোনায় ঘাটতি

 

দিনাজপুর বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে বেশি খারাপ করেছে। যারা খারাপ করেছে তাদের বেশির ভাগই ইংরেজিতে খারাপ করেছে। যারা ভালো করেছে তারা অনেক বেশি ভালো করেছে।

 

এ ছাড়া, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ঢিলেমি করেছে কি না, এটাও দেখার বিষয়। যেসব প্রতিষ্ঠান খারাপ করেছে তাদের নিয়ে আমরা বসে মোটিভেশন দেব বলে জানান দিনাজপুর বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম।

 

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ঘাটতি আছে বলে মনে করেন ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের ফলাফল খুব ভালো হয়নি। তবে খারাপ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে ভালো কিছু করতে হবে।

 

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আমার মনে হয়েছে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ দিয়ে পড়েনি। এ ছাড়া, এই বোর্ডে হাওর ও চরাঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোতে কিছু ঘাটতি আছে। বিষয়ভিত্তিক ইংরেজি ও হিসাব বিজ্ঞানে খারাপ ফল করেছে। যারা খারাপ করেছে তাদের নিয়ে শিগগিরই বসব।

 

এইচএসসি পরীক্ষায় ভয়াবহ ফল বিপর্যয়ে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষাকারী অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০ বছরের ইতিহাসে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এটা খুবই খারাপ ফল। শিক্ষার মান তলানিতে। বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষকরা ঠিক মতো ক্লাস নেন না। সরকারি কলেজেও চলছে স্বেচ্ছাচারিতা। কোথাও সেভাবে পড়াশোনা হয় না। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী কোচিং নির্ভর, কোচিংয়েও পড়াশোনা হয় না। শহরের চেয়ে গ্রামের স্কুল-কলেজের ফলাফল বেশি খারাপ।

 

তিনি আরও বলেন, ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ফেল করা কাঙ্ক্ষিত নয়। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল কেন হচ্ছে না, তা খুঁজে বের করে ইতিবাচক চিন্তা করা প্রয়োজন।

 

বিবৃতিতে জিয়াউল কবির দুলু উল্লেখ করেন, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বেশি নম্বর এ বছর দেওয়া হয়নি, গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়নি এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় ও তদবিরে অযোগ্য ব্যক্তিদের শিক্ষা প্রশাসনে পদায়ন করায় বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ না নিতে পারায় পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। সূত্র: বাংলা নিউজ

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর