অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে ‘প্রাচীন খুনি’
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৫

উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াটি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে।
বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ল্যানসেট মাইক্রোবসে প্রকাশিত হয়েছে এ-বিষয়ক একটি গবেষণা। ২০২২ সালে পরিচালিত এই গবেষণায় নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের টাইফয়েড রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার (৩ হাজার ৪৮৯) ব্যাকটেরিয়ার জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এক্সটেনসিভলি ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টাইফয়েড বাড়ছে। সোজা কথায়, বর্তমান অ্যান্টিবায়োটিক আর টাইফয়েডের ব্যাকটেরিয়া ঠেকাতে পারছে না।
সালমোনেলা টাইফির—যার পুরো নাম সালমোনেলা এন্টারিকা সারভোরা টাইফির—নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে টাইফয়েড হয়। অ্যান্টিবায়োটিকই এই রোগের একমাত্র কার্যকর চিকিৎসা। কিন্তু গত তিন দশকে এই ব্যাকটেরিয়ার মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বেড়েছে। এটি বিশ্বজুড়ে ছড়াচ্ছে।
এক্সটেনসিভলি ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টাইফয়েড কেবল প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন—অ্যামপিসিলিন, ক্লোরামফেনিকল এবং ট্রাইমেথোপ্রিম/সালফামেথোক্সাজোল) প্রতিরোধীই নয়, এটি ফ্লুরোকুইনোলন এবং থার্ড-জেনারেশন সেফালোস্পোরিনের মতো নতুন অ্যান্টিবায়োটিকও এর বিরুদ্ধেও কার্যকর নয়।
আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, এই প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়াগুলো দ্রুতই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। বেশির ভাগ এক্সটেনসিভলি ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টাইফয়েডে উৎপত্তি দক্ষিণ এশিয়ায়। তবে ১৯৯০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০টি আন্তর্জাতিক সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ব্যাকটেরিয়া প্রধানত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো দেশেও টাইফয়েডের এই সুপারবাগ পাওয়া গেছে।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ জেসন অ্যান্ড্রুস বলেন, ‘সালমোনেলা টাইফির এই অতি প্রতিরোধী স্ট্রেন বা প্রকরণগুলো খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। এটা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরোধব্যবস্থা বাড়াতে হবে।’
বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে ওষুধ প্রতিরোধী টাইফয়েড সম্পর্কে সতর্ক করে আসছেন। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে প্রথম এক্সটেনসিভলি ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টাইফয়েড প্রকরণ শনাক্ত হয়। ২০১৯ সালের মধ্যে এটি সে দেশের প্রধান ধরন বা জিনোটাইপে পরিণত হয়।
অতীতে কুইনোলন, সেফালোস্পোরিন ও ম্যাক্রোলাইডের মতো অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এক্সটেনসিভলি ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টাইফয়েডের চিকিৎসা করা হতো। কিন্তু ২০০০-এর দশকের শুরুতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও সিঙ্গাপুরে এই ব্যাকটেরিয়ার কুইনোলন প্রতিরোধের হার খুব বেশি হয়ে যায়। একই সময়ে সেফালোস্পোরিন প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ছিল এই প্রকরণের মধ্যে।
বর্তমানে মুখে খাওয়ার উপযোগী কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে শুধু ম্যাক্রোলাইড গ্রুপের অ্যাজিথ্রোমাইসিনই বাকি আছে। কিন্তু এটিও হয়তো বেশি দিন কাজ করবে না। ২০২২ সালের গবেষণা বলছে, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে ওঠার মতো পরিবর্তন এখন ছড়াচ্ছে। এটি মুখে খাওয়ার সব অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। এই পরিবর্তনগুলো এখনো এক্সটেনসিভলি ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টাইফয়েড সালমোনেলা টাইফিতে দেখা যায়নি। কিন্তু যদি তা হয়, তবে আমরা ভয়াবহ বিপদে পড়ব।
চিকিৎসা না করা হলে টাইফয়েড ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হতে পারে। বর্তমানে বছরে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন দিয়ে ভবিষ্যতের প্রাদুর্ভাব কিছুটা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। তবে বিশ্বব্যাপী এই ভ্যাকসিন সহজলভ্য না হলে আরেকটি স্বাস্থ্যসংকট দেখা দিতে পারে।
গবেষণাপত্রের লেখকেরা বলছেন, এক্সটেনসিভলি ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রতিরোধী সালমোনেলা টাইফির দ্রুত বিস্তার প্রতিরোধ জরুরি। টাইফয়েডপ্রবণ দেশগুলোতে দ্রুত ভ্যাকসিন ব্যবহারের মতো প্রতিরোধব্যবস্থা বাড়াতে হবে।
ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার বেশি এমন দেশগুলোতেই শুধু নয়, এটি বিশ্বজুড়ে ছড়ানোর প্রবণতা থাকায় সর্বত্রই প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদার করা উচিত। দক্ষিণ এশিয়া টাইফয়েডের প্রধান কেন্দ্র। বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী এখানেই। তবে কোভিড-১৯ আমাদের শিখিয়েছে, আধুনিক পৃথিবীতে রোগ খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশগুলোকে অবশ্যই টাইফয়েড ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা বাড়াতে হবে; পাশাপাশি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে। ভারতের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, শহরাঞ্চলে শিশুদের টিকা দিলে টাইফয়েড সংক্রমণ এবং মৃত্যু ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ তৈরি করেছে। তারাই বিশ্বে প্রথম টাইফয়েডের জন্য নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি চালু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও অনেক দেশের উচিত তাদের অনুসরণ করা। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ এখন বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এটি এইচআইভি/এইডস বা ম্যালেরিয়ার চেয়ে বেশি প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। যেখানে ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, সেখানে এটিই ভবিষ্যৎ বিপর্যয় প্রতিরোধের অন্যতম সেরা হাতিয়ার। সময় নষ্ট করার মতো পরিস্থিতি এখন নেই।

- ঐতিহ্যের ধারায় বাফা’র বর্ষবরণ
- নিউইয়র্কে ইসলামিক কনভেনশন ২৮-২৯ জুন
- পাক-ভারত সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান
- রাখাইনে মানবিক করিডর সংঘাতে জড়াতে পারে বাংলাদেশ
- সিটিতে ৬ হাজার আবাসন ইউনিটের পরিকল্পনা
- ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বরখাস্ত
- ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বরখাস্ত
- রোববার দেশে ফিরতে পারেন খালেদা
- নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ও বাঙালির জয়গান
- মাকসুদ চৌধুরী গ্রেফতার ও জামিনে মুক্তি লাভ
- এসাইলাম আবেদন ফি হাজার ডলার!
- গভর্নর হোকুলের ২৫৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেট
- ট্রাভেল ব্যবসায় খরা দেশে যেতে ভয়
- মেয়র প্রার্থী মামদানির সমর্থন বাড়ছে
- লাগোর্ডিয়া কলেজের ১৭ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারি সংকট তীব্র
- ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে পরিচয় পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক হচ্ছে
- জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কি ঠিক পথে হাঁটছে?
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
- ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন মোদি
- বাংলাদেশের সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো কী
- খালেদা জিয়াকে আনতে প্রস্তুত হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
- এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
- ট্রাম্প বললেন, এবার আমি বিশ্ব চালাচ্ছি, পরিণতি কী
- ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন : পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- ৩৯৮ হজযাত্রী নিয়ে সৌদির পথে প্রথম ফ্লাইট
- বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অচল স্পেন, পর্তুগাল ও ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাং
- চাল নিয়ে প্রতারণা
- এবার সারাদেশের সব পলিটেকনিকে টানা শাটডাউন ঘোষণা
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- নাসার রিসাইকেল চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে দেড় কোটি ডলার জেতার সুযোগ
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- ‘আজকাল’ - ৮৪০সংখ্যা
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- আজকাল ৮৫০
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে

- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা