বুধবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৩০২

বৈষম্যের শিকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা

প্রকাশিত: ৩ মে ২০২৩  

দেশে সাধারণ শিক্ষায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার সুযোগ আছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি প্রতিষ্ঠানে। যেগুলো সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কোনো বেতন-ভাতা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা এখানে পাঠ গ্রহণের সুযোগ পায়। আর শিক্ষকরা সরকারি ১১ ও ১৩ গ্রেড অনুযায়ী প্রতি মাসে বেতন, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ সব ধরনের সুবিধা পান।

অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষায় একই শ্রেণিতে পড়ার সুযোগ আছে এমন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সংখ্যা ৮ হাজার ৯৭২টি। প্রতিটি মাদ্রাসায় পাঁচ জন হিসাবে শিক্ষক আছেন ৪৪ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষক নামকাওয়াস্তে অনুদান পান। আর বাকি ৪০ হাজার শিক্ষক বছরের পর বছর বিনা বেতনে পাঠদানে নিয়োজিত আছেন।

৩৯ বছর ধরে সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার এই বৈষম্য চলছে। সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে শিক্ষা প্রশাসনের উদাসীনতায় এভাবে অমানবিকভাবে রয়েছেন এই স্তরের শিক্ষকরা। তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন সময়ে মাঠে নামলেও কোনো লাভ হয়নি। শিক্ষকরা বলছেন, মূলত মাদ্রাসা শিক্ষার প্রাথমিক স্তর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় না নেওয়ার কারণেই বিপাকে পড়ছে। সাধারণ শিক্ষার প্রাথমিক স্তর যখন রেজিস্ট্রেশন হয়, তখন ইবতেদায়ি মাদ্রাসাও রেজিস্ট্রেশন হয়। ২০০৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্বতন্ত্র হিসাবে যাত্রা করলেও তারা মাদ্রাসার এই স্তরটিকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি। এ কারণে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে যায়। আর পদে পদে বঞ্চিত হতে থাকে।

বর্তমানে সাধারণ শিক্ষায় প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা চাকরির শুরুতেই ১১তম গ্রেডে ১৯ হাজার টাকারও বেশি বেতন-ভাতা, বাড়িভাড়া পান। রয়েছে উৎসব ভাতাসহ সব সুবিধা। এছাড়া ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে তাদের। আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে শুরুতেই ১৭ হাজার ৫০০ টাকা বেতন, বাড়িভাড়া পান। উৎসব ভাতা ও বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধিত আছেই।

অন্যদিকে ৭ হাজার ৪৫৩টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা কোনো বেতন-ভাতা বা আর্থিক কোনো অনুদান পান না। ধর্মের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা এই পাঠদান করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক মাদ্রাসার শিক্ষকরা। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের সরকারি অনুদান দেওয়া শুরু হয়। এদের মধ্যে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পান সর্বসাকুল্যে মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা। আর সহকারী শিক্ষকরা পান ২ হাজার ৩০০ টাকা।  বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির কোনো সুযোগও নেই। অনুদান বৃদ্ধির ফলে ২০১৭ সাল থেকে এই সুবিধা পান তারা। আগে দেওয়া হতো মাত্র ৫০০ টাকা করে। পরে ২০১২ সালে এই অনুদান বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় ১২০০ টাকা। এখন দ্বিগুণ বৃদ্ধির পরও ২ হাজার ৩০০ টাকা।

স্বাধীনতা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি এস এম জয়নাল আবেদীন বলেন, এভাবে আর কতদিন না খেয়ে পাঠদান করে যাব? অনেকে বেতন-ভাতা বা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা না পেয়েই ইতিমধ্যে মারা গেছেন। সাধারণ শিক্ষা সরকারি হলেও আমরা কেন বেসরকারি থাকব। ক্ষোভ ও বঞ্চনার মধ্য দিয়ে সবার প্রতিটি দিন যাচ্ছে। আমাদের প্রধান দাবি জাতীয়করণ। দ্রুত সময়ে জাতীয়করণ না হলেও অন্তত এমপিওভুক্ত করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে বর্তমান সরকার দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে। এর মধ্যে বেসরকারি, রেজিস্ট্রেশনকৃত ও কমিউনিটি বিদ্যালয়ও ছিল। তখন স্বাভাবিকভাবে ইবতেদায়ি জাতীয়করণ হওয়ার কথা। কিন্তু হয়নি। প্রধান কারণ, এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। যেগুলো হয়েছে, তা ছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

ঐ সময় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন নজরুল ইসলাম খান। গতকাল তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, অবশ্যই একই সঙ্গে সাধারণ ও মাদ্রাসা উভয়ের জাতীয়করণ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তখন ইবতেদায়ি স্তরের কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি, যারা বিষয়টি নিয়ে সামনে আসবেন। সরকারের সামনে তাদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরবেন। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের জন্য যে সময় যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারা হয়তো চাননি মাদ্রাসার প্রাথমিক স্তর জাতীয়করণ হোক।

তবে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার বেশির ভাগ শিক্ষকই মনে করেন, এই স্তর যদি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকত তাহলে জাতীয়করণ সহজ হতো। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, এটি মাদ্রাসা বিভাগ দেখবে। সরকার যদি চায় মাদ্রাসা ইবতেদায়ি স্তরটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখবে। তাহলে সেটাই হবে। এক্ষেত্রে সব সিদ্ধান্তই সরকারের।

তথ্য অনুযায়ী, এ দেশে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রাথমিক স্তর ফোরকানিয়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসা নামে পরিচালিত হয়ে আসত। এসব মাদ্রাসাসহ আরো নতুন নতুন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা সৃষ্টি করে ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মঞ্জুরি প্রদান শুরু হয়। ১৯৮৭ সালে তৎকালীন সরকার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত প্রতিটি মাদ্রাসায় এককালীন ৪ হাজার ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা প্রদান করে। তবে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, দেশে আলিম, ফাজিল ও কামিল স্তরের ৮ হাজার ২২৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। এই মাদ্রাসার সঙ্গে যেসব ইবতেদায়ি শিক্ষকরা সংযুক্ত আছেন তারাও অন্যান্য স্তরের মতো এমপিওভুক্ত। তারা মূল বেতন, ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। কিন্তু স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ভাগ্যে এসব সুযোগ-সুবিধা জোটেনি।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর