খ্রিস্টানদের নবী যিশুকে কিভাবে দেখে মুসলিম বিশ্ব?
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
"আচ্ছা, আপনারা তুরস্কে বড়দিন পালন করেন কিভাবে?" একুশ বছর আগে যুক্তরাজ্যে আসার পর থেকেই প্রতিবার বড়দিনের সময় এই প্রশ্ন আমাকে শুনতে হবেই। জবাবে আমি বলি যে তুরস্ক একটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ - কাজেই ২৫শে ডিসেম্বর বছরের আর দশটা দিনের মতোই।
সে কি? তার মানে কি সেখানে বড়দিন হয় না?
মনে রাখবেন, শুধু তুরস্ক নয় বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই বড়দিন পালন করে না। এটা যতই শুনতে অবাক লাগুক, পশ্চিমা দেশগুলোতে অনেকেরই ধারণা যে সারা পৃথিবীদতেই বড়দিনের ছুটি পালিত হয়।
কিন্তু বাস্তবতা হলো বড়দিন হচ্ছে যীশুর জন্মদিন - যিনি খ্রীস্টানদের নবী। ইহুদি, হিন্দু বা মুসলিমদের জন্য এটা কোন ছুটির দিন নয়।
অন্যভাবে বলতে গেলে যেমন মুসলিম বিশ্বে পরিবারের সদস্যরা একসাথে হন ঈদের দিন, বড়দিনে নয়। এই পার্থক্যটুকু উপলব্ধি করা জরুরি, তবে আমাদের মধ্যে যে মিলও আছে তা-ও জানা গুরুত্বপূর্ণ।
মুসলিমদের কাছে যীশু হচ্ছেন ঈসা নবী
যা জেনে পশ্চিমা বিশ্বের খ্রীস্টানরা অবাক হতে পারেন তা হলো - ইসলাম যীশুর জন্মদিন পালন না করলেও - তাকে সম্মান করেন। মুসলমানরা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে খ্রীস্টানদের নবীকে গভীরভাবে সম্মান করেন।
কোরানের বর্ণনা অবলম্বনে একজন মুসলিম শিল্পীর আঁকা কুমারী মেরির ছবি নবী মোহাম্মদের আগে অবতীর্ণদের মধ্যে যীশুকে সবচেয়ে সম্মানিতদের অন্যতম বলে স্থান দিয়েছে কোরান।
সত্যি কথা হলো, কোরানে অসংখ্যবার উল্লিখিত হয়েছে যীশুর (যাকে আরবিতে বলা হয় ঈসা) নাম, নবী মোহাম্মদের নামের চেয়েও বেশিবার।
ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে এমন নারী আছেন মাত্র একজন। তিনি হচ্ছেন কুমারী মেরি । আরবিতে তার নাম মরিয়ম। মেরি বা মরিয়মের নামে কোরানের একটি পূর্ণাঙ্গ সুরার নামকরণ হয়েছে - যাতে কুমারীর গর্ভ থেকে যীশুর জন্মের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
তবে ইসলামের এই কাহিনিতে কোনো জোসেফের উল্লেখ নেই, নেই কোন যীশুর জন্মের বার্তাবাহী জ্ঞানী ব্যক্তি বা পশুর আস্তাবলের কথাও। এখানে আছে, মেরি একাই যীশুর জন্ম দিয়েছিলেন মরুভূমিতে, একটি মরা খেজুর গাছের নিচে আশ্রয় নিয়ে।
সেখানে তার খাবার জন্য গাছ থেকে পাকা খেজুর পড়ে, এবং তার পায়ের কাছে পানির ধারার সৃষ্টি হয়। মেরি এবং তার কুমারী অবস্থায় যীশুর জন্মের গল্প শত শত বছর ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মনে দাগ কেটেছে।
একজন অবিবাহিত নারী সন্তান জন্ম দেবার ফলে তাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু যীশু - নবজাত শিশু অবস্থা থেকেই ঈশ্বরের প্রেরিত পুরুষ হিসেবে কথা বলতে শুরু করেন। এই যাদুকরী ঘটনার পর তার মায়ের সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা থেমে যায়। এটি হচ্ছে সংস্কারের ওপর বিজয়ের এক গল্প।
আত্মার নবী
মুসলিমরা যখন যীশুর নাম নেন, তখন তাদের 'তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক' বলতে হয়। তা ছাড়া মুসলিম ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী শেষ বিচারের দিনের আগে - ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য - কে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন? ঠিকই ধরেছেন, যীশু। মুসলিম সাহিত্যে তাকে যেভাবে মহিমান্বিত করা হয়েছে তা শুধু কোরানেই সীমিত নয়।
সুফী দার্শনিক আল-গাজ্জালি যীশুকে বর্ণনা করেছেন 'আত্মার নবী' বলে। ইবনে আরাবি তার সম্পর্কে লিখেছেন 'সন্তদের নিশানা' হিসেবে। মুসলিম বিশ্ব জুড়েই ঈসা এবং মরিয়মের নামে শিশুদের নাম রাখা হয়। খ্রীষ্টান পরিবারে কি মোহাম্মদের নামে শিশুর নাম রাখার কথা কেউ কল্পনা করতে পারেন?
ইসলাম ধর্মের সাথে যীশু পরিচয়ের ঐতিহাসিক কারণ আছে। ধর্ম হিসেবে ইসলামের জন্ম হয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকে। ততদিনে মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিস্টান ধর্ম ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।
ইতালির স্যান পেত্রোনিও ব্যাসিলিকায় আক্রমণের চেষ্টার সন্দেহে পাঁচ জন লোককে গ্রেফতার করা হয়।
তাই স্বাভাবিকভাবেই বাইবেলে নবী মোহাম্মদের কোন উল্লেখ নেই। কিন্তু ইসলাম যদিও যীশুকে সম্মান করে, তবু এটা বলা খুব একটা ভুল হবে না যে খ্রীস্টান চার্চ সব সময় এ অনুভূতির সদয় প্রত্যুত্তর দেয় নি।
ইতালির বোলোনায় পঞ্চদশ শতকের স্যান পেত্রোনিও গীর্জায় একটি দেয়ালচিত্র আছে যাতে ইসলামের নবীকে দেখানো হয়েছে নরকে, তার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। ইউরোপে এমন অনেক শিল্পকর্ম আছে যাতে তাকে অবমাননার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়।
অবশ্যই বলতে হবে - এ যুগে ইসলাম সম্পর্কে খ্রিস্টান চার্চের অবস্থান মোটেও এরকম নয়। জিহাদি আক্রমণের নিন্দা জানাতে রোমের একটি গীর্জায় মুসলিম ধর্মীয় নেতারা ক্যাথলিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
সময় বদলে গেছে, কিন্তু আমাদের এই যুগে নতুন সব ধর্মীয় দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষমূলক সংস্কার, এবং উগ্রপন্থী সহিংসতার জন্ম হয়েছে। ২০০২ সালে বোলোনার চার্চের দেয়ালচিত্র বোমা মেরে উড়িযে দেবার ষড়যন্ত্রের জন্য ইসলামী জঙ্গীদের সন্দেহ করা হয়।
আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ
বোলোনার ওই ঘটনার পরবর্তীকালে ইসলামের নামে ইউরোপে এবং বহু মুসলিম দেশেও বড় বড় আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে - যাতে বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে। এগুলোর ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেকার সম্প্রীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
সেকারণেই মুসলিমদের মধ্যে যীশুকে কিভাবে চিত্রিত করা হয়, এবং তার গুরুত্বই বা কি - এটা উপলব্ধি করাটা হয়তো আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তা খ্রীস্টানদের জন্য যেমন, তেমনি মুসলিমদের জন্যও।
নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে - তা দূর করার একটা ভালো পন্থা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যেসব অভিন্ন ব্যাপার আছে তা তুলে ধরা। -বিবিসি
- ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল ‘মেলিসা’, ধেয়ে আসছে ২৬০ কিমি বেগে
- দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো এজেন্সি নির্বাচনে নতুন মানদণ্ড
- গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে হাসান মাসুদ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র তাণ্ডব: অন্ধ্রপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টি
- আদালতে কেন ঘুরছেন সামিরার ক্রিকেটার স্বামী ইশতিয়াক
- পর্যটন বিকাশে হচ্ছে ‘বর্ডার ড্রাইভ’
- বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ
- সোনার দামে বড় দরপতন, ভরিতে কমেছে ১০ হাজার
- গাজায় শক্তিশালী হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর
- গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত
- ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা তারেক রহমানের
- আধা ঘণ্টার ব্যবধানে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার হারাল যুক্তরাষ্ট্র
- মাত্রাতিরিক্ত খরচে বিরক্ত পর্যটক
- ১৬ রানে হেরে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
- অবৈধ পথে প্রবেশ: ভারতের ৫৪ নাগরিককে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র
- দেশে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে
- ট্রাম্প চাইলেই কি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন?
- টানা তৃতীয়বারের মতো কমল সোনার দাম
- ৩৮ দিনের প্রেম শেষে বিয়ে, উকিল বাবা পলাশ
- ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠক, প্রতিবেদন জমা আগামীকাল
- ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা
- সৌদি আরবে ব্যাপক ধরপাকড়, ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেফতার
- এটা দুর্ঘটনা নয় হত্যা, টাকা-চাকরি দিয়ে ক্ষতিপূরণ হবে না
- অক্টোবরের ২৫ দিনে প্রবাসী আয় ছাড়াল ২ বিলিয়ন ডলার
- সাড়ে ৩ শতাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে মতবিনিময়, নতুন বার্তা তারেক
- সোনার দাম ফের কমল, ভরি ২ লাখ ৮ হাজার
- পুলিশে বদলি-পদোন্নতির তদবির নিয়ে কড়া বার্তা উপদেষ্টার
- টরন্টো নয়, কমান্ডার সোহায়েল কারাগারে বন্দি: কারা অধিদপ্তর
- তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি, নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- মৃতের আত্মা কখনও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসে না
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- কেমন হবে হাশরের ময়দান
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পথ চলার আদব!
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
