ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় রপ্তানিখাত
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২৩
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। সংবিধান মেনে চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের (২০২৪ সালের) জানুয়ারিতে নির্বাচন করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড় বিএনপি। নিজেদের দাবি আদায়ে সভা-সমাবেশ, বাগযুদ্ধ চললেও সংকট নিরসনে সংলাপ বা রাজনৈতিক সমাধানের পথ আপাতত ক্ষীণ। বর্তমান অবস্থায় ছাড় দিতে নারাজ দুই পক্ষই। এমন পটভূমিতে প্রকট হচ্ছে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা।
করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ধুঁকছে দেশের রপ্তানিখাত। এর সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন রপ্তানিকারকরা, আন্তর্জাতিক বাজার হারাবে অনেক পণ্য। এমনটাই আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
একেতে করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ধুঁকছে রপ্তানিখাত। এর সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন রপ্তানিকারকরা, আন্তর্জাতিক বাজার হারাবে অনেক পণ্য।
এ থেকে উত্তরণে উভয়পক্ষকে কিছুটা ছাড় দিয়ে সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সমাধান না হলে যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় নিতে হবে রাজনীতিবিদদের। নির্বাচন কেন্দ্র করে ঘোলাটে রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রভাব এখনো সেভাবে না পড়লেও শিগগির তা পড়তে পারে। এতে পণ্য রপ্তানি, কাঁচামাল আমদানি হবে বাধাগ্রস্ত। ফলে দীর্ঘমেয়াদি সংকটে পড়বে রপ্তানিখাত।
জানতে চাইলে চারকোল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যানেসিয়া ভেঞ্চারসের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম বলেন, গত বছর আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল। এই খাতের সবাই কম-বেশি ভালো করেছে। তবে জুলাই মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমাদের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে রপ্তানিপণ্য পাঠানো কঠিন হয়ে যাবে। একই সঙ্গে কাঁচামাল আমদানিও যাবে বন্ধ হয়ে। তখন আসলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। রাজনৈতিক সংকট বাড়লে তখন দেখা যাবে শিপমেন্টে দেরি হবে। ক্রেতারা অন্য জায়গা থেকে পণ্য কেনা শুরু করবে। এমন হলে আমাদের এই বাজারটা অন্যদিকে চলে যাবে।
আবুল কালাম আরও বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে আট হাজার মেট্রিক টন চারকোল রপ্তানি হয়। বিগত অর্থবছরে (২০২২-২৩) তা বেড়ে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। এবার প্রায় দেড়শ কোটি টাকার চারকোল রপ্তানি হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হলে রপ্তানি কমে যাবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মন্দা ও ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতির কারণে তৈরি পোশাকের অর্ডার অনেক কমেছে বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা অ্যাপারেলসের স্বত্বাধিকারী ফজলে শামীম এহসান।
নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ঘোলাটে হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গন। অর্থনীতিতে এর প্রভাব এখনো না পড়লেও শিগগির তা পড়বে। পণ্য রপ্তানি, কাঁচামাল আমদানি বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি সংকটে পড়বে রপ্তানিখাত।
তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থার মধ্যে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এর সঙ্গে যদি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা যোগ হয় তাহলে উদ্যোক্তারা বড় বিপদে পড়বেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি যদি ভালো হয় তাহলে আমরা টিকে যাবো। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে দেখা যাবে, আমাদের হাতে অর্ডার আছে কিন্তু কাজ করতে পারছি না।
দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক খাতের হাত ধরে। এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকার সুবাদেই রপ্তানি ও অর্থনীতি বিকশিত হচ্ছে।
তবে, সব জাতীয় নির্বাচনের সময় পোশাক রপ্তানিকারকদের কার্যাদেশ কমে যায় বলে জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। তারা বলেন, গোলযোগের আশঙ্কা থেকে অনেক বায়ার নিজেদের সরবরাহ চক্র সুরক্ষিত রাখতে ভিন্ন দেশমুখী (বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশ) হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৈরি পোশাকখাতের এক ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে অধিকাংশ কারখানা অর্ধেক সক্ষমতায় পরিচালিত হচ্ছে। গ্যাস-বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। পাশাপাশি আমলানির্ভরতা বাড়ায় ব্যবসায়ীদের হয়রানি এখন চরমে।
এ ব্যবসায়ীর মতে, রাজনৈতিক সংকট শুধু ক্ষতিই করে না, কখনো কখনো তা শাপেবর হয়েও আসে। তিনি বলেন, ‘পলিটিক্যাল আনরেস্ট (রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা) অনেক সময় বিজনেস বুমের (ব্যবসার প্রসার) দিকে যায়। যখন এরশাদবিরোধী আন্দোলন হয়েছে, তখন সাময়িক ৩০ থেকে ৩৫ দিন ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে। তার পরে ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় প্রসার হয়েছে। সেটা ১৯৯০ সালের পরে দেখা যায়। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরে গণতান্ত্রিক সরকার এলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা উঠে (কমে) যায়। এখন ওভার পাওয়ারড (অতিরিক্ত ক্ষমতাশালী) আমলাতন্ত্রের জন্য ব্যবসা করতে পারছি না। কাস্টমস হয়রানি চরমে। নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিকভাবে নতুন সরকার এলে তা ব্যবসাবান্ধব হয়। এতে লাভবান হন ব্যবসায়ীরাই।’
পণ্য ও সেবা মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানির আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছ সরকার। এর মধ্যে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন এবং সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, রাজনৈতিক সংকট থাকলে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন দূরে থাক, প্রবৃদ্ধি করাও দুষ্কর হয়ে পড়বে।
এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি এবং বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, রপ্তানিখাত কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা উচিত হবে না। দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য সবকিছুর বাইরে রাখতে হবে শিল্পকে।
বর্তমানে অধিকাংশ কারখানা অর্ধেক সক্ষমতায় পরিচালিত হচ্ছে। গ্যাস-বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। পাশাপাশি আমলানির্ভরতা বাড়ায় ব্যবসায়ীদের হয়রানি এখন চরমে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের এলসি লিমিটেশন (ঋণপত্রে সীমাবদ্ধতা) আছে, পণ্যের দাম বেশি, মূল্যস্ফীতি আছে। এছাড়া খাত সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ, ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ, প্রতিযোগী দেশের চ্যালেঞ্জ আছে। এসবের মধ্যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের স্বার্থে শিল্পকে প্রাধান্য দিতে হবে।
বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইএবি) সভাপতি এবং এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাম মুর্শেদী বলেন, রাজনীতি ও রপ্তানি এক নয়। রাজনীতির সঙ্গে শিল্পের সম্পর্ক নেই। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যাই হোক, এতে যেন রপ্তানিখাত বাধাগ্রস্ত না হয়।
- তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
- হাসিনার রায়ের খবর বিশ্ব মিডিয়ায়
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ট্রাইব্যুনালে
- মার্কিন এফ-৩৫ পেতে সৌদির ওপর ইসরায়েল নিয়ে কঠিন শর্ত
- শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- বাসে আগুন ও ককটেল হামলাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
- শিক্ষক আন্দোলনে আহত সেই শিক্ষিকার মৃত্যু
- বেশ কিছু খাদ্যপণ্যে ট্রাম্পের শুল্ক প্রত্যাহার
- উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
- শেখ হাসিনার রায় আজ
- রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
- সরকার সচল হলেও কাটেনি অ্যামেরিকার অর্থনীতির কুয়াশা
- ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
- বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মামলা করব: ট্রাম্প
- ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু
- বিএনপি কোনো মেগা প্রজেক্টের দিকে যাবে না: আমির খসরু
- অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থন পেয়ে আপ্লুত তারেক রহমান
- রাজধানীর ৩ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন
- বরিশালে দফায় দফায় সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর
- উৎসব গ্রুপের ২০ বছরপূর্তি
- ‘আসো’র দশ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা
- বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী ইউএসএ ইনকের কমিটি গঠন
- কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটি’র সভাপতি তোফায়েল ও সম্পাদক ফারুকুল
- কমিউনিটির ‘আনসাং হিরো’ টিপু সুলতান
- সভাপতি মনোয়ার ও সাধারন সম্পাদক মমিন
- প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ২ হাজার ডলার
- এনওয়াইপিডি-কমিউনিটি মতবিনিময়
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে ‘আজকাল’কে যা জানালেন
- আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- এসাইলাম আবেদন ফি হাজার ডলার!
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
