উচ্চ সুদ বহাল রেখেই মুদ্রানীতি ঘোষণা
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উচ্চ সুদের হার বহাল রেখে মুদ্রানীতি ঘোষণা করল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) সময়ের জন্য এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এবারের মুদ্রানীতির মাধ্যমে ব্যবসা-বিনিয়োগ বাড়বে এমন আশা নেই গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের। তাঁর মতে, ২০২৪ ও ২০২৫ সাল বিনিয়োগ বৃদ্ধির বছর নয়।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলে চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকঋণের নীতি সুদহার কমানো শুরু হবে। এদিকে বিনিয়োগ মন্দাকালেও নীতি সুদহার ১০ শতাংশে বহাল রাখার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ভবনের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে জানুয়ারি-জুন ২০২৫-এর জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন চৌধুরী, কবির হোসেন, বিএফআইইউয়ের প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও সহকারী মুখপাত্ররা।
আগের সরকারের সময় থেকেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিকে চরমভাবে ভোগাচ্ছিল। তাই সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দফায় দফায় সুদের হার বাড়িয়ে গেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরও এই ধারা অব্যাহত ছিল। এতে মূল্যস্ফীতি কমার ক্ষেত্রে বড় কোনো প্রভাব না পড়লেও থমকে গেছে বিনিয়োগ।
ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা উচ্চ সুদের হারে বিনিয়োগ বিমুখ হয়েছেন। যার প্রভাবে অর্থনীতিতে এক ধরনের মন্দা চলছে।
মুদ্রানীতি ঘোষণায় গভর্নর ড. আহসান মনসুরও বিনিয়োগে আশার কথা শোনাতে পারেননি। বরং তিনি বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশা থাক দূরের কথা, স্বপ্নও দেখি না। এখন আমাদের প্রধান টার্গেট মূল্যস্ফীতি কমানো।
আশা করছি আগামী জুন মাসের মধ্যে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে নেমে আসবে। তখন ধীরে ধীরে নীতি সুদহার কমানো হবে।
একাধিকবার সুদের হার বাড়ানোর পরও মূল্যস্ফীতি কাঙ্ক্ষিত হারে না কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাইলেই বাংলাদেশ ব্যাংক সব করতে পারবে না। দেশে এখনো রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে। তাই সময় লাগছে। যেকোনো সিদ্ধান্তের ফল আসতে ছয় থেকে ১২ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। আর কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়ার জন্য ১৮ থেকে ২৪ মাস সময় প্রয়োজন হয়। তাই আমরা আশা করছি, আগামী জুনের মধ্যে ৭ থেকে ৮ শতাংশ ও ২০২৬ সালে দেশের মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নেমে আসবে। এখন মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি।
নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি আগের মতো রাখা হয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭.২৮ শতাংশ। আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ৯.৮ শতাংশ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এদিকে গেল ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৮.১০ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৭.৫০ শতাংশ লক্ষ্য ঠিক করেছে। অর্থাৎ ব্যাংক খাত থেকে সরকারকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন টাকা ছাপিয়ে (রিজার্ভ মানি) মুদ্রার সরবরাহ বাড়াবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। গত জুনে রিজার্ভ মানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে এই প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ২ শতাংশ নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়। আগামী নতুন মুদ্রানীতিতে আগামী জুন পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ১ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দুই লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৪.৬ শতাংশ। বাজেটের আয়-ব্যয়ের বিশাল ঘাটতি পূরণে প্রধান ভরসাস্থল হিসেবে ব্যাংক খাত বেছে নেওয়া হয়। ফলে বড় ঘাটতি পূরণে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেবে বলে লক্ষ্য ঠিক করেছিল তৎকালীন সরকার।
এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বজায় রাখায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংগঠনটি জানায়, বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এই কঠোর অবস্থানের উদ্যোগ বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহের পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক এবং র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়ানো হলে বা কমানো হলে কি ঘটতে পারে সে বিষয়ে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ ও সীমিত কর্মসংস্থানের চাপ আছে। সুদ বাড়ানো হলে ব্যবসায় ইফেক্ট আছে, আবার মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। কারণ মূল্যস্ফীতি সে হারে কমেনি। সামনে রমজান মাস আছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক রিভার্স করছে কি না এটাও একটা বিষয়।’
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মুদ্রানীতিতে সুদহার না বাড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত। এই সময় মূল্যস্ফীতি কোন দিকে যাচ্ছে সেটা অনিশ্চিত। তবে শুধু নীতি সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে সেটা ধরে নেওয়া বাস্তবসম্মত না। এই অবস্থায় আরেকটু দেখা দরকার যে সুদের হার বৃদ্ধি করা লাগবে কি লাগবে না।’
ড. জাহিদ আরো বলেন, ‘এই মুহূর্তে সুদহার কমানোটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেত। এখন বিনিয়োগের কথা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা এটা বলবেন, কারণ সুদহার কমলে তাঁদের আর্থিক খরচ কমবে। বিনিয়োগের অজুহাত দিয়ে সেটা বলা হয়। তবে সুদের হার কম থাকা সময়ে এটা শোনা যায়নি। তবে এ সময় যেহেতু মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনাটাই বড় প্রায়োরিটি সে ক্ষেত্রে কমালে আগুনে ঘি ঢালার মতো হয়ে যেত।’
নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর স্বল্পমেয়াদি ধারে ব্যবহৃত রোপোর সুদহার ছিল ৮.৫০ শতাংশ। তিন দফায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে করে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার বেড়ে এখন ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর পরও মূল্যস্ফীতি না কমায় আরেক দফা নীতি সুদহার বাড়ানোর আলোচনা ছিল। তবে সর্বশেষ হিসেবে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এ কারণে আপাতত নীতি সুদহার বাড়ানো হবে না। অবশ্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বিবেচনায় সুদহার না বাড়িয়ে বরং কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা।

- হায়াইট হাউসের সামনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ
- ইরান প্রবাসিদের জন্য দেশে আহাজারি
- মামদানি-কুমো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বুধবার
- মামদানিকে গাড়ী বোমা বিস্ফোরণে হত্যার হুমকি
- মাদক নিয়ে সংঘর্ষ
জ্যামাইকা বিষাক্ত হয়ে উঠেছে - ঐক্যবদ্ধ ৩৯তম সম্মেলন নায়াগ্রায়
- ‘রোহিঙ্গা সমস্যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি’
- পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর
- ভিসা প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের নতুন নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের
- মুক্তচিন্তা
হানি ট্র্যাপ: প্রেম, ক্ষমতা ও প্রতারণার রাজনীতি - কে এই জোহরান মামদানি ?
- মামদানিকে সমর্থন দিলেন বার্নি স্যান্ডার্স
- ইরান-ইসরাইল ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- বাধ্যতামূলক অবসরে পাঁচ সচিবসহ ছয় কর্মকর্তা
- প্রশ্ন করায় ডিসির সামনেই সাংবাদিককে মারতে উদ্যত হলেন বিএনপি নেতা
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পকে সংযতের আহ্বান জানালেন স্টারমার
- ইউরোপে পালানোর চেষ্টায় ইসরায়েলিরা, সিনাই উপদ্বীপে ভিড়
- নেতানিয়াহু ভুল, তার যুদ্ধে আমরা জড়াব না : বার্নি স্যান্ডার্স
- ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে দুই সপ্তাহ সময় নিলেন ট্রাম্প
- সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড়, বেড়েছে ২৩ গুণ
- ইরানের একাধিক ওয়ারহেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রে হতভম্ব ইসরায়েল
- সম্ভাব্য যুদ্ধের আদেশ বাস্তবায়নে প্রস্তুত প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- ইসরায়েলে এবার ‘সেজ্জিল’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান: সিএনএন
- যুদ্ধই নেতানিয়াহুর টিকে থাকার শেষ আশ্রয়!
- হোয়াইট হাউজের ‘পা চাটবে না’ ইরান
- ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছি : ইর
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
- ইরানের ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- আজকাল ৮৫০
- বিপিএলে কানাডিয়ান মডেল নিয়োগ দিল চট্টগ্রাম কিংস
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে
- ‘আজকাল’-৮৪৯ সংখ্যা
- এ সময়ে শিশুর রোগবালাই এবং চিকিৎসা
- আজকাল ৮৫৫ তম সংখ্যা
- আজকাল ৮৪৭ সংখ্যা
- ৩০ দিন পর থাকবে না ফেসবুক লাইভ ভিডিও, বিকল্প কী?
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৫৮
- চিনি ছাড়ার সহজ ৫ উপায়
- যুক্তরাষ্ট্রের ‘এআই ঘোড়ার’ লাগাম টেনে ধরল চীনের ডিপসিক

- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা