সেই ঝড়ে হজরত নূহ (আ.) কি করেছিলেন
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯
হজরত আদম (আ.) থেকে হজরত নূহ (আ.) পর্যন্ত দশ শতাব্দীর ব্যবধান ছিল। হজরত আদম (আ.) এর শেষদিকে ক্রমবর্ধমান মানবকুলে শিরক ও কুসংস্কারের আবির্ভাব ঘটে এবং তার বিস্তৃতি লাভ করে।
ফলে তাদের সংশোধনের জন্য আল্লাহ হজরত নূহ (আ.)-কে নবী ও রাসূল করে পাঠান। তিনি সাড়ে নয়শত বছরের দীর্ঘ বয়স লাভ করেছিলেন এবং সারা জীবন পথ ভোলা মানুষকে পথে আনার জন্য দাওয়াতে অতিবাহিত করেন। কিন্তু তখনকার মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করে। ফলে আল্লাহর গজবে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
এরপরে আরো কয়েকটি কওম আল্লাহর অবাধ্যতার কারণে পরপর ধ্বংস হয়। এভাবে পৃথিবীতে আদি যুগে ধ্বংসপ্রাপ্ত ৬টি জাতির ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে এবং কোরআনের মাধ্যমেই জগতবাসী তাদের খবর জানতে পেরেছে। যাতে মুসলিম উম্মাহ ও পৃথিবীবাসী তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।
উক্ত ৬টি জাতি হলো- কওমে নূহ, আদ, ছামুদ, কওমে লুত, মাদইয়ান ও কওমে ফেরাউন। অবশ্য কোরআনে এ তালিকায় কওমে ইব্রাহিমের কথাও এসেছে (তওবাহ ৯/৭০)। যদিও তারা একত্রে ধ্বংস হয়নি। তবে হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর ভাতিজা লুত এর কওম একত্রে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হয়েছিল। আমরা এখানে প্রথমে হজরত নূহ (আ.) ও তার কওম সম্পর্কে আলোচনা করব।
নূহ (আঃ) এর পরিচয়:
হজরত নূহ (আলাইহিস সালাম) ছিলেন পিতা হজরত আদম (আলাইহিস সালাম) এর দশম অথবা অষ্টম অধঃস্তন পুরুষ। তিনি ছিলেন দুনিয়াতে প্রথম রাসূল। তাকে মানবজাতির দ্বিতীয় পিতা বলে আখ্যায়িত করা হত। হজরত নূহ (আ.) এর চারটি পুত্র ছিল: সাম, হাম, ইয়াফিছ ও ইয়াম অথবা কেন'আন। প্রথম তিনজন ঈমান আনেন। কিন্তু শেষোক্তজন কাফের হয়ে প্লাবনে ডুবে মারা যায়। নূহ (আ.) এর দাওয়াতে তার কওমের হাতে গণা মাত্র কয়েকজন ঈমানদার ব্যক্তি সাড়া দেন এবং তারাই প্লাবনের সময় নৌকারোহণের মাধ্যমে নাজাত পান। নূহের কিশতীতে কয়জন ঈমানদার ব্যক্তি আরোহণ করে নাজাত পেয়েছিলেন, সে বিষয়ে কোরআনে বা হাদীছে কোনো কিছুই বর্ণিত হয়নি। কোরআনে ৪৩ বার নূহ নবীর উল্লেখ পাওয়া গেছে। কোরআন অনুসারে, নূহ (আ.) সাড়ে নয়শত বছরের দীর্ঘ বয়স লাভ করেছিলেন এবং সারা জীবন মানুষকে সঠিক পথে আনার জন্য কাজ করেন। কিন্তু তার জাতি তাকে প্রত্যাখ্যান করে। ফলে তার জাতি ভয়াবহ বন্যায় ধ্বংস হয়ে যায়।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,
إِنَّا أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ أَنْ أَنذِرْ قَوْمَكَ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
‘আমি নূহকে প্রেরণ করেছিলাম তার সম্প্রদায়ের প্রতি একথা বলেঃ তুমি তোমার সম্প্রদায়কে সতর্ক কর, তাদের প্রতি মর্মন্তদ শাস্তি আসার আগে।’
قَالَ يَا قَوْمِ إِنِّي لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
‘সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের জন্যে স্পষ্ট সতর্ককারী।’
أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاتَّقُوهُ وَأَطِيعُونِ
এ বিষয়ে যে, তোমরা আল্লাহ তায়ালার এবাদত কর, তাঁকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
يَغْفِرْ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرْكُمْ إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى إِنَّ أَجَلَ اللَّهِ إِذَا جَاء لَا يُؤَخَّرُ لَوْ كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
আল্লাহ তায়ালা তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালার নির্দিষ্টকাল যখন হবে, তখন অবকাশ দেয়া হবে না, যদি তোমরা তা জানতে! (সূরা: নূহ, আয়াত: ১-৪)
তার সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,
وَقَالُوا لَا تَذَرُنَّ آلِهَتَكُمْ وَلَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَلَا سُوَاعًا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسْرًا
তারা বলছেঃ তোমরা তোমাদের উপাস্যদেরকে ত্যাগ করো না এবং ত্যাগ করো না ওয়াদ, সূয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নসরকে। (সূরা: নূহ, আয়াত: ২৩)
নূহ (আ.) এর বিরুদ্ধে তাদের যুক্তি সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে,
‘অতঃপর তার সম্প্রদায়ের নেতারা যারা কুফরী করেছিল, তারা বলল, ‘আমরা তো তোমাকে আমাদের মত একজন মানুষ ছাড়া কিছু দেখছি না এবং আমরা দেখছি যে, কেবল আমাদের নীচু শ্রেণীর লোকেরাই বিবেচনাহীনভাবে তোমার অনুসরণ করেছে। আর আমাদের ওপর তোমাদের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব আমরা দেখছি না; বরং আমরা তোমাদেরকে মিথ্যাবাদী মনে করি।’ (সূরা: হুদ, আয়াত: ২৭)
আরো বলা হয়েছে,
‘অতঃপর তার সম্প্রদায়ের নেতারা, যারা কুফরী করেছিল, তারা বলল, ‘এ তো তোমাদের মতই একজন মানুষ, সে তোমাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে চাচ্ছে। আর আল্লাহ ইচ্ছে করলে ফেরেশতাই পাঠাতেন। আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদের কালে এরূপ ঘটেছে বলে শুনিনি। সে কেবল এমন এক লোক, যার মধ্যে পাগলামী রয়েছে। অতএব তোমরা তার সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর।
মহানবী উল্লেখ করেন যে, ‘নূহের প্লাবন শেষে কেবল তার তিন পুত্র সাম, হাম ও ইয়াফেছ এর বংশধরগণই অবশিষ্ট ছিল।’ রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন যে ‘সাম আরবের পিতা, হাম হাবশার পিতা এবং ইয়াফেছ রোমকদের (গ্রীক) পিতা।’ ইবনু আব্বাস ও কাতাদাহ (রা.) বলেন, পরবর্তী মানব জাতি সবাই নূহের বংশধর। ইহুদী-খৃষ্টানসহ সকল ধর্ম মতের লোকেরা নূহ (আ.)-কে তাদের পিতা হিসাবে মর্যাদা দিয়ে থাকে।
সাম ছিলেন তিন পুত্রের মধ্যে বড়। তিনি ছিলেনأبو العرب বা আরব জাতির পিতা। তার বংশধরগণের মধ্যেই ছিলেন হজরত ইব্রাহিম, ইসমাঈল, ইসহাক এবং ইসমাঈলের বংশধর ছিলেন মানবজাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হজরত মুহাম্মাদ (সা.)। ইসহাকের বংশধরগণের মধ্যে ছিলেন ইয়াকূব, ইউসুফ, মূসা, দাঊদ, সুলায়মান, ইউনুস, ইলিয়াস, ঈসা প্রমুখ নবী ও রাসূলগণ।
প্লাবনের পর তার সঙ্গে নৌকারোহী মুমিন নর-নারীদের মাধ্যমে পৃথিবীতে নতুনভাবে আবাদ শুরু হয় এবং তাদেরকে তিনি সত্যের পথে পরিচালিত করেন। এ কারণে তাকে ‘মানব জাতির দ্বিতীয় পিতা বলা হয়।
আদম (আ.) ৯৬০ বছর বেঁচে ছিলেন এবং নূহ (আ.) ৯৫০ বছর জীবন পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, আদম ও নূহ (আ.) এর দীর্ঘ বয়স আল্লাহর বিশেষ দান ও তাদের মুজেযা স্বরূপ ছিল। নূহ (আ.) এর পুরুষানুক্রমিক বয়স তার ন্যায় দীর্ঘ ছিল না। নূহ (আ.) ইরাকের মুছেল নগরীতে স্বীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন। উল্লেখ্য যে, হজরত নূহ (আ.) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ২৮টি সূরায় ৮১টি আয়াত বর্ণিত হয়েছে।
- বন্ধু ট্রাম্পকে খুশি করতে মোদির ‘শান্তি’ বিল পাস, বিরোধীদের সমালো
- যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চুক্তি করলো টিকটক
- শহীদ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন, লাখো মানুষের অংশগ্রহণ
- মার্কিন ভিসা ব্যবস্থায় বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ
- উস্কানির অভিযোগে ইলিয়াসের আরেক পেজ সরাল মেটা
- এনটিএমসি বিলুপ্ত চেয়ে ৯৪ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জবাব চেয়ে শাহবাগ ছাড়ল ইনকিলাব মঞ্চ
- সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ শুরু
- ওসমান হাদির কবর দেখতে মানুষের ভিড়, রাতভর প্রহরায় থাকবে পুলিশ
- জ্যাকসন হাইটসে মামদানির ফান্ডরেইজিং
- মানিকগঞ্জ সমিতির বিজয় দিবস উদযাপন
- ২১ মুক্তিযোদ্ধাকে সন্মাননা দিল ব্রংকস বাংলাদেশি এসোসিয়েশন
- বাাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভা আগামী ২৮ ডিসেম্বর
- গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের উদ্যোগে ‘শীত বস্ত্র বিতরণ’
- ঊনবাঙালের বর্ণাঢ্য বিজয় দিবস উদযাপন
- সাংবাদিক নুরুল কবিরের ওপর হামলা
- ন্যাচারালাইজড আমেরিকানদের নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের খেলা
- ওসমান হাদির মৃত্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ
- শনিবার মানিক মিয়ায় হাদির জানাজা
- ‘হঠকারী হবেন না’; সংযমের আহ্বান ইউনূসের
- ২৫ ডিসেম্বর ফিরছেন তারেক: ফ্লাইটে কোন সিট খালি নেই
- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছেই
- সিনেটে লড়তে চান বাংলাদেশি আমেরিকান কারিশমা মঞ্জুর
- সিআইপি অ্যাওয়ার্ড পেলেন আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ
- জাতিকে কাঁদিয়ে হাদির বিদায়
- আজকাল ৯০১
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
- ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন’
- হাদির মৃত্যুতে শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
- হাদি ছিলেন বিপ্লবী রক্তে উজ্জীবিত প্রতিবাদের এক আইকন
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকের আজকাল ৮৭৩
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- ট্রাম্পের চাপে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা অ্যাপলের
- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- মৃতের আত্মা কখনও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসে না
- কেমন হবে হাশরের ময়দান
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পথ চলার আদব!
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
