যুক্তরাষ্ট্র কেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তু
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রশ্ন বহু দশক ধরে বিশ্বের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘের ১৪০টির বেশি সদস্যরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি যুক্তরাষ্ট্র এখনো সেই স্বীকৃতি দেয়নি। এর ফলে শুধু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার স্বপ্নই বিলম্বিত হচ্ছে না, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার ক্ষেত্রেও এর গভীর প্রভাব পড়ছে।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বনাম মার্কিন অবস্থান
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের জন্মের পর থেকেই ফিলিস্তিনকে ঘিরে স্বাধীনতার আন্দোলন চলমান। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে ‘সদস্যবহির্ভূত পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে প্রায় ১৪৭টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে যুক্তরাষ্ট্র বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ প্রস্তাব তোলা হলে যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দেয়।
ওয়াশিংটনের যুক্তি হলো, ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক চাপ বা একতরফা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নয়, বরং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে হতে হবে। তাদের দাবি, অন্যথায় এ স্বীকৃতি শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে।
‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ নীতির অজুহাত
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান মূলত ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ নীতির ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ে উঠবে। অসলো চুক্তি থেকে শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় পর্যন্ত মার্কিন প্রশাসন সব সময় এই নীতির প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং ইসরায়েলকে সামরিক-অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে শক্তিশালী করেছে, যা শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে আরও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল কৌশলগত সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক শুধু রাজনৈতিক নয়, গভীর কৌশলগত ও সামরিক জোটে পরিণত হয়েছে। ১৯৪৮ সাল থেকে মার্কিন সেনা সহায়তা, আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ, গোয়েন্দা সহযোগিতা ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। এ কারণে ফিলিস্তিনকে একতরফা স্বীকৃতি দিলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষতি হতে পারে— এই ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নিতে চায় না। ইসরায়েলপন্থি শক্তিশালী লবিগুলো, বিশেষত এআইপিএসি, মার্কিন প্রশাসনকে ফিলিস্তিন স্বীকৃতির মতো সিদ্ধান্ত থেকে বিরত রাখে।
ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ বিভাজন
যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকেও অবিশ্বস্ত ও অক্ষম হিসেবে তুলে ধরে। পশ্চিম তীরে ফাতাহ ও গাজায় হামাসের মধ্যে বিভাজনকে স্বীকৃতির প্রধান অন্তরায় হিসেবে দেখানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা হামাসকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচনা করে। তাই তাদের মতে, ফিলিস্তিন এখনো রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রস্তুত নয়। গাজা ও পশ্চিম তীরে মানবিক সংকট, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও প্রশাসনিক অচলাবস্থা এ ধারণাকে আরও জোরালো করে।
আন্তর্জাতিক আইন ও আদালতের চ্যালেঞ্জ
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ২০২৪ সালে বলেছে, ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব অবৈধ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই রায়ের ওপর কোনো গুরুত্ব দেয়নি। একইভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এখতিয়ারও উপেক্ষা করে। ফলে আন্তর্জাতিক আইন যতই ফিলিস্তিনের পক্ষে শক্তিশালী হোক না কেন, যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক ও কৌশলগত কারণে সেই দাবিকে অগ্রাহ্য করছে।
অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও জনমত
মার্কিন রাজনীতির ভেতরেও ফিলিস্তিন প্রশ্নে বিভক্তি রয়েছে। রিপাবলিকানরা ইসরায়েলপন্থি এবং ফিলিস্তিন স্বীকৃতির ঘোর বিরোধী। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের তরুণ ও প্রগতিশীল অংশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে ক্রমেই জোরালো কণ্ঠ তুলছে। তবে দলটির নেতৃত্ব সতর্ক অবস্থান নেয়, যাতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, কংগ্রেসের ভারসাম্য ও জনমত— সব মিলিয়ে মার্কিন প্রশাসন সহজে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয় না।
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি
যুক্তরাষ্ট্রের নীতি শুধু ইসরায়েল নয়, বরং মিসর, জর্ডান ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল। এসব আরব দেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও বাস্তবে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। এই বিভক্তিকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘ভারসাম্য’ বজায় রাখছে, যাতে ফিলিস্তিন প্রশ্নে কোনো কার্যকর পরিবর্তন না আসে।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ ও জাতিসংঘের সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে প্রগতিশীলদের চাপ এবং জনমতের পরিবর্তন ভবিষ্যতে মার্কিন নীতি পরিবর্তনের পথ খুলে দিতে পারে। তবে রিপাবলিকান বিরোধিতা, শক্তিশালী ইসরায়েলপন্থি লবি এবং মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত স্বার্থ এ পথে বড় বাধা হয়ে আছে।
পরিশেষে
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাধা হলো তার ইসরায়েলনির্ভর নীতি, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক হিসাব এবং ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক দায়বদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ওয়াশিংটন এখনো আলোচনার অজুহাত তুলে ফিলিস্তিনের স্বপ্নকে বিলম্বিত করছে। তবে বৈশ্বিক চাপ ও রাজনৈতিক বাস্তবতা যদি পাল্টে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রকেও হয়তো এই স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হতে হবে।

- ২ ফায়ার ফাইটার ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন: মহাপরিচালক
- অনন্ত জলিল-বর্ষার বিরুদ্ধে মামলা
- গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর উদ্যোগ নিল ফ্রান্স
- ট্রাম্প জমানায় আতঙ্কে বিদেশি সাংবাদিকেরা
- এবার ট্রাম্পকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়ে হামাসের চিঠি
- যুক্তরাষ্ট্র কেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তু
- এশিয়ার কালোটাকার প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠছে লন্ডন
- আরও ১৩০ মিলিয়ন ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- স্বর্ণের দামে এবার ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড
- মার্কিন দূতাবাসের সতর্কবার্তা
- লন্ডনে দূতাবাসের বাইরে উড়ল ফিলিস্তিনের পতাকা
- রিফাতের হ্যাটট্রিক, গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
- হানিয়া আমিরকে আমি চিনি না: হাসান মাসুদ
- রাত ১০টার পরও চলবে মেট্রোরেল
- ৭টি নোবেল পুরস্কার দাবি করে বসলেন ট্রাম্প
- ৯ পুলিশ সুপারকে বদলি
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্যসহ ৩ দেশ
- নতুন জীবনের অধ্যায় শুরু শবনম ফারিয়ার
- সাইবার হামলা: ইউরোপজুড়ে শত শত ফ্লাইট বাতিল
- বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি কানাডার
- যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বোমা হামলার হুমকি
- দক্ষ কর্মী ভিসা ফি ৮৫,০০০ ডলার বাড়ালেন ট্রাম্প
- বাংলাদেশিদের জন্য সহজেই খুলছে না দুবাইয়ের ভিসা
- ইসরাইলে ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা ট্রাম্পের
- রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুভসূচনা বাংলাদেশের
- ভূমিকম্পের মতো কাঁপছে গাজা
- ‘কালি হোটেল অ্যান্ড রুফটপ’র টপিং আউট সেরিমনি
- নোমান শিবলীর দাফন সম্পন্ন
- জিয়া সাইবার ফোর্সের কমিটি ঘোষণা
- ‘কক্ষপথ৭১’র আত্মপ্রকাশ
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- টক দই খেলে কী উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা

- অবৈধদের সন্তানরা নাগরিকত্ব পাবে না
- আমি আমার ৩টি টার্গেট ঠিক করে নিয়েছে : এসপি হারুন
- নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের পাশে নেই বিএনপি
- নতুন ইমিগ্র্যান্ট ঠেকাতে সিনেটে বিল পাস
- রোববার থেকে স্টুডেন্ট লোন মওকুফ কার্যক্রম শুরু
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রাতভর ফ্লাইট উড্ডয়ন বন্ধ
- ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত গ্যাস
- যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা তালিকায় ১১ বাংলাদেশির নাম
- ডিপোর্টেশন আতংকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
- ট্রাম্প-বাইডেন দু’জনই বুড়ো, কাউকে পছন্দ না ভোটারদের
- নাগরিকত্ব পেতে ইন্টারভিউ দিতে হবে না
- ইংরেজিতে দুর্বলদের জন্য দুঃসংবাদ
নাগরিকত্ব পরীক্ষায় পরিবর্তন আসছে - অনিশ্চয়তার মুখে ২ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
- কাল ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিন
- যুক্তরাষ্ট্রে ২৫২ বাড়ি আমলা-পুলিশের