শেখ হাসিনার পাল্টা কূটনীতি
মার্কিনমুখী আমলাদের সরিয়ে দিচ্ছে সরকার
প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আজকাল রিপোর্ট -
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, ভয় ভীতি এবং হুমকিকে মাথায় রেখে বাংলাদেশের সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাল্টা কূটনীতি চালাতে তৎপর রয়েছেন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নানা ভাবে সম্পর্কযুক্ত এমন আমলাদের গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে সরকার নির্বাচনের প্রশ্নে অটল। সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে সুস্পষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো প্রকারে নির্বাচন করা হবে। কোন দল আসলো না আসলে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সরকারের নীতিনির্ধারক মহল আশাবাদী যে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে বিএনপির একটি অংশ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী দলগুলো অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও মহাজোটের শরিক দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। বিএনপির দুই শতাধিক নেতা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত-এমন তথ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কাছে রয়েছে। এ অবস্থায় সরকার অন্য দেশ কি বলল বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বলল না বলল সেদিকে তাকাতে চায় না। তবে এক্ষেত্রে সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রশাসনে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে এবং অন্যান্য স্পর্শকাতর জায়গায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত বেশকিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। বিশেষ করে যাদের পরিবারের সদস্যরা পুত্র, স্ত্রী সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। যাদের নিকট আত্মীয়রা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থাকে অনেকেই সেখানে নামে ঘর বাড়ি বানিয়েছেন। অনেকেই সেখান থেকে গ্রিনকার্ড নিয়েছেন বা অনেকের নিকট আত্মীয়রা সেখানে গ্রীনকার্ড নিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত এরকম ব্যক্তি যারা সরকারি বিভিন্ন পদে আছেন তাদের তালিকা সরকার চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এরকম তালিকায় দুই শতাধিক ব্যক্তি রয়েছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সিভিল প্রশাসন যারা নির্বাচনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যার মধ্যে সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন তাদেরকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। এই তালিকায় আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যারা নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও আরও স্পর্শকাতর কিছু সরকারি সংস্থার ব্যক্তিদেরও তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত। এই তালিকায় যাদের নাম থাকবে অর্থাৎ যাদের কোনো না কোনো সূত্র বা আত্মীয় স্বজন, সন্তান-সন্ততি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং যারা ভিসা নীতির ফলে আতঙ্কিত হতে পারেন এবং নানা রকম ভাবে প্রভাবিত হতে পারেন তাদেরকে নিষ্ক্রিয় করবে সরকার। এই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনী কর্মকান্ডের দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে সরকার।
সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, প্রতিটি বিভাগেই আলাদা আলাদা ভাবে তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি তাদের জন্য কোন শাস্তি নয় বরং তারা যেন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় না আসে এজন্যই তাদেরকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। এমন সব ব্যক্তিদেরকে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোন সম্পর্কই নেই। এখন নতুন যে জেলা প্রশাসকদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেই নিয়োগে সুস্পষ্টভাবে তথ্য নেয়া হচ্ছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার সন্তান-সন্ততি বা এমন কোন নিকট আত্নীয় আছেন কিনা যার ওপর তিনি নির্ভরশীল। একইভাবে যারা এসপি পদে নিয়োগ পাচ্ছেন তাদেরও এই তথ্যটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নির্ভরশীল নয় এমন ব্যক্তিদের দিয়েই মাঠ প্রশাসন সাজানো হবে এবং নির্বাচনের দায়িত্বে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারাই যুক্ত থাকবেন। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি অকার্যকর হয়ে পড়বে। এই কৌশল নিয়েই সরকার তালিকাগুলো চূড়ান্ত করেছে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই মার্কিন প্রভাবমুক্ত কর্মকর্তারাই প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে যাবেন বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রচেষ্টা ঠেকাতে শেখ হাসিনা সরকার পাল্টা কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। এতদিন বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় যেকোনো মূল্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং এই আশাবাদ ব্যক্ত করে এজন্য বাংলাদেশকে চাপ দিয়েছে তারা। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যু। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক কার্যক্রম ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সামনের দিনগুলোতে এই বিচারিক কার্যক্রম দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে দায়িত্বে থাকা একাধিক কর্মকর্তা এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে এমন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের কাছে এ খবর রয়েছে। এছাড়াও সরকারের একাধিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
ভিসা নিষেধাজ্ঞায় একমাত্র বিষয় না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্য ধরনের চাপও প্রয়োগ করতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে এখন বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নিরাপত্তা সম্মেলনেও আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গটি সামনে চলে এসেছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিরাপত্তা সংলাপে ড. ইউনূস প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়নি। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে যে বাংলাদেশের নির্বাচনে ড. ইউনূসই সরকারের মাথাব্যথা এবং আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর দৃশ্যমান চাপ প্রয়োগ করবে। আর এটি যেন সরকারকে বিপদে না ফেলে, বিশ্ব কূটনীতিতে যেন বাংলাদেশ একলা না হয়ে পড়ে, সেই জন্যই শেখ হাসিনার এই পাল্টা কূটনীতি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশগুলোর একটি ফ্রান্স আবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মধ্যে দিয়ে রাশিয়ার সমর্থন বাংলাদেশ পাবে। চীন বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে। ভারত সবসময় বলেছে, তারা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে বিশ্ব কূটনীতিতে মার্কিন চাপ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশের পাল্টা প্রস্তুতি এখন যথেষ্ট। এখন দেখার বিষয় যে, কূটনীতির খেলায় শেষ পর্যন্ত কে জয়ী হয়।
- তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
- হাসিনার রায়ের খবর বিশ্ব মিডিয়ায়
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ট্রাইব্যুনালে
- মার্কিন এফ-৩৫ পেতে সৌদির ওপর ইসরায়েল নিয়ে কঠিন শর্ত
- শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- বাসে আগুন ও ককটেল হামলাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
- শিক্ষক আন্দোলনে আহত সেই শিক্ষিকার মৃত্যু
- বেশ কিছু খাদ্যপণ্যে ট্রাম্পের শুল্ক প্রত্যাহার
- উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
- শেখ হাসিনার রায় আজ
- রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
- সরকার সচল হলেও কাটেনি অ্যামেরিকার অর্থনীতির কুয়াশা
- ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
- বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মামলা করব: ট্রাম্প
- ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু
- বিএনপি কোনো মেগা প্রজেক্টের দিকে যাবে না: আমির খসরু
- অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থন পেয়ে আপ্লুত তারেক রহমান
- রাজধানীর ৩ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন
- বরিশালে দফায় দফায় সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর
- উৎসব গ্রুপের ২০ বছরপূর্তি
- ‘আসো’র দশ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা
- বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী ইউএসএ ইনকের কমিটি গঠন
- কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটি’র সভাপতি তোফায়েল ও সম্পাদক ফারুকুল
- কমিউনিটির ‘আনসাং হিরো’ টিপু সুলতান
- সভাপতি মনোয়ার ও সাধারন সম্পাদক মমিন
- প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ২ হাজার ডলার
- এনওয়াইপিডি-কমিউনিটি মতবিনিময়
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে ‘আজকাল’কে যা জানালেন
- আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- এসাইলাম আবেদন ফি হাজার ডলার!
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
