কোরআন-হাদিসের আলোকে সাহরি ও ইফতার
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৯
ইসলামী ক্যালেন্ডারের ৯ম মাসে রমজান পালন করা হয়। এই মাস মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস।
পবিত্র মাহে রমজানের প্রতিটি দিনের সূচনা হয় সাহরির মাধ্যমে। আর সমাপ্তি হয় ইফতারের মাধ্যমে।
এজন্য রমজানের রোজা ও তারাবির পাশাপাশি আরো যে উপলক্ষ ও ইবাদত ব্যাপকভাবে সমাজকে স্পর্শ করে তা সাহরি ও ইফতার। রোজার প্রস্তুতি ঘোষণা করতে হয় সাহরির মাধ্যমে এবং সমাপ্তি ঘোষণা করতে হয় ইফতারের মাধ্যমে। পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে সাহরি ও ইফতার সম্পর্কে ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য আলোচনা করা হলো-
রোজা রাখার উদ্দেশ্য মুসলমানরা সুবহে সাদিকে আগে সাহরি খেয়ে থাকেন। রোজা পালনের জন্য সাহরি খাওয়া সুন্নাত ও অধিক পুণ্যের কাজ। ক্ষুধা না থাকলেও সামান্য একটু পানি পান করাকেও সাহরি হিসেবে গণ্য করা হয়। সাহরি খাওয়ার মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নাহর অনুসরণ করা হয়। অন্যদিকে সাহরি খাওয়ার মাধ্যমে রোজা রাখার শক্তি অর্জিত হয়। সাহরি খেলে রোজাদার সহজে দুর্বল ও মনোবলহীন হয়ে পড়েন না, সারাদিন দীর্ঘ সময়ের উপবাস বা অনাহারে থাকলেও কর্মঠ থাকার প্রাণশক্তি আসে এবং সিয়াম পালন সহ্যসীমার মধ্যে থাকে।
যতক্ষণ পর্যন্ত সুবহে সাদিক না হয় অর্থাৎ পূর্ব দিগন্তে সাদা বর্ণ না দেখা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত সাহরি খাওয়ার অনুমতি আছে। সুবহে সাদিক হয়ে গেলে তারপর আর কিছু খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ নেই। সাহরি খাওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা পানাহার করো, যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রাত পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করো।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৭) রাসূল (সা.) সাহরি খেতে আদেশ করেছেন।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও, কারণ সাহরিতে বরকত রয়েছে।’ রাসূল (সা.) কখনো সাহরি থেকে বিরত থাকতেন না। সাহাবায়ে কেরামকেও সাহরির ব্যাপারে তাগিদ দিতেন এবং নিজের সঙ্গে শরিক করতেন।
রাসূল (সা.) এর কাছে একজন সাহাবী এলেন যখন তিনি সাহরি খাচ্ছিলেন। রাসূল (সা.) তাকে দেখে বললেন, এ খাবার বরকতের। আল্লাহ পাক বিশেষভাবে তোমাদের তা দান করেছেন। কাজেই তোমরা সাহরি খাওয়া ছেড়ে দিও না। (নাসাঈ)
মুসলিম শরীফে হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, আমাদের এ সিয়াম ও আহলে কিতাবদের (ইহুদী ও খৃষ্টান) রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সাহরি খাওয়া।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যেসব মুসলমান ভোরের এ সময়ে জেগে আল্লাহ পাকের হুকুম মেনে সেহরি খেতে বসে, আল্লাহ পাক খুশি হয়ে তাদের জন্য বিশেষ রহমত অবতীর্ণ করেন এবং মহান আল্লাহর ফেরেশতারা সাহরি গ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ দোয়া করতে থাকেন। (মুসনাদে আহমদ)
সাহরি খাওয়ার উত্তম সময়ও নির্দিষ্ট করা আছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা রাতের অন্ধকার প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত পানাহার কর।’ (সূরা বাকারা-১৮৭)
দেশ ও অঞ্চলভেদে সেহরিতে খাবারের ধরন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবুও রাসূল (সা.) সেহরির সময় খেজুরকে সর্বোত্তম খাদ্যদ্রব্য বলেছেন। আবু দাঊদ শরীফে এক বর্ণনায়- খেজুরকে সর্বোত্তম সেহরি বলেছেন রাসূল (সা.)। এজন্য সাহরির সময় দু-একটি খেজুর খেলে এ সুন্নত আদায় হবে। এ ছাড়া আধুনিককালের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে, খেজুরের ভেতর যে শক্তি ও পুষ্টিগুণ রয়েছে তা রোজাদারের জন্য অনেক বেশি শক্তিদায়ক এবং বিশেষ উপকারী।
অনেকে তারাবির পর খানা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন, অলসতা করে সাহরি খাওয়ার জন্য পুনরায় জাগ্রত হওয়াকে বোঝা মনে করেন তাদের জেনে রাখা দরকার যে, এটা সুন্নতের পরিপন্থী কাজ। এতে সাহরির ফজিলত ও বরকত থেকে বঞ্চিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। সাহরির সময় একটু আগেভাগে উঠে আট রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করা বড় সৌভাগ্যের বিষয়। সাহরি খাওয়ার পর রোজার নিয়ত অন্তরে করাই যথেষ্ট, মুখেও যদি বলে তাহলে ভালো ‘আমি আগামীকাল রমজান মাসের রোজা রাখার নিয়ত করলাম’।
সাহরির মধ্যে বিলম্ব করা মুস্তাহাব। সাহরি খাওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করার অর্থ হলো, ততক্ষণ পর্যন্ত পানাহার করা বৈধ যতক্ষণ শুভ্র রেখা উদিত না হয়। যখন শুভ্র রেখা উদিত হয়ে যায় তখন পানাহার বর্জন করা চাই।
বর্তমানে আমাদের দেশের আবহাওয়া দফতর থেকে সাহরি ও ইফতারের সঠিক সময় আগেই ঘোষণা করা হয়ে থাকে এবং মসজিদের মুয়াজ্জিনরাও সেই সময়সূচি অনুসরণ করে আজান দিয়ে থাকেন। ওলামায়ে কেরামের পরামর্শ অনুযায়ী সতর্কতা হিসেবে প্রয়োজনের সামান্য আগ-পাছ করা হয়।
রোজা পালনে ইফতারের গুরুত্বও অপরিসীম। আবার সময়মতো ইফতার করার মধ্যেও রয়েছে অশেষ সওয়াব ও কল্যাণ। রাসূলে কারিম (স.) এরশাদ করেন, তোমরা ইফতারের সময় হওয়ামাত্র ইফতার করে নাও। এতটুকু বিলম্ব করো না। এ সম্পর্কে তিরমিজি শরীফে উল্লেখ আছে যে, আমি ওই ব্যক্তিকে সর্বাধিক ভালোবাসি যে ইফতারের সময় হওয়ামাত্র ইফতার করে নেয়। আবু দাউদ শরীফে আছে, হজরত রাসূলে পাক (সা.) যখন ইফতার করতেন, তখন বলতেন, আমার তৃষ্ণা নিবৃত্ত, আমার শিরা উপশিরা সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহপাক পরওয়ারদেগারের পুরস্কার নির্ধারিত হয়ে গেছে।
হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, ‘মানুষ ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন তারা ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করে নেবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
ইফতারের সময় এ দোয়া পড়তে হয়, ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তোমার জন্যই রোজা পালন করলাম, আর তোমার প্রদত্ত রিজিক দিয়েই ইফতার করছি।’
রাসূলুল্লাহ (সা.) কয়েকটি তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাজা খেজুর না পেলে শুকনো খেজুর, অর্থাৎ খোরমা দিয়ে ইফতার করতেন। আর যদি তাও না পেতেন, তাহলে কয়েক ঢোক পানি পান করে নিতেন। এ ছাড়া ইফতারের আগ মুহূর্তটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম সময়। হুজুর পাক (সা.) বলেছেন, ‘ইফতার করার সময় রোজাদারের দোয়া কবুল হয়ে থাকে।’ (আবু দাউদ)।
বিদায় হজের ভাষণে রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছিলেন, ‘দাস-দাসীদের প্রতি সর্বদা সদ্ব্যবহার করবে। তাদের ওপর কোনোরকম অত্যাচার করবে না। তোমরা যা খাবে তাদেরও তাই খাওয়াবে; যা পরবে তাই পরাবে। ভুলে যেও না তারাও তোমাদেরই মতো মানুষ।’ অতএব আমরা যখন ঘরে ইফতার করি তখন যেন বাসার গৃহকর্মী ও অধীনস্থদের নিয়ে পরিবারের সবাই একসঙ্গে ইফতার করি। কোনো রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যধিক ফজিলতের কারণ।
সময়মত ইফতার করা যেমন ফজিলতের তেমনি রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলতও অনেক। হজরত সালমান ফারসী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে, তবে ওই রোজাদারের সওয়াবে কোনো কম করা হবে না। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আমরা সবাই রোজাদারকে ইফতার করাতে সক্ষম নই।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, পানি মিশ্রিত এক চুমুক দুধ বা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দ্বারাও যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে আল্লাহ তাকে এ পরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্তভাবে খানা খাওয়াবে আল্লাহ তায়ালা তাকে আমার হাউজ (হাউজে কাওসার) হতে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার পূর্বে তৃষ্ণার্ত হবে না।’ (বায়হাকী ওয়াবুল ঈমান, মেশকাত)।
- জ্যাকসন হাইটসে মামদানির ফান্ডরেইজিং
- মানিকগঞ্জ সমিতির বিজয় দিবস উদযাপন
- ২১ মুক্তিযোদ্ধাকে সন্মাননা দিল ব্রংকস বাংলাদেশি এসোসিয়েশন
- বাাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভা আগামী ২৮ ডিসেম্বর
- গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের উদ্যোগে ‘শীত বস্ত্র বিতরণ’
- ঊনবাঙালের বর্ণাঢ্য বিজয় দিবস উদযাপন
- সাংবাদিক নুরুল কবিরের ওপর হামলা
- ন্যাচারালাইজড আমেরিকানদের নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের খেলা
- ওসমান হাদির মৃত্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ
- শনিবার মানিক মিয়ায় হাদির জানাজা
- ‘হঠকারী হবেন না’; সংযমের আহ্বান ইউনূসের
- ২৫ ডিসেম্বর ফিরছেন তারেক: ফ্লাইটে কোন সিট খালি নেই
- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছেই
- সিনেটে লড়তে চান বাংলাদেশি আমেরিকান কারিশমা মঞ্জুর
- সিআইপি অ্যাওয়ার্ড পেলেন আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ
- জাতিকে কাঁদিয়ে হাদির বিদায়
- আজকাল ৯০১
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
- ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন’
- হাদির মৃত্যুতে শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
- হাদি ছিলেন বিপ্লবী রক্তে উজ্জীবিত প্রতিবাদের এক আইকন
- অস্ত্রোপচার শেষে মারা যান ওসমান হাদি: ডা. আহাদ
- ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু
- সারাদেশে সব ভোটকেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা
- কাদের-আরাফাতসহ ৭ নেতার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল
- সৌদি আরবে ভূমিকম্প
- শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন
- রেকর্ড গড়ে আইপিএলে দল পেলেন মোস্তাফিজ
- ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি ‘যেকোনো সময়ের চেয়ে কাছাকাছি’:ট্রাম্প
- হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত ৩ অস্ত্র উদ্ধার, শুটার ফয়সালের বাবা
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকের আজকাল ৮৭৩
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- ট্রাম্পের চাপে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা অ্যাপলের
- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- মৃতের আত্মা কখনও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসে না
- কেমন হবে হাশরের ময়দান
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পথ চলার আদব!
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
