হোমকেয়ার নিয়ে গভর্নর ও পিপিএল’র অনিয়মে তদন্ত
আজকাল রিপোর্ট -
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিউইয়র্ক স্টেটের অন্যতম বৃহৎ ১১ বিলিয়ন ডলারের হোম কেয়ার প্রোগ্রাম সিডিপ্যাপ এখন প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের কাঠগড়ায় । যাতে জড়িয়ে পড়ছে পাবলিক পার্টনারশিপ, এলএলসি (পিপিএল) নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ কোম্পানি মূলত ভোক্তাদের জন্য হোম কেয়ার কর্মীদের পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত হয়। নিউইয়র্কের সকল হোম কেয়ার ব্যবসায়ির ব্যবসা স্থগিত করিয়ে পিপিএলকে এককভাবে ব্যবসার লাইসেন্স দেয়া হয়। এতে গভর্নর ক্যাথি হোকুলের প্রশাসন দরপত্র প্রক্রিয়াকে নিবর্হিভূতভাবে প্রভাবিত করেছে কি না, সেই প্রশ্নে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আলবেনি। নতুন প্রমাণ ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির স্বীকারোক্তি ইঙ্গিত করছে যে চুক্তির আড়ালে হয়তো বড় কোনো কারসাজি ছিল। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বেতন ও সেবায় জটিলতায় পড়ে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হয়েছে, যা ক্ষোভকে আরো উসকে দিয়েছে। স্টেট সিনেটের উভয় দলের নেতারাই এখন সরব হয়ে স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করছেন আর প্রতিদিনই চাপ বাড়ছে হোকুল প্রশাসনের ওপর।
সম্প্রতি স্টেট সিনেট কমিটির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্যাটি বার্নস স্বীকার করেন, তিনি আগে শপথের অধীন মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি আগে বলেছিলেন, বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার আগে নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ হয়নি। অথচ নতুন প্রমাণের মুখে তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, আসলেই দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলেছিল।
রিপাবলিকান সিনেটর স্টিভেন রোডস (নাসাউ) এক বিবৃতিতে বলেন, এখানে কিছু একটা গন্ধ আছে। আমাদের জানতে হবে এ চুক্তির সময় কী ধরনের যোগাযোগ হয়েছে, কারা এতে জড়িত ছিল, এ যোগাযোগ কি দরপত্রের ভাষা ও বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলেছে? এবং যদি তা-ই হয়, তাহলে হোচুল প্রশাসন বা তার রাজনৈতিক দাতাদের কেউ উপকৃত হয়েছে কি না-সেটিও খুঁজে বের করতে হবে। নিউইয়র্কের জনগণ এর উত্তর পাওয়ার যোগ্য।
সিনেটর রোডসের বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবেই নয়, বরং ক্ষুব্ধ পরিবারগুলোর অনুভূতির প্রতিধ্বনি। কারণ এ বিতর্কিত রূপান্তর প্রক্রিয়ার ফলে লাখো হোম কেয়ার সহায়ক ও তাদের সেবাগ্রহণকারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বহু মানুষ সময়মতো বেতন পাননি, আবার অনেক রোগী ও পরিবার প্রশাসনিক জটিলতায় পড়েছেন।
পিএপিএল কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্যাটি বার্নস স্টেট সিনেটকে দেওয়া তার চিঠিতে লিখেছেন, আমার সাক্ষ্যের সময় আমি অবগত ছিলাম না যে, মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের শুরুতে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের সঙ্গে কিছু সাধারণ যোগাযোগ হয়েছিল। যখন রাজ্য একক ফিসক্যাল ইন্টারমিডিয়ারি প্রোগ্রামে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছিল, তখনই এসব যোগাযোগ হয়েছিল। এ বক্তব্য পুরো চিত্রটাই পাল্টে দিয়েছে। কারণ, যদি আগে থেকেই আলোচনা হয়ে থাকে, তবে নিরপেক্ষ দরপত্র প্রক্রিয়ার ওপর প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ডেমোক্র্যাট সিনেটর জিম স্কোফিস (অরেঞ্জ), যিনি সিনেট ইনভেস্টিগেশন কমিটির চেয়ার, তিনি বলেন, এ সাক্ষ্য, এর সংশোধন এবং এখনকার নতুন মন্তব্য কেবল আরো বেশি প্রশ্ন তৈরি করছে। আমরা নিশ্চয়ই এর ফলোআপ করবো। তার সঙ্গে ছিলেন সিনেট স্বাস্থ্য কমিটির চেয়ার গুস্তাভো রিভেরা (ব্রঙ্কস)। দুজনই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, এ বিতর্কিত প্রক্রিয়া তারা ছেড়ে দেবেন না।
গত মাসে অনুষ্ঠিত শুনানিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনার জিম ম্যাকডোনাল্ডও শপথের অধীনে বলেছিলেন, তিনি বা তার দফতর দরপত্র প্রক্রিয়ার আগে পিএপিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ম্যাকডোনাল্ড বলেন, নিউইয়র্ক বড় একটি রাজ্য। এখানে অনেক কিছুই শোনা যায়। তবে আমার টিম সৎভাবে দরপত্র প্রক্রিয়া চালিয়েছে, সৎভাবে মূল্যায়ন করেছে এবং ভালো কাজ করেছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু এখন যখন প্রমাণ উঠে আসছে যে, তার দফতরের কর্মীরা আসলেই পিএপিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তখন কমিশনারের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন আরো তীব্র হচ্ছে।
গভর্নর হোচুলের দফতর এখনো সরাসরি অস্বীকার করেনি যে বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার আগে কোম্পানির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছিল কি না। তবে পূর্বে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, একক ফিসক্যাল ইন্টারমিডিয়ারি ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রক্রিয়াটি আইন অনুযায়ী স্বাস্থ্য দফতর পরিচালিত একটি মানসম্মত দরপত্র প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হয়েছে। কোনো কর্মকর্তা জানতেন না কে নির্বাচিত হবে, যতক্ষণ না প্রক্রিয়া শেষ হয়।
এ প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার কারণে হোম কেয়ার প্রোগ্রামের ওপর নির্ভরশীল হাজারো পরিবার মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। কনজ্যুমার ডিরেক্টেড পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (সিডিপ্যাপ) নামের এ কর্মসূচি নিউইয়র্কে দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর। এখানে রোগী বা প্রতিবন্ধীরা নিজেরাই কেয়ারগিভার নির্বাচন করতে পারেন এবং সরকারি তহবিল থেকে তাদের বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন করে পুরো প্রক্রিয়া পিএপিএলের হাতে যাওয়ার ফলে হাজার হাজার কেয়ারগিভারের বেতন আটকে গেছে। পরিবারগুলো একদিকে সেবার সংকটে, অন্যদিকে আর্থিক ধাক্কায় পড়েছে। প্রতিবন্ধী সন্তান বা বয়স্ক পিতামাতার যত্ন নেওয়া অনেক পরিবার এখন দিশেহারা।
বিতর্কিত এ চুক্তি নিয়ে রিপাবলিকানদের পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদেরও চাপ বাড়ছে হোকুল প্রশাসনের ওপর। রিপাবলিকানরা স্পষ্টতই এটিকে দুর্নীতির উদাহরণ হিসেবে দেখাতে চাইছে আর ডেমোক্র্যাটরা স্বচ্ছতার দাবি তুলছেন। ফলে গভর্নর হোকুলের রাজনৈতিক অবস্থানও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। যেহেতু বিষয়টি ১১ বিলিয়ন ডলারের মতো বিশাল এক প্রোগ্রাম সম্পর্কিত, তাই এর রাজনৈতিক অভিঘাত আরো গভীর হতে পারে। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে এটি যদি প্রশাসনিক দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির উদাহরণ হিসেবে প্রমাণিত হয়, তবে হোকুলের জন্য তা হবে একটি বড় সংকট।

- নিউইয়র্ক ফ্যাশন হাউজের গ্রান্ড ওপেনিং ১৫ সেপ্টেম্বর
- শাহ নেওয়াজ গ্রুপে নতুন মুখ
- ৯/১১ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ
- নিউইয়র্কে সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- গোল্ডেন এজ হোমকেয়ারের উদ্যোগে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ অনুষ্ঠিত
- জামাইকা মুসলিম সেন্টারের ফান্ড রেইজিংঃ ৪ লাখ ডলার সংগৃহিত
- আতিফ আসলাম শো’তে হাজার হাজার শ্রোতার ভীড়
- নারায়নগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শামীম ও সম্পাদক পিন্টু
- বাংলাদেশ সোসাইটির সুবর্ণ জয়ন্তী ২ নভেম্বর
- নেপালের আগুনের স্ফুলিঙ্গ ভারতে ছড়াতে পারে!
- কমিউনিটিতে সৌহার্দ্যরে সুবাতাস!
- জাকসু নির্বাচন:ছাত্রদলসহ পাঁচ প্যানেলের বর্জন
- হোমকেয়ার নিয়ে গভর্নর ও পিপিএল’র অনিয়মে তদন্ত
- ডাকসু ইলেকশন মেটিকুলাসলি ডিজাইন্ড!
- ড.ইঊনূসের আগমনে যুক্তরাষ্ট্র আঃলীগের প্রতিরোধ সমাবেশ ঘোষণা
- জরিপে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে
মামদানির সমর্থনে বাংলাদেশিদের সমাবেশ - ডাকসু নির্বাচন বিএনপির জন্য সতর্কবার্তা
- আজকাল ৮৮৭
- নাইন ইলেভেনের নগরীতে মেয়র হবেন মুসলিম?
- ফোন ছাড়া নামাজ পড়তে যাওয়ায় বেঁচে গেছেন হামাস নেতারা: রিপোর্ট
- ট্রাম্পের মিত্র চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা
- পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাছিরের মামলা চলতে বাঁধা নেই
- ফ্রান্সজুড়ে ব্লকেডে ব্যাপক ধরপাকড়, গ্রেফতার ৬৭৫
- ছিটকে গিয়েও সর্বোচ্চ ধনীর খেতাব ফিরে পেলেন ইলন মাস্ক
- ডাকসুতে শিবিরের জয় ভারতের জন্য উদ্বেগজনক : শশী থারুর
- হংকংকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের
- নির্বাচন ও বিচারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হলো জুলাই সনদ
- কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা বরখাস্ত
- আন্দোলন ‘হাইজ্যাক’ হওয়ার অভিযোগ নেপালের জেন-জির
- এবার ফ্রান্সে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে তরুণদের সংঘর্ষ
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- ‘আজকাল’- ৮৫৯
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- টক দই খেলে কী উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২

- সহযোগিতা চাইলেন নারায়ণগঞ্জের ডিসি ও এসপি
- নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- রফিকুল ইসলাম বন্দর থানার নতুন ওসি
- জঙ্গিদে প্রার্থী বানিয়েছে বিএনপি : শামীম ওসমান
- শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপে ৫ বছর পর বিদ্যুৎ পেল অর্ধশত পরিবার
- রূপগঞ্জে ছাদ ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
- নৌকায় ভোট দিন উন্নায়ন পাবেন : এমপি বাবু
- নারায়ণগঞ্জে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ৭
- সংবর্ধনায় অনুপস্থিত এডামস
হোকুলের প্রশংসায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন - নিউইয়র্ক সিটিতে ফিরে আসছে আশ্রয়প্রার্থীরা
- নারায়ণগঞ্জে ২০ মামলার আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত
- নিউইয়র্কের বাজারে বাংলাদেশের মিষ্টি
- শুক্রবার যেসব সড়কে বন্ধ থাকবে যানচলাচল
- নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনে জয় পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর
- গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ