রাজনীতিতে সংঘাত আর সহিংসতার শঙ্কা
প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২২
বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি সমাবেশ
ঢাকা অফিস
বিএনপি তাদের সমাবেশগুলোতে যতটা লোকসমাগম ঘটাচ্ছে, আওয়ামী লীগ তাদের সমাবেশগুলোতে তার চেয়েও বেশি জনসমাগম ঘটানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপির সমাবেশ ও পাল্টা সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংঘাত আর সহিংসতার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপি একাধিক সমাবেশ করার পর আওয়ামী লীগও ঢাকায় সমাবেশ করেছে। বিএনপি তাদের সমাবেশেগুলোতে যতটা লোকসমাগম ঘটাচ্ছে, আওয়ামী লীগ তাদের সমাবেশগুলোতে তার চেয়েও বেশি জনসমাগম ঘটানোর চেষ্টা করছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে বিএনপি ঢাকায় এবং আওয়ামী লীগ চট্টগ্রামে বড় ধরনের সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে দলগুলো কী অর্জন করতে চায়?
বিএনপি ২০১৪ সালের একতরফা সাধারণ নির্বাচনের আগে এবং পরে রাস্তায় আন্দোলন করলেও এরপর থেকে দলটি রাজপথে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। দলটি ২০১৮ সালের বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচনের পরেও রাস্তায় কোন আন্দোলন করেনি। দলের মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা মনে করেন, আগামী নির্বাচন তাদের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য রাস্তায় আন্দোলনের কোন বিকল্প দেখছে না বিএনপি। দলের বিভিন্ন সূত্র বলছে, রাস্তায় আন্দোলন চাঙ্গা করার জন্য বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশগুলো তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দলটি মনে করছে, সমাবেশের মাধ্যমে লোকসমাগম ঘটনো গেলে সেটি সরকারের উপর একটি মনস্তাত্বিক চাপ তৈরি করবে। তাছাড়া এখনকার সময়টিও গুরত্বপূর্ণ। দ্রব্যমূল্য এবং জ্বালানি তেলের ব্যাপক উর্ধ্বগতি এবং ডলার সংকটের কারণে সরকার কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছে। এজন্য রাস্তায় আন্দোলন শুরু করার জন্য এটি মোক্ষম সময় মনে করছে বিএনপি। বিএনপির নেতারা মনে করেন, এখন সমাবেশের মাধ্যমে রাস্তায় না নামলে পরিস্থিতি পরবর্তীতে ‘হাতছাড়া’ হয়ে যেতে পারে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, “ আমরা জণগণের দাবি নিয়ে সামনে এসেছি। মানুষের জীবনে এখন হাহাকার। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ।” তিনি বলেন বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মাধ্যমে বিএনপির উদ্দেশ্য দল গোছানো এবং মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্বাচন আসছে ১৪-১৫ মাস পরে। সুতরাং এটা তার আগে একটা ‘গা ঝাড়া দিয়ে ওঠা এবং প্রতিপক্ষকে জানান দেয়া যে তারা মোটামুটি শক্তিশালী'। সেজন্য জনসমাবেশে তারা অনেক লোকজন নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। “এখন তারা বুঝতে পারছে যে নির্বাচন যেহেতু ঘনিয়ে আসছে সেজন্য তাদের শক্তিটা জানান দেয়া দরকার। এতোদিন তো ধরে নেয়া হতো যে বিএনপি মনে হয় পথে বসে গেছে, দলটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। সে অবস্থায় তারা দেখাচ্ছে যে তাদের শক্তি এখনো শেষ হয়ে যায়নি,” বলেন মি. আহমদ।
বিএনপির সমাবেশগুলোর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে আওয়ামী লীগও বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করছে। এসব সমাবেশের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরাও দেখিয়ে দিতে চায় যে তাদের জনসমর্থন কম নেই। গত ২৯শে অক্টোবর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। দলটি এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে ডিসেম্বরের চার তারিখে তারা চট্টগ্রামে সমাবেশ করবে যেখানে দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। ঢাকার সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চট্টগ্রাম সমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ হবে। আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, সমাবেশগুলোতে ব্যাপক লোক সমাগম ঘটানো তাদের টার্গেট। দলটি মনে করছে, বিএনপির কর্মসূচির সময়ে তারা যদি মাঠে না থাকে, তাহলে রাজনৈতিকভাবে অসুবিধায় পড়তে পারে দলটি। সেজন্য বিএনপির সাথে সাথে আওয়ামী লীগও নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সমাবেশগুলোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগও চায় তাদের জনসমর্থন দেখাতে। “আমরা নিরব থাকলে মানুষ মনে করবে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন নেই। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে। মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা আছে,” বলেন কৃষিমন্ত্রী মি. রাজ্জাক।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক লোকসমাগম ঘটিয়ে জনসভা করার রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সমাবেশে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি ভোটের রাজনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব তৈরি করে। “সমাবেশ একটা মেসেজ (বার্তা) দেয়। এগুলোকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই,” বলেন ড. রাজ্জাক। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠির মধ্যে একটা বড় অংশ এখনও গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল নয়। রাজনৈতিক দলগুলো জনসমাবেশে যেসব বক্তব্য দেয় সেগুলো মানুষের উপর প্রভাব ফেলে।
আওয়ামী লীগ মনে করছে, তারা যদি রাস্তায় সক্রিয় না থাকে তাহলে বিএনপি সেটির সুযোগ নিয়ে দেশে ‘অস্থিরতা’ তৈরি করতে পারে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি অংশ বলে মনে করেন বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ। “প্রতিপক্ষের চেয়ে আমার শক্তি বেশি এটা দেখানো। রাজপথে নিজেকে যত বড় করে দেখানো যায় সেটার একটা মূল্য আছে বলে অনেকে মনে করেন। “রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে রাজপথে শক্তির মহড়া দিলে নিজেকে মাঠে দৃশ্যমান রাখা যায়। এটা এক অদ্ভূত সংস্কৃতি আমাদের দেশে,” বলেন মি. আহমদ।
- হোয়াইট হাউজে ইলন মাস্ককে নৈশভোজের আমন্ত্রণ করলেন ট্রাম্প
- মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত ট্রাম্পের
- যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ
- ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে পিএ নেতাদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা উচিত
- যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ সৌদি আরব
- সৌদির কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দিচ্ছেন ট্রাম্প
- যে কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটে বিপর্যয়
- আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম, বুধবার থেকে কার্যকর
- রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
- একদিন আগেই দিল্লি পৌঁছালেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
- রাজধানীতে গাড়িতে আগুন
- ২২ বছর পর ভারতকে হারালো বাংলাদেশ
- তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
- হাসিনার রায়ের খবর বিশ্ব মিডিয়ায়
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ট্রাইব্যুনালে
- মার্কিন এফ-৩৫ পেতে সৌদির ওপর ইসরায়েল নিয়ে কঠিন শর্ত
- শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- বাসে আগুন ও ককটেল হামলাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
- শিক্ষক আন্দোলনে আহত সেই শিক্ষিকার মৃত্যু
- বেশ কিছু খাদ্যপণ্যে ট্রাম্পের শুল্ক প্রত্যাহার
- উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
- শেখ হাসিনার রায় আজ
- রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
- সরকার সচল হলেও কাটেনি অ্যামেরিকার অর্থনীতির কুয়াশা
- ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
- বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মামলা করব: ট্রাম্প
- ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু
- বিএনপি কোনো মেগা প্রজেক্টের দিকে যাবে না: আমির খসরু
- অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থন পেয়ে আপ্লুত তারেক রহমান
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- এসাইলাম আবেদন ফি হাজার ডলার!
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
