ভাড়া আদায়ে ই-টিকেটিং
রাজধানীর গণপরিবহণে ডিভাইস কারসাজি
প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩
রাজধানীতে গণপরিবহণে নৈরাজ্য ঠেকাতে চালু করা ই-টিকেটিং ডিভাইসেও চলছে ভাড়া কারসাজি।
একই দূরত্বে একেক কোম্পানির বাসে আদায় করা হচ্ছে একেক রকম ভাড়া।
বিআরটিএ’র বেঁধে দেওয়া কিলোমিটার হিসাবে ভাড়ার তালিকার ধারে-কাছেও যাচ্ছেন না পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।
শুধু তাই নয়, সরকারি কোনো ঘোষণা ছাড়াই ডিভাইসের মাধ্যমে মনগড়াভাবে ভাড়া বাড়িয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা।
এই ডিভাইস কারসাজিতে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। যুগান্তরের অনুসন্ধানে হাতেনাতে তার প্রমাণ মেলে।
সোমবার দুপুরে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর বাস স্টপেজ থেকে অছিম পরিবহণের বাসে ওঠেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সোহরাব মিয়া। গন্তব্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। এইটুকু পথ ওঠানামার জন্য সোহরাব মিয়াকে ধরিয়ে দেওয়া হয় কুড়িল বিশ্বরোডের টিকিট। তার কাছ থেকে আদায় করা হয় ৩০ টাকা। ভোক্তভোগী সোহরাব মিয়ার অভিযোগ, তার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তার মতে, কিলোমিটার ধরে ভাড়া নেওয়া হলে এ দূরত্বে ভাড়া হতো ১৫ থেকে ১৬ টাকা। যাত্রীদের হয়রানি ঠেকাতে পরীক্ষামূলকভাবে ই-টিকেটিং চালু করা হয় গত বছরের ১৩ নভেম্বর। প্রথম পর্বে মিরপুর রুটে ৩০টি কোম্পানির ১৬৪৩টি বাসে ই-টিকেটিং চালু করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৬টি কোম্পানির ৭১৭টি বাসে এবং তৃতীয় পর্বে গত ১ মার্চ থেকে আরও ১৩টি পরিবহণ কোম্পানির ৯৪৭টি বাসে ই-টিকেটিংয়ের আওতায় যাত্রী পরিবহণ করা শুরু হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যাত্রীদের কাছ থেকে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ টাকা করে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়। রাজধানীতে যেসব বাস চলাচল করে এগুলো ৩৯ থেকে ৪৫ সিটের। প্রতিটি গাড়িতে সিটের চেয়ে দ্বিগুণ যাত্রী বহন করা হয়। অর্থাৎ গড়ে ৭০-৮০ যাত্রী বহন করা হয়। আর একেকটি গাড়ি প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি ট্রিপ দিয়ে থাকে। গড়ে ৫টি ট্রিপ ধরা হলেও একেকটি গাড়ি ৩৫০ জন যাত্রী বহন করে। যাত্রীদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে হলেও ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়তি হাতিয়ে নেয়। এ হিসাবে ই-টিকেটে চলাচলরত ৩ হাজার ৩০৭টি পরিবহণ প্রতিদিন যাত্রীদের কাছ থেকে ৫৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা বাড়তি হাতিয়ে নেয়। এ বাড়তি আদায়ের অঙ্ক মাসে দাঁড়ায় ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা।
১৩ নভেম্বর ই-টিকেটিং শুরুর পর প্রজাপতি, পরিস্থান, অছিম, রাজধানী, নূরে মক্কা পরিবহণসহ বিভিন্ন বাসে মিরপুর-১০ নম্বর থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হয় ২২ টাকা। কিছুদিন যেতে না যেতেই এ দূরত্বে ভাড়া বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়। ই-টিকেটিং শুরুর ২৫ দিনের মাথায় এ দুরত্বে দ্বিতীয় দফা ভাড়া বাড়ানো হয়। যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৩০ টাকা। যাত্রীদের অভিযোগ ডিভাইসে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, মহানগরী জুড়েই চলছে এমন নৈরাজ্য। মঙ্গলবার আমিনুল ইসলাম সোহেল নামে এক ভুক্তভোগী ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন শেওড়াপাড়া থেকে সেফটি এন্টারপ্রাইটে সায়েন্সল্যাব মোড়ে গিয়েছিলাম ৯ মার্চ। ভাড়া রাখা হয় নিউমার্কেট পর্যন্ত ২৫ টাকা। মিরপুর সুপার লিংক বাসে ফিরেন তিনি। ফেরার পথে ওই বাসে গন্তব্য দেখানো হয় ঢাকেশ্বরী মন্দির। ভাড়া রাখা হয় ২৭ টাকা।
সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরীতে চলাচলরত ৫ হাজার গণপরিবহণের মধ্যে ৩ হাজার ৩০৭টি বাসকে ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। বিভিন্ন রুটে বিআরটিএ’র তালিকায় জনগুরুত্বপূর্ণ যেসব স্টপেজ বাদ ছিল তা যুক্ত করে, ডিভাইস আপডেটের কাজ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ই-টিকেটিং ডিভাইসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। আমরা তদারক সংস্থা বিআরটিএকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কোনো গরজ দেখছি না। তিনি বলেন, মালিক সমিতি ভাড়া নৈরাজ্য কমাতে ই-টিকেটিং চালু করল, অথচ তদারক সংস্থার গাফিলতিতে এমন অনিয়ম চলমান রয়েছে। ই-টিকেটিংয়ের জন্য যে ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে, এ পর্যন্ত বিআরটিএ এসব ডিভাইস সঠিক আছে কি-না তা পরীক্ষা করেও দেখেনি।
এদিকে ই-টিকেটিং শুরুর পর মিরপুর-১২ নম্বর থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত ভাড়া ছিল ১২ টাকা। এই টাকার টিকেট দিলেও যাত্রীদের কাছ থেকে খুচরা টাকা নাই অজুহাতে বাসের কন্ডাক্টররা হাতিয়ে নিতেন ১৫ টাকা। কিছুদিন পর ডিভাইসে এই দূরত্বে ১৫ টাকার টিকিট দেওয়া শুরু হয়। ই-টিকেটিং শুরুর মাস পার হওয়ার আগেই আবারও ভাড়া বাড়ানো হয়। অছিম এবং রাজধানী পরিবহণে মিরপুর-১২ থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত দূরত্বে এখন আদায় করা হচ্ছে ২০ টাকা। আর নূরে মক্কা পরিবহণ ২৫ টাকা। অর্থাৎ নূরে মক্কা পরিবহণে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। আর এ রুটে অন্য পরিবহণের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে অন্তত ৭ টাকা। ভোক্তভোগীরা বলছেন, এভাবে বিভিন্ন রুটে ভাড়ার তালিকা না মেনে ইচ্ছেমতো ডিভাইস কারসাজিতে বাড়তি টাকা আদায় করা হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, ই-টিকেটিংয়ের ডিভাইসে দূরত্ব অনুযায়ী কিলোমিটার উল্লেখ নেই। এই পদ্ধতিতে প্রকৃত কিলোমিটার হিসাবে কয়েক স্টপেজের যাত্রীদের ন্যায্য ভাড়া নিশ্চিত হলেও প্রতিটি রুটে বেশিরভাগ যাত্রীকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, যাত্রীদের কাছ থেকে বাসের কন্ডাক্টররা নির্দিষ্ট গন্তব্যের বাইরে ন্যূনতম ২-৩ স্টপেজ দূরত্বের বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সঙ্গে এমন প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হতে যুগান্তরের পক্ষ থেকে গত দুদিন দুজন যাত্রীকে অনুসরণ করা হয়। গত রোববার রাত পৌনে ৯টায় কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বসুমতি পরিবহণের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭১০৮) ওঠেন শামীম হোসেন। তার গন্তব্য মিরপুর মাজার রোড। বাসের কন্ডাক্টর শামীম হোসেনের কাছ থেকে ৪০ টাকা ভাড়া নিলেন। তাকে যে টিকেট দিলেন তাতে যাত্রার স্থান খিলক্ষেত এবং গন্তব্য উল্লেখ করা হয় গাবতলী। শামীম হোসেন যাত্রা এবং গন্তব্যের সঠিক স্থান উল্লেখ করে টিকেট চাইলে কন্ডাক্টর বলেন, ডিভাইসে যেভাবে উল্লেখ আছে, আমরা সেভাবেই ভাড়া নিচ্ছি। ডিভাইসে খিলক্ষেতের পর ইসিবি অপশন আছে। অথচ এই দুই স্টপেজের মধ্যবর্তী কুড়িল বিশ্বরোড, শেওড়া, কুর্মিটোলা, মাটিকাটা এলাকায় হরদম বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। এসব স্টপেজ থেকে ওঠা যাত্রীদেরকে ভাড়া গুনতে হয় খিলক্ষেত থেকে। অন্যদিকে মিরপুর-১ নম্বরের পর থেকে গাবতলী স্টপেজের আগ পর্যন্ত বাস থামে চাইনিজ, বাঙলা কলেজ, টেকনিক্যাল এবং মাজার রুট এলাকায়। কেউ এসব স্টপেজে নামলেও ভাড়া গুনতে হয় গাবতলীরই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অছিম পরিবহণের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বুধবার যুগান্তরকে বলেন, পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে শুরুতে ডিভাইসে উল্লেখ করা ভাড়ায় অনেক ভুল ছিল। পর্যায়ক্রমে আমরা তা সংশোধন করছি। তিনি জানান, বসুমতি, ইতিহাস, ঠিকানাসহ ৭টি পরিবহণের দেখভাল নিজেই করেন।
ডিভাইস ব্যবহার করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ডিভাইসগুলো কিনে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিটি ডিভাইসের দাম ২৬ হাজার টাকা। যে কারণে ‘যাত্রী’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ওই ডিভাইস আমরা ১.৫ পার্সেন্ট কমিশনে ভাড়ায় চালাচ্ছি। তিনি বলেন, বিআরটিএ’র অনুমোদন করা নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা মালিক সমিতিরকে দেওয়া হলেই যাত্রী ডিভাইসগুলো আপডেট করে দেয়।
গত সোমবার দুপুরে অনুসরণ করা হয় জয়নাল আবেদিন নামে এক যাত্রীকে। তিনি মিরপুর-১২ নম্বর থেকে নূরে মক্কা পরিবহণের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯৭৪৩) ওঠেন। গন্তব্য যমুনা ফিউচার পার্ক। কন্ডাক্টর তার কাছ থেকে ২৫ টাকা ভাড়া নেন। এ দূরত্বে অছিম পরিবহণ ও রাজধানী পরিবহণের বাসগুলো ২০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে, আপনারা ২৫ টাকা নেবেন কেন? ওই যাত্রীর এমন প্রশ্নের জবাবে নূরে মক্কার কন্ডাক্টর মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, টিকিটে অভিযোগ করার নম্বর আছে। আপনার অভিযোগ থাকলে ফোন করে তাদের জানান। তাৎক্ষণিক টিকেটে থাকা তিনটি নম্বরে ফোন করা হয়। কিন্তু নম্বর তিনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় বাসের এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাস মালিকদের ডিভাইস কারসাজির কারণে পকেট কাটা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।
অন্য পরিবহণের চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে নূরে মক্কা পরিবহণের জেনারেল ম্যানেজার মো. মোস্তফা কামাল বুধবার যুগান্তরকে বলেন, আমাদের গাড়ি চলত পূরবী থেকে কালশী রোড দিয়ে। পরে যখন মিরপুর-১২ নম্বর হয়ে চলাচল শুরু করল তখন আমরা বিআরটিএতে চিঠি দেই। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে তারা এ রুটের ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়াই আদায় করছি। ডিভাইস কারসাজি করছি না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অছিম, রাজধানী যে রুটে চলছে সেই রুটে ৬০টির বেশি স্থানে ভাড়ার অসংগতি রয়েছে। আর নূরে মক্কা পরিবহণেরও রয়েছে ৪০টির বেশি স্থানে অসংগতি। ভোক্তভোগীদের দাবি, মিরপুর-১ নম্বর থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত রুটে এ তিনটি পরিবহণের স্টপেজ ও ভাড়া সমন্বয় করে দিলে যাত্রীদের ভোগান্তি কম হবে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকায়, বিভিন্ন রুটে গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্টপেজের নাম উল্লেখ নেই। অথচ ওইসব স্টপেজে হরদম বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হচ্ছে। বিআরটিএর এ-৩২০ নং রুটের (মিরপুর চিড়িয়াখানা হতে যাত্রাবাড়ী) ভাড়ার চার্টে দেখা গেছে মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে মো. জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার পর্যন্ত ৮টি স্টপেজের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ সরেজমিন দেখা গেছে, এ দূরত্বে ১০টি স্টপেজে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। মো. জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের পর উল্লেখ করা হয়েছে কুড়িল ফ্লাইওভার স্টপেজ। মাঝে আরও ২টি স্টপেজে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। এদিকে কুড়িল ফ্লাইওভার স্টপেজের পর নতুনবাজার স্টপেজ উল্লেখ করা হলেও মাঝে অন্তত ৩টি স্টপেজের নাম উল্লেখ নেই। বিআরটিএর তালিকায় প্রতিটি রুটে এভাবে গ্যাপ দিয়ে স্টপেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত এ সুযোগেই পরিবহণের সংশ্লিষ্টরা যাত্রী যে স্টপেজ থেকে বাসে উঠছেন সেখান থেকে ভাড়া না কেটে এবং যেখানে নামবেন সেই স্টপেজের পরের স্টপেজের টিকিট দিয়ে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করার কোনো জায়গা নেই তাদের।
ডিভাইস কারসাজি ও টিকিট প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বুধবার যুগান্তরকে বলেন, আপডেট ডিভাইসে কিলোমিটার উল্লেখ করেই টিকেট দেওয়া হবে। খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা পরিবহণ সেক্টরকে শৃঙ্খলায় আনতে কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে ৭০ ভাগ পরিবহণকে ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। তবে এসব পরিবহণেও যেসব বিশৃঙ্খলা আছে, তা নিরসনের চেষ্টা চলমান রয়েছে। আগে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্টপেজ বিআরটিএ’র ভাড়ার তালিকায় ছিল না। নতুন জরিপের মাধ্যমে এসব স্টপেজ যুক্ত করার কাজ চলছে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি-(বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, এসব বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো যাত্রী তো অভিযোগ করে না। অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। তিনি জানান, ঢাকায় বিআরটিএ’র তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। তিনি যাত্রীদেরকে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ডিভাইসে টিকেট দিলেও বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে আপনারা ভাড়া দেবেন না।’
- নজিরবিহীন আয়োজনে বাঙালির ঢল
- প্রসঙ্গ: বাংলাদেশের উন্নয়ন
লজ্জায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী - আবারও দু’দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন!
- বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের অস্বস্তি
- লক্ষাধিক কবর নিয়ে চালু হলো ‘বাংলাদেশ সেমিট্রি’
- নিউইয়র্ক সিটিতে নতুন নিয়ম সর্বোচ্চ গতিসীমা ২০ মাইল
- কলাম্বিয়া থেকে বহিষ্কৃত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নূহা
- মার্কিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল
- এই সংখা ৮১৫
- চীন সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যা বললেন শি জিনপিং
- ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট
- নিউইয়র্কে শেষ হলো সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসব
- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে টিআইবির উদ্বেগ
- ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র জমা দেবে হামাস
- ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুমকি
- কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি ২০ বিসিএস পরীক্ষার্থী, কাঁদলেন হাউমাউ করে
- ফ্লাইং কারের প্রথম যাত্রী ফরাসি সংগীতের কিংবদন্তি
- ফ্লাইং কারের প্রথম যাত্রী ফরাসি সংগীতের কিংবদন্তি
- ‘বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে’
- যুক্তরাষ্ট্র না থাকলে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে কে, প্রশ্ন বাইডেনের
- যুক্তরাষ্ট্র না থাকলে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে কে, প্রশ্ন বাইডেনের
- গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
- নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ন্যান্সি পেলোসি
- রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ
- ফের ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
- যুক্তরাষ্ট্র কোন চোখে দেখে বাংলাদেশকে, জানাল মার্কিন কর্মকর্তা
- বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেনজীর আহমেদের সম্পদের তথ্য চাইল দুদক
- কুরবানির আগেই ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা যাবে: রাষ্ট্রদূত
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করল সৌদি আরব
- একসঙ্গে চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা
- নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- কমিউনিটির স্বার্থে দুই তরুণের উদ্ভাবিত প্লাটফর্ম ‘লিস্টুলেট ডট কম
- প্লট হস্তান্তর ও নামজারিতে অনিয়ম, গৃহায়নে দুদকের অভিযান
- নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
- মোবাইল বিক্রির টাকা পরিশোধের দ্বন্দ্বে পিয়াস হত্যা
- কাতারে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বাংলাদেশি নিহত
- ১৫৩৭ কোটি টাকায় বিক্রি হলো পিকাসোর চিত্রকর্ম
- ডেঙ্গুতে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৫৯
- আবেদন পর্যালোচনা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই থাকতে হচ্ছে ঝাও’কে
- শারদীয় উৎসবে ষষ্ঠী
আজ দেবী দুর্গার আরাধনা - ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
- নিউইয়র্কে ৭৮ শতাংশ নাগরিকের অসন্তোষ
- ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নিষেধাজ্ঞা’র রাজনৈতিক অর্থনীতি
- দেশে আয় পাঠাতে প্রবাসীদের জন্য দারুণ সুযোগ
- সাদা না বাদামি ডিম, কোনটা বেশি পুষ্টিকর?
- দেশ নিয়ে গাইলেন আগুন
- প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়
- ইসরায়েলের হামলায় ১৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত
- ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে সৌদিতে নিহত দুই বাংলাদেশির পরিবার
- বিশেষ সম্পাদকীয়
শুভ যাত্রাপথে ধরণীর আহ্বান
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারে সফরসঙ্গী রিয়াজ-ফেরদৌস
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?