সাধ্যের বাইরে উপহার কেনা নয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০১৯
উপহার দেওয়া সামাজিকতারই অংশ। যেকোনো উৎসবে, যেকোনো আয়োজনে উপহার কেনা হয়। অনেক সময় নিজের অবস্থান বোঝাতে প্রতিযোগিতায় নেমে যান অনেকেই। সাধ্যের বাইরে গিয়েও কেনেন দামি উপহার, যার চাপ সইতে হয় পরে। উপহারে আন্তরিকতা ও ভালোবাসার প্রকাশটাই আসল।
ঈদের এখনো মাসখানেক বাকি। পরে ঝামেলা এড়াতে এখনই শুরু হয়ে গেছে কেনাকাটা। এই ঈদে পরিবার, আত্মীয় ও কাছের মানুষের জন্য উপহার কেনার চল আছে। আবার বিয়ে, জন্মদিনসহ নানা উৎসবে উপহার দেওয়া তো হয়ই। তবে আমাদের দেশে বিষয়টা একধরনের সামাজিক বাধ্যবাধকতা বলা চলে। যিনি আমন্ত্রিত তিনি ভাবেন, মানসম্মত উপহার ছাড়া সেখানে যাওয়া যাবে না। ভালো কিছু না নিলে আত্মীয়স্বজনের কাছে মুখ থাকবে না। আবার যাঁরা আমন্ত্রণ দিলেন, তাঁরাও আশা করেন অতিথি ভরা হাতেই আসবেন। এই দুই চাপ ও প্রত্যাশায় অনেক সময়ই আয় বুঝে আর ব্যয়টা করতে পারেন না উপহারদাতা। প্রত্যাশার চাপটাই হয়তো নিয়ে নেন। পরে নিজেই পড়েন চাপে।
সুমা আর রাতুলের (ছদ্মনাম) টোনাটুনির সংসার। রাতুলের আয়ে ভালোই চলে যায় দুজনের। তবে এই সুখের সংসারে টানাপোড়েন শুরু হয় সুমার খালাতো বোনের বিয়েকে কেন্দ্র করে। সুমার ইচ্ছে, বোনকে সোনার হার ও দুল কিনে দেওয়ার। না হলে বাপের বাড়িতে তাঁর মান থাকবে না। তিনি নিজেই ভেবে নেন স্বামীর যেমন চাকরিতে অনেক মান-সম্মান, তেমনি বেতনও ঢের বেশি। অথচ রাতুলের সে সংগতি নেই। আবার বউকে বোঝাতেও পারেন না তিনি। শেষে সংসারে শান্তি ধরে রাখতে ধারদেনা করেই উপহার কেনেন। এর জেরে বেশ কিছুদিন হাত চেপে চলতে হয় রাতুলকে।
উপহার এখন যেন নতুন রূপ নিয়েছে। আজকাল অনেক পরিবারেই উপহার হিসেবে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণটা হয় সামর্থ্যের বাইরে। রায়হান রশিদ (ছদ্মনাম) শিক্ষকতা করে বেতন পান হাজার তিরিশেক। কোনোমতে টানাটানি করে তিনজনের সংসার চালান তিনি। বাড়িতেও টাকা পাঠাতে হয়। এর মধ্যে ভাইয়ের বিয়েতে তাঁকে দিতে হলো এক লাখ টাকা। জাঁকজমক করে অনুষ্ঠান করতে এই উপহার তাঁর বাবাই দাবি করেন তাঁর কাছে।
মানুষ খুশি হয়ে, ভালোবেসে যদি কাউকে কিছু দেয়, সেটা হয় উপহার। কিন্তু উপহার যখন দায়ে পড়ে দিতে হয়, তখন খুশি উবে যায়, ভর করে রাজ্যের বিরক্তি। মান রক্ষা করতে সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বাজেট করলে সেই বাড়তি বোঝা তো উপহারদাতাকেই বহন করতে হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায়, আমন্ত্রণকারী আশা করেন দামি উপহার পাওয়ার। আর এই প্রত্যাশার চাপ পড়ে অতিথির ওপরই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী রাজিন সালেহ বলেন, ‘প্রতি মাসেই কোনো না কোনো অনুষ্ঠান থাকে। উপহারের ওপর নিজের নাম লেখা থাকে আবার অনুষ্ঠানেও আলাদা টেবিল রাখা হয় উপহার নেওয়ার জন্য। অনেক বাড়িতেই অনুষ্ঠান শেষে সবাই মিলে উপহার খোলেন। কার সামর্থ্য কেমন আর কে কী দিল?—এ নিয়ে চলে আলোচনা–সমালোচনা। উপহার কেনার সময় এগুলোই মাথায় ঘুরপাক খায়। বড় অঙ্কের বাজেট ধরেই উপহার কিনি। পরে এর চাপ গিয়ে পড়ে মাসের বাসাভাড়া, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যয়ে। কষ্ট হলেও সামাজিকতা রক্ষা করতে হয়। উপায় কী?’
তবে এর ব্যতিক্রম যে হয় না, তা নয়। অনেকেই অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্রে উপহার না আনার কথা নির্দিষ্ট করে দেন। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, অতিথিকে কেবল আপ্যায়িতই করতে চাই।
সাধ্যের মধ্যেই দেওয়া যায় উপহার, প্রতিযোগিতায় নেমে চাপ নেওয়ার কি দরকার!
সাধ্যের মধ্যেই দেওয়া যায় উপহার, প্রতিযোগিতায় নেমে চাপ নেওয়ার কি দরকার!
দোয়া-আশীর্বাদের বদলে উপহার এখন অনেকটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। অনেকেই হিসাব করেন খরচ কত হলো আর উপহার উঠল কত টাকার। অনেকেই আবার অনুষ্ঠানের খাবারের তালিকা জানিয়ে দেন। যেন বুঝেশুনে উপহার নিয়ে আসেন অতিথি। অনেক পরিবারে তালিকা করে বলে দেওয়া হয় কাকে কী দিতে হবে। সামর্থ্য না থাকলেও আপত্তি করার উপায় থাকে না উপহারদাতার। আবার দামি উপহার দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই অনুষ্ঠানেই যান না অনেকে। একজন জানালেন, বন্ধুর বোনের বিয়েতে ‘গ্লাস সেট’ উপহার দিয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁর এক অনুষ্ঠানে ওই বন্ধু ওই ‘গ্লাস সেট’ নিয়েই হাজির হন। এমনকি উপহারের ওপর লেখা নামটাও ঠিকমতো কাটেননি তিনি। সামাজিক বিকলাঙ্গ পরিস্থিতির কারণে মনের মধ্যে এই জটিল সমীক্ষার তৈরি হয় বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি আর্থিক সংকটে সাংস্কৃতিক অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। অনেক ক্ষেত্রেই তারা মননশীল জগৎ নিয়ে ভাবে না। প্রদর্শন করার বিষয়টি পেয়ে বসে। যাঁরা উপহার নিচ্ছেন, যাঁরা দিচ্ছেন, দুই পক্ষের মধ্যেই একটা প্রদর্শন করার মনোভাব দেখা যায়। একটা অসুস্থ সামাজিক পরিমণ্ডলে অসুস্থ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ হয়।
উপহার তখনই কাউকে দেওয়া হয়, যখন ওই সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, আত্মার মিল থাকে। দায়ে পড়ে বা বাধ্য হয়ে কিছু দেওয়া হলে তা আর উপহার থাকে না। সবার আগে ঠিক করে নিতে হবে কত টাকার মধ্যে উপহারটি কিনতে চাচ্ছেন। তা কি আপনি আপনার সাধ্যের মধ্যে? এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো উপহার কেনার আগে হিসাব করে বাজেট এবং উপহার দুটিরই সমন্বয় করতে হবে।
মুহাম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, সবাই সবার সামর্থ্য বুঝে উপহার দেবেন। কার জন্য কোন ধরনের জিনিস উপযোগী, সেটা ভেবে দেওয়া যায়। নতুন সংসারের জন্য এক রকম, জন্মদিনে এক রকম, শিশুর জন্য এক রকম। তবে পুরো বিষয়টিই থাকবে সহনশীল পর্যায়ে। ভালোবেসে, কারও মঙ্গল চেয়ে যা দেওয়া হয় তা–ই উপহার, এটাই এর সংজ্ঞা। সামাজিক দৈন্য পেছনে ফেলে নিজের আয় বুঝেই উপহার দিতে হয়।
- যুক্তরাষ্ট্রে নার্সিং হোমে বিস্ফোরণ, নিহত ২
- ওজন কমানোর ওষুধ ‘ওয়েগোভি’কে অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
- ওয়াশিংটনের ‘ভারত প্রথম’ যুগের সমাপ্তি
- যে কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী হারাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন অর্থনীতি
- ভারতের অরুণাচল প্রদেশ চায় চীন
- পাঁচ ইউরোপীয় নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
- বৃহস্পতিবার চলাচলে ঢাকাবাসীকে মানতে হবে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
- মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে প্রাণ গেল পথচারীর
- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ
- দেশের পথে তারেক রহমান
- টেকনাফে আরও ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
- আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে বিএনপি-জামায়াতের ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে
- ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সরকার কাজ করছে’
- আলোচনা থাকলেও আপাতত উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে না
- হাইকমিশনের নিরাপত্তায় দিল্লির আশ্বাসের বাস্তবায়ন চায় ঢাকা
- জমিয়তকে ৪ আসনে ছাড়ের ঘোষণা বিএনপির
- যুক্তরাষ্ট্র উপকূলে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫
- মাদুরোকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, ভেনেজুয়েলাকে সমর্থন চীন-রাশিয়ার
- জি এম কাদেরের জাপা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না
- বেগম জিয়াকে নিয়ে জাইমা রহমানের আবেগঘন স্ট্যাটাস
- ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
- খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় যুবশক্তির নেত্রী আটক
- পরিচিতরাই গুলি করেন এনসিপি নেতা মোতালেবকে, পুলিশের ধারণা
- নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে: মার্কিন বিশেষ দূতকে প্রধান উপদেষ্টা
- বিচার বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে এপস্টেইনের ১৬ ফাইল রাতারাতি উধাও
- পিডি মাসউদুরের নোটে তিন হাজার কোটি টাকা ‘হরিলুট’
- যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে
- নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সরকারের সঙ্গে দলেরও ব্যাপক প্রস্তুতি
- ফিলিস্তিনিসহ ৮ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- আজকের আজকাল ৮৭৩
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- ২০২৬ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল
- বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ১০টি দেশ
- বাসর রাতে ‘সেক্স’, বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়!
- সৌন্দর্যময় স্তন গড়ে তুলতে যেসব বিষয় জেনে রাখা উচিত
- চুমু কত রকম, জানেন?
- ছেলেদের কিছু হেয়ারস্টাইল
- ছেলেদের সাইড ব্যাগ কেন এত উপকারী
- সহধর্মিনীতে সুখ চান; ঘরে তুলুন মোটা মেয়ে!
- যতনে বাঁধিও চুল, খোপায় বাঁধিও ফাল্গুনী ফুল
- রোজায় ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব নিয়ম মানবেন
- যে ৫ উক্তি আপনার জীবন বদলে দেবে
- কেন পছন্দ করবেন খাটো মেয়ে?
- হতাশা রোধ করবেন যেভাবে...
- পুরুষের গোপন সমস্যায় ভায়াগ্রার চেয়েও কার্যকর তরমুজ!
- এটমী`র অথেনটিক পণ্য নিয়ে এল ভেলা কসমেসিউটিক্যালস
- নকশা করা কাঠের আসবাব পরিষ্কারের উপায়
