শর্ত বাস্তবায়ন নিয়ে হবে দরকষাকষি
প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) একটি মিশন রোববার ঢাকায় আসছে। মিশনটি বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় করার বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। এসব বৈঠকে আইএমএফ শর্ত বাস্তবায়নের যুক্তি তুলে ধরবে। সরকারের পক্ষ থেকে শর্ত বাস্তবায়ন নিয়ে আরও দরকষাকষি করা হবে। সরকার এখনোই আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়ন করে জনদুর্ভোগ ও মূল্যস্ফীতির হার আবার বাড়াতে চাচ্ছে না। এসব বিষয়গুলো নিয়ে রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংস্থাটির মিশনের বৈঠক হবে।
সূত্র জানায়, আইএমএফ মিশনের একটি অংশ শনিবার রাতে ঢাকায় এসেছে। মিশন প্রধানসহ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা রোববার সকালের মধ্যেই ঢাকায় আসবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় আজকের বৈঠকে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক চিত্র ও সরকার আগামীতে কোন খাতে কি অর্জন করতে চায়-এসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে চাইবে। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপের বিষয়টিও আলোচনায় আসতে পারে। এ বৈঠকের পর মিশনের সদস্যরা সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।
১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মিশনটি ঢাকায় অবস্থান করবে। মিশনের শেষ বৈঠকটিও হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এটিও ১৭ এপ্রিল সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে হতে পারে। এতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ থাকবেন বলে জানা গেছে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআরের চেয়ারম্যান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা করতে ২০২২ সালের আগস্ট মাসেই সরকার আইএমএফের কাছে ঋণ সহায়তা চায়। আইএমএফের কাছে সংকট মোকাবিলায় ঋণ সহায়তা চাওয়াকে বেলআউট বা পুনরুদ্ধর বলা হয়। আইএমএফ সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর ঋণের বিপরীতে কঠিন শর্ত আরোপ করে। এসব শর্তে সম্মত হয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে একটি ঋণ চুক্তি করে সরকার। চুক্তি স্বাক্ষরের ৩ দিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির অর্থ বাবদ সরকার ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পায় এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তি বাবদ পায় ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে মোট আইএমএফের কাছ থেকে সরকার পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ফলে আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত প্রধান ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের পদত্যাগী গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। এতে শর্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াও ঝুলে যায়। এছাড়া আইএমএফের অনেক শর্ত দেশের স্বার্থবিরোধী ছিল। যেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করতে অনীহা প্রকাশ করে। ফলে আইএমএফের ঋণ চুক্তির শর্ত বাস্তবায়ন এগোচ্ছিল না। তাই আইএমএফ ঋণের অর্থ ছাড় করছে না। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে কথা থাকলেও ছাড় করেনি। পরবর্তী সময়ে সরকার ও আইএমএফের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে জুনে একসঙ্গে দুই কিস্তির অর্থ ছাড় করার কথা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতেই সংস্থাটির মিশন ঢাকায় এসেছে। তবে ঋণের অর্থ ছাড় নির্ভর করছে শর্ত বাস্তবায়নের ওপর। জুনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করবে সফররত মিশনটি। তখন পর্ষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
গত সরকার আইএমএফের বেশকিছু শর্ত বাস্তবায়ন করে গেছে। কিন্তু বর্তমান সরকার অনেক শর্ত বাস্তবায়নে অনীহা প্রকাশ করেছে। এখন সংস্থাটির অন্যতম শর্ত হচ্ছে-ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমানো বা ডলারের দাম আরও বাড়ানো। তাদের মতে বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনায় ডলারের দাম এখনো কম। এর দাম বাড়ালে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়বে। বিনিয়োগও বাড়বে। পাশাপাশি ডলার ধরে রাখার প্রবণতা কমবে। ডলারের দাম বাড়বে এমন প্রত্যাশায় অনেক রপ্তানিকারক, রেমিটরসহ গ্রাহকরা ডলার ধরে রাখছেন। ডলারের দাম বাড়ালে ধরে রাখার প্রবণতা কমে যাবে। এতে বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়বে। বাজার স্বাভাবিক হবে।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ভিন্ন কথা। ডলারের দাম বাড়ালে যেটুকু উপকার পাবে অর্থনীতি, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। কারণ ডলারের দাম বাড়ালে টাকার মান কমে যাবে। এর বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। টাকার মান কমায় ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে। ফলে আমদানি পণ্যের দাম বাড়বে। এতে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতিতে চাপ বাড়বে। এর প্রভাবে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেড়ে যাবে। ফলে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার বাড়বে। পাশাপাশি বৈদেশিক দেনার পরিমাণ বেড়ে যাবে। যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে আরও চাপে ফেলবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন মূল্যস্ফীতির হার কমাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতির হার জুলাইয়ে ছিল সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে কমে ফেব্রুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে।
বর্তমানে দেশ থেকে টাকা পাচার ও হুন্ডির প্রবণতা বন্ধ হওয়ায় বাজারে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। দামও স্থিতিশীল রয়েছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাড়াতে চাচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরা হবে। এছাড়াও খেলাপি ঋণের সংজ্ঞার বাস্তবায়ন পিছিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হবে। চলতি এপ্রিল থেকে খেলাপি ঋণের আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা বাস্তবায়নের কথা।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো আইএমএফের আরও একটি শর্ত। কারণ এখনো এ খাতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। সংস্থাটি ভর্তুকি কমাতে দাম বাড়ানোর শর্ত দিচ্ছে। কিন্তু সরকার পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো সম্ভব নয়। কারণ এর দাম বাড়ালে শিল্পের খরচ বাড়বে। পণ্যের দাম বাড়বে। ফলে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি পাবে। এ কারণে এর দাম বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে এবারের আলোচনায় সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখার বিষয়।
আইএমএফের তৃতীয় অন্যতম শর্ত হচ্ছে কর আদায় বাড়ানো। এ ব্যাপারে সরকার বলছে জনগণের ওপর চাপ বাড়িয়ে কর আদায় বাড়ানো সম্ভব নয়। এজন্য কর বাড়ানো হবে না। তবে যারা কর দেওয়ার যোগ্য তাদের করের আওতায় এনে কর বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আগামী বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

- কিয়েভে সরব ইউরোপ, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ট্রাম্পকে ফোন
- অবৈধ অভিবাসীদের ওপর নজরদারি জোরদার করল ট্রাম্প প্রশাসন
- যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল ভারত ও পাকিস্তান
- ফক্স নিউজের পরিচিত মুখদের দখলে ট্রাম্প প্রশাসন
- নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে:আসিফ
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: শাহবাগে ছাত্র-জনতার উল্লাস
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা
- জ্যামাইকা থিয়েটারের সভাপতি বাবুল ও সেক্রেটারি নাজিয়া জাহান
- ৭ বছরেও কমিটি নেই
নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের স্থবিরতা - নাটকীয়তার পর সেলিনা আইভী গ্রেপ্তার
- সোসাইটি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ
- তুর্কী ছাত্রী রুমেসার ভিসা বাতিল করে ‘আইস’ হেফাজতে
- ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা
বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা! - ড. ইউনূসের বাসভবন ঘিরে শিবির-এনসিপির অবস্থান
- আমেরিকান কারী অ্যাওয়ার্ড হাইজ্যাকের অভিযোগ!
- ভেংগে গেল নিউইয়র্ক বইমেলা
- ভারতে পাকিস্তানের হামলা ৫০ জন নিহত
- আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, আটক অন্তত ৭০
- নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির শপথ গ্রহণ
- গ্রিনকার্ডধারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ সামরিক পদ ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ
- ছোট পোশাক তারাই পরবে যাদের মানায়, সুন্দর লাগবে
- চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
- মধ্যরাতে আইভীর বাসায় অভিযান, অবরুদ্ধ পুলিশ
- পাকিস্তানের হামলার ভয়ে ফের ব্ল্যাকআউট অমৃতসার, মধ্যরাতে বিস্ফোরণ
- `পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে`
- আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল যমুনা
- মিলেছে ফিফার অনুমতি, শমিত এখন বাংলাদেশের
- চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- আজকাল ৮৫০
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে
- বিপিএলে কানাডিয়ান মডেল নিয়োগ দিল চট্টগ্রাম কিংস
- ‘আজকাল’-৮৪৯ সংখ্যা

- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা