যেভাবে শত শত ফিলিস্তিনিকে বিনা অপরাধে বন্দি রেখেছে ইসরাইল
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেথলেহেমের একটি বাড়ি। এই বাড়িতে মায়ের পাশে বসে চোখ ডলে ঘুম তাড়ানোর চেষ্টা করছিল ইয়াজেন আলহাসনাত। প্রায় পাঁচ মাস আগের এক ভোরে অভিযান চালিয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সি এই ছেলেটিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় ইসরাইলি সেনারা। সম্প্রতি হামাসের সঙ্গে জিম্মি বিনিময়ের সময় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ইয়াজেনের আটকের ঘটনাকে “প্রশাসনিক কারণে আটক” বলা হয়েছিল, যেটি মূলত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে আটকের সময় ব্যবহার করে থাকে ইসরাইল। এটি ছিল পুরনো একটি ব্রিটিশ আইন, যেটি উত্তরাধিকার সূত্রে দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে ইসরাইল। এই আইনের অধীনে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই একজন ব্যক্তিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারাবন্দি করে রাখতে পারে ইসরাইল।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে বিবিসিকে ইয়াজেন বলেন, তাদের কাছে একটি গোপন ফাইল রয়েছে। কিন্তু তারা আপনাকে বলবে না সেটিতে কী আছে।
গত ৭ অক্টোবর হঠাৎ হামলা চালিয়ে হামাস যেসব ইসরাইলি নাগরিককে জিম্মি করেছিল, তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে কিছুদিন আগে ১৮০ জন ফিলিস্তিনি শিশু ও নারীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। ঐসব নারী ও শিশুকে দিনের পর দিন বিনা অপরাধে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছিল।
কিন্তু এমন এক সময়ে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হলো, যখন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরাইল।
গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে অন্তত ১৩০০ ফিলিস্তিনিকে প্রশাসনিক আটক করা হয়েছে, যেটি গত ত্রিশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে এই আইনের আওতায় দুই হাজার আটশরও বেশি ফিলিস্তিনি এখন ইসরাইলের কারাগারে বন্দী রয়েছে।
ইয়াজেনকে যখন মুক্তি দেওয়া হয়, তখন তার পরিবারকে সতর্ক করা হয়েছিল এই বলে যে, তারা যেন কোনোভাবেই প্রকাশ্যে কোনো উদযাপন না করে বা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলে।
একই ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল আরও দুই কিশোরের পরিবারকে, যারা বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। এই তিনটি পরিবারই জানিয়েছে যে, তারা প্রশাসনিক কারণে আটক এর বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরতে চায়।
ইসরাইল বলেছে যে, তাদের এই আইনের ব্যবহার আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সামরিক বিচার ব্যবস্থার সাবেক পরিচালক মরিস হিরশ বিবিসিকে বলেন, 'আটক হওয়া ফিলিস্তিনিদের আপিলের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতি ছয় মাস পর পর তাদের বন্দিদশার বিষয়টি পর্যালোচনা করার মাধ্যমে ইসরাইল কেবল আন্তর্জাতিক আইনই মানছে-তা নয়, বরং সেটিকে ছাড়িয়েও গেছে।'
তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরাইল যেভাবে আইনটির মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদেরকে আটক করছে, সেটি আসলে অপব্যবহারে পর্যায়ে চলে গেছে। তাছাড়া আটক হওয়া ব্যক্তিরা নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণ বা কার্যকরভাবে আপিল করার সুযোগ খুব একটা পায় না।
কারণ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য যে ধরনের তথ্য-প্রমাণ দরকার হয়, সেটি সংগ্রহ করার অনুমতি তাদের নেই।
হ্যামোকেডের নির্বাহী পরিচালক জেসিকা মন্টেল বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ‘প্রশাসনিক কারণে আটক’ একটি বিরল ব্যতিক্রম হওয়া উচিত।
‘হ্যামোকেড’ ইসরাইলের একটি মানবাধিকার সংস্থা, যারা আটক হওয়া ফিলিস্তিনিদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে থাকে।
জেসিকা মন্টেল বলেন, আপনার উচিৎ এটি কেবল তখনই ব্যবহার করা, যখন আপনি চরম বিপদ থাকবেন এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা ছাড়া সেই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই৷ কিন্তু এটি স্পষ্ট যে, ইসরাইল একে সেভাবে ব্যবহার করছে না। তারা হাজার হাজার মানুষকে বিনা অভিযোগে আটক করছে এবং নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনিক কারণে আটকের কথা বলছে।
ফিলিস্তিনিরা ১৯৪৫ সাল থেকেই প্রশাসনিক কারণে আটক আইনের ভুক্তভোগী। প্রথমে ব্রিটিশদের অধীনে এবং পরে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে।
অতীতে আইনটি খুব বিরল কিছু ক্ষেত্রে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এখন এটি শিশুসহ পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের আটক করার ক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রশাসনিক বন্দিদের শুনানির অনুমতি দেওয়া হয় সামরিক আদালতে, একজন ইসরাইলি সামরিক বিচারকের সামনে। তবে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে আটককৃত ব্যক্তি বা তাদের আইনজীবীদের কাছে আটকের স্বপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ করার প্রয়োজন হয় না। এরপর আটক হওয়া ব্যক্তিদের ছয় মাস পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
তবে সামরিক আদালত চাইলে এই ছয় মাসের সাজা অনির্দিষ্টকালের জন্যও বাড়াতে পারে। অর্থাৎ এই আইনে বন্দি হওয়া ব্যক্তিরা ঠিক জানেনও না যে, তারা কতদিন বন্দি থাকবে।
ইয়াজেন বলেন, আপনি যেটি বুঝতে পারবেন, সেটি হচ্ছে অনিশ্চয়তা। আপনি কি আপনার ছয় মাসের কারাভোগ শেষে মুক্তি পাবেন? নাকি আপনার সাজা এক বা বছরের জন্য বাড়ানো হবে?
বন্দীরা ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আপিল করতে পারে, কিন্তু তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের বা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণের কোন অনুমতি নেই।
ফলে ইসরায়েলি সামরিক আদালতে বিচার হওয়া এমন ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মোটামুটি ৯৯ শতাংশই দোষী সাব্যস্ত হয়।
এ বিষয়ে জেরুজালেম-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা আইনজীবী মাহের হান্না বিবিসিকে বলেন, সামরিক আদালতে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ।
তিনি আরও বলেন, পুরো ব্যবস্থাটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যা একজন ফিলিস্তিনির আত্মরক্ষার ক্ষমতাকে সীমিত করে দিয়েছে। এটি প্রতিপক্ষকে একদিকে যেমন কঠোর সীমাবদ্ধতার মধ্যে ফেলে দেয়, তেমনি রাষ্ট্রপক্ষকেও প্রমাণ সংগ্রহ করার ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়।
বিবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় ইয়াজেনের মা সাদিয়াহ বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরাইলের এই নীতির ব্যবহার সব রেখা অতিক্রম করেছে-লাল, সবুজ, প্রতিটি রঙ।

- নিউইয়র্ক ফ্যাশন হাউজের গ্রান্ড ওপেনিং ১৫ সেপ্টেম্বর
- শাহ নেওয়াজ গ্রুপে নতুন মুখ
- ৯/১১ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ
- নিউইয়র্কে সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- গোল্ডেন এজ হোমকেয়ারের উদ্যোগে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ অনুষ্ঠিত
- জামাইকা মুসলিম সেন্টারের ফান্ড রেইজিংঃ ৪ লাখ ডলার সংগৃহিত
- আতিফ আসলাম শো’তে হাজার হাজার শ্রোতার ভীড়
- নারায়নগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শামীম ও সম্পাদক পিন্টু
- বাংলাদেশ সোসাইটির সুবর্ণ জয়ন্তী ২ নভেম্বর
- নেপালের আগুনের স্ফুলিঙ্গ ভারতে ছড়াতে পারে!
- কমিউনিটিতে সৌহার্দ্যরে সুবাতাস!
- জাকসু নির্বাচন:ছাত্রদলসহ পাঁচ প্যানেলের বর্জন
- হোমকেয়ার নিয়ে গভর্নর ও পিপিএল’র অনিয়মে তদন্ত
- ডাকসু ইলেকশন মেটিকুলাসলি ডিজাইন্ড!
- ড.ইঊনূসের আগমনে যুক্তরাষ্ট্র আঃলীগের প্রতিরোধ সমাবেশ ঘোষণা
- জরিপে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে
মামদানির সমর্থনে বাংলাদেশিদের সমাবেশ - ডাকসু নির্বাচন বিএনপির জন্য সতর্কবার্তা
- আজকাল ৮৮৭
- নাইন ইলেভেনের নগরীতে মেয়র হবেন মুসলিম?
- ফোন ছাড়া নামাজ পড়তে যাওয়ায় বেঁচে গেছেন হামাস নেতারা: রিপোর্ট
- ট্রাম্পের মিত্র চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা
- পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাছিরের মামলা চলতে বাঁধা নেই
- ফ্রান্সজুড়ে ব্লকেডে ব্যাপক ধরপাকড়, গ্রেফতার ৬৭৫
- ছিটকে গিয়েও সর্বোচ্চ ধনীর খেতাব ফিরে পেলেন ইলন মাস্ক
- ডাকসুতে শিবিরের জয় ভারতের জন্য উদ্বেগজনক : শশী থারুর
- হংকংকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের
- নির্বাচন ও বিচারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হলো জুলাই সনদ
- কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা বরখাস্ত
- আন্দোলন ‘হাইজ্যাক’ হওয়ার অভিযোগ নেপালের জেন-জির
- এবার ফ্রান্সে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে তরুণদের সংঘর্ষ
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- ‘আজকাল’- ৮৫৯
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- টক দই খেলে কী উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২

- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- তালিকা বানাবে পাঁচ প্রতিষ্ঠান ঢাকা অফিস
- খিজির হায়াৎ হত্যার পরিকল্পনাকারী ২ জঙ্গি রিমান্ডে
- ইসরায়েলের হামলায় ১৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত
- দণ্ডপ্রাপ্তকে নির্বাচনের সুযোগ দিলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে
- মসজিদ ভাঙা নিয়ে চীনে বিক্ষোভ চলছে
- ৫ কোম্পানির বোতলজাত পানি মানহীন
- আবার ধেয়ে আসছে কানাডার ধোঁয়া
- হাওলাদার-নাসিরের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
- শ্রীনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
- স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন জাহাজ ‘অনুপ্রবেশের’ দাবি চীনের
- যুক্তরাজ্যের শরণার্থী হোটেলের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১৫
- রানির শেষকৃত্যে যে তিন দেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি ব্রিটেন
- নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার হাজিরা সোমবার
- শীতে জবুথবু পুরো ভারত