বুলেট-বোমা, শীত-বর্ষা ক্ষুধায় দিশেহারা গাজা
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
আমি যখন এখানে এসেছিলাম বৃষ্টি মাত্র শুরু হয়ছিল। বাচ্চাটা তখনো আমার পেটে। আমি এবং আমার স্বামী বৃষ্টি থেকে বাঁচার ঠাঁই খুঁজছিলাম। কেননা, বৃষ্টির পানি প্রায়ই তাঁবুতে ঢুকে যায়। আগেও অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তবে এমন দিন কখনো আসেনি- নিজের নবজাতককে কোলে নিয়ে অসহায়ভাবে বলছিলেন মধ্য গাজার দেইর-আল-বালাহ শহরের বাস্তচ্যুত ইসরা কামাল আল জামালান (২৮)।
বুলেট-বোমায় বিধ্বস্ত গাজায় এখন তাদের নতুন চ্যালেঞ্জ শীত ও বর্ষা। দিনে যেমন তেমন, রাত নামলেই জেঁকে বসে কনকনে শীত। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় ঠক ঠক করে কাঁপে শরীর। অথচ গরম কাপড় নেই! আর ক্ষুধায় জ্বালা তো আছেই- সবমিলিয়ে নিঃস্ব গাজাবাসী রীতিমতো দিশেহারা। আলজাজিরা, এএফপি, বিবিসি, আরব নিউজ, সিএনএন, ওয়াফা।
ইসরাইলি তাণ্ডবে সুখের দিনগুলো থেকে ছিটকে পড়া গাজাবাসী এখন প্রকৃতির নির্দয়তার শিকার। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে, ভারি বৃষ্টিপাত ও তীব্র শীত যেন একসঙ্গে আছড়ে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার প্রতিটি অঞ্চলে। ঘরবাড়ি ছেড়ে আসা বাস্তুচ্যুতরা অসহনীয় পরিস্থিতিতে দিনযাপন করছে।
এমনিতেই ফাঁকা মাঠ, ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী বালুভূমি, বিধ্বস্ত জনপদ, ফুটপাত বা জাতিসংঘের শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্লাস্টিকের তাঁবু খাঁটিয়ে থাকতে হচ্ছে গাজাবাসীকে। বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই সেই পলিথিনের ফুটো চুইয়ে পানি ঢুকে যাচ্ছে ভেতরে। ভিজে যাচ্ছে মেঝে। তার ওপর আবার নতুন উপদ্রব শীত।
ভিটে-বাড়ি ছেড়ে আসার সময় শুধু গুটিকয়েক কাপড় নিয়েই পালিয়েছে অনেকে। ভেবেছিল সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সে আশার গুঁড়ে বালি। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে এখন অতিকষ্টে সময় পার করতে হচ্ছে। ‘মুরগির খোপের মতো’ ছোট্ট জায়গায় গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে একটা পুরো পরিবারকে! রাতে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় নিজেদের গরম রাখতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে পরিবারের সদস্যরা। অনেকে আবার গাছ কেটে আগুন জ্বালিয়ে গরম রাখছে নিজেদের।
অস্থায়ী ক্যাম্পে অবস্থান করা ইসরা কামাল জানান, ঠান্ডায় তার নবজাতক মেয়েটির ত্বক ফ্যাকাশে ও হলুদ হয়ে গেছে। গরম পোশাক ও কম্বল ছাড়া বাচ্চাটিকে তাঁবুর ভেতর রাখতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে তাকে বাইরে আগুনের সামনেও নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না! কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘সে (কাঠের ধোঁয়া থেকে) কাশি দিতে থাকে যতক্ষণ না সে নীল হয়ে যায়। আমরা আতঙ্কিত ছিলাম যে সে মারা যেতে পারে। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। তাকে এখনো টিকা দেওয়া হয়নি। ’হাসপাতালে থাকাকালীন ইসরা দম্পতিকে একটি শীতবস্ত্র দিয়েছেন একজন দয়ালু ব্যক্তি।
ধীরকণ্ঠে ইসরা কামাল বলেন, ‘জন্মের পর থেকে সেটিই গায়ে দিচ্ছে আমার ছোট্ট সোনামণি। যখন সে জামাটি ছুড়ে ফেলে, আমি এটি মুছে দেই, কারণ আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় আমি এটি ধুয়ে ফেলতে পারি না।’ হতাশা নিয়ে তার স্বামী সেলিম বলেন, ‘আমি ভাবিনি আমার মেয়ে এমন অবস্থায় জন্ম নেবে। আমরা তার জন্মের জন্য খুব খুশি এবং প্রস্তুত ছিলাম। আমি জানি না আমাদের, সবার কী হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার সহায় হোন।’
ইতোমধ্যেই গাজায় গরম কাপড়, কম্বল, শুকনো খাবার এবং তাঁবু বাধার সরঞ্জাম দিয়েছে জাতিসংঘ। তবে ঠান্ডার ভয়াবহতা এখনো পুরোপুরি হয়নি বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংস্থার (ইউএনআরডব্লউএ) ডিরেক্টর থমাস হোয়াইট। তিনি বলেন, ‘মানুষ একেবারেই শোচনীয় পরিস্থিতিতে বাস করছে। তবে আমি বলব শীতের ভয়াবহতা এখনো আসেনি। আমরা এখনো তাপমাত্রায় বড় পতন দেখিনি। এখন পর্যন্ত একটি বড় ঝড়ও দেখিনি ভ‚মধ্যসাগরে।
যখন ভূমধ্যসাগরে বড় ঝড় সৃষ্টি হবে, তখন অনেক আশ্রয়কেন্দ্র তছনছ হয়ে যাবে। ত হাজার হাজার মানুষকে ভিজে, ঠান্ডায় ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকতে হবে।’ চলমান এই বেগতিক আবহাওয়ার মধ্যেই গাজায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ খাদ্য সংকট।
স্থানীয় বেকারি এবং খাদ্যগুদামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। গাজার ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) রিপোর্ট অনুসারে, গাজার ২.৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। তাদের তথ্যমতে, ডিসেম্বর শুরুর পর থেকে ২০ লাখ গাজাবাসী খাবারের তীব্র সংকটে পড়েছে। এদের মধ্যে ৩ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ ‘সর্বনাশা ক্ষুধায়’ দিন-রাত পার করছে। একটুকু খাবারের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে কেউ কেউ। তবুও খাবার পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত একটি মানবাধিকার সংস্থা আল মেজানের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছাকাছি লোকেদের প্রায়ই ১০ ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হয় এবং মাঝে মাঝে খালি হাতে বাড়ি ফিরে। এমনকি বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের ৫ জনের মধ্যে ৪ জনই গাজায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতারেস। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে তিনি লিখেন, ‘বিশ্বের ৫ জন ক্ষুধার্তের ৪ জনই এখন গাজায়। গাজায় সংঘাতের তীব্রতা ও ভয় যতই বাড়ুক না কেন আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। আত্মসমর্পণ করব না।’
গাজা উপত্যকায় নিয়মিত খাবার তৈরির কাজ করেন বাকের আল-নাজি (২৮)। কিন্তু তার মন ভেঙে যায় তখনই, যখন তিনি দেখতে পান তার তৈরি খাবার অভুক্ত শিশুদের ক্ষুধা মেটাতে পারছে না। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে স্বেচ্ছায় রান্নার কাজ করা নাজি বলেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত হলো হাতে হাতে খাবার বিতরণের সময়টি। আমার বুকে খুব যন্ত্রণা হয় যখন খাবার শেষ হয়ে যায়, আর শিশুরা বলতে থাকে তাদের পেট ভরেনি।’ এই অবস্থায় বেশিরভাগ স্বেচ্ছাসেবীই তাদের নিজেদের খাবারগুলো শিশুদের দিয়ে দেয়। যুদ্ধের দুই মাস ধরে, মাত্র ১,২৪৯টি ট্রাক খাদ্য সহায়তা বহনকারী গাজায় পৌঁছেছে। বিশ্বখাদ্যসংস্থার ৬ ডিসেম্বরের রিপোর্টে এ তথ্য জানা যায়। ক্ষুধা এবং ঠান্ডায় নানান ধরনের অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে গাজায়।
প্রায় ১ লাখ মানুষের ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকই ৫ বছরের নিচে। পাশপাশি ফুসফুসে ইনফেকশনে ভুগছেন প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে বেশিরভাগ মানুষই মস্তিষ্কের প্রদাহ, র্যাশ, স্কার্ভি, চিকেনপকম, হেপাটাইটিসসহ নানান স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। ভয়াবহ পরিস্থিতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতারক্ষেত্রেও। গড়ে ২২০ জনে প্রতি একজন টয়লেট সুবিধা ভোগ করতে পারছে। অন্যদিকে গড়ে ৪৫০০ জনে মাত্র ১ জন গোসলের সুযোগ পাচ্ছে।
- প্রত্যেক মার্কিন নাগরিককে যেভাবে দেওয়া হবে ২ হাজার ডলার
- জুলিয়ানিসহ ৭০ সহযোগীকে ক্ষমা ট্রাম্পের
- যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি দপ্তরে শাটডাউন শেষের পথে
- ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
- হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল, বিলম্বে চরম ভোগান্তি
- দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে ‘রহস্যময়’ অভিযান, যা জানা গেল
- ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
- ঢাকায় হঠাৎ ৮ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, তিন বাসে আগুন
- দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণে ২২ গাড়ি ভষ্ম, নিহত ১৩
- চাঁদাবাজদের সাথে জোট করার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো
- সরকারি কর্মচারীদের আয়কর কাটার নতুন নির্দেশ
- দ্বিতীয় দিনেও যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল!
- যুক্তরাষ্ট্রে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় ৪ জনের প্রাণহানি
- আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি
- অনুষ্ঠানের মাঝেই ‘ঘুমিয়ে’ পড়লেন ট্রাম্প, দেখুন ছবিতে
- ট্রাম্প-পরবর্তী নেতৃত্বের লড়াইয়ে রিপাবলিকানরা
- শ্বেতাঙ্গরা নির্যাতনের শিকার: ট্রাম্প
- তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে যেসব অঞ্চলে
- কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
- অনশন ভাঙিয়ে আমজনতার তারেককে হাসপাতালে পাঠালেন সালাহউদ্দিন
- ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে ঢাকার কড়া জবাব
- সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি সোমবার স্থগিত
- ঢাকায় একযোগে পুলিশের ‘বড় মহড়া’
- প্রধান উপদেষ্টা ডাকলে আমরা যাব, অন্য দল দিয়ে কেন : সালাহউদ্দিন
- ‘আজকাল’ সম্পাদকের শুভেচ্ছা
- মামদানির বিজয় বাংলাদেশি ‘আঙ্কেল আন্টিদের’
- ঐকমত্য কমিশনের সমালোচনা নিউইয়র্ক বিএনপির
- ফিরোজ সভাপতি ও আলমগীর সাধারণ সম্পাদক
- জ্যাকসন হাইটসে আলাদীন রেস্টুরেন্ট ও সুইটসের উদ্বোধন
- জামাইকায় ‘নবান্ন রেস্টুরেন্ট’র উদ্বোধন
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- এসাইলাম আবেদন ফি হাজার ডলার!
- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- তালিকা বানাবে পাঁচ প্রতিষ্ঠান ঢাকা অফিস
- খিজির হায়াৎ হত্যার পরিকল্পনাকারী ২ জঙ্গি রিমান্ডে
- ইসরায়েলের হামলায় ১৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত
- ৫ কোম্পানির বোতলজাত পানি মানহীন
- দণ্ডপ্রাপ্তকে নির্বাচনের সুযোগ দিলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে
- মসজিদ ভাঙা নিয়ে চীনে বিক্ষোভ চলছে
- আবার ধেয়ে আসছে কানাডার ধোঁয়া
- শ্রীনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
- হাওলাদার-নাসিরের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
- স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন জাহাজ ‘অনুপ্রবেশের’ দাবি চীনের
- রানির শেষকৃত্যে যে তিন দেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি ব্রিটেন
- যুক্তরাজ্যের শরণার্থী হোটেলের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১৫
- নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার হাজিরা সোমবার
- শীতে জবুথবু পুরো ভারত
