বৃহস্পতিবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ২ ১৪৩২   ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৩৩৪

কাজ আর জীবনকে একীভূত করবেন যেভাবে

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

জীবনে সুখি হওয়াটাই আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ। কাজ যদি মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, তবে একটি সময়ে গিয়ে আপন মানুষগুলোকে হারিয়ে ফেলতে পারেন। 

তাই কর্ম এবং জীবনের মাঝে ভারসাম্য তৈরি করে, সবকিছু একীভূত করতে পারাটাই সফলতা।

কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি একটা ব্যাপার। অনেকেই সারাজীবন কেবল চিন্তাই করেন, কীভাবে তিনি এই দুটো ব্যাপার পুরোপুরিভাবে উপভোগ করবেন। কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে নিজেকে সময় দেয়া হয় না, আবার সময় অপচয় করার মতো মানুষও কম নেই। তাই চলুন জেনে নিই, কীভাবে কাজ এবং জীবনের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করবেন।

 

কাজ ও জীবনের ভারসাম্য বলতে কী বোঝায়?
কাজ ও জীবনের মাঝে ভারসাম্য তৈরি করার অর্থ হলো, কতটুকু সময় আপনি যথাক্রমে আপনার কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে ব্যয় করেছেন। ভারসাম্য তৈরির উদ্দেশ্য হলো, একজন ব্যক্তি যাতে নিজেকে যথেষ্ট সময় দিতে পারে। আবার তার পাশাপাশি কর্মজীবনও যেন তাৎপর্যপূর্ণ হয়। এই পুরো সময় জুড়ে হীনমন্যতা, চাপ ও প্রতিকূল পরিবেশকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়াই ভারসাম্য তৈরির ইতিবাচক দিক।

কিন্তু বাস্তবে কয়জন মানুষ প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং নিজের সঙ্গে লড়াই করে টিকে যেতে পারে? নিজের উপর অবিচল বিশ্বাস টিকিয়ে রেখে সামনের দিকে পথ চলতে পারলেই সফলতার দেখা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সফলতা বজায় রেখে সুন্দর একটি জীবনযাপন করা সম্ভব। ভারসাম্যের একটি ভালো উদাহরণ হতে পারে, কাজের ফাঁকে আপনার প্রিয় মানুষটির একবার খোঁজ নিতে পারা।

কাজ ও জীবনের সবকিছু একীভূত করা বলতে কী বোঝায়?
প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা হয়তো তত নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছি। শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে কিংবা কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে, সেটা ভারসাম্য তৈরির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। প্রতিযোগীতার এই যুগে সামনে এগিয়ে যেতে হলে আরেকজনের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়। তাই নিজেকে কিংবা পরিবারকে সময় দেয়া কষ্টসাধ্য মনে হতে পারে।

 

সমাধান হিসেবে অনেকেই কাজ থেকে ফিরে এসে, কাজের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন; এই চিন্তা করে যে, এখন আমি শুধু নিজেকেই সময় দেবো। কিন্তু কিছু দায়িত্ব থাকে যেগুলোর ব্যাপারে সবসময় আপনাকে সজাগ ও তথ্য সমৃদ্ধ থাকতে হয়। তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে, যদি কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারগুলো একীভূত করে নেয়া যায়। বাসার কিছু কাজ কর্মক্ষেত্রে করতে পারেন, আবার কিছু কাজ সম্পাদন করে নিতে পারেন বাড়িতে বসেই।

এভাবে অনেকগুলো ছোট-ছোট দায়িত্ব ভাগ করে নিতে পারেন। যেমন: অফিসে যাওয়ার পথে আপনার বাচ্চাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে গেলে একটা দায়িত্ব পালন করা হয়। আবার বাসায় বসে অবসর সময়ে, জমানো মেইলগুলো পড়ে নিতে পারেন।

এভাবে কী লাভ হয়?
কাজ এবং নিজের ব্যক্তিগত চাহিদাগুলোর জন্যও সমান সময় ব্যয় করার সুযোগ থাকে, যদি সবকিছু একীভূত করতে পারেন। একটি কাজ করতে গিয়ে আরেকটি বাদ দেয়ারও সম্ভাবনা এবং প্রয়োজন কমে যায়। এছাড়াও আরো কিছু সুবিধা হলো-

(১) বাস্তবসম্মত:
কাজকে ব্যক্তিগত জীবন থেকে আলাদা করে দিতে গেলে, কেবল একটি দিকেই মনোযোগ দিতে পারবেন। আর বাস্তবে এটি করতে গেলে আপনাকে হিমশিম খেতে হবে এবং বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হবে। আমাদের পুরো জীবনব্যবস্থাটাই এমন হয়ে গিয়েছে যে, আপনি চাইলেই যোগাযোগ বন্ধ রাখতে পারবেন না। তাই পদ্ধতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়ে, পদ্ধতিকেই নিজের অনুকূলে ব্যবহার করুন।

 

(২) বৈচিত্র্য:
সুখীভাবে বেঁচে থাকতে হলে জীবনে বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে হয়। কাজকে জীবন থেকে আলাদা করে কখনোই বৈচিত্র্যের দেখা পাওয়া যায় না। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, কাজ শেষ করে আপনি পরিবারকে সময় দেবেন কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তারপর কাজ করবেন।

কিন্তু এটি একঘেয়ে, অফিসের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকবেন, আর চিন্তা করবেন কখন বের হতে পারবেন। এতে আপনার সময় কাটতেই চাইবে না। আর আপনি যদি কাজ ভালোবাসেন, তখন ভাববেন কখন ছুটি শেষ করে কাজে ফিরবেন। কিন্তু কিছু কাজ যদি অফিস থেকে বাড়িতে নিয়ে যান, তবে কাজ এবং পরিবারকে সময় দেয়া দুটোই হবে।

(৩) মান বৃদ্ধি:
মানসম্মত কাজ এবং সাধারণ কাজের মধ্যে যেমনি পার্থক্য আছে। তেমনি মানসম্মত সময় কাটানো এবং কোনো রকমে জীবন পার করে দেয়ার মাঝেও পার্থক্য রয়েছে। তাই আপনার সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা সময়টিতেই কর্মক্ষেত্রের ও পারিবারিক উভয় কাজ ভারসাম্যপূর্ণভাবে সম্পাদন করতে পারেন।

এটি হতে পারে বাচ্চাদেরকে বিদ্যালয়ে আনা-নেয়ার মাধ্যমে, কাজের এক ফাঁকে বাজার কিনে এনে, বাসায় অবসরে অফিসের ছোট কোনো কাজ শেষ করার মাধ্যমে। এভাবে আপনার অফিসের কাজগুলোও শেষ করতে পারবেন, আবার নিজের জন্যও সময় বের করতে পারবেন।

কাজ আর জীবনকে একীভূত করবেন কীভাবে?
কাজ ও জীবনকে একীভূত করা বেশ কঠিন। তারপরও কিছু কৌশল ও দিকনির্দেশনা পালন করলে, সহজেই জীবন ও কাজকে একীভূত করতে সক্ষম হবেন। চলুন বিষয়গুলো জেনে নিই।

(১) সুবিধা মতো সময় নির্বাচন:
আপনার জন্য সুবিধা হয় এরকম সময় নির্বাচন করে, ব্যাপারটি প্রতিষ্ঠানকে জানাতে পারেন। বহু প্রতিষ্ঠানই এরকম কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। তাই খোঁজ নিন, প্রতিষ্ঠানে যদি নিজের সময় নির্বাচনের সুযোগ থাকে, তবে আবেদন করুন।

আর যদি প্রতিষ্ঠানে এরকম কিছুর প্রচলন না থাকে, তবে উচ্চপদস্থদের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। হয়তো তারা আপনার জন্য কোনো উপায় বের করে দিতে পাররেন।

(২) নিজের প্রয়োজনগুলো খুঁজে বের করুন:
সবার জীবনের উদ্দেশ্য ও চাহিদা এক নয়। ভিন্ন পরিবেশে এবং সুযোগ-সুবিধার ভিন্নতা অনুযায়ী প্রত্যেকের চাহিদাও সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই নিজের জীবনের উদ্দেশ্য ও চাহিদাগুলো খুঁজে বের করুন। এগুলো জানা থাকলে সহজেই কাজ আর জীবনের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে পারবেন। আর চাহিদা জানা থাকলে, সেগুলোকে একীভূত করতেও সুবিধা হবে।

(৩) দিনলিপি তৈরি করুন:
যখন আপনার জীবনের সব লক্ষ্য আর চাহিদাগুলো খুঁজে বের করে ফেলবেন। তারপর কাজ হলো, সবকিছুর একটা দিনলিপি তৈরি করা। আপনার দূরবর্তী লক্ষ্য ও কাছাকাছি লক্ষ্যগুলোকে পর্যায়ক্রমে গুরুত্ব অনুসারে সাজাতে পারেন।

বিশেষ কোনো দিবস, অফিস থেকে ঘুরতে যাওয়ার সময়, বাচ্চাদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে তৈরি করুন আপনার দিনলিপি। আরো লক্ষ্য করুন, কোন সময়গুলোতে আপনি বেশি সচেতন ও কর্মময় থাকেন। আর কোন সময়গুলোতে অলসতা ভর করে। তাহলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আর করতে অসুবিধা হবে না।

(৪) মানের উপর জোর দিন:
আপনি কত সময় অফিসে ব্যয় করছেন কিংবা পরিবারে কতটুকু সময় দিচ্ছেন; এটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ব্যয় করা সময়গুলো কেমন প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অনেকেই অফিসে বসে সব ধরনের চিন্তা-ভাবনায় সময় অতিবাহিত করেন। আর প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময়ও সেখানে ব্যয় করেন। কিন্তু তার এই কাজ মোটেও মানসম্মত নয়। পরিবারকে সময় দেয়ার ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটতে পারে।

(৫) সঠিক কাজটি করুন:
আপনার কাজ এবং জীবনকে একীভূত করার পর দেখুন, সব সুন্দরভাবে চলছে। পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, সমাজে আপনার গুরুত্বপূর্ণ অবদান তৈরি হচ্ছে। কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, সব কাজই আপনি করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। যে কাজটা করে আপনি তৃপ্তি পান না, সেটি না করাই ভালো। শুধু মানুষ কী মনে করবে, এটি না চিন্তা করে, নিজের ভাবনাগুলোকে গুরুত্ব দিন।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল