কাজ আর জীবনকে একীভূত করবেন যেভাবে
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
জীবনে সুখি হওয়াটাই আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ। কাজ যদি মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, তবে একটি সময়ে গিয়ে আপন মানুষগুলোকে হারিয়ে ফেলতে পারেন।
তাই কর্ম এবং জীবনের মাঝে ভারসাম্য তৈরি করে, সবকিছু একীভূত করতে পারাটাই সফলতা।
কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি একটা ব্যাপার। অনেকেই সারাজীবন কেবল চিন্তাই করেন, কীভাবে তিনি এই দুটো ব্যাপার পুরোপুরিভাবে উপভোগ করবেন। কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে নিজেকে সময় দেয়া হয় না, আবার সময় অপচয় করার মতো মানুষও কম নেই। তাই চলুন জেনে নিই, কীভাবে কাজ এবং জীবনের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করবেন।
কাজ ও জীবনের ভারসাম্য বলতে কী বোঝায়?
কাজ ও জীবনের মাঝে ভারসাম্য তৈরি করার অর্থ হলো, কতটুকু সময় আপনি যথাক্রমে আপনার কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে ব্যয় করেছেন। ভারসাম্য তৈরির উদ্দেশ্য হলো, একজন ব্যক্তি যাতে নিজেকে যথেষ্ট সময় দিতে পারে। আবার তার পাশাপাশি কর্মজীবনও যেন তাৎপর্যপূর্ণ হয়। এই পুরো সময় জুড়ে হীনমন্যতা, চাপ ও প্রতিকূল পরিবেশকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়াই ভারসাম্য তৈরির ইতিবাচক দিক।
কিন্তু বাস্তবে কয়জন মানুষ প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং নিজের সঙ্গে লড়াই করে টিকে যেতে পারে? নিজের উপর অবিচল বিশ্বাস টিকিয়ে রেখে সামনের দিকে পথ চলতে পারলেই সফলতার দেখা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সফলতা বজায় রেখে সুন্দর একটি জীবনযাপন করা সম্ভব। ভারসাম্যের একটি ভালো উদাহরণ হতে পারে, কাজের ফাঁকে আপনার প্রিয় মানুষটির একবার খোঁজ নিতে পারা।
কাজ ও জীবনের সবকিছু একীভূত করা বলতে কী বোঝায়?
প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা হয়তো তত নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছি। শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে কিংবা কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে, সেটা ভারসাম্য তৈরির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। প্রতিযোগীতার এই যুগে সামনে এগিয়ে যেতে হলে আরেকজনের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়। তাই নিজেকে কিংবা পরিবারকে সময় দেয়া কষ্টসাধ্য মনে হতে পারে।
সমাধান হিসেবে অনেকেই কাজ থেকে ফিরে এসে, কাজের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন; এই চিন্তা করে যে, এখন আমি শুধু নিজেকেই সময় দেবো। কিন্তু কিছু দায়িত্ব থাকে যেগুলোর ব্যাপারে সবসময় আপনাকে সজাগ ও তথ্য সমৃদ্ধ থাকতে হয়। তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে, যদি কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারগুলো একীভূত করে নেয়া যায়। বাসার কিছু কাজ কর্মক্ষেত্রে করতে পারেন, আবার কিছু কাজ সম্পাদন করে নিতে পারেন বাড়িতে বসেই।
এভাবে অনেকগুলো ছোট-ছোট দায়িত্ব ভাগ করে নিতে পারেন। যেমন: অফিসে যাওয়ার পথে আপনার বাচ্চাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে গেলে একটা দায়িত্ব পালন করা হয়। আবার বাসায় বসে অবসর সময়ে, জমানো মেইলগুলো পড়ে নিতে পারেন।
এভাবে কী লাভ হয়?
কাজ এবং নিজের ব্যক্তিগত চাহিদাগুলোর জন্যও সমান সময় ব্যয় করার সুযোগ থাকে, যদি সবকিছু একীভূত করতে পারেন। একটি কাজ করতে গিয়ে আরেকটি বাদ দেয়ারও সম্ভাবনা এবং প্রয়োজন কমে যায়। এছাড়াও আরো কিছু সুবিধা হলো-
(১) বাস্তবসম্মত:
কাজকে ব্যক্তিগত জীবন থেকে আলাদা করে দিতে গেলে, কেবল একটি দিকেই মনোযোগ দিতে পারবেন। আর বাস্তবে এটি করতে গেলে আপনাকে হিমশিম খেতে হবে এবং বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হবে। আমাদের পুরো জীবনব্যবস্থাটাই এমন হয়ে গিয়েছে যে, আপনি চাইলেই যোগাযোগ বন্ধ রাখতে পারবেন না। তাই পদ্ধতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়ে, পদ্ধতিকেই নিজের অনুকূলে ব্যবহার করুন।
(২) বৈচিত্র্য:
সুখীভাবে বেঁচে থাকতে হলে জীবনে বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে হয়। কাজকে জীবন থেকে আলাদা করে কখনোই বৈচিত্র্যের দেখা পাওয়া যায় না। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, কাজ শেষ করে আপনি পরিবারকে সময় দেবেন কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তারপর কাজ করবেন।
কিন্তু এটি একঘেয়ে, অফিসের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকবেন, আর চিন্তা করবেন কখন বের হতে পারবেন। এতে আপনার সময় কাটতেই চাইবে না। আর আপনি যদি কাজ ভালোবাসেন, তখন ভাববেন কখন ছুটি শেষ করে কাজে ফিরবেন। কিন্তু কিছু কাজ যদি অফিস থেকে বাড়িতে নিয়ে যান, তবে কাজ এবং পরিবারকে সময় দেয়া দুটোই হবে।
(৩) মান বৃদ্ধি:
মানসম্মত কাজ এবং সাধারণ কাজের মধ্যে যেমনি পার্থক্য আছে। তেমনি মানসম্মত সময় কাটানো এবং কোনো রকমে জীবন পার করে দেয়ার মাঝেও পার্থক্য রয়েছে। তাই আপনার সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা সময়টিতেই কর্মক্ষেত্রের ও পারিবারিক উভয় কাজ ভারসাম্যপূর্ণভাবে সম্পাদন করতে পারেন।
এটি হতে পারে বাচ্চাদেরকে বিদ্যালয়ে আনা-নেয়ার মাধ্যমে, কাজের এক ফাঁকে বাজার কিনে এনে, বাসায় অবসরে অফিসের ছোট কোনো কাজ শেষ করার মাধ্যমে। এভাবে আপনার অফিসের কাজগুলোও শেষ করতে পারবেন, আবার নিজের জন্যও সময় বের করতে পারবেন।
কাজ আর জীবনকে একীভূত করবেন কীভাবে?
কাজ ও জীবনকে একীভূত করা বেশ কঠিন। তারপরও কিছু কৌশল ও দিকনির্দেশনা পালন করলে, সহজেই জীবন ও কাজকে একীভূত করতে সক্ষম হবেন। চলুন বিষয়গুলো জেনে নিই।
(১) সুবিধা মতো সময় নির্বাচন:
আপনার জন্য সুবিধা হয় এরকম সময় নির্বাচন করে, ব্যাপারটি প্রতিষ্ঠানকে জানাতে পারেন। বহু প্রতিষ্ঠানই এরকম কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। তাই খোঁজ নিন, প্রতিষ্ঠানে যদি নিজের সময় নির্বাচনের সুযোগ থাকে, তবে আবেদন করুন।
আর যদি প্রতিষ্ঠানে এরকম কিছুর প্রচলন না থাকে, তবে উচ্চপদস্থদের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। হয়তো তারা আপনার জন্য কোনো উপায় বের করে দিতে পাররেন।
(২) নিজের প্রয়োজনগুলো খুঁজে বের করুন:
সবার জীবনের উদ্দেশ্য ও চাহিদা এক নয়। ভিন্ন পরিবেশে এবং সুযোগ-সুবিধার ভিন্নতা অনুযায়ী প্রত্যেকের চাহিদাও সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই নিজের জীবনের উদ্দেশ্য ও চাহিদাগুলো খুঁজে বের করুন। এগুলো জানা থাকলে সহজেই কাজ আর জীবনের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে পারবেন। আর চাহিদা জানা থাকলে, সেগুলোকে একীভূত করতেও সুবিধা হবে।
(৩) দিনলিপি তৈরি করুন:
যখন আপনার জীবনের সব লক্ষ্য আর চাহিদাগুলো খুঁজে বের করে ফেলবেন। তারপর কাজ হলো, সবকিছুর একটা দিনলিপি তৈরি করা। আপনার দূরবর্তী লক্ষ্য ও কাছাকাছি লক্ষ্যগুলোকে পর্যায়ক্রমে গুরুত্ব অনুসারে সাজাতে পারেন।
বিশেষ কোনো দিবস, অফিস থেকে ঘুরতে যাওয়ার সময়, বাচ্চাদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে তৈরি করুন আপনার দিনলিপি। আরো লক্ষ্য করুন, কোন সময়গুলোতে আপনি বেশি সচেতন ও কর্মময় থাকেন। আর কোন সময়গুলোতে অলসতা ভর করে। তাহলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আর করতে অসুবিধা হবে না।
(৪) মানের উপর জোর দিন:
আপনি কত সময় অফিসে ব্যয় করছেন কিংবা পরিবারে কতটুকু সময় দিচ্ছেন; এটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ব্যয় করা সময়গুলো কেমন প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অনেকেই অফিসে বসে সব ধরনের চিন্তা-ভাবনায় সময় অতিবাহিত করেন। আর প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময়ও সেখানে ব্যয় করেন। কিন্তু তার এই কাজ মোটেও মানসম্মত নয়। পরিবারকে সময় দেয়ার ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটতে পারে।
(৫) সঠিক কাজটি করুন:
আপনার কাজ এবং জীবনকে একীভূত করার পর দেখুন, সব সুন্দরভাবে চলছে। পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, সমাজে আপনার গুরুত্বপূর্ণ অবদান তৈরি হচ্ছে। কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, সব কাজই আপনি করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। যে কাজটা করে আপনি তৃপ্তি পান না, সেটি না করাই ভালো। শুধু মানুষ কী মনে করবে, এটি না চিন্তা করে, নিজের ভাবনাগুলোকে গুরুত্ব দিন।
- স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে ৩ হাজার ডলার
- অবৈধ অভিবাসীদের গুদামে রাখতে চান ট্রাম্প
- মঈন চৌধুরী’র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
- মানিকগঞ্জ কল্যাণ সমিতির কবরের সনদ বিতরণ
- নবী ও বাবুর নেতৃত্বে ফোবানা (একাংশ) সম্মেলন’২৬ নিউইয়র্কে
- বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সোমা সাঈদ
- জামায়াতের সাথেই এনসিপির নির্বাচনী জোট
- প্লাস্টিকের চেয়ারে বসলেন তারেক
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেককে ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ
- যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা হঠাৎ করেই হ্রাস
- জানুয়ারি থেকে নিউইয়র্কে আবারও বাড়ছে বেতন
- তারেক দিলেন বার্তাঃবিএনপি দেখাল জনসমর্থন
- বাংলার লুথার কিং’র ঐক্যের ডাক
- আজকাল ৯০২
- আগামী ৫ দিন তীব্র হবে শীত, বাড়বে কুয়াশা
- কোরআন ছুঁয়ে শপথ নিয়ে মার্কিন বিচারপতি হলেন বাংলাদেশি
- হাদি হত্যার বিচার দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে হাসনাতের প্রত্যাশা
- ভারতের মুসলিম শিক্ষককে গুলি করে হত্যা
- তারেক রহমান সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী
- যুক্তরাষ্ট্রে নার্সিং হোমে বিস্ফোরণ, নিহত ২
- ওজন কমানোর ওষুধ ‘ওয়েগোভি’কে অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
- ওয়াশিংটনের ‘ভারত প্রথম’ যুগের সমাপ্তি
- যে কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী হারাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন অর্থনীতি
- ভারতের অরুণাচল প্রদেশ চায় চীন
- পাঁচ ইউরোপীয় নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
- বৃহস্পতিবার চলাচলে ঢাকাবাসীকে মানতে হবে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
- মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে প্রাণ গেল পথচারীর
- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- ২০২৬ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর
- বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ১০টি দেশ
- বাসর রাতে ‘সেক্স’, বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়!
- সৌন্দর্যময় স্তন গড়ে তুলতে যেসব বিষয় জেনে রাখা উচিত
- চুমু কত রকম, জানেন?
- ছেলেদের কিছু হেয়ারস্টাইল
- ছেলেদের সাইড ব্যাগ কেন এত উপকারী
- সহধর্মিনীতে সুখ চান; ঘরে তুলুন মোটা মেয়ে!
- যতনে বাঁধিও চুল, খোপায় বাঁধিও ফাল্গুনী ফুল
- রোজায় ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব নিয়ম মানবেন
- যে ৫ উক্তি আপনার জীবন বদলে দেবে
- কেন পছন্দ করবেন খাটো মেয়ে?
- হতাশা রোধ করবেন যেভাবে...
- পুরুষের গোপন সমস্যায় ভায়াগ্রার চেয়েও কার্যকর তরমুজ!
- এটমী`র অথেনটিক পণ্য নিয়ে এল ভেলা কসমেসিউটিক্যালস
- নকশা করা কাঠের আসবাব পরিষ্কারের উপায়
