রোজার যতো প্রকার ও ফজিলত
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০১৯

রোজা শুধু রমজান মাসেই নয়, বছরের অন্যান্য দিনের রোজায়ও রয়েছে ফজিলত। তবে রমজানের রোজা ফরজ আর অন্যান্য দিনের রোজা নফল। পার্থক্য শুধু এই।
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ সব রোজা এখানে তুলে ধরা হলো-
রজব মাসের নফল রোজা:
হজরত উম্মে সালমা (রাযি.) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রোজা রাখা দেখে বুঝতে পারতাম রজব মাস এসেছে। তিনি রমজানে এক মাস রোজা রাখতেন, শাবানে ২০ দিন রোজা রাখতেন; রজবে ১০ দিন রোজা রাখতেন।
সোমবারের নফল রোজা:
হজরত আয়িশা (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। (তিরমিজি ও নাসায়ি)। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুলাল্লাহ, আপনি সোমবার রোজা রাখেন কেন? তিনি বললেন, এই দিনে আমার জন্ম হয়েছে; তাই এই দিন রোজা রাখি। এখনো মদিনা শরিফে ব্যাপকভাবে এই আমল প্রচলিত আছে; প্রতি সোমবার মসজিদে নববীতে ইফতারের বিশেষ আয়োজন করা হয়, যা স্থানীয় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়োজন করে থাকেন।
বৃহস্পতিবারের নফল রোজা:
হজরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সোম ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়; আমি চাই রোজা অবস্থায় আমার আমল উপস্থাপিত হোক।’ (তিরমিজি)। মক্কা শরিফে এই আমল আজও বিদ্যমান রয়েছে। মসজিদুল হারামের দোতলায় প্রতি বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ইফতারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
শুক্রবারের নফল রোজা:
শুক্রবারের নফল রোজা এক সপ্তাহের রোজার সমান। শবে জুমুআ বা জুমার রাতে নবীজি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মায়ের গর্ভে আগমন করেন বলে উল্লেখ আছে। তাই এই দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রতি চান্দ্রমাসের তিন দিনের নফল রোজা:
প্রতি চান্দ্রমাসের ১০, ২০ ও ৩০ তারিখ রোজা রাখলে পূর্ণ মাসের রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যাবে।
শবেবরাতের রোজা:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাস এলে বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিন (১৫ তারিখ) আসবে, তখন তোমরা রাতে ইবাদত করো এবং দিবসে রোজা রাখো। (বায়হাকি)।
আশুরার নফল রোজা:
আশুরা অর্থ দশম ও দশমী। ইসলামের ইতিহাসে আশুরা দ্বারা মহররম মাসের ১০ তারিখ বোঝানো হয়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার দিনে রোজা রাখতেন এবং সেদিন রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। (বুখারি)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের রোজার পর আশুরার রোজাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন। (বুখারি ও মুসলিম)।
হজরত জাবির ইবনে সামুরা (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আশুরার রোজা সম্পর্কে নির্দেশ দিতেন এবং উৎসাহিত করতেন। অতঃপর যখন রমজানের রোজা ফরজ হলো; তখন তিনি আমাদের (আশুরার রোজার বিষয়ে) হুকুমও দিতেন না, নিষেধও করতেন না। (মুসলিম)।
মুজতাহিদ ফকিহগণের মতে, আশুরা রোজার সঙ্গে ৯ তারিখ বা ১১ তারিখ আরো একটি রোজা রাখা সুন্নত।
আইয়ামে বিযের রোজার ফজিলত:
‘আইয়াম’ আরবি শব্দ, এর অর্থ হলো দিবসসমূহ, কাল, সময় ইত্যাদি। এটি বহুবচন, এর একবচন হলো ‘ইয়াওম’, অর্থ হলো দিন বা দিবস। ‘বিজ’ বা ‘বিদ’ অর্থ শ্বেতবরণ, শুভ্রবর্ণ, ঔজ্জ্বল্য, সফেদ, সাদা রং ইত্যাদি। ‘আইয়াম বেজ’ বা ‘আইয়াম বিজ’ (পরিবর্তিত উচ্চারণে আইয়ুম বেজ) অর্থ শুক্লপক্ষীয় দিবস, চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ। (বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান)। আইয়ামে বিজে রোজা রাখা সুন্নত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম)। হজরত কাতাদাহ (রা.) বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন এবং তিনি বলেন, তা এক বছরের রোজার সমতুল্য।’ (আবু দাউদ ও নাসায়ি)। রমজান মাসে যেহেতু পূর্ণ এক মাস রোজা ফরজ; তাই রমজানে আইয়ামে বিজের রোজা নেই।
এই রোজাকে সওমে আদম বা আদম (আ.) এর রোজা বলা হয়। হজরত আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.) দুনিয়ায় আসার পর প্রথম এই তিনটি রোজা পালন করেন; যার বদৌলতে তারা আগের মতো জান্নাতি রুপ–লাবণ্য ও ঔজ্জ্বল্য ফিরে পান এবং এই দিনগুলোতে চাঁদ পূর্ণ শশীতে পরিণত হয়, রাতভর পূর্ণিমার জ্যোত্স্নালোক বিকিরণ করে বলে এই নামকরণ করা হয়েছে।
শাওয়াল মাসের ছয়টি নফল রোজা:
হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখল এবং শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা পালন করল; সে যেন পুরো এক বছর রোজা পালন করল।’ (মুসলিম)। এই রোজা একাধারে বা বিচ্ছিন্নভাবেও রাখা যায়।
জিলহজ মাসের প্রথম দশকের নফল রোজা:
হজরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এর প্রতি দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমান এবং প্রতি রাতের ইবাদত শবে কদরের ইবাদতের সমান।’ (তিরমিজি)। উল্লেখ্য যে জিলহজ মাসের ১ থেকে ৮ তারিখ সবাই রোজা পালন করতে পারবেন। ৯ তারিখে আরাফাতে অবস্থানকারীরা ছাড়া অন্যরা রোজা পালন করতে পারবেন। ১০ তারিখে অর্থাৎ কোরবানির ঈদের দিনে ভোর থেকে পশু জবাই করা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকলেই রোজা বলে গণ্য হবে এবং এই দিন কোরবানি করা পশুর মাংস দিয়ে প্রথম আহার করা মুস্তাহাব। এই দিন পূর্ণ দিবস রোজা রাখা বিধেয় নয়।
আরাফা দিবসের নফল রোজা:
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, হজের দিন; এই দিন হাজিরা মক্কা শরিফের আরাফা প্রান্তরে অবস্থান করা হজের ফরজত্রয়ের একটি; তাই এই দিনকে ইয়াওমুল আরাফা বা আরাফা দিবস বলা হয়। এই দিন হাজিরা ছাড়া অন্যদের জন্য রোজা পালন করা সুন্নত। হজরত কাতাদাহ (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আরাফা দিবসের রোজা তার আগের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়।’ (তিরমিজি)।
ইতিকাফের জন্য নফল রোজা:
পূর্ণ এক দিন নফল ইতিকাফ ও মানত বা কাজা ওয়াজিব ইতিকাফের জন্য নফল রোজা রাখতে হয়। এতে ইতিকাফের পাশাপাশি রোজার আলাদা ফজিলত লাভ হয়।
সওমে দাহার বা বছরব্যাপী নফল রোজা:
বছরে নিষিদ্ধ পাঁচ দিন তথা রোজার ঈদের দিন, কোরবানির ঈদের দিন ও তার পরের তিন দিন এবং হাজিদের জন্য আরাফাতের দিন ছাড়া অন্য সব দিন নফল রোজা রাখা জায়েজ। সারা বছর রোজা পালন করাকে সওমে দাহার বলে।
সওমে দাউদ বা দাউদী নফল রোজা:
নফল রোজা পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো উপলক্ষ না থাকলে হজরত দাউদ (আ.) এর পদ্ধতি অনুসরণ সর্বোত্তম; অর্থাৎ এক দিন পর এক দিন রোজা রাখা। (বুখারি)।

- মিলেছে ফিফার অনুমতি, শমিত এখন বাংলাদেশের
- চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় ২৭% পদে লোক নেই
- কানাডাকে বিনিয়োগ সম্পর্ক শক্তিশালী করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- মার্কিন শুল্কনীতিতে হুমকির মুখে বাংলাদেশের পোশাক খাত
- ইয়েমেনে হামলা বন্ধের ঘোষণা ট্রাম্পের
- ভারতের দুটি বিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
- পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে লজ্জাজনক বলছেন ট্রাম্প
- পাকিস্তানে হামলা চালাল ভারত
- হোটেলে কাজ করা সেই ছেলেটি এখন ক্ষমতাশালী দেশের প্রধানমন্ত্রী!
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আশা ক্ষীণ হচ্ছে
- প্রকাশ্যে আসছেন পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি
- ফ্যাসিস্টদের লুটপাটেই ব্যাংক খাতে ৫ ক্ষত
- জনজোয়ারে ফিরছেন খালেদা
- তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন ট্রাম্প
- দুই কিশোরের মায়েদের নাকে খত দেওয়ালেন বিএনপি নেতা
- হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করল কয়েকটি দেশ
- রণপ্রস্তুতিতে ভারত-পাকিস্তান
- হেফাজতের ওপর নৃশংসতার এক যুগ
- ভুয়া ঠিকানায় দলের ছড়াছড়ি
- জুলাইয়ে আন্দোলনকারী ও পরিবারের ওপর ৩৬ হামলা
- গাজীপুরে হাসনাতের গাড়িতে হামলার ঘটনায় আটক ২
- পোপ হিসেবে এআই নির্মিত নিজের ছবি পোস্ট করলেন ট্রাম্প
- সেই হারুনের ভাতের হোটেলে হাজার কোটি টাকার ‘গুপ্তধন’
- পরীমণি নিজেকে পরীর সঙ্গে তুলনা করলেন
- আত্মহত্যা নয় খুন হয়েছেন সাগর-রুনি, হত্যায় অংশ নেন ২ জন
- উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান
- তিন ইস্যু ঘিরেই সংকট
- খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা একদিন পেছাল
- ঐতিহ্যের ধারায় বাফা’র বর্ষবরণ
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- নাসার রিসাইকেল চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে দেড় কোটি ডলার জেতার সুযোগ
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- ‘আজকাল’ - ৮৪০সংখ্যা
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- আজকাল ৮৫০
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে

- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পথ চলার আদব!
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
- বিশ্ব ইজতেমা শুরু
- কাকরাইল মসজিদে বিদেশিদের মালামাল আটকে রেখেছে সাদবিরোধীরা