বয়সের ছাপ এড়াতে দশটি পানীয়

সবাই বয়স ধরে রাখতে চাইলেও তা কি ধরে রাখা সম্ভব! অবশ্যই সম্ভব না। তবে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখা সম্ভব। বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। পৃথিবীতে বাস করার সময় বেড়ে চললেও, বয়সের ছাপ মনে ফেলা চলবেনা। এ তো গেল মন। কিন্তু আরো একটি সমস্যা রয়েছে। ‌টানটান উজ্জ্বল মুখ আয়নায় দেখতে কে না পছন্দ করে! তাই শরীরেও বয়সের ছাপ পড়তে দেয়া যাবেনা। শুধু বাজার থেকে অ্যান্টি এজিং ক্রিম নয়। সুন্দর মুখ রাখতে ভিতর থেকে সুস্থ থাকতে হবে। তাই জেনে নেয়া যাক কোন কোন পানীয় খেলে বয়স বাড়লেও ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও সতেজ-

১. গাজর চোখের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করে

২. দুধ খান। দুধে প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম থাকায় ত্বক ভাল থাকে। তবে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে না খাওয়াই ভাল।

৩. নিয়ম করে সয়া মিল্ক খেতে পারেন। এতে ত্বকে বলিরেখা পড়বেনা। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতাও বজায় থাকবে।

৪. রোজ অন্তত এক কাপ গ্রিন টি খান। শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বের করে গ্রিন টি।

৫. এছাড়া স্ট্রেসমুক্তও রাখে। ফলে ত্বক সতেজ থাকে।

ফলের জুস

৬. সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি খেলেই শরীর তরতাজা লাগে। কিন্তু ত্বকের জন্যও কফি ভাল।

৭. ত্বকের ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগ এড়ানো যায়। তবে বেশি মাত্রায় ক্যাফিন গ্রহণ করবেননা। এতে হিতে বিপরীত হয়।

৮. গাজর চোখের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু তা ছাড়াও গাজরের রস নিয়মিত খেলে ত্বক ভাল থাকে। বিটে প্রাকৃতিক নাইট্রে‌ট থাকে যা রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে বিটের রস খান। শরীর সুস্থ থাকবে এতে।

৯. ত্বক ভাল রাখতে অনেকেই মুখে দই মাখেন। পেট ঠান্ডা রাখতে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে এক গ্লাস করে ঘোল খান। এতে ত্বকের কোমলতাও বজায় থাকে। নিয়ম করে সয়া মিল্ক খেতে পারেন। 

১০. রোজ সকালে এক গ্লাস লেবু মধুর জল খেলে মেদ এড়ানো যায়। আবার এই পানীয় শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বের করতেও সক্ষম।  

সর্বপরি বেশি করে পানি পান করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই অনেকটা পানি খান। শরীরকে সব সময়ে হাইড্রেটেড রাখুন।