নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জের মুখে হাসিনা!
প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২৩
মাসুদ করিম, ঢাকা থেকে -
নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে পরীক্ষার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশে মার্কিন মূল্যবোধের প্রসারে মরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের এসব বিষয়ে শেখ হাসিনার প্রশাসন কতটা নমনীয় তার ওপরই নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনে তার দলের ভাগ্য। ফলে বল এখন শেখ হাসিনার কোর্টে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন. গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রমমান, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবপাচার, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সন্ত্রাস দমন প্রভৃতি ইস্যু যুক্তরাষ্ট্রের নজরে রয়েছে। এসব গতানুগতিক ইস্যুর পাশাপাশি বাংলাদেশের নতুন নতুন বৈশি^ক ইস্যুর অর্ন্তভুক্তি ঘটছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তা রিচার্ড নেফিউ ঢাকা সফরকালে দুর্নীতি রোধকল্পে ‘ব্লু ডট নেটওয়ার্ক’ এ যোগদানের জন্যে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া যৌথভাবে এই নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেছে। বড় অবকাঠামো প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে এই নেটওয়ার্ক কার্যকর বলে কর্মকর্তারা বলছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপের পাশাপাশি বিএনপি রাজপথে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে। তার অংশ হিসাবে নানা কর্মসূচিতে রাজপথ উত্তাল হয়ে আছে। এমন একটা পরিবেশের মধ্যে নির্বাচনের আগের সময়টাকে হাসিনার প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্যে সবচেয়ে ভাল সময় বলে ধরে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এক মার্কিন কর্মকর্তা ঢাকায় আসছেন। বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিচ্ছেন। কোনও কোনও প্রস্তাব মেনে নেবার আশ^াসও সরকারের তরফে দেয়া হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে খুব হার্ডলাইন অবস্থান নিয়েছিলেন। এখন তিনি সেই অবস্থান খানিকটা নমনীয় করছেন।
পাকিস্তানে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নানাভাবে আলোচনা হচ্ছে। অনেকে মনে করেন, ইমরান খানকে অপসারণে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে। প্রায় একই ধরনের রেজিম চেঞ্জের খেলা বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশে করতে পারেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায় না। তারপর অবশ্য অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশকে নিয়ে ঘোষণা করেছে ভিসানীতি। এই নীতির ফলে কেউ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে তাকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি বাংলাদেশের ওপর বেশ প্রভাব ফেলেছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল জনসমাবেশ করতে পারছে। পুলিশ তেমন বাধা দিচ্ছে না।
নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র কেন এতটা হার্ডলাইন অবস্থান বেছে নিয়েছে? যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কাছে কী চায়? শেখ হাসিনাকে কেন দেশটি অপছন্দ করে? এমন প্রশ্ন অনেক। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কামনা করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন আগেই বলেছেন যে, বাংলাদেশ এমন নির্বাচন করুক যা গোটা বিশ^ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখবে। ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের গুনগত মান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্ন তুলেছিলো। তবে এবার নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
সরকারের জন্যে আত্মতুষ্টির জায়গা হলো, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সঙ্গে সুর মিলিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলেনি। এমনকি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলেও ‘অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের কথা উল্লেখ নেই। যদিও সরকারের দিক থেকে বরাবরই অভিযোগ ছিলো যে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্টুদূত পিটার হাস বিএনপি’র প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। বিশেষ করে ‘গুম’ হওয়া একজন বিএনপি নেতার বাসায় যাওয়ার পর সরকার তা ভালভাবে নেয়নি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশ সফরে এসে বারবারই স্পষ্ট করেছেন যে, তারা কোনও দলের পক্ষে অবস্থান করেন না। উজরা জেয়াকে শেখ হাসিনা তার বাসভবন গণভবনে আপ্যায়ন করেন।
ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক বিবেচনা করে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশকে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকে আছে। এটা নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ রয়েছে। আকসা ও জিসোমিয়া নামের দু’টি সামরিক চুক্তির প্রস্তাব বাংলাদেশের কাছে দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের কাছে সমরাস্ত্রও বিক্রি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে বরাবরই যুক্তরাষ্ট্র খুবই সোচ্চার। এলিট ফোর্স র্যাবের আচরণের কারণে বাহিনীর কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়েছে। এই স্যাংশন দেবার পর কথিত ‘ক্রসফায়ার’ বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্নীতি করে যারা অর্থপাচার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেয়াও যুক্তরাষ্ট্রের হাতিয়ার। বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপ এক বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে রাজনীতির অঙ্গনেও চলছে তোলপাড়।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই নাজুক। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সবাই চিন্তিত। তার ওপর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে পাল্লা দেওয়া শেখ হাসিনার জন্যে কতোটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে সেটাও বিবেচনা করতে হবে। এখন শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন কিনা যুক্তরাষ্ট্র সেটাই দেখবে। উজরা জেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন কংগ্রেসম্যান ঢাকা এসেছেন। নিরাপত্তা সংলাপসহ আরও কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশে হবে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে শেখ হাসিনার ওপর মার্কিন চাপ আরও বাড়তে পারে।
- তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
- হাসিনার রায়ের খবর বিশ্ব মিডিয়ায়
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ট্রাইব্যুনালে
- মার্কিন এফ-৩৫ পেতে সৌদির ওপর ইসরায়েল নিয়ে কঠিন শর্ত
- শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- বাসে আগুন ও ককটেল হামলাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
- শিক্ষক আন্দোলনে আহত সেই শিক্ষিকার মৃত্যু
- বেশ কিছু খাদ্যপণ্যে ট্রাম্পের শুল্ক প্রত্যাহার
- উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
- শেখ হাসিনার রায় আজ
- রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
- সরকার সচল হলেও কাটেনি অ্যামেরিকার অর্থনীতির কুয়াশা
- ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
- বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মামলা করব: ট্রাম্প
- ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু
- বিএনপি কোনো মেগা প্রজেক্টের দিকে যাবে না: আমির খসরু
- অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থন পেয়ে আপ্লুত তারেক রহমান
- রাজধানীর ৩ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন
- বরিশালে দফায় দফায় সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর
- উৎসব গ্রুপের ২০ বছরপূর্তি
- ‘আসো’র দশ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা
- বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী ইউএসএ ইনকের কমিটি গঠন
- কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটি’র সভাপতি তোফায়েল ও সম্পাদক ফারুকুল
- কমিউনিটির ‘আনসাং হিরো’ টিপু সুলতান
- সভাপতি মনোয়ার ও সাধারন সম্পাদক মমিন
- প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ২ হাজার ডলার
- এনওয়াইপিডি-কমিউনিটি মতবিনিময়
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে ‘আজকাল’কে যা জানালেন
- আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- এসাইলাম আবেদন ফি হাজার ডলার!
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
