সোমবার   ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ৩১ ১৪৩২   ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
১৪৮

এই গরমে ডায়রিয়া থেকে সাবধান

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০১৯  

 

পানির বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা গেলে ডায়রিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধ করা যায়। মডেল: শশী, ছবি: অধুনাগরমের সময় পানির ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। সবাই পানি বেশি ব্যবহার করেন। সেটা পানি পান করার ক্ষেত্রেও। কারণ, গরমে মানুষের পানির তৃষ্ণা বাড়ে। ঢাকা শহরের পরিধি বাড়ছে না, কিন্তু জনসংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঢাকা শহরে আসে নতুন কাজের সন্ধানে। এসেই কিন্তু বস্তিতে থাকার জায়গা পায় না। সেখানে থাকারও অনেক সমস্যা। ফলে রাস্তার পাশে এবং এখানে–ওখানে থাকে। অনেকে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে টিকে থাকার জন্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা যে পানি পান করছে, সেই পানি দূষিত। সে কারণে গরমের এই সময় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে যায়।

পানি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়, সেগুলো সব সময় বিশুদ্ধ নয়। গরমে খাবারও দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তায় পাশে যে খাবার বিক্রি হচ্ছে বা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় যে খাবার আমরা খাই, গরমের কারণে সেগুলোও বেশিক্ষণ খাবারের উপযোগী থাকে না। ঢাকা শহরে অনেকেই রেস্তোরাঁয় খাবার খান। কিন্তু সেই খাবার বাসি কি না, সেটা আমাদের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। অনেক সময় অনেক রেস্তোরাঁয় সুন্দরভাবে খাবার পরিবেশন করে। কিন্তু সুন্দরভাবে পরিবেশন করা খাবারটি বাসিও হতে পারে। অনেকে অভিযোগ করে, রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে তার পেট খারাপ ও ডায়রিয়া হয়েছে।

এরপর হলো আমাদের পানিপ্রবাহের বিষয়। ভূগর্ভস্থ থেকে পানি রিজার্ভারে তোলা হয়। রিজার্ভার থেকে আবার ওপরে তোলা হয়। এরপরে বাসায় বাসায় দেওয়া হয়। এখানে একটি কথা বলতে হয়। পানি জমিয়ে রাখার এই উপকরণগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কম পরিষ্কার করা হয়। পরিষ্কার না করার ফলে তাতে শেওলা জমে। ভেতরে জীবাণু আশ্রয় নেয়। বিশেষ করে কলেরার জীবাণু। যখন প্রচণ্ড গরম পড়ে, তখন এই শেওলাগুলো অনেক ফুলতে ও ফাঁপতে থাকে। তখন নিজেদেরই খাদ্যের প্রয়োজন হয়। এরপর খাদ্যের অভাবে এগুলো ভেঙেচুরে মরে যায়। তখন জীবাণুগুলো উন্মুক্ত হয়ে পড়ে ওই পানিতে। জীবাণুগুলোর বাঁচার জন্য তাদের খাদ্য হচ্ছে মৃত শেওলা। 
যেসব জায়গায় পানির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ, সেই সব জায়গায় ছড়িয়ে যায়। এভাবে ডায়রিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়।

মূল কথা হচ্ছে, এই প্রচণ্ড গরমে পানির ব্যবহার করার হার বেড়ে যায়। বেশির ভাগ জায়গায় পানি দূষিত। আর খাবারদাবারও দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, সেটাও দূষিত। এ কারণে ডায়রিয়া হয়।

হওয়ার আগে সাবধানতা

যেহেতু এটা পানিবাহিত রোগ, তাই সব সময় বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ফুটিয়ে পানি পান করা হলো সবচেয়ে ভালো। কিন্তু সবাই তো আর ফুটিয়ে নিতে পারবে না। রাস্তার পাশে বা বস্তিতে যারা থাকে, তারা সব সময় পানি ফুটিয়ে পান করতে পারে না। সেটা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে উন্নত দেশের মতো আমরা কল খুলে পানি পান করতে পারি না। ফলে দেখতে হবে যারা পারে তাদের প্রথমত ফুটিয়ে পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া ফিল্টার ব্যবহার করা বা বোতলের পানি পান করতে পারে।

আমাদের বাসায় আমরা ফিল্টার ব্যবহার করে পানি পান করি। আমাদের বাসায় আমরা এটা লক্ষ করি, নিচের রিজার্ভার এবং ওপরের ট্যাংক নিয়মিত ভালোভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সারা বছর হাত ধোয়ার অভ্যাসটা সব সময় রাখা। সাবান ব্যবহার উচিত টয়লেট করার পরে। যাদের কাছে সাবান নেই, তাদের উচিত প্রচুর পরিমাণ পানি দিয়ে হাত ধোয়া। আর খাবারদাবারের বিষয়ে সবার সতর্ক থাকতে হবে। ছোট বাচ্চা ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ পান করবে। এগুলো যদি থাকে, তাহলে ডায়রিয়া কম হবে। তবে ডায়রিয়া যে একেবারে হবে না, তা নয়। এর মধ্যেও কোনো না কোনো ডায়রিয়া হতে পারে। কিন্তু ডায়রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, খাবার আগে–পরে এবং টয়লেট করার পরে ভালোভাবে হাত ধোয়া উচিত। আশপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার।

হয়ে গেলে কী করবেন

ডায়রিয়ায় যেটা হয় তা হলো লবণ আর পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এটা সময়মতো ফেরত দেওয়া গেলে ভালো। লবণ–পানি শরীরে ফেরত দেওয়ার ফলে যে জায়গা থেকে 
এগুলো বের হয়, সেটা আবার পূরণ হয়ে যায়। বর্তমানে যেকোনো দোকানে খাওয়ার স্যালাইন পাওয়া যায়। ডায়রিয়া হলে সবার আগে স্যালাইন খাওয়ানো উচিত। ওরস্যালাইন খাওয়ার পরে যদি অবস্থার অবনতি হয়, তাহলে অতি দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। শুধু আইসিডিডিআরবির কথা চিন্তা করলে হবে না।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে ফিল্টারের পানি পান করতে পারেন। ছবি: অধুনা

ডায়রিয়া প্রতিরোধে ফিল্টারের পানি পান করতে পারেন। ছবি: অধুনাডায়রিয়া হয়ে গেলে দেরি করা যাবে না। এই গরমে তীব্র ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইনেই ভালো হয়ে যাবে, সেটা ভাবা উচিত নয়। অর্থাৎ ডায়রিয়া হয়ে গেলেই ওরস্যালাইন খাওয়ানো শুরু করতে হবে। খাওয়াতে খাওয়াতে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। আর প্রথমে কাছের হাসপাতালেই নিয়ে যেতে হবে।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ছয় মাস পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ পান করানো উচিত। ডায়রিয়া হলে বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানোর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।

ডায়রিয়া হওয়ার আগে কলেরার ভ্যাকসিন খেতে পারেন। কিছুদিন আগে মিরপুরে কলেরার ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার কিছুটা কম।

পরিকল্পনাও প্রয়োজন

আরেকটা বড় বিষয় আছে, সেটা হলো ওয়াসা যেখান থেকে পানিটা ছাড়ছে, সেই পানি যদি আপনি পরীক্ষা করেন, তাহলে দেখবেন ক্লোরিনও ভালো আছে, জীবাণুও নেই। এখন সেই পানিটা একটা পাইপ দিয়ে এল কোনো এলাকায়। সেই এলাকায় ওই পানি নিয়ম অনুযায়ী ১০০ জনের ব্যবহার করা উচিত। দেখা গেল সেই পানি আরও ৯০০ জন মানুষ অবৈধভাবে ব্যবহার করছে। আবার যে পাইপ দিয়ে পানিটা আসছে, সেটা পুরোনো। ওই পাইপ আরও ৯০০ জনে সংযোগ নেওয়ার ফলে পাইপটি ফুটো হয়ে যায়। ফুটো হলে ওই পাইপের ওপর একটা নেতিবাচক চাপ পড়ে। এ কারণে আশপাশে যে সুয়ারেজ লাইন আছে, সেখান থেকে ময়লা ঢুকে যায় পানি সরবরাহের পাইপে। এই পানিটা যখন গরমের মধ্যে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে, তখন দেখা যায় ডায়রিয়া আরও বেড়ে যায়। ওয়াসার পানির এই পাইপের বিষয়টা তো আগামীকাল বা আজই ঠিক করা যাবে না।

এ বিষয়ের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। বাংলাদেশ সব দিক থেকে অনেক উন্নতি করেছে কিন্তু এই খাতে কেন পিছিয়ে আছে। এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। ডায়রিয়া দূর করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আর ডায়রিয়ার জন্য স্বল্পমেয়াদি হলো ওরস্যালাইন খাওয়ানো শুরু করা এবং মাঝারি মেয়াদি পরিকল্পনা হলো ওরস্যালাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হলো অবকাঠামোর উন্নয়ন। 

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল