আল কুদস দিবস: জেগে উঠুক মুসলিম উম্মাহ
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০১৯

পবিত্র রমজানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবস। ফিলিস্তিন ও পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাসের দখলদার ইহুদিদের হাত থেকে মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল আকসা মসজিদকে মুক্ত করার জন্য মুসলমানদের জাগিয়ে তোলাই এ দিবসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
এ ছাড়াও মজলুম ফিলিস্তিনি জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ইহুদি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন ও তাদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটানো এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনি জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর মোকাবেলার জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এ দিবস।
জেরুজালেম শহরের অপর নাম ‘কুদস’ বা ‘আল কুদস’। জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দাস হলো- মুসলমানের প্রথম কেবলা। মুসলিম ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অসংখ্য নবী-রাসূলের (সা.) পদধূলিতে ধন্য এই নগরী। মিরাজ রজনীতে এই মসজিদেই হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সব নবীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত নামাজের ইমামতি করেছিলেন। হজরত সোলায়মান (আ.) সর্বপ্রথম এই মসজিদ নির্মাণ করেন। অসংখ্য নবী-রাসূলের দাওয়াতি মিশন পরিচালিত হয়েছে এই মসজিদকে কেন্দ্র করে।
জেরুজালেম নগরী বিশ্বের অন্যতম পবিত্র স্থান। সব ধর্ম-বর্ণ, জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এই নগরীকে শ্রদ্ধা করে থাকেন। কিন্তু আফসোসের কথা হচ্ছে, বায়তুল মোকাদ্দাস ও জেরুজালেম নগরীতে আজ মুসলমানদের বিচরণ নিষিদ্ধ। নিজেদের পবিত্র স্থানে যেতে তারা আজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য সেখানে যাওয়া নিয়ন্ত্রিত। ইহুদিরা জবরদখল করে আছে সেখানে। বছরের পর বছর ধরে মুসলমানরা সেখানে যেতে পারছে না। হাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যমণ্ডিত এই নগরীতে মুসলমানরা আজ নিগৃহীত। শুধু ফিলিস্তিনবাসীর জন্য নয়, সমগ্র মুসলিম জাতির জন্য এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।
ফিলিস্তিন আয়তনগত দিক থেকে তেমন বড় রাষ্ট্র নয়। এর মোট আয়তন মাত্র ২৭ হাজার বর্গকিলোমিটান। কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়া ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুসলমান তিন ধর্মের লোকদের কাছেই ফিলিস্তিন পুণ্যভূমি বলে গণ্য। ফলে এর কর্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলে আসছে শুরু থেকেই। হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) ইন্তেকালের কিছুদিন পর ফিলিস্তিন মুসলমানদের দখলে আসে। মাঝে বিশ্বব্যাপী ক্রসেড চলাকালে স্বল্প সময়ের জন্য আল কুদস খ্রিস্টানদের দখলে গিয়েছিল। পরে সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী তা পুনরুদ্ধার করেন।
এরপর থেকে মুসলমানরা নির্বিঘ্নে পবিত্র এই নগরীতে তাদের নিজেদের ধর্ম-কর্ম আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। এর সঙ্গে সমস্ত মুসলিম জাতির একটি নিবিড় রয়েছে। এই শহরকে কেন্দ্র করে আরব বিশ্ব তথা মুসলিম দেশগুলোতে গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যের আবহ। মধ্যপ্রাচ্যের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে ফিলিস্তিন নগরী। কিন্তু বিপত্তি বাধে বিগত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারাবিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা যাযাবর জাতি ইহুদিদের একটি স্থানে জড়ো করার দাবি ওঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এ ব্যাপারে জোর তৎপরতা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিদের পুনর্বাসন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সে লক্ষ্যে তারা নিজেদের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের এনে জড়ো করতে থাকে।
এভাবেই একটি স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের সব ব্যবস্থা নেয়া হয়। জাতিসংঘও সহযোগিতা প্রদান করে। তখন অবশ্য বলা হয়েছিল, এখানে আরেকটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা। কিন্তু সেই আশার কথার চিড়া আজও ভেজেনি। এরপর থেকে ফিলিস্তিনের সমস্যা দিন দিন ঘনীভূতই হয়েছে। এত কিছুর পরও ফিলিস্তিনের মুসলমানরা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে আজও। যদিও তাদের সেই আশা দিন দিন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদীদের চালের কারণে ফিলিস্তিন ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। সারাবিশ্বের মুসলমানরা আজ তাকিয়ে আছে ফিলিস্তিনের দিকে। কবে মুক্ত হবে আল কুদস। কবে মুসলমানরা আবার তাদের পুণ্যস্থান বায়তুল মোকাদ্দাসে স্বাধীনভাবে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারবে। কুদস দিবস মুসলমানদের হারানো সম্মান পুনরুদ্ধারের চেতনাকে ক্রমেই শানিত করছে। মূলত আল কুদস দিবস এক মহাজাগরণের দিন। যে জাগরণের মূল চেতনা হলো- মুসলিম ঐক্য। জেগে উঠুক মুসলিম উম্মাহ।

- ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণের পর হেলিপ্যাডে ধস
- সেন্টমার্টিন নিয়ে ১২ নির্দেশনা জারি
- পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে ‘সময় নষ্ট’ করতে চান না ট্রাম্প
- দেশের বাজারে সোনার দামে `বড়` দরপতন
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ
- আইএমএফের ষষ্ঠ কিস্তি পাওয়া যাবে নির্বাচনের পর
- মুশফিকুল ফজল আনসারীকে নিয়ে ন্যান্সির আবেগঘন স্ট্যাটাস
- ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
- ‘সাংবিধানিক আদেশ জারি’ করলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি
- এনসিপি ও জামায়াতকে কী বললেন প্রধান উপদেষ্টা
- সাজাভোগ করতে কারাগারে গেলেন সারকোজি
- ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ মিলছে ৪২ দেশের নাগরিকদের
- ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের তালিকা সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নামাজ পড়ায় গোমূত্র দিয়ে দুর্গ ‘পবিত্র’ করলেন বিজেপি এমপি
- স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়ে বেরিয়ে গেলে দিতে হবে ১০০ টাকা
- ইউক্রেনের ‘৭৮ শতাংশ দখল’ করে নিয়েছে রাশিয়া, ধারণা ট্রাম্পের
- ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স
- সুপার ওভারে উইন্ডিজের কাছে হারল বাংলাদেশ
- নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে যা প্রয়োজন আমরা করব: প্রধান উপদেষ্টা
- ৭ মিনিটের অভিযানে ল্যুভর থেকে যেভাবে ৮ রত্ন চুরি হলো
- আইসল্যান্ডে প্রথমবার মশার দেখা
- আমার ২ কন্যাকে আটকে রেখে বিপজ্জনক ড্রাগস খাওয়ানো হচ্ছে: নীলা
- পুতিনের শর্ত মেনে জেলনস্কিকে যুদ্ধ শেষ করতে বললেন ট্রাম্প
- ট্রাম্পের মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূত সরিয়ে নিল কলম
- ‘কিং ট্রাম্প’ ভিডিও ঘিরে তোলপাড় যুক্তরাষ্ট্রে
- ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের তথ্য আসিফের!
- ওএসডি থাকা ৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর
- চাঁদা না পেয়ে রিসোর্ট বন্ধ করে দিল বিএনপি নেতা
- ক্যারিবীয় সাগরে ‘সাবমেরিন’ হামলার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
- ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, সড়কে লাখো মানুষ
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত

- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- মৃতের আত্মা কখনও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসে না
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- কেমন হবে হাশরের ময়দান
- পথ চলার আদব!
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু