শুক্রবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৩ ১৪৩২   ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৩৩১

বসন্তকালে ফুলের জন্য হতে থাকে মারাত্নক অ্যালার্জি!

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে,. এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়,. বসন্তকাল চলে এসেছে। তবে এই বসন্ত কিন্তু সবার জন্য আনন্দময় নয়। কারণ এই ঋতুতে অ্যালার্জি এবং অ্যালার্জিজনিত নানা সমস্যা দেখা যায়। গাছে ফুল আসে। চারিদিকে ঘুরে বেড়ায় অজস্র ফুলের রেণু, বাতাসবাহিত হয়ে ওই রেণু আমাদের নাক- চোখ এবং ফুসফুসে প্রবেশ করে। তাতে অনেকের মারাত্মক অ্যালার্জি হয়। এর ফলে চোখে কনজাংটিভাইটিস, ফুসফুসে প্রদাহ জনিত রোগ বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এছাড়াও অনেকের ত্বকেও নানা রকমের সমস্যা হয়।

 

ফুলের রেণু আমাদের শরীরে ইমিউনো সেলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। কোষ থেকে হিস্টামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক বার হয়। এই হিস্টামিনই নানা রকম অ্যালার্জি, চোখের প্রদাহ, ত্বকের রোগের জন্য দায়ী। হিস্টামিন মানুষের রক্ত থেকে ফ্লুইড বার করে দেয়। এর ফলে চোখ লাল হয়। অতিরিক্ত জলক্ষরণ হয়।

আর এই বসন্তেই অ্যালার্জিজনিত কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানি বাড়ে। সিওপিডির রোগীদের কষ্ট আরো বেড়ে যায়। গ্রামবাংলায় এই ঋতুতে অ্যালার্জিক এলভিওলাইটিস দেখা দেয়। এটা হাঁপানির মতো এক ধরনের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। যদিও এ রোগে সাঁই সাঁই শব্দ শুনতে পাওয়া যায় না। একজাতীয় ছত্রাক বা ফুলের রেণু নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে ঢুকে এই রোগের জন্ম দেয়।

আর হিস্টামিন নাক-কান গলার চুলকানির জন্য দায়ী। নাক অনেকসময় বন্ধ হয়ে যায়। নাক থেকে পানি গড়ায়, নাক ও গলা খুশখুশ করে, অতিরিক্ত হাঁচি হয় এবং চোখের নীচে কালি পড়ে যায়। 

এর থেকে বাঁচতে নাকে-মুখে মাস্ক কিংবা রুমাল ব্যবহার করতে হবে। শিশুরা যাতে ফুল বা ঘাস নিয়ে এই সময় খেলা না-করে সে দিকে বা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরের দরজা-জানলা সব সময় খোলা রাখলে রেণুর অবাধ প্রবেশ করে। তাই যারা অ্যালার্জিপ্রবণ তারা দরজাজানলা বন্ধ করে রাখবেন। 

ঋতু পরিবর্তের এই সময়ের তাপমাত্রার আচমকা তারতম্যের জন্য সাধারণ সর্দি-কাশির সমস্যাও বাড়ে। এর জন্য প্রথমেই কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। গরম পানির ভাপ নেওয়া ও গার্গল করা ভালো। 

বসন্তের সঙ্গে ডিপ্রেশন বা অবসাদেরও সম্পর্ক রয়েছে। একেবারে সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না-গেলেও এই সময় মস্তিস্কে সেরোটোনিন কমে যায়। মানুষের মুড নিয়ন্ত্রণ করে এই সেরোটোনিন। এটা কমে যাওয়ার ফলে অনেকের মধ্যে ডিপ্রেশন আসে। ফলে ওজনবৃদ্ধি ও মানসিক শিথিলতা দেখা যায়। 

কিছু টিপস:

ঠাণ্ডা বাতাসে বেশিক্ষণ না থাকা।

ফুলের রেণু এড়াতে মাস্ক ব্যবহার।

ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া।

হাঁচি-কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করা।

পারলে জনবহুল জায়গা এড়িয়ে যাওয়া।

সারা দিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

ফলমূল খান ও আদাযুক্ত লাল চা পান করুন।

ফ্রিজের পানি ও আইসক্রিম থেকে বিরত থাকুন।

অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমোন। 

এই সময়ে অনেকেরই চিকেন পক্স বা জলবসন্ত হয়। এটি একটি অতি ছোঁয়াচে রোগ। এর সংক্রমণের হার প্রায় ৯০ শতাংশ। নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সকলের এই রোগ হয়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি। এখন এই রোগের টিকা রয়েছে। সেটা নিয়ে নিতে পারলে ভালো। 

এই রোগ এক বার যাদের হয় তারা সাধারণত দ্বিতীয় বার এই রোগে আক্রান্ত হন না। এই রোগের ভাইরাস ক্যারিসেলা জোস্টারকে প্রতিহত করার জন্য দু’ বছর বয়সে টিকা দেওয়া হয়। এখন এই টিকা নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। 

চিকেন পক্স হলে জ্বর, মাথা ও পেশিতে ব্যথা হয়। শরীর জুড়ে পানিভরা গুটি বের হয়। এগুলি সাধারণত সপ্তাহ দু’য়েক থাকে। চিকিৎসার পর রোগী পুরোপুরি সেরে ওঠার পরেও তাকে কিছুদিন সাবধানে থাকতে হয়। কারণ ওই সময়ে শরীর দুর্বল থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়া প্রভৃতি রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাড়ির কারো এই রোগ হলে তাকে যথাসম্ভব আলাদা রাখতে হবে। না হলে অন্যরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। 

হাঁচি-কাশি ও সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই সময়ে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বেশ চড়া হওয়ায় বাইরে থেকে ঘরে এসেই অনেকেই ঠাণ্ডা পানি বা সরবত খান। এর ফলে গলা ব্যথা হয়। ঢোক গিলতে সমস্যা হয়। টনসিল ফুলে যায়। জ্বর আসে। ঋতু পরিবর্তনের সময় ঘরে ঢুকেই ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করলে ভালো। 

কিছুটা শীত কিছুটা গরমের এই আবহাওয়ায় বিভিন্ন ভাইরাসের সঙ্গে মশারাও সক্রিয় হয়ে ওঠে। মশার কামড়ে এই সময়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো নানা রকমের রোগ হয়। 

তবে আমাদের দেশে প্রতি বছরই বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। সঠিক চিকিৎসায় রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই রোগে ডায়েরিয়া হতে পারে। অনেকক্ষেত্রে লিভারের ক্ষতি হয়। ডেঙ্গু রোগীর জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। ডেঙ্গু ছড়ায় চার রকমের ভাইরাস। একটি ভাইরাস এক বার ডেঙ্গু ঘটালে, অন্য ভাইরাস পরে কোনো সময়ে ফের এই রোগ ডেকে আনতে পারে। 

এই ঋতুতে হাম ও ভাইরাল ফিভার হতে দেখা যায়। টাইফয়েড এবং প্যারাটাইফয়েডও দেখা দিতে পারে। ভাইরাল ফিভারে সাধারণত সর্দি-কাশির সঙ্গে মাথাব্যথা ও শরীর ব্যথা দেখা দেয়। জ্বরের শুরুতে এ জ্বর এবং টাইফয়েড জ্বরের মধ্যে পার্থক্য বের করা মুশকিল হয়ে পড়ে।

জ্বরের ধরন ও ব্লাড টেস্টের পর রোগীকে ভালমতো পরীক্ষা করে বোঝার চেষ্টা করা ভাইরাল ফিভারে রোগীকে পুরোপুরি বিশ্রামে রাখতে হয়। পুষ্টিকর খাবার খেতে দিতে হয়। জ্বর ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপর থাকলে প্যারাসিটামল ধরনের ওষুধ খেতে হবে এবং রোগীর মাথায় পানি ও শরীরে কোল্ড স্পঞ্জিং দিতে হবে। রোগীকে বেশি করে পানি খেতে দিতে হবে। এ অবস্থায় এক থেকে চার দিনের মধ্যেই জ্বরের প্রকোপ কমতে থাকে। পাঁচ-সাত দিনের মধ্যেই রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। এই নিয়মে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। 

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল