বুধবার   ২৩ জুলাই ২০২৫   শ্রাবণ ৭ ১৪৩২   ২৭ মুহররম ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
১৫৫

প্রযুক্তির কাছে কী মানুষ হেরে যাবে?

প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০১৯  

আগে একটা সময় চাবির ব্যবহার ছিল অনেক। যার পকেটে যত চাবি থাকতো, ধরে নেয়াই হত সে অফিসের মহা মূল্যবান পদে আছেন। অর্থাৎ একটা অফিসে তাকে অনেক দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এখন এ সময়ে এসে পকেটে চাবি নিয়ে ঘুরার মতো লোকের বড্ড অভাব। আসতে আসতে প্রযুক্তির কাছে হারিয়ে যাচ্ছে সে প্রথা। 

এক ধরনের বিলুপ্তির পথে চাবির ব্যবহার। আগে কোনো অফিস বা দোকানে প্রবেশ করতে অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হত, শুধুমাত্র তালা খোলার জন্য। কিন্তু এখন সে দিন শেষ। এখন সে চাবির ব্যবহার শেষ হয়েছে পাসওয়ার্ডের কারণে। উন্নত দেশগুলোতে এখন চাবির ব্যবহার নেই বললে চলে। সেখানে একটি ডিভাইস বসানো থাকে। তার উপর আঙুলের স্পর্শ অথবা পাসওয়ার্ডের অপশন দেয়া থাকে। আর অফিস বা দোকানের সবার কাছে সে সংখ্যা (পাসওয়ার্ড) দেয়া থাকে। 

 

এছাড়াও আগে এক সময় কাগজের ফাইলপত্র খুব দেখা যেত। তবে এ সময়ে এসে অফিসের টেবিলে তেমন ফাইলপত্র চোখে পড়ে না। এখন সব কিছু ডাটাবেস করে রাখা হয়। একটি ব্যস্ত টেবিলে এখন একটি কম্পিউটারই যথেষ্ট। কাগজ, কলম, তালা, চাবি, সবকিছু এখন ভার্চুয়াল হয়ে যাচ্ছে। এসব কিছুর এখন প্রয়োজন হয় না বললে চলে।

এছাড়াও এখন কোনো কিছু কিনতে বাজারে বা শপিং মলে যেতে হয় না, অনলাইনে ঘরে বসে পেয়ে যাবেন সবকিছু। এমনকি পকেট থেকে কষ্ট করে টাকাও বের করতে হয় না, এর লেনদেনও ভার্চুয়াল। অতি ক্ষমতাধর বিভিন্ন চৌকো বাক্সে সব বন্দি হয়ে যাচ্ছে। এখন শপিং করার জন্য একটি কার্ডই যথেষ্ট। তাছাড়া একটি স্মার্ট ফোন থাকলে অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি নিমিষেই কিনতে পারবেন সব পণ্য, তাও আবার ঘরে বসে। মোদ্দাকথা প্রযুক্তি মানুষকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলছে।


 

এছাড়া আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন কিনা? আগে একটি বড় শপে মিনিমাম ১০- ১২ জন লোকের প্রয়োজন হত, তবে এখন প্রযুক্তির কারণে এক বা দুইজন লোকই যথেষ্ট। সেটি সম্ভব হয়েছে সিসি ক্যামেরার বদৌলতে। যেখানে ১০ জন লোকের প্রয়োজন, সেখানে চারটি সিসি ক্যামেরায় যথেষ্ট পুরো শপটিকে নজরে রাখতে। এভাবে আসতে আসতে প্রযুক্তির কারণে মানুষের কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। সামনে মানুষের কর্মসংস্থান আরো কমে যাবে। ব্যাপক অনিশ্চয়তা দেখা দেবে, সঙ্গে বেকারত্বের হারও বাড়বে।

এখন প্রশ্ন হলো, যন্ত্রই কী পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করবে একসময়? এ নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনা আছে। অনেক শিক্ষিত বেকারদের এ প্রশ্নটি এখন বেশ ভাবাচ্ছে। এদিকে, কিছুদিন আগে আবার তৈরি হলো ড্রাইভারবিহীন গাড়ি। যে গাড়ি চালাতে কোনো ড্রাইভারের প্রয়োজন হবে না। তাছাড়াও আবার দেখা গেল সংবাদ পাঠকেরও প্রয়োজন নেই! অর্থাৎ ক্যামেরার সামনে বসে সংবাদ পাঠ করতে এখন প্রয়োজন হবে না কোনো উপস্থাপিকার, রোবট দিয়ে সেই উপস্থাপনা হয়ে যাবে। তবে অনেকের কাছে এও মনে হয়, এই ধরনের আবিষ্কার সংকট তৈরি করলেও শেষপর্যন্ত মানুষই জয়ী হবে। কারণ, মানুষের জন্য যন্ত্র, যন্ত্রের জন্যে মানুষ না।

সামনে অনেক ধরনের কাজে মানুষের প্রয়োজন নেই ঠিকই, তবে একজন কপিরাইটারের কাজ কে করবে? কিংবা মার্কেটিং বিশেষজ্ঞের কাজ? আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলেজিন্সের দৌড় কতটুকু? হ্যাঁ, খুব স্মার্ট এবং এফিসিয়েন্ট চিন্তা করতে পারবে যন্ত্র; কিন্তু আনস্মার্ট, অযৌক্তিক চিন্তা করতে পারবে কি? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আবার মানুষেরই প্রয়োজন আছে। যাই হোক একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলা যায়, যন্ত্র আবিষ্কার হলেও শিক্ষিত মানুষের প্রয়োজন এখন পুরো পৃথিবীজুড়ে। হয়ত এসব যন্ত্রের কারণে অশিক্ষিত যুবকদের কাজ কমে যাচ্ছে তবে শিক্ষিত যুবকদের কাজ কিন্তু ঠিকই বাড়ছে।

 

তাছাড়া যন্ত্রের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো এর লজিকাল এ্যালগরিদম। পৃথিবীতে অনেক অনেক শুভ কাজ হয়েছে অযৌক্তিক চিন্তা, পাগলামী আর আবেগ থেকে। যন্ত্রের পক্ষে সেটা কোনোদিনই অর্জন করা সম্ভব না। তারপরেও অবশ্য তার আগ্রাসন চলবে। এতে অনেক মানুষ কাজহারা হবে ঠিকই, কিন্তু মানুষের মধ্যে একটা আদিম প্রবৃত্তি আছে টিকে থাকার, তাই মানুষই টিকে যাবে। ক্ষুধার জন্য হলেও মানুষ তাদের কাজ বেছে নিবে।

তবে যন্ত্রের ক্ষুধা নেই, তৃষ্ণা নেই, পরিবার টানার চাপ নেই, সন্তানের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই, সবচেয়ে বড় কথা, তাদের মৃত্যুভয় নেই, জীবন জন্ম দেয়ার ক্ষমতা নাই। তারা কিসের প্রেরণায় পরিশ্রমী হয়ে উঠবে? যন্ত্রের কাছে মানুষই ঈশ্বর। তাই তাদের পরিচালনার জন্য অন্তত মানুষের প্রয়োজন হবে।

এ নিয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবালের কপোট্রনিক সুখ দুঃখ বইয়ে একটা অসাধারণ গল্প ছিলো, যা আমার বেশ মনে ধরেছে। সেটি হলো, একটি শহরে বা রাষ্ট্রে রোবটরা সব ক্ষমতার অধিকারী হয়। সেখানে তারা মানুষের কাছ থেকে কর্তৃত্ব কেড়ে নেয়। সবকিছু খুব ভালোভাবে চলতে থাকে। তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছিলো অসাধারণ পর্যায়ের, মানুষের মতই। ধাঁই ধাঁই করে সবকিছুর উন্নতি হতে থাকে। কিন্তু বছর খানেকের মধ্যেই সব মুখ থুবড়ে পড়ে। কারণ হিসেবে জাফর ইকবাল বলেছেন, তাদের মধ্যে ক্ষুধার অনুভূতি নেই। নেই সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। তবে তারা কাজ করবে, উন্নতি করবে, কিন্তু কাজ না করলে কী হবে? কিছুই হবে না! দিব্যি বেঁচে থাকবে, না খেয়ে থাকার ভয় নেই তাদের (রোবট)! 

এজন্য মানুষের মতো কী তাদের কাজ চলবে? এখানেই পার্থক্য, মানুষ আর রোবটের! পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষটি থেকে শুরু করে সবচেয়ে দুর্বল মানুষটি, সবাইকেই খাদ্যগ্রহণ করতে হয়, ঘুমোতে হয়। সবচেয়ে সফল মানুষটিও আগামীর পথচলায় নিশ্চিন্ত নয়। পেটের ক্ষুধা মিটে গেলে জৌলুসের ক্ষুধা, বিলাসের ক্ষুধা, ওপরে ওঠার ক্ষুধা, ক্ষুধার তো শেষ নেই! তাই মানুষ ক্ষুধার জন্য দৌড়ে বেড়ায় কিন্তু রোবট কী সে দৌড় দৌড়াবে?

আসলে আদিম গুহামানব থেকে শুরু করে আধুনিক ভার্চুয়াল সেলিব্রেটি, মানুষ কিন্তু খুব বেশি বদলায়নি! তারা সেই আগের চিন্তা এখনো করে। সব মানুষ এখনো পূর্ব পুরুষদের চলনভঙ্গী অনুসরণ করে। বেসিক ইনস্টিংক্ট কখনো বদলায়নি, বদলাবেও না। আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত মানবজাতি একের পর এক ক্রাইসিস মোকাবিলা করে এসেছে, নতুন ক্রাইসিস তৈরি করেছে, যন্ত্রসভ্যতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এসব এ যাপনেরই একটা অংশ, এর থেকে বেশি কিছু না! শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকবে, আর বাকি সব যন্ত্র যন্ত্রের ন্যায় কাজ করে যাবে। অর্থাৎ পৃথিবীতে মানুষের কোনো বিকল্প নেই।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর