দাম বাড়ায় আমিষে টান, তেলাপিয়া পাঙ্গাশও উঠছে না গরিবের পাতে
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২৩
মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে অস্থির মাছের বাজার। এদের সঙ্গে জোট বেঁধেছে খুচরা বিক্রেতারা। দুয়ে মিলে নানা অজুহাতে ইচ্ছেমতো পকেট কাটছে ভোক্তার। এদের কারণে খুচরায় তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা। এই বাড়তি দামে অসহায় চাষির কোনো লাভ হচ্ছে না। তবে গরিবের পাত থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ। দামের কারণে তাদের আমিষে ধরেছে টান। সামর্থ্য না থাকায় খাবার তালিকা থেকে অনেক আগেই বাদ পড়েছে মাংস। আমিষের স্বাদ নিতে যারা মাছ কিনতেন তাদেরও মাথায় হাত পড়েছে।
চাষিরা বলছেন, পুকুরের জমি লিজের দাম, শ্রমিকের মজুরি এবং মাছের খাবারের দাম বেড়েছে। এরপরও চাষি পর্যায়ে মাছের দাম বেড়েছে খুবই কম। এর চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি দামে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে। এটা করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তারা চাষিদের কাছ থেকে কম দামে কিনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছে। খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে কিনে লাভসহ বিক্রি করায় দাম প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। পালটা অভিযোগ করছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা বলেন, চাষি পর্যায়ে দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় তারা নিরুপায়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফিশ ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হামিদুল হক যুগান্তরকে বলেন, মাছের খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহণ খরচ, বিদ্যুৎ বিল ও মজুরি বাড়ার কারণে মূলত মাছের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। মাছের খাদ্যের মান ভালো না হওয়ার কারণেও উৎপাদন খরচ বাড়ছে। তবে চাষি পর্যায়ে যে হারে দাম বেড়েছে, মধ্যস্বত্বভোগীরা তার চেয়ে উচ্চদামে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করছেন। মাছ চাষ করে একজন চাষি কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারছেন না। অন্যদিকে মধ্যস্বত্বভোগীরা একদিনের ব্যবধানেই কেজিতে ৪০-৫০ টাকা লাভ করছেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে নিু ও মধ্যবিত্তের হিমশিম খেতে হচ্ছে। যাদের আলুভর্তা ও ডিম-ডাল দিয়ে কোনোভাবে দুবেলা চলত, তারাও এখন প্রায় নিরুপায়। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের সেবার দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় খরচ বেড়েই চলেছে। কিন্তু আয় বাড়ছে না। এতে অধিকাংশ ভোক্তার সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া বাজারে ডিম, মুরগি ও তেলাপিয়া-পাঙ্গাশ এ তিন উৎস থেকে কিছুটা কম দামে প্রোটিন পাওয়া যেত। স্বল্পআয়ের মানুষ এ তিনটি থেকেই তাদের আমিষের চাহিদা পূরণ করতেন। এখন দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় একশ্রেণির ভোক্তার ভোগান্তি বাড়ছে।
রোববার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, রামপুরা বাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি পাঙ্গাশ ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা পাঁচ মাস আগে ১৫০-১৭০ টাকা ছিল। আর বছর আগে ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তেলাপিয়া প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা। যা পাঁচ মাস আগে ১৮০ টাকা ছিল। রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি। যা আগে ৩৫০ টাকা ছিল। আইড় মাছ বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা কেজি, আগে বিক্রি হয়েছে ৬০০-৬৫০ টাকা। দেশি ছোট চিংড়ি মাছ আটশ থেকে নয়শ টাকা কেজি। কাচকির গুঁড়া বিক্রি হয়েছে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি। যা আগে ৪০০ টাকা ছিল।
নয়াবাজারে মাছ কিনতে এসেছেন আমেনা বেগম। বাজারে মাছের এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছেন। কোথাও দাম জানতে চাইছেন। জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, আমি তাঁতীবাজার এলাকায় পিঠা বিক্রি করি। নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। দুই বছর আগে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা হওয়ার পর থেকে কেনা বাদ দিয়েছি। কম দামে পাঙ্গাশ মাছ কিনতাম, সেগুলোও প্রতিকেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কীভাবে কিনব? বিক্রেতারা অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই মন খারাপ করে চলে যাচ্ছি।
একই বাজারে খুচরা মাছ বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, কয়েক মাস ধরে চাষি পর্যায়ে মাছের দাম অনেক বাড়তি। যে কারণে আড়তে দাম বেড়েছে। আর আমরা খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে এনে বেশি দামে বিক্রি করছি।
যশোরের ঝিকরগাছার মাছ চাষি মো. আলমগীর কবির যুগান্তরকে বলেন, কিছু কারণে মাছের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে বিঘাপ্রতি পুকুর লিজ নিতে ২০ হাজার টাকা বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরি দিনে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে দিতে হচ্ছে। এছাড়া মাছের খাবারের দাম প্রতি টনে ৩০ হাজার টাকা বেড়েছে। এসবের প্রভাব মাছের দামের ওপর পড়েছে। তবে চাষি পর্যায়ে যে দামে মাছ বিক্রি হচ্ছে, খুচরা পর্যায়ে তার তিনগুণ বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, চাষি পর্যায়ে প্রতিকেজি পাঙ্গাশ ও তেলাপিয় বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা আগে ৯০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২২০-২২৭ টাকা। যা আগে ১৪০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি কই ১৭০ টাকা, যা আগে ১৩৬ টাকা ছিল। তবে দেখা যাচ্ছে, এসব মাছ খুচরা বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফিশ ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হামিদুল হক বলেন, এক কেজি ওজনের রুই মাছ তৈরি করতে সাধারণত প্রায় এক বছর লাগে। বর্তমানে চাষি পর্যায়ে এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২২০-২২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে এটি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। সংশ্লিষ্টরা সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা করতে পারছে না। যে কারণে চাষি এবং ভোক্তা উভয় ঠকছেন।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান যুগান্তরকে বলেন, সার্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই নিুআয়ের মানুষ কষ্টে আছে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপণ্যের বাজারে পড়েছে। এতে উচ্চবিত্তের ভোগান্তি না হলেও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে নিুআয়ের মানুষ। তারা আয়ের সঙ্গে ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা মেটাতে পারছে না। ফলে কেনার সময় অনেকে পরিমাণে কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে, যে পণ্যের দাম যা হওয়া উচিত সেগুলো মনিটর করা। তাতে অসাধুরা কারসাজি করতে পারবে না। এতে গরিবের উপকার হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সব ধরনের পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে অধিদপ্তর কাজ করছে। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। তারপরও বাজারে অভিযান পরিচালনা করে যৌক্তিক দামে পণ্য বিক্রি করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাছের বাজারেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
- তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
- হাসিনার রায়ের খবর বিশ্ব মিডিয়ায়
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ট্রাইব্যুনালে
- মার্কিন এফ-৩৫ পেতে সৌদির ওপর ইসরায়েল নিয়ে কঠিন শর্ত
- শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- বাসে আগুন ও ককটেল হামলাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
- শিক্ষক আন্দোলনে আহত সেই শিক্ষিকার মৃত্যু
- বেশ কিছু খাদ্যপণ্যে ট্রাম্পের শুল্ক প্রত্যাহার
- উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ
- শেখ হাসিনার রায় আজ
- রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
- সরকার সচল হলেও কাটেনি অ্যামেরিকার অর্থনীতির কুয়াশা
- ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
- বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মামলা করব: ট্রাম্প
- ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু
- বিএনপি কোনো মেগা প্রজেক্টের দিকে যাবে না: আমির খসরু
- অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থন পেয়ে আপ্লুত তারেক রহমান
- রাজধানীর ৩ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন
- বরিশালে দফায় দফায় সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর
- উৎসব গ্রুপের ২০ বছরপূর্তি
- ‘আসো’র দশ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা
- বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী ইউএসএ ইনকের কমিটি গঠন
- কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটি’র সভাপতি তোফায়েল ও সম্পাদক ফারুকুল
- কমিউনিটির ‘আনসাং হিরো’ টিপু সুলতান
- সভাপতি মনোয়ার ও সাধারন সম্পাদক মমিন
- প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ২ হাজার ডলার
- এনওয়াইপিডি-কমিউনিটি মতবিনিময়
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে ‘আজকাল’কে যা জানালেন
- আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- এসাইলাম আবেদন ফি হাজার ডলার!
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
