রোববার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৫ ১৪৩২   ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
১৩২

সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করুন : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

ছোটোবেলা থেকেই মিষ্টির প্রতি প্রচÐ আগ্রহ সাজিদের। মিষ্টি পেলেই গোগ্রাসে খেত। একবার বন্ধুদের সাথে বাজি লেগে একা এককেজি মিষ্টি খেয়ে ফেলে। শর্ত ছিল খেতে পারলে এককেজি মিষ্টি ফ্রি, সাথে অতিরিক্ত ৫০ টাকা পাওয়া যাবে। ফাও মিষ্টির সাথে বাড়তি আরও ৫০ টাকা তখন ছাত্র অবস্থায় কম নয়। এভাবে দিন পার হয়ে যাচ্ছিল তার।

সাজিদের পরিবারের অনেকেই ডায়াবেটিস রোগী। তার মায়েরও ডায়াবেটিস ছিল এটা সে খেয়াল করেনি। বয়স বাড়লেও মিষ্টির প্রতি আগ্রহ খুব সাজিদের। একদিন হঠাৎ খেয়াল করে যে তার ওজন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। শরীর দুর্বল লাগে, মাথা ঝিম ঝিম করে। সে বুঝতে পারে না কেন এমন হচ্ছে। অবশেষে আত্মীয়স্বজনের পরামর্শে সে স্থানীয় ডায়াবেটিক সেন্টারে রক্ত পরীক্ষার জন্য যায়। ডাক্তার রক্তের জিটিটি পরীক্ষা (গøুকোজ টলারেন্স টেস্ট) করে আঁতকে ওঠেন। খাওয়ার আগেই তার বøাড গøুকোজ লেভেল ১৯ এর ওপরে। বংশগত কারণ আর অনিয়ন্ত্রীত খাওয়া দাওয়ায় তার এ অবস্থা। এটা জেনে সাজিদ খুব ভয় পায়। ডাক্তারদের পরামর্শ, নিজের চেষ্টা ও পরিবারের নিবিড় পরিচর্যায় তাঁর ডায়াবেটিস একসময় নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন সে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলে। নিয়মমাফিক ঔষধ খায়, হাঁটাহাঁটি ও কায়িক পরিশ্রম করে, বেশ সুস্থ আছে।

সাজিদ ভাগ্যবান, কারণ দেরিতে হলেও তার ডায়াবেটিস শনাক্ত হয়েছিল, এবং নিয়ম মেনে চলায় বর্তমানে ভালো আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা সাজিদের মতো নয়। তাদের ক্ষেত্রে হয়তো যথাযথ সময়ে স্ক্রিনিং করতে না পারায় ডায়াবেটিস সময়মতো শনাক্ত হয়নি। ফলে, মারাত্মক ডায়াবেটিস নিয়ে শরীরে নানা ধরনের জটিল রোগ তৈরি করে ও যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হলো বিশ্ব জুড়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি অভিযান, যা প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সাল এ ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য "ঞযব ভধসরষু ধহফ ফরধনবঃবং"।

সুস্বাস্থ্য সুস্থ জীবনের প্রতীক। ডায়াবেটিস রোগ বিষয়ে সচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামগ্রিকতা চিন্তা করলে সুস্বাস্থ্যের অভাবে দেশের উৎপাদনশীলতা কমে যায় এবং এটি উন্নয়নের পথে অন্যতম অন্তরায়। এজন্য সরকার দেশব্যাপী স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্স নিয়োগসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে বিভিন্ন অসংক্রামক ব্যাধিসহ ডায়াবেটিক রোগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এ জটিলতায় বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের ঝুঁকি দিনে দিনে বাড়ছে।

ডায়াবেটিস রোগের আরেক নাম বহুমূত্র রোগ। দেহের অভ্যন্তরে অগ্ন্যাশয় যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে না পারলে এ রোগ হতে পারে। বহুমূত্র রোগ হলে রক্তে চিনি বা শর্করার পরিমাণের অসামঞ্জস্য অবস্থা তৈরি হয় এবং ইনসুলিনের ঘাটতিতেই রোগটি হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে ভালো থাকা যায়। অবহেলায় জটিলতা দেখা দিলে দেহে নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়।

আমাদের শরীরে সাধারণত গøুকোজের পরিমাণ ৩.৩ থেকে ৬.৯ মিলি. মোল/লি. থাকে। খালি পেটে যদি ৭ মিলি. মোল/লি. এবং খাবার গ্রহণের পর ১১ এর বেশি থাকে তবে ডায়াবেটিস রোগ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

ডায়াবেটিস রোগটি যে-কোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। এ রোগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য প্রতীয়মান থাকে যেমন- ঘন ঘন প্র¯্রাব হওয়া, মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া; দুর্বলতা, ক্ষুধা লাগা, ওজন কমে যাওয়া, কিডনি, চোখসহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জটিলতা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর শারীরিক জটিলতা অনেক তবে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচরণের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে কর্মমুখর জীবনযাপন সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তা বোঝার উপায় কি? রক্তে গøুকোজমাত্রা খালিপেটে ৬.১ মিলিমোল/ লিটার এবং আহারের ২ ঘণ্টা পরে ৮ মিলিমোল/ লিটার হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরে নেয়া হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থ্রিজি ফরমুলা অনুসরণ করা যায়। থ্রিডি মানে ত্রিমাত্রিক বা থ্রি ডাইমেনশনাল কোনো বিষয় নয়। এটি হলো ডায়েট, ড্রাগ ও ডিসিপ্লিন, অর্থাৎ পরিমিত আহার, নিয়মিত ঔষধ সেবন ও  সুশৃঙ্খল, শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন অতিবাহিত করা।

শৃঙ্খলা হলো ডায়াবেটিস রোগের মূল কথা। একজন ডায়াবেটিস রোগীকে জীবনে সকলক্ষেত্রে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। তবে কিছু বিষয়ের ওপর বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে। নিয়মিত ও পরিমিত সুষম খাবার খাওয়া, পরিমিত দৈহিক পরিশ্রম, নিয়মিত ঔষধ সেবন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, পায়ের যতœ নেয়া, মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ পরিহার করা, শারীরিক কোনো সমস্যা দেখা দিলে জরুরিভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোগের চিকিৎসা বন্ধ না রাখা। মনে রাখতে হবে ডায়াবেটিস রোগ শনাক্ত হওয়ার পর নিয়মকানুনের মধ্যে দিন অতিবাহিত করার কারণে কোনোও জটিলতা ছাড়াই একজন মানুষ সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে।

-২-

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শুধু বাংলাদেশ নয় বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা গুরুতর ব্যাধিগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৩৫ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে ভুগছে। শুধু ডায়াবেটিস রোগের কারণে ২০১২ সালে সারাবিশ্বে ১৫ লক্ষ মানুষ মারা গেছে। ডায়াবেটিসে মৃত্যুর শতকরা ৮০ ভাগ হয় নি¤œ ও মধ্য আয়ের দেশসমূহে। আশংকা করা হচ্ছে যে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী মানুষের মৃত্যুর সপ্তম কারণ হবে ডায়াবেটিস। বিশ্বে প্রতি ১০ সেকেÐে একজন ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যুবরণ করে। ‘ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন’ (আইডিএফ) এর তথ্যমতে, দেশে মোট ৭১ লাখ শনাক্তকৃত ডায়াবেটিস রোগী। এছাড়া আরও প্রায় ৭১ লাখ (মোট প্রায় ১ কোটি ৪২ লাখ) মানুষ ডায়াবেটিস নিয়ে বসবাস করছে যারা এখনও পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি। ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪২.৫ কোটি। ডায়াবেটিস এর ভয়াবহতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।

শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত ইনসুলিন নিঃসরণ ও ইনসুলিনের কার্যকারিতা হ্রাস ডায়াবেটিস রোগের কারণ। ডায়াবেটিস প্রধানত দু’ধরনের। একটি টাইপ-১ ও অপরটি টাইপ-২। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে কোনো ইনসুলিন তৈরি হয় না। ফলে তাদের জীবনভর ইনসুলিন নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। অপরদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না অথবা শরীরে তৈরি ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না। ফলে যাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস আছে তাদের প্রায়ই ঔষধ খেতে হয় অথবা ইনসুলিন নিতে হয়। প্রথমটির ক্ষেত্রে এই ধরনের রোগীর দেহে ইনসুলিন একেবারেই তৈরি হয় না। সাধারণত ৩০ বছরের কম বয়সে এটি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীর শরীর ক্রামান্বয়ে শুকিয়ে যেতে পারে এবং ইনসুলিন নিতেই হয়। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বেশি বয়সে এ রোগ হতে পারে, এ রোগীর ক্ষেত্রে দেহে ইনসুলিন তৈরি হলেও অপর্যাপ্ত, তবে এ ধরনের রোগীর সবসময়ই ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকে না। ব্যায়াম, উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মমাফিক প্রাত্যহিক জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্ভব।

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ফলে মানুষ পাক্ষাঘাত, হৃদরোগ, চক্ষুরোগ, পঁচনশীল ক্ষত, মাড়ির প্রদাহ, অ্যাকজিমা, মুত্রাশয়ের রোগ, কিডনি জটিলতাসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে। বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস নিঃসন্দেহে মারাত্মক তবে ছোঁয়াচে নয়। আগে একসময় ঘন ঘন প্র¯্রাব হলে ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ধরে নেয়া হতো। গবেষণায় এটি ভুল প্রমাণিত। কেবল রক্তে গøুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করেই রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগীর দেহে যে-কোনো ক্ষত শুকাতে সময় লাগে। সবচেয়ে বেশি ক্ষত হয় পায়ে। ডায়াবেটিস রোগীর ব্রেইন স্ট্রোক হয়, কিডনি, চোখ ইত্যাদি অঙ্গের ক্ষতি হয় তবে পায়ের যতœ করতে হয় বেশি, কারণ পচন শুকাতে দেরি হয় বলে সাধারণ মানুষের তুলনায় পা কেটে ফেলার প্রবণতা থাকে বেশি। রক্তে গøুকোজের পরিমাণের তারতম্যে ডায়াবেটিস কম-বেশি হয়। খুব বাড়লে হাইপার এবং কমে গেলে হাইপো বলা হয়। দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি।

ডায়াবেটিস আজীবনের রোগ। তবে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এ সঠিক ব্যবস্থাগুলো রোগীর অবশ্যই মেনে চলা প্রয়োজন। তবে রোগী এবং রোগীর স্বজনদের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ এ বিষয়ে অনেক সাহায্য করতে পারে। সে কারণে এ রোগের নিয়ন্ত্রণ ও সুচিকিৎসার জন্য ডায়াবেটিস সম্পর্কে রোগীর যেমন শিক্ষা প্রয়োজন তেমনি রোগীর নিকটাত্মীয়দেরও যথাযথ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এটি সম্ভব হলে রোগী ও তার পরিবার উভয়েই একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপনে সক্ষম হবেন। এবারের বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে এটি হোক আমাদের সকলের অঙ্গীকার।
সেলিনা আক্তার
পিআইডি প্রবন্ধ

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল