রাইসিকে কেন ‘তেহরানের কসাই’ বলে আমেরিকা?
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৪
রহস্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর রীতিমতো শোকাহত ইরান। অথচ পর্দার আড়ালে উল্লাসে মাতোয়ারা ইরানিদের অপর একটি অংশ। রাইসির ‘ভয়ংকর’ রূপ দেখার অভিজ্ঞতা আছে তাদের। ভুক্তভোগীদের কাছে তিনি ‘তেহরানের কসাই’।
ইরানিরা তাদের মহান নেতাকে হারিয়ে তাবরিজ, মাশহাদ, তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে কালো পোশাকে মাতম করছেন। রাষ্ট্রের কড়া নিয়ন্ত্রণে থাকা ইরানের সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে বহির্বিশ্বে এটি ব্যাপক প্রচার পাচ্ছে।
ইরানের সংবাদমাধ্যমের বর্ণনায় বলা হচ্ছে, রাইসি ইরানিদের কাছে সর্বজন নেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছিলেন। তিনি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উত্তরসূরি হতে চলেছিলেন। কিন্তু কেন কঠোর খামেনি রাইসিকে তার যোগ্য প্রতিনিধি মনে করছিলেন?
কারণ, রাইসি ছিলেন সমসাময়িক নেতাদের মধ্যে অন্যতম কট্টরপন্থি। তার নিষ্ঠুরতার বলি যারা হয়েছেন তারাই জানেন, রাইসি কেমন শাসক ছিলেন। খামেনির ইচ্ছেমতো চলায় রাইসি ইরানের নীতিনির্ধারকদের কাছে প্রিয় ছিলেন।
রাইসির মৃত্যুতে ইরানে উল্লাস করছে কারা?
পশ্চিমা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রাইসির পেছনের রূপটিও তুলে ধরেছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইউরো নিউজ, দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট, ফক্স নিউজ রাইসির অতীত জীবন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে রাইসিকে ‘তেহরানের কসাই’, ‘সংরক্ষণশীল নেতা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরানের বিভিন্ন স্থানে রাইসির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উৎসবের কারণ জানাতে গিয়ে সাংবাদিক ও বিশ্লেষক জোনাথন হ্যারনওফ ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, ‘একজন সংরক্ষণশীল নেতা ছিলেন রাইসি। এর পাশাপাশি কঠিন বিচারব্যবস্থা প্রয়োগের মাধ্যমেই তিনি নিজের আসন পাকাপোক্ত করেছেন। (শুধু রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে) হাজারো বন্দির প্রাণ গেছে তার হাতে। আর এ কারণেই তাকে তেহরানের কসাই ডাকা হয়।’
কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি নিহতের ঘটনা মনে করিয়ে দেন বেশ কয়েকজন নারীবাদী। এ ছাড়া পরবর্তী আন্দোলন ইসলাম রক্ষার দোহাই দিয়ে কঠোর হাতে দমন করেন রাইসি। সে সময় মূলত বিরোধীমতের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন করে নিজের শাসন ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার অভিপ্রায় ছিল বলে অভিযোগ।
রাইসির জন্ম ইরানের দ্বিতীয় বড় শহর মাশাদে ১৯৬০ সালে। ইরানের পবিত্রতম শিয়া দরগাটি রয়েছে এ শহরে। রাইসির বাবা ছিলেন একজন ধর্মীয় নেতা। রাইসির বয়স যখন পাঁচ তখন তার বাবা মারা যান। শিয়া ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী তিনি ইসলামের নবীর বংশধরদের মতো কালো পাগড়ি পরেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি ১৫ বছর বয়সে পবিত্র কুম শহরে এক শিয়া মাদ্রাসায় যোগ দেন।
সেখানে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তিনি পশ্চিমা সমর্থিত শাহ-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নেন। অবশেষে ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লা রুহুল্লা খামেনির নেতৃত্বে ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে শাহ-এর শাসনের পতন ঘটে। বিপ্লবের পর তিনি যোগ দেন বিচার বিভাগে এবং আয়াতুল্লা খামেনির কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে বেশ কয়েকটি শহরে কৌঁসুলির দায়িত্ব পালন করেন।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে রাইসি তেহরানের ডেপুটি কৌঁসুলি নিযুক্ত হন। মূলত এ নিয়োগ ছিল রাজনৈতিক বিবেচনায়। ছিল এক কালো উদ্দেশ্য। যা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেন রাইসি।
অভিযোগ আছে, যে চারজন বিচারককে নিয়ে ১৯৮৮ সালে ‘ঘাতক কমিটি’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠা গোপন ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল, তিনি ছিলেন সেই চারজনের একজন। যে হাজার হাজার বন্দি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য এরই মধ্যে জেল খাটছিলেন, ওই ট্রাইব্যুনাল তাদের ‘পুনর্বিচার’ করে।
এদের বেশিরভাগই ছিলেন বামপন্থি বিরোধী দল মুজাহেদিন-ই-খাল্কের (এমইকে) সদস্য। এই গোষ্ঠী পিপলস মুজাহেদিন অর্গানাইজেশন অব ইরান বা পিএমওআই হিসেবেও পরিচিত ছিল। ঠিক কতজনকে ওই ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল সেই সঠিক সংখ্যা জানা যায় না।
কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলে, প্রায় ৫০০০ পুরুষ ও নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল এবং অজ্ঞাত গণকবরে তাদের মাটি দেওয়া হয়, যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে তারা তুলে ধরে।
মৃত্যুদণ্ডে তার ভূমিকার কথা রাইসি বারবার অস্বীকার করেন। তবে তিনি এ কথাও বলেন, ইরানের সাবেক সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা রুহুল্লা খামেনির জারি করা ফতোয়ার কারণে ওই মৃত্যুদণ্ডাদেশ যুক্তিসংগত ছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, ইব্রাহিম রাইসি ইরানের একজন ধর্মীয় ‘কট্টরপন্থি’ নেতা ছিলেন। ইরানে বাকস্বাধীনতাকে ধ্বংস করা এবং নারীদের জন্য কঠোর ‘হিজাব আইন’ প্রয়োগ করার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। পশ্চিমাদের মতে, নারীদের কোনঠাসা করতে সারা জীবন কাজ করে গেছেন তিনি।
রাইসির পেছনের এসব ইতিহাস ভুক্তভোগীদের মনে পড়ছে। তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। খোদ ইরানে রীতিমতো আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতেছে ইরানিদের একাংশ। যদিও এ ধরনের উৎসব বন্ধ করতে এরই মধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা।
- বাইডেনকে ‘বুড়ো’ বললেন ৭৮ বছরের ট্রাম্প
- বাইডেনকে ‘বুড়ো’ বললেন ৭৮ বছরের ট্রাম্প
- শিশু পার্কে এলোপাথাড়ি গুলি, আহত অন্তত ১০
- একদল যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের কেন ট্রাম্পের পক্ষে জড়ো হচ্ছেন
- গাজায় যুদ্ধবিরতি হচ্ছে না, তবে আশা আছে: বাইডেন
- অন্যদিকে তাকিয়ে অদ্ভুতভাবে হাসছেন বাইডেন
- ৬ জানুয়ারি দাঙ্গার পর প্রথম বারের মত ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প
- জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
- জেবিএ’র নতুন কমিটির জমকালো অভিষেক
- ‘ওয়ার্ল্ড টুরস এন্ড ট্রাভেল’ টিকেট কিনলেই দারুণ পুরস্কার
- বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার
- ফ্রেন্ডস সোসাইটির বাংলা উৎসব
- ঢাকায় হরিজন পল্লী উচ্ছেদের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে সমাবেশ
- ৭ দাবি নিয়ে আলবেনিতে ‘বাগ’
- ৪ বছর পর সেই ক্যাপিটল হিলে ডোনাল্ড ট্রাম্প
- দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়ামটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগত তথ্য পাচার
- ২৫ বছর জেলের শঙ্কা
প্রেসিডেন্ট পুত্র দোষী সাব্যস্ত - নিউইয়র্কে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন
- ২ লাখ আবাসন সহায়তা ৬ লাখ ৩৩ হাজার আবেদন
- সাকিবের ব্যাটে হাসি
সুপার এইটের পথে টাইগাররা - ২১ জুন ভারত, ৮ জুলাই চীন সফর
হাসিনার হাতেই মোদি-শি - কাল পবিত্র হজ
ঈদ রোববার - বিমানের নিউইয়র্ক ফ্লাইট ফের যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত
- আজকাল সংখ্যা ৮২২
- নিউইয়র্কে ঈদের জামাত কখন-কোথায়
- বল্টিমোর সেতু পুনর্নির্মাণে প্রয়োজন ১.৭ বিলিয়ন ডলার
- অপরাধ দমনে সেতুতে অত্যাধুনিক ট্র্যাকিং প্রযুক্তি সংযোজন
- নিউইয়র্কে পাবলিক সেফটি ফোরাম ও ব্রুকলিন পাবলিক ইনপুট সেশন
- ১৩০ বছর বয়সে হজ, বৃদ্ধাকে যেভাবে বরণ করল সৌদি
- নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- কমিউনিটির স্বার্থে দুই তরুণের উদ্ভাবিত প্লাটফর্ম ‘লিস্টুলেট ডট কম
- প্লট হস্তান্তর ও নামজারিতে অনিয়ম, গৃহায়নে দুদকের অভিযান
- মোবাইল বিক্রির টাকা পরিশোধের দ্বন্দ্বে পিয়াস হত্যা
- দেশে আয় পাঠাতে প্রবাসীদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নিষেধাজ্ঞা’র রাজনৈতিক অর্থনীতি
- নিউইয়র্কে ৭৮ শতাংশ নাগরিকের অসন্তোষ
- সাদা না বাদামি ডিম, কোনটা বেশি পুষ্টিকর?
- দেশ নিয়ে গাইলেন আগুন
- প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়
- ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে সৌদিতে নিহত দুই বাংলাদেশির পরিবার
- যুক্তরাষ্ট্র কি আবার স্বেচ্ছায় একঘরে হতে চলেছে
- প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দেড় হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক
- এই সংখা ৮১৪
- ব্রাজিলের এই দুর্দশায় বেঁচে থাকলে কষ্ট পেতেন পেলে
- ‘ওষুধ শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ২০২৬ সাল থেকে’
- নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস
- পেলের ১০ নম্বর জার্সিকে ‘অবসর’ দিলো সান্তোস
- ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত
- ১১ দিনে রাবির ৬৮ শিক্ষার্থী জন্ডিসে আক্রান্ত
- তালিকা বানাবে পাঁচ প্রতিষ্ঠান ঢাকা অফিস
- খিজির হায়াৎ হত্যার পরিকল্পনাকারী ২ জঙ্গি রিমান্ডে
- দণ্ডপ্রাপ্তকে নির্বাচনের সুযোগ দিলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে
- মসজিদ ভাঙা নিয়ে চীনে বিক্ষোভ চলছে
- যুক্তরাজ্যের শরণার্থী হোটেলের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১৫
- হাওলাদার-নাসিরের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
- আবার ধেয়ে আসছে কানাডার ধোঁয়া
- শ্রীনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
- রানির শেষকৃত্যে যে তিন দেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি ব্রিটেন
- স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন জাহাজ ‘অনুপ্রবেশের’ দাবি চীনের
- নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার হাজিরা সোমবার
- ৫ কোম্পানির বোতলজাত পানি মানহীন
- শীতে জবুথবু পুরো ভারত
- ৩৩ আইনজীবীর যার যত ভোট
- ইসরায়েলের হামলায় ১৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত