মহাবিপদে রপ্তানি খাত
প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। এতদিন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র এবং দীর্ঘদিন ধরে দেশটির বাজারে তৃতীয় পোশাক রপ্তানিকারক। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা, বৈশ্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। স্থানীয় সময় বুধবার বিকাল ৪টায় হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন করে শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে, যার ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক। এ ছাড়াও জুতা, টেক্সটাইলসামগ্রী ও কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বাংলাদেশ থেকে ২০২৪ সালে ৮৩৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে দেশটিতে। এর মধ্যে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া প্রতি বর্গমিটার পোশাকের দাম ছিল ৩ দশমিক ১০ ডলার। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয়েছে ২২১ কোটি ডলারের পণ্য। তুলা ছাড়াও অন্যান্য কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে খাদ্যশস্য, বীজ, সয়াবিন, গম এবং ভুট্টা, যন্ত্রপাতি এবং লোহা ও ইস্পাত পণ্য। দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ৬১৫ কোটি ডলার।
রপ্তানিকারক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন করে শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের দাম বাড়বে। চাহিদা কমবে। রপ্তানির ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। চীনের মতো পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ না করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে যাওয়া উচিত। সমাধান না হলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে বলেও মনে করে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক এবং রপ্তানি থেকে আয় ৭৩৪ কোটি ডলার। ১৬৫১ কোটি ডলার রপ্তানি করে চীন প্রথম এবং ১৪৯৮ কোটি ডলার রপ্তানি করে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নতুন এ শুল্ক নীতি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের (আরএমজি) চাহিদা কমে যাবে। আমাদের বিক্রিও কমে যাবে। যার প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের ওপর। আরেকটা প্রভাব পড়বে সেটা হলো; ক্রেতারা এখন আমাদের বলবে শুল্ক বাড়ার ফলে দাম অনেক বেড়ে গেছে। আমদানি করে পণ্য বিক্রি করতে পারছি না, পারব না। সুতরাং দাম কমাও। তখন আমাদের চাপ দিয়ে দাম কমাবে। একদিকে ব্যবহার কমে যাবে, অন্যদিকে দাম কম পাব।’
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ অপ্রত্যাশিত ছিল না কিন্তু মাত্রাটা আমাদের কিছুটা আর্শ্চয করেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হিসাব করে প্রযোজ্য অতিরিক্ত শুল্ক ৩৭ শতাংশ আরোপ করেছে। এটা যোগ হবে মার্কিন বাজারে আমাদের চলমান গড় ১৫ শতাংশের সঙ্গে। সবকিছু মিলে ৫০ থেকে ৫২ শতাংশ শুল্ক বসবে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর। যেকোনো বিচারেই এটা বড় মাত্রার আমদানি শুল্ক। ফলে মার্কিন ভোক্তারা বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা কমিয়ে দেবে। যদিও আমাদের রপ্তানির ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক। যেমন ১০ ডলারের একটি টিশার্টে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে দাম হত ১১ দশমিক ৫০ ডলার। এখন অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসালে ওটার দাম হবে ১৫ ডলার। এতে চাহিদার একটা সংকোচন হবে। বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ট্রাম্প কিন্তু বলেছেন, যেসব পণ্যে মার্কিন উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে তারা শৈথিল্য দেখাবে। এটার বাইরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পেট্রোলিয়াম গ্যাস আমদানিতে ৩১ শতাংশ শুল্ক আছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানি পণ্য আয়রন স্ক্র্যাপের ওপর শুল্ক নাই। কারণ ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে আর আমদানি করেছে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের একটি রপ্তানি উদ্বৃত্ত আছে। এটার মাশুল দিতে হবে আমাদেরকে। সেটার কতখানি যৌক্তিকতা আছে এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আমরা টিকফায় এগুলো তুলতে পারি অথবা তাদের অনুরোধ করতে পারি। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ আমাদের মনে করিয়ে দিল প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে। রপ্তানিকারকদের ব্যবসার খরচ কমাতে হবে। সংস্কারগুলো করে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বাজার বহুমুখীকরণে নজর দেওয়া, বিশেষ করে আঞ্চলিক বাজারের দিকে। সর্বোপরি দ্বিপক্ষীয় আলোচনা, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে নজর এবং হোমওয়ার্ক চালিয়ে যেতে হবে।’ বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নতুন ট্যারিফ ঘোষণার ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহব্যবস্থায় প্রভাব পড়বে। প্রতিযোগী দেশগুলোর প্রত্যেকেরই খরচ বেড়ে যাবে। এতে আমরা সবাই অবশ্যই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হব। যে ধারণা থেকে এটা করা হচ্ছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প পুনরুদ্ধার করা হবে। আমার মনে হয় না, এটা সহসা হবে। কারণ একটা শিল্প ডেভেলপ করা রাতারাতি সম্ভব নয়। এর পেছনে শ্রমের খরচসহ অনেক ফ্যাক্টর আছে। ফলে দেশটির মানুষের খরচ বেড়ে যাবে। এই খরচ যদি বেড়ে যায়, তাহলে তাদের মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভালো কিছু হবে না। সমগ্র বিশ্ব একটা ধূম্রজালের মাঝে পড়বে।’
- স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে ৩ হাজার ডলার
- অবৈধ অভিবাসীদের গুদামে রাখতে চান ট্রাম্প
- মঈন চৌধুরী’র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
- মানিকগঞ্জ কল্যাণ সমিতির কবরের সনদ বিতরণ
- নবী ও বাবুর নেতৃত্বে ফোবানা (একাংশ) সম্মেলন’২৬ নিউইয়র্কে
- বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সোমা সাঈদ
- জামায়াতের সাথেই এনসিপির নির্বাচনী জোট
- প্লাস্টিকের চেয়ারে বসলেন তারেক
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেককে ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ
- যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা হঠাৎ করেই হ্রাস
- জানুয়ারি থেকে নিউইয়র্কে আবারও বাড়ছে বেতন
- তারেক দিলেন বার্তাঃবিএনপি দেখাল জনসমর্থন
- বাংলার লুথার কিং’র ঐক্যের ডাক
- আজকাল ৯০২
- আগামী ৫ দিন তীব্র হবে শীত, বাড়বে কুয়াশা
- কোরআন ছুঁয়ে শপথ নিয়ে মার্কিন বিচারপতি হলেন বাংলাদেশি
- হাদি হত্যার বিচার দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে হাসনাতের প্রত্যাশা
- ভারতের মুসলিম শিক্ষককে গুলি করে হত্যা
- তারেক রহমান সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী
- যুক্তরাষ্ট্রে নার্সিং হোমে বিস্ফোরণ, নিহত ২
- ওজন কমানোর ওষুধ ‘ওয়েগোভি’কে অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
- ওয়াশিংটনের ‘ভারত প্রথম’ যুগের সমাপ্তি
- যে কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী হারাচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
- দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন অর্থনীতি
- ভারতের অরুণাচল প্রদেশ চায় চীন
- পাঁচ ইউরোপীয় নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
- বৃহস্পতিবার চলাচলে ঢাকাবাসীকে মানতে হবে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
- মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে প্রাণ গেল পথচারীর
- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- ২০২৬ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
