বুধবার   ০৬ আগস্ট ২০২৫   শ্রাবণ ২১ ১৪৩২   ১১ সফর ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম

তদন্ত এগিয়ে নিতে সাত চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ৬ আগস্ট ২০২৫  

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দুপুরে ভারতে পালানোর পর দেশজুড়ে বের হয় বিজয় মিছিল। রাজধানীর বাড্ডায় মিছিলে অংশ নেন আল আমিন নামে এক যুবক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলে আল আমিনের শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় গুলি। প্রাণ হারান তিনি।

 

এ ঘটনায় আল আমিনের স্ত্রী, বাবা কিংবা ভাইকে না জানিয়েই ঘটনাস্থলের আওতার বাইরের আলাদা থানায় দুটি মামলা হয়। ১০০ ফুট এলাকায় ঘটনাস্থল উল্লেখ করে ভাটারা থানায় মামলা করেন তাঁর চাচা রহমান মাল এবং পশ্চিম রামপুরায় ঘটনাস্থল দেখিয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন অচেনা এক ব্যক্তি। আল আমিন খুন হন বাড্ডা থানা এলাকায়। অথচ অন্য দুটি স্থানকে ঘটনাস্থল দেখিয়ে দুজন মামলা করে দেন! এতে আসামি করা হয় ৩৮২ জনকে। ফলে মামলার তদন্ত নিয়ে বিপাকে পড়ে সংশ্লিষ্টরা।

 

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে অবশ্যই ঘটনাস্থল সুনির্দিষ্ট করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে এসব মামলায় সঠিক বিচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া সাক্ষীসহ অন্য উপাদনও গুরুত্বপূর্ণ।

 

পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (অপরাধ ও অপস) খন্দকার রফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, অধিকাংশ মামলা দেরিতে হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে আলামত নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া অনেক লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন হয়েছে। ঢাকার মানুষ সবাই সবাইকে চেনে না। এ কারণে হতাহতের ঘটনায় জড়িত সঠিক লোককে বের করা কঠিন হয়ে পড়ছে। মামলার তদন্তে এসব বড় চ্যালেঞ্জ। তবে মামলার নিখুঁত তদন্তে আমরা কাজ করছি। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে নির্ভুল অভিযোগপত্র দেওয়া হচ্ছে।

 

ফৌজদারি বিশেষজ্ঞ আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো সমকালকে বলেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষী ফৌজদারি মামলার প্রমাণের মূল ভিত্তি। এগুলোর ত্রুটি থাকলে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা নিয়ে বিপদে পড়ে।

 

সাত চ্যালেঞ্জ

মামলার তদন্ত-তদারকি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মামলাগুলো বিশেষ করে হত্যা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের অন্তত সাত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

 

এর মধ্যে রয়েছে– বেশির ভাগ মামলায় ঘটনাস্থল সুনির্দিষ্ট না থাকা। ঘটনাস্থল এজাহারের উল্লেখিত জায়গার সঙ্গে বাস্তবে মিল নেই। শহীদ গুলিবিদ্ধ বা হামলার শিকার হয়েছেন এক স্থানে, মামলায় উল্লেখ করা আছে আরেক স্থান, এজাহারে ভুল বর্ণনা, একই ঘটনায় একাধিক মামলা, প্রায় প্রতিটি মামলায় ২০০-৩০০ আসামি। ৪০০ আসামিও রয়েছে কোনো মামলায়। এত আসামির মধ্যে যাচাই-বাছাই করে জড়িত ব্যক্তি শনাক্ত কঠিন। ব্যবসায়িক, রাজনীতি ও ব্যক্তিস্বার্থে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে আসামি করা হয়েছে।

 

এমনকি যিনি কখনও ঢাকায় আসেননি, তাঁকেও রাজধানীর থানায় করা মামলায় আসামি করা হয়েছে; কিছু মামলায় বাদী ভিকটিমকে চেনেন না। এ ছাড়া তদন্তের সময় কিছু মামলার বাদীকে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ছে। প্রায় ৯০ শতাংশ শহীদের ময়নাতদন্ত হয়নি। এসব লাশ তোলার জন্য আদালত থেকে অনুমতি নেওয়ার পর অনেক পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে কীভাবে মারা গেছে, তা জানা যাচ্ছে না। ১৮ থেকে ২০ জুলাই শহীদদের লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত হলেও ৪ ও ৫ আগস্টে শহীদদের ময়নাতদন্ত হয়নি। এমনকি সুরতহাল প্রতিবেদনও নেই। এসব কার্যক্রম পরিচালনার মতো পুলিশ ছিল না। আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বাচারে পুলিশের গুলি, ৫ আগস্টের দুপুরের পর বিভিন্ন থানায় হামলা–এসব কারণে পুলিশ পালিয়ে যাওয়ায় দেশের সব থানায় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল। ফলে লাশ স্বজনরা নিজেদের মতো নিয়ে গিয়ে দাফন করেন। অনেক লাশের হাসপাতালের মৃত্যু সনদও নেই; কার গুলিতে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা কঠিন। বেশির ভাগ ঘটনার সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে না। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের ক্ষেত্রে যেসব মামলায় গুরুত্বপূর্ণ, তা সংগ্রহ করাও চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। অনেক ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং পরিচয় না মেলায় বেওয়ারিশ হিসেবে অনেকের লাশ দাফন করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের হত্যার ঘটনায় মামলা ও তদন্ত করাও চ্যালেঞ্জ। এসব কারণে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারছেন না তদন্ত কর্মকর্তারা।

 

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা

অবশ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসব মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুলিশ সদরদপ্তর বিশেষ মনিটরিং দল গঠন করেছে। এ ছাড়া ডিএমপি ও গাজীপুরে একটি করে এবং দেশের আট বিভাগে আটটি ‘মেন্টরিং অ্যান্ড মনিটরিং’ দল গঠন করা হয়েছে। এসব দল মামলাগুলো বিশ্লেষণ করছে। তারা তদন্তসংশ্লিষ্টদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। তদন্তে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা ধরিয়ে দিয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। এ ছাড়া আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে ত্রুটি শনাক্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার এবং পিপির পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। কোনো ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে নেওয়া হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক মামলা তদারক কর্মকর্তা জানান, তদন্তে নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও নিখুঁত প্রতিবেদন তৈরি করতে সেগুলো উত্তরণের চেষ্টা চলছে। একই ঘটনায় একাধিক মামলা হলে আদালতের নির্দেশে একটি মামলার তদন্ত করে পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়া হবে। বাকি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশক্রমে মামলাগুলো একজন কর্মকর্তাকে দিয়েও তদন্ত করানো যায়। ঘটনাস্থল আলাদা থাকলে আগের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নতুন করে নিহতের স্বজনকে বাদী করিয়ে মামলা নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে স্বজন বাদী হতে রাজি না হলে, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যেসব লাশ উত্তোলন করা যাচ্ছে না, সেগুলোর ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক সাক্ষী হিসেবে যারা লাশ গোসল করিয়েছেন, জানাজা পড়িয়েছেন, দাফনে অংশ নিয়েছেন–তাদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে।

 

একটি মামলায় একাধিক আসামির ক্ষেত্রে আরেক কর্মকর্তা বলেন, জুলাই আন্দোলনে কারা বিপক্ষে ছিল, কারা আন্দোলনকারীকে প্রতিহত করতে উস্কানি দিয়েছে, তা তো স্পষ্ট। হুকুমের আসামি করতে তেমন বেগ পেতে হবে না। এ বিষয়ক অনেক ফুটেজ রয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেই এলাকায় আন্দোলনবিরোধী এবং ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী শনাক্তের কাজ চলছে। সে সময় এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারা দায়িত্ব পালন করেছে, তাদের নামও তদন্তে বেরিয়ে আসছে।

 

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, গেজেটভুক্ত অনেক শহীদ পরিবার এতদিন মামলা করেনি। তাদের অনেকেই গত মাসে মামলা করেছে। অনেক মামলার ভালো অগ্রগতি আছে। খুব শিগগির সেগুলোর অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, একেক মামলায় আসামি অনেক। এ কারণে জড়িত প্রত্যেকের সংশ্লিষ্টতা তদন্তে উঠিয়ে আনা বেশ কঠিন।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর