ছাগলের মাথা পাল্টে দিল জীবন
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০১৯
ধু-ধু রোদে পুড়ছে বালি। সূর্য হুল ফোটাচ্ছে যেন। ছেলেরা ছোটাছুটি খেলছে। হঠাৎ থেমে গেল সবাই। গায়ে ইয়া বড় জুব্বা। ঢাউস পাগড়ি মাথায়।
এ পথেই আসছেন তিনি। চল পালাই। সুদখোর আসছে। ওকে দেখলে অমঙ্গল হবে। বলেই দৌড়াল।
সুদখোরের নিন্দা শুনে ব্যথা পেল হাবিব। ফেটে যেতে চাইল হৃদয়। ভারি মন খারাপ হল তার। চিন্তিত মনে এক পাওনাদারের বাড়ি গেলেন। আজ কিস্তি পরিশোধের তারিখ। বাড়িওয়ালা কাজে গেছেন।
বউ ঘর থেকে বললেন, সুদ দেয়ার মতো কিছু নেই। আছে একটা ছাগলের মাথা। চাইলে তাই সুদের বদলে দিতে পারি। মহাজন চান সময়মতো কিস্তি। খুশি মনে তিনি ছাগলমুণ্ড হাতেই ঘরে এলেন। বেশ মজা করে খাওয়া যাবে। বউকে রাঁধতে বলে গোসলে গেলেন। সেদিন মসলাপাতিও কিনেছিলেন কিস্তির সুদের টাকায়।
মৌ মৌ খুশবু ছড়িয়ে রান্না হচ্ছে ছাগলমুণ্ড। তর সইছে না আর। দস্তরখানা পেতে অপেক্ষা করছে খাওয়ার। এক ভিখারি এলো হঠাৎ। খিদে পেয়েছে, কিছু খাবার দেবেন। আবদার এলো বাইরে থেকে।
খিদে পেয়ে চো চো করছিল হাবিবের পেট। ভিখারিকে ধমকালেন। এখানে কিছু মিলবে না। চলে যাও বলছি। যে খাবার আছে, তোমাকে দিলে আমরা নিন্দিত হব। খিদে পেটে বিদায় নিল ভিখারি।
এ সময় রান্নাঘর থেকে হন্তদন্ত ছুটে এলো বউ। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, ওগো দেখে যাও। মাংসের হাঁড়ি রক্তে ভরে গেছে। হায়! কী দুর্ভাগ্য আমাদের। হাঁড়িভর্তি ফুটন্ত রক্ত দেখে ভেঙে পড়লেন হাবিব। সুদের কারবারেই এমন হয়েছে ভাবলেন।
আজ থেকে আর ঋণ দিয়ে সুদ নেবেন না। ছুটে গেলেন হোসাইন দরবেশের খানকায়। তার উপদেশে মন প্রশান্ত হল। পরিবর্তন এলো জীবনে। অনুতপ্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে লাগলেন। এক দেনাদার তাকে দেখে অন্যপথ খুঁজল ভয়ে।
ও ভাই, পালিও না তুমি। হাবিব এগোল তার দিকে। আজ তোমার পালানোর প্রয়োজন দেখছি না। বরং আজ আমারই পালান উচিত। বলেই তিনি ঘুর পথে বাড়ি যেতে লাগলেন। ছোটাছুটি খেলার সেই ছেলেরা বলল, পবিত্র আত্মার হাবিব আসছেন।
আমাদের পাপ শরীর যেন তাকে কলুষিত না করে। চলো দূরে সরে যাই। মাবুদের কাছে আমরা দোষী হব তার সঙ্গে বেয়াদবি হলে। বিস্ময়ে সিজদায় লুটিয়ে পড়ল হাবিব। হে আমার মাবুদ তোমার সঙ্গে ভাব হয়েছে মাত্র একদিন। এতেই তোমার ফেরেশতাদের মনে প্রভাব ঢেলে দিয়েছ? এরপর হাবিব ঋণে বন্ধকী সব কিছু মালিকদের বুজিয়ে দিয়ে মুক্ত হলেন।
আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে কিছু দিন। এক ভিখারি এলো। হাবিব গায়ের জামা দিলেন ভিখারিকে। অন্য এক ভিখারি এসে আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু চাইল। তাকে দিলেন বউয়ের পরনের কাপড়।
ঘরের সব বিলিয়ে সুখী হলেন হাবিব। ফোরাতের নির্জন তীরে গড়লেন এক সাধনার ঘর। দিবস কাটান হোসাইন বসরির কাছে তালিম নিয়ে। রাত যাপন করেন একান্তে সিজদায়। বেশ কদিন খিদে সইলেন ঘরের বউ। একদিন বললেন, কিছু আনো রান্না করব। কাজ করতে যাচ্ছি।
কিছু হলেই পাঠিয়ে দেব। বলেই হাবিব দ্রুত পায়ে বেরিয়ে পড়েন। দিন শেষে প্রতিদিন সন্ধ্যা নামে। হাবিব ঘরে ফেরেন। বউ খাবারের কথা বলে। উত্তরে হাবিব বলে যার কাজ করি উদার খুব তিনি।
তার কাছে কিছু চাইতে বড় লজ্জা করে আমার। যথাসময় সব বুঝিয়ে দেবেন তিনি। প্রতি ১০ দিনে পারিশ্রমিক দান করেন। এসব বলে ভোরের আলোয় ফোরাতের সাধনা ঘরে চলে যান।
দিনভর ইবাদত-বন্দেগি করে ঘরে ফেরেন সূর্যি ডুবলে। ৯ দিন পার হল এভাবে। ১০ম দিনও কাটল। আজ কী নিয়ে ঘরে ফিরব? এ চিন্তায়। সন্ধ্যায় অনেক সংকোচে ঘরে ফিরতে লাগলেন হাবিব। ভাবলেন সন্ধ্যার আঁধার আমাকে ঢেকে দিলে কত না ভালো হতো। ঘরের কাছে এসে থমকে দাঁড়ালেন। বাহারি খাবারের সুবাস আসছে তারই ঘর থেকে। ধীর পায়ে এগোলেন ঘরের দিকে।
হাবিবকে দেখেই ছুটে এলেন বউ। খুশি ছড়িয়ে বললেন, তুমি যার কাজ করছ বড় ভালো খুবই দয়াবান লোক তিনি। এক ভার মধু, ভারভর্তি ঘি, এক ভার ফলমূল ও অন্যান্য খাদ্য দিয়ে এক যুবককে পাঠিয়েছেন তিনি।
সঙ্গে দিয়েছেন এক থলি তামার মুদ্রা। ওই যুবকটিকে তোমার মনিব বলতে বলেছেন, যত বেশি মনিবের সেবা করবে তত বেশি পারিশ্রমিক পাবে হাবিব। সব শুনে হাবিব বললেন মনে মনে, হে আমার মাবুদ! ১০ দিন মাত্র তোমাকে ডাকলাম, এতেই তুমি এত দিলে।
হায়! জীবন ভর যদি বন্দেগি করতাম তাহলে তুমি কী জানি দিতে! বউকে ধরে শুকরিয়ার কান্না কাঁদলেন। তারপর সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন। এভাবেই মাবুদের সঙ্গে ভাব হল হাবিবের।
একদিন হল কী। মাগরিব ওয়াক্তে হোসাইন বসরি এলেন। হাবিব আজমি নামাজে ছিলেন। তিনিও তার পেছনে দাঁড়িয়ে গেলেন। ইমামের কেরাতে উচ্চারণ শুদ্ধ হচ্ছে না ভেবে তিনি একাকী নামাজ আদায় করলেন।
সে রাতে স্বপ্নে তিনি মাবুদকে দেখলেন। জিজ্ঞেস করলেন, হে মাবুদ তুমি কিসে খুশি? মাবুদ বললেন, আমি তোমার প্রতি খুশি ছিলাম। সে খুশি ধরে রাখতে পারনি তুমি। হোসাইন বসরি কান্না কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, মাবুদ গো কী অপরাধ আমি করেছি।
মাবুদ বললেন, তুমি হাবিব আজমির ইমামতি মেনে নাওনি। তুমি তার উচ্চারণে শুদ্ধতা খুঁজেছ। তার বিশুদ্ধ হৃদয়ের সহি নিয়ত দেখতে পাওনি। শুদ্ধ তেলাওয়াতের চেয়ে পরিশুদ্ধ হৃদয় আমি পছন্দ করি।
প্রেমভাবে মাঝে মাঝেই কাঁদতেন হাবিব আজমি। কেঁদে কেঁদে দেওয়ানা হয়ে বলতেন। হে মাবুদ, যে হৃদয়ে তোমার প্রেম নেই, সে হৃদয় প্রেমশূন্য করে দাও। কোরআন পাঠ হলে হাবিব কেঁদে কেঁদে বেহুশ হয়ে যেতেন।
তার কান্না দেখে মানুষ বলত, ভিন্নভাষী তুমি। কোরআন তো বোঝ না। এত কান্না তোমার কীভাবে আসে। কেঁদে কেঁদেই হাবিব উত্তর দেন। জিহ্বা আমার ভিন্নভাষী। হৃদয় যে আমার আরবি। জগতের সৃষ্টা মাবুদ।
তিনি মানবের শরীর দেখেন না। দেখেন হৃদয়। তিনি বলেছেন, আমি মুমিন বান্দার হৃদয়ে বসত করি। আমরা যদি ছেলেবেলা থেকেই হৃদয়কে পবিত্র রাখি। তবেই দুই জীবনে মাবুদের বন্ধুত্ব পাব।
পৃথিবীখ্যাত সুফি গ্রন্থ তাজকিরাতুল আউয়ালিয়ার ভাব নিয়ে
- বন্ধু ট্রাম্পকে খুশি করতে মোদির ‘শান্তি’ বিল পাস, বিরোধীদের সমালো
- যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চুক্তি করলো টিকটক
- শহীদ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন, লাখো মানুষের অংশগ্রহণ
- মার্কিন ভিসা ব্যবস্থায় বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ
- উস্কানির অভিযোগে ইলিয়াসের আরেক পেজ সরাল মেটা
- এনটিএমসি বিলুপ্ত চেয়ে ৯৪ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জবাব চেয়ে শাহবাগ ছাড়ল ইনকিলাব মঞ্চ
- সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ শুরু
- ওসমান হাদির কবর দেখতে মানুষের ভিড়, রাতভর প্রহরায় থাকবে পুলিশ
- জ্যাকসন হাইটসে মামদানির ফান্ডরেইজিং
- মানিকগঞ্জ সমিতির বিজয় দিবস উদযাপন
- ২১ মুক্তিযোদ্ধাকে সন্মাননা দিল ব্রংকস বাংলাদেশি এসোসিয়েশন
- বাাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভা আগামী ২৮ ডিসেম্বর
- গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের উদ্যোগে ‘শীত বস্ত্র বিতরণ’
- ঊনবাঙালের বর্ণাঢ্য বিজয় দিবস উদযাপন
- সাংবাদিক নুরুল কবিরের ওপর হামলা
- ন্যাচারালাইজড আমেরিকানদের নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের খেলা
- ওসমান হাদির মৃত্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ
- শনিবার মানিক মিয়ায় হাদির জানাজা
- ‘হঠকারী হবেন না’; সংযমের আহ্বান ইউনূসের
- ২৫ ডিসেম্বর ফিরছেন তারেক: ফ্লাইটে কোন সিট খালি নেই
- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছেই
- সিনেটে লড়তে চান বাংলাদেশি আমেরিকান কারিশমা মঞ্জুর
- সিআইপি অ্যাওয়ার্ড পেলেন আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ
- জাতিকে কাঁদিয়ে হাদির বিদায়
- আজকাল ৯০১
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
- ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন’
- হাদির মৃত্যুতে শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
- হাদি ছিলেন বিপ্লবী রক্তে উজ্জীবিত প্রতিবাদের এক আইকন
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকের আজকাল ৮৭৩
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- ট্রাম্পের চাপে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা অ্যাপলের
- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- মৃতের আত্মা কখনও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসে না
- কেমন হবে হাশরের ময়দান
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পথ চলার আদব!
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
