মঙ্গলবার   ০৫ আগস্ট ২০২৫   শ্রাবণ ২১ ১৪৩২   ১০ সফর ১৪৪৭

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
২৪৯

আগ্নেয়গিরির মজাদার কিন্তু ভয়ংকর তথ্য

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০১৯  

আগ্নেয়গিরির মজাদার কিন্তু ভয়ংকর কিছু তথ্য নিয়ে এরইমধ্যে আমরা প্রথম পর্বে আলোচনা করেছি। আমাদের খোঁজ সেখানে শেষ হয়নি। আরো কিছু চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে ফের এসেছি আমরা।

 

প্রশান্ত মহাসাগরে গভীরে কাবাচি ভল্কানোর আশেপাশের ৪৫ মিটারের গভীরতায় বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছে এমন কিছু যা রীতিমত চমকে দেয়। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে পাড়ি দেয়ার সময় ন্যাশনাল জিওগ্রাফি টিমের কিছু মেম্বাররা উদ্দোগ নেয় কাবাচি আশেপাশের দৃশ্যকে নিজের চোখে দেখার। আর কেনইবা হবে না ২০০৩ সালে এই আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের দরুনে তৈরি হয়েছিল পৃথিবীর মানচিত্রে আইল্যান্ড বা ভূখণ্ড। একটি আন্ডার ওয়াটার ডিপ ডাইপ সাবমারসাব্লকে সমুদ্রস্তর থেকে ১৭ তালা বিল্ডিং এর সমান গভীরতায় পাঠায় তারা। কাবাচি আগ্নিয়গিরির আশেপাশে দৃশ্যকে রেকর্ড করার জন্য। ধরা পড়ে এমন কিছু দৃশ্য যা রীতিমত চোখ ধাঁধিয়ে দেয়।

অবাক হতে হয় এটা জেনে যে, সমুদ্রের এই গভীরতা এমন অস্বস্তিকর পরিবেশে যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব কোনোভাবেই সম্ভব না সেখানে কিভাবে খুঁজে পাওয়া গেল বৃহৎ আকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ? জেলিফিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রজাতির সমাবেশ সমুদ্রের এই গভীরতায়। বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন একটি দৃশ্য এক নতুন দিশার উন্মোচন করে। বিজ্ঞানীদের চিন্তা ভাবনারও বাইরে ছিল কিভাবে এমন অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব। তারা অবাক হয় এটা জেনে যে কিভাবে এমন উত্তপ্ত এসিডিক পানির মধ্যে এই সমস্ত জলজ প্রাণীরা নির্ভয়ে সাতার কেটে যাচ্ছে এমনকি বসবাস করছে রীতিমত তারা সেখানে।

শুধুমাত্র কি তাই? এই প্রক্রিয়ার দরুন তারা খুঁজে পায় পানির এমন গভীরতায় অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে অসম্ভবভাবে বিভিন্ন প্রজাতির সার্ক বা হাঙ্গর। এই খোঁজ তাদেরকে রীতিমত হতভম্ব করে দেয়। পানির এমন এক পরিবেশে যেখানে খুব বেশি হলে এককোষী বাক্টেরিয়ারা বেঁচে থাকতে পারে, সেখানে কিভাবে সার্ক এর মতন কমপ্লেক্স ডিএনএ স্টাকচার এর প্রাণীর অস্তিত্ব সম্ভব। এবার যদি আমরা একটু ভেবে দেখার করে যে এইরকম অনন্ত বিস্তৃত সমুদ্রের মধ্যে কেন সমস্ত জলজ প্রাণীরা এই স্থানটিকে বেছে নিলো। তাহলে সত্যিই হয়তো তার কোনো সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু অন্যরকমভাবে ভেবে দেখলে আমরা বুঝতে পারব যে, ভাবেই হোক না কেন কোন রকমভাবেই এই সমন্ত জলজ প্রাণীর এরকম একটি জলীয় পরিবেশের মধ্যে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং এভাবে তারা হয়ে উঠেছে এখানকার জলিয় পরিবেশের রাজা।

দৈনন্দিন জীবনে তাদের বেঁচে থাকার জন্য যে সমস্ত ভাইটাল বা গুরুত্বপূর্ণ উপায় দরকার সেগুলো এখানে বহুমাত্রায় অবস্থিত। যদি নিজেদেরকে এখানে মানিয়ে নেয়া যায় তাহলে বেঁচে থাকার মত আর কোনো অসুবিধে তাদের এখানে হতে পারে না। কিন্তু আসল সত্যিটা হলো এই প্রাণীরা বসবাস করছে একটি অগ্নি চুড়ার আশেপাশে। মাত্র এক সেকেন্ড লাগবে একবার এই আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ এবং এখানকার সমস্ত জলীয় প্রাণিদের চিহ্ন পর্যন্ত মুছে যাবে। ছোট ছোট এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে জেলিফিশ থেকে বৃহৎ আকার মাছ থেকে বড় বড় সার্ক কেউই এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বেঁচে ফিরতে পারবে না।

হয়তো এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভবনার ব্যাপারে এখানকার সামুদ্রিক জীবেরা অবগত। কোনো রকমভাবে তাদের মধ্যে বিবর্তন হয়ে উঠেছে যার দরুন তারা অসম্ভব পরিবেশের মধ্যেও বেঁচে থাকতে সক্ষম। কিন্তু এই আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ থেকে তাদের বেঁচে ফেরা কোনোমতেই সম্ভব না। আর যদি সত্যি এটা হয় তবে সেটা আমাদের প্রকৃতির জন্য বায়োলজিক্যাল ডিস্টারবেন্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো এ রকম একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় সত্যিই কি পৃথিবীকে প্রাণহীন একটি প্ল্যানেটে পরিণত করতে পারে? বিশ্বাস করুন বা নাই করুন ভল্কানো বা সুপার ভল্কানো বা আগ্নিয়গিরি এই রকম একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানুষের জন্য তৈরি করতে পারে।

এই বিষয়ে পুনরায় কথা বলতে গেলে নিঃসন্দেহে সবথেকে প্রথমে না মাসে উত্তর আমেরিকার এক অতি জনপ্রিয় স্থান ইয়োলো স্টোন ন্যাশনাল পার্ক। নর্থ অ্যামেরিকার জনপ্রিয় স্থান গুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এখানকার অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ওয়াইল্ড লাইফ যে কাউকে মুগ্ধ করতে পারে। কিন্তু জানেন কি বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত এই প্রাকৃতিক স্বর্গ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রীতিমতো ধুলিস্যাৎ হয়ে যেতে পারে। নর্থ আমেরিকার ইয়োলো স্টোন ন্যাশনাল পার্কের অধিকাংশ স্থানই একটি বিশাল আকার ফুটন্ত নিষ্ক্রিয় আগ্নিয়গিরির উপর অবস্থিত। এটি রীতিমতো একটি সুপার ভল্কান যা যে কোন মুহূর্তে জেগে উঠতে পারে। যা ১৭০০ স্কয়ার মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত, ৪৪০০ স্কয়ার কিলোমিটার। অনুমানের খাতিরে উদাহরন স্বরূপ ধরে নেয়া যায় যে চারশো কুড়ি হাজার ফুটবল মাঠের সমান এর আকার। কিন্তু পৃথিবীর বুকে বিরাজমান এই বিশালাকার অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক স্থানটির খোঁজ খুব একটা পুরনো না।

স্যাটেলাইট ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এই স্থানটি খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু আসল সত্যি হল এই স্থানটিকে একটি ফুটন্ত পানির ম্যাগমার বোতলের সাথে তুলনা করা যায়। যেখানেই উত্তপ্ত ফুটন্ত ম্যাগমা ভূ-স্তর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার নিচে আছে। যার ফুটন্ত তাপমাত্রা ১৫০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা ৮১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এবার যদি আমরা ভল্কানোলজিস্টদের কথা শুনে থাকি এই অভূতপূর্ব সুন্দর স্থানটির খোঁজ উল্লেখযোগ্য, কিন্তু কি হবে যদি এই বিশাল আকার নিষ্ক্রিয় আগ্নিয়গিরি একদিন হঠাৎ করে জেগে উঠে? নিঃসন্দেহে মুহূর্তের মধ্যে পুরো পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে চলে আসবে। ইয়োলো স্টোন ন্যাশনাল পার্কের এই সুপার ভল্কান ফারদার স্টাডি করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছে এর আগেও অতীতে এই স্থানে বহুবার আগ্নিয়গিরির বিস্ফোরণ হয়েছে।

আজ থেকে কয়েক মিলিয়ন বছর আগেকার কথা যখন ওই স্থানে হয়ে থাকা আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ এর দরুন ৯০ শতাংশ স্থান কালো ধুয়াতে ধেকে গিয়েছিল বলে মনে করা হয়। বর্তমান সময়ে এই ইয়োলো স্টোন ন্যাশনাল পার্ক পৃথিবীতে মনুষ্য জাতির জন্য নিঃসন্দেহে একটি আশঙ্কার বিষয় তাই এখানে থাকা যেকোনো ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর বিষয় আসলে আশঙ্কার বিষয়। তাই এই স্থানকে ঘিরে রয়েছে বহু বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র। যারা প্রত্যেকটি মুহূর্তে এই স্থানটিতে ঘটে থাকা প্রতিটি আক্টিভিটিসকে খুব কাছে থেকে মনিটর করছে। এখানে ঘটে থাকা যেকোনো ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর আসংকার বিষয় পুরো পৃথিবীতে মাবন জাতির সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। এই উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানীরা নর্থ আমেরিকার ইয়োলো স্টোন ন্যাশনাল পার্কের অতিত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে ভালোভাবে স্টাডি করছে।

এই বিষয়ে পুনরায় স্টাডি করে এখানে ঘটে থাকা আগ্নিয়গিরির বিস্ফোরণগুলোর মধ্যেকার ইন্টারভেলের সময় জানা গেছে এখানে বিস্ফোরণ হয় আজ থেকে দুই মিলিয়ন বছর আগে। তারপরে ওয়ান পয়েন্ট থ্রি মিলিয়ন বছর আগে। আর খুব রিসেন্টলি ছয়'শ হাজার বছর আগে। অ্যামেরিকান জিওলসিস্টরা এই ধারণাকে আগে নিয়ে গিয়ে কল্পনা করছে আজ থেকে কুড়ি হাজার বছর আগে এই ফুটন্ত নিষ্ক্রিয় সুপার ভল্কানো জেগে উঠবে না। কিন্তু রিসেন্টলি এখানে ঘটে থাকা কিছু ঘটনা দরুণ বিজ্ঞানীদের এই ক্যালকুলেশনের মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে। সামনে এসেছে নতুন একটি তারিখ, নতুন একটি দিন। যখন প্রাকৃতিক দানব জেগে উঠবে এবং সমগ্র মানবজাতিকে ডুবিয়ে নিয়ে যাবে।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর