যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতিতে প্রকাশ করা হবে গোপন চুক্তি
প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২৫
ট্রাম্প প্রশাসনের পালটা শুল্ক সুবিধা কমিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের গোপন চুক্তি (নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট) প্রকাশ করা হবে। চুক্তিটি সই হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ একটি যৌথ বিবৃতি দেবে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি নিয়েই এই চুক্তি প্রকাশ করা হবে। তবে নন-ডিসক্লোজার চুক্তিতে কোথাও দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই। যেসব বিষয় পরোক্ষভাবে দেশের স্বার্থবিরোধী হতে পারত, আলোচনার মাধ্যমে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সাক্ষাৎকারটি দেওয়ার একদিন আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর পালটা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ আরোপ করেছে। সাক্ষাৎকারটি প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা তার নিজস্ব ফেসবুক পেজে তুলে ধরেছেন।
পালটা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) সঙ্গে তিন দফা আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা। সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী।
পালটা শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে হচ্ছে। যা নন-ডিসক্লোজার বা অপ্রকাশিত হিসাবে পরিচিত। ফলে গোপনীয়তা থাকায় চুক্তিতে দেশের স্বার্থবিরোধী বা ভৌগোলিক সীমার নিরাপত্তা ইস্যু থাকতে পারে এমন সমালোচনা চলছে অনেক ক্ষেত্রে।
সেটি পরিষ্কার করতে গিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, গোপন চুক্তির মাধ্যমে দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনো উপাদান থাকলে সেখানে অগ্রসর হব না, সেটিই স্বাভাবিক। কারণ আমরা দেশের স্বার্থে কাজ করছি। চুক্তির মাধ্যমে নিজস্ব স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিজস্ব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিলে আমাদের সক্ষমতার ঘাটতি পড়বে। এতে বাণিজ্য চুক্তি করে কোনো লাভ হবে না। তিনি আরও বলেন, স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদে বাণিজ্য সক্ষমতা হ্রাস বা সামষ্টিক অর্থনীতির কোনো ধরনের ক্ষতি হলে সে চুক্তি কোনোভাবে পালনযোগ্য নয়। এখানে দেশের স্বার্থ বিসর্জনের কোনো সুযোগই নেই।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, শুধু আন্তর্জাতিক নয়, স্থানীয় ভাবে দুটি ব্যাংক, বিমা বা সংস্থার মধ্যে চুক্তির সময়ও অনেক কিছু গোপন রাখা হয়, এটিই স্বাভাবিক । এমনকি দুজন ব্যক্তি মিলে একটি সম্পদ হস্তান্তর করলেও সেটি বাইরের কাউকে না জানানোর জন্য নিজেদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। কারণ দুজনেই মনে করতে পারেন প্রতিবেশী কেউ সমস্যা বা অন্য কেউ এসে সম্পদ দাবি করতে পারেন।
উপদেষ্টার মতে, যুক্তরাষ্ট্র বিনিময় চুক্তির ক্ষেত্রে তাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে ব্যবহার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তির পেছনে মূল নিয়ামক হিসাবে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকে নিয়েছে। সেখানে আলোচনা গোপন রাখার শর্ত পালন করাই স্বাভাবিক।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি সফল করতে বোয়িং কোম্পানি থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে বলে সমালোচনা চলছে। এ প্রসঙ্গে প্র্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য নেগোসিয়েশনের সময় ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার বিষয়টি একবারের জন্যও গুরুত্ব পায়নি। আমার জানা মতে এই বোয়িং কোম্পানি এখন পর্যন্ত মাত্র ১২টি উড়োজাহাজ তৈরি করেছে। ক্রয় প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলাদেশকে প্রথম উড়োজাহাজ ২০৩৭ সালের আগে সরবরাহ করতে পারবে না। কারণ প্রতিষ্ঠানটির সে ধরনের সক্ষমতা নেই। তবে নেগোসিয়েশনে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বোয়িং বিক্রিতে ছিল না, ছিল তাদের দেশের কৃষিপণ্য নিয়ে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র কৃষিপণ্য উৎপাদনে বৃহত্তম দেশ।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ১৫-২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের খাদ্যপণ্য আমদানি করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিযোগিতা মূল্যে খাদ্য আমদানি করা গেলে দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করা যাবে। পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণেও ভূমিকা রাখবে।
আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি ও কৃষিপণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছি। বিশেষ করে তুলা, ভুট্টা, সয়াবিন, গম, এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ২ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি মেটাতে পারলে তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে বেসরকারি খাতকে কাজে লাগিয়েছি। ওয়াশিংটনে শুল্ক আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে একটি ব্যবসায়ী দল এখানে আসছে। বেসরকারি পর্যায়ে তারাও বৈঠক করেছে এখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। পালটা শুল্ক কমানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাণিজ্য একটি গতিশীল বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে তার সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করবে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের সক্ষমতার ওপর। এর থেকে ফল পেতে গেলে নিজস্ব সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। এখনই আÍতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করছে, দেশটির সঙ্গে ৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কেনার যৌক্তিকতা কি ছিল জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিমান পরিচালনার সক্ষমতা ও ব্যবসায়িক অবস্থার দৃষ্টিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বছর এক কোটি ২০ লাখ যাত্রী বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করলেও মাত্র ২০ লাখ যাত্রী বাংলাদেশ বিমান ব্যবহার করেছেন। বাকি ১ কোটি যাত্রীর বাজার এখন বিমানের বাইরে। বিমানের উপযোগিতা না থাকার কারণে বড় এ বাজার হাতছাড়া হচ্ছে। ফলে সে তুলনায় ২৫টি উড়োজাহাজ আসলে কিছুই না। আরও বেশি কিছু দরকার। তবে পরিচালনার সক্ষমতা না বাড়িয়ে শুধু বিমান কিনে ব্যয় বাড়ালে সেটি উপকারে আসবে না। এজন্য বিমানের সক্ষমতা বাড়াতে আইন ও নীতি পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা শিগগিরই দৃশ্যমান হবে।
- যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি স্থানীয় সরকার ও গণভোটে ট্রাম্পের দলের ভরাডুবি
- অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা
- ডেটিং অ্যাপে যেভাবে মামদানির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার স্ত্রীর
- যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ৩
- ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৬৯
- টেলিগ্রামে ১০৮ পর্নোগ্রাফি চ্যানেল শনাক্ত, বন্ধে চিঠি
- আট মাসে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছেন ২ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি
- মামদানির বিজয় বাংলাদেশি ‘আঙ্কেল আন্টিদের’
- নিউ ইয়র্কে ইসলামোফোবিয়ার কোনো স্থান নেই: মামদানি
- চট্টগ্রামে এমপিপ্রার্থীর গণসংযোগে গুলি, ‘সন্ত্রাসী’ বাবলা নিহত
- যে কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না মামদানি
- ভোটের সংখ্যায় ৬০ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন মামদানি
- বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি দিলো ভারতের আদানি পাওয়ার
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ বিলিয়ন ডলারে সয়াবিন কিনবে তিন প্রতিষ্ঠান
- নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ৭০ শতাংশই ভাড়াটে
- যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি মারা গেছেন
- নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে, ফলাফল জানা যাবে কখন
- মামদানির হাতে ব্যালট-খামে বাংলায় লেখা
- ১ হাজার বিচারকের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত
- আপাতত জাকির নায়েককে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দিচ্ছে না সরকার
- বিএনপিতে যোগ দিলেন মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
- বাংলাদেশি ও ভারতীয়দের ভিসা গণহারে বাতিলের ক্ষমতা চাইছে কানাডা
- নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
- অভিবাসী কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট স্বয়ংক্রিয় নবায়ন বন্ধ
- আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৭, আহত ৫৩০
- তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার বিষয়ে যা বললেন ট্রাম্প
- প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ বাতিল
- বিশ্বকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়ার শক্তি আমাদের আছে : ট্রাম্প
- চীন থেকে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ
- গাজা এখন ‘মাইনের শহর’
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
