ব্যাংক খাত ছিল পতিত সরকারের রাজনীতির হাতিয়ার
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৫
- ব্যক্তি গোষ্ঠী স্বার্থে আইন সংশোধনে সুশাসন দুর্বল
- নতুন সংজ্ঞায় বাড়বে খেলাপি ঋণ
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশের ব্যাংক খাতকে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে বিগত সরকার তার রাজনৈতিক বলয়কে তোষণ করেছে। এর ফলে ব্যাংক খাতে করপোরেট সুশাসন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে। ২০১৭ সালে একটি একক শিল্প গ্রুপের হাতে সাতটি বেসরকারি ব্যাংক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া একের পর এক ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ আরও পাকাপোক্ত করা হয়েছে।
এমন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে। এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে লম্বা সময় ধরে কাঠামোগত দুর্বলতা ও অদক্ষতা বিরাজ করছে। এর পাশাপাশি করপোরেট সুশাসনের অভাব ও নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রমের দুর্বলতাসহ রয়েছে নানা ধরনের সমস্যা। আর এসবের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে নির্দেশিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
সংজ্ঞাগত দুর্বলতার সুযোগে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে ঋণ ভাগাভাগির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এক বাংকের পরিচালকের সঙ্গে অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের সখ্য গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে পারিবারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংক পরিচালকরা পরস্পরের ব্যাংক থেকে মোটা অংকের ঋণ হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে ৮টি ব্যাংকের পরিচালকরা পরস্পরের মধ্যে তিন দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের সমান ঋণ তুলে নিয়েছেন। টাকার অংকে যার পরিমাণ প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এভাবে পারিবারিক যোগসাজশে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ঋণের নামে ইচ্ছাকৃত খেলাপি গ্রাহক সৃষ্টিতেও অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করেছে।
২০২৩ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে ব্যাংকে পারিবারিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করা হয়েছে বলে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে। ২০২৩ সালে আইন সংশোধন করে একজন উদ্যোক্তা পরিচালকের একনাগাড়ে ১২ বছর পরিচালনা পর্ষদে থাকার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হয় ব্যাংকে। এর পাশাপাশি স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের সংখ্যা এই সংশোধনের মাধ্যমে সীমিত করা হয়। ফলে করপোরেট সুশাসন দুর্বল হয়ে পড়ে।
এসব কারণে ব্যাংক খাতে সম্পদের মান খারাপ হয়, মূলধনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং তারল্য পরিস্থিতি দুর্বল হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপর যখন এ খাতে সংস্কার উদ্যোগ শুরু হয়, তখন ব্যাংকগুলোর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে শ্লথ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি এবং উদ্যোক্তাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি। এর ফলে ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসা ও ঋণ বিতরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ব্যাংক খাতে গড় খেলাপি ঋণের হার ২০ শতাংশের ওপরে পৌঁছে যায়। এ মানের খেলাপি ঋণ থাকলে যেকোনো দেশের ব্যাংক খাতে বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।
বিশ্বের যেসব দেশে এর আগে ব্যাংক খাতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, সেখানে মোটামুটি খেলাপি ঋণের হার ছিল ২০ শতাংশের কাছাকাছি। খেলাপি ঋণের ৪৬ শতাংশই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৯টি ব্যাংকে। খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে নতুন যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে তা চলতি এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। এটি কার্যকর হলে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। এই উচ্চ খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাকগুলোকে বিপুল অর্থ সঞ্চিতি রাখতে হচ্ছে। ফলে ব্যাংকগুলোর নতুন বিনিয়োগের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ব্যাংক খাতের এসব সম্যস্যা সমাধানে ১০ দফা সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এগুলো হলো- ব্যাংক খাতের নীতিকাঠামো উন্নত করতে অগ্রাধিকার প্রদান; আমানত সুরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করা; প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নতি; রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক পুনর্গঠন; খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনায় একটি শক্তিশালী কাঠামো তৈরি; সমন্বিত দেউলিয়া আইন প্রণয়ন; ব্যাংকিং আইন ও নীতির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা; জরুরি প্রয়োজনে তারল্য সহায়তা প্রদানের জন্য একটি নীতি কাঠামো তৈরি; ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ ও তদারকিতে আন্তর্জাতিক উত্তমচর্চাগুলোর অনুশীলন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে কি উদ্যোগ নেওয়া উচিত এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে কাজ করা দরকার তা হচ্ছে আইনি কাঠামো ঠিক করা। এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ হয়তো জারি হবে। এর বাইরে ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন পরিচালনগত সুশাসন ঠিক করার জন্য অনেকগুলো ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিছু ব্যাংকের ঋণ বিতরণ এবং লভ্যাংশ বিতরণে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক আমানতের সুরক্ষার জন্য যে সুপারিশ করেছে, সেটি বাস্তবায়নে আমানত বীমা ব্যবস্থায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
এসব উদ্যোগ কতটা টেকসই হবে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এসব উদ্যোগ কতটা টেকসই হবে সেটা পরবর্তীতে যে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসবে তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আইন-কানুনে কোথাও রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স দেওয়ার বিধান নেই। অতীতে যা ঘটেছে তা হচ্ছে নিয়ম লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এসব হস্তক্ষেপ বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকেই এগিয়ে আসতে হবে।
- দ্বিতীয় দিনেও যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল!
- যুক্তরাষ্ট্রে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় ৪ জনের প্রাণহানি
- আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি
- অনুষ্ঠানের মাঝেই ‘ঘুমিয়ে’ পড়লেন ট্রাম্প, দেখুন ছবিতে
- ট্রাম্প-পরবর্তী নেতৃত্বের লড়াইয়ে রিপাবলিকানরা
- শ্বেতাঙ্গরা নির্যাতনের শিকার: ট্রাম্প
- তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে যেসব অঞ্চলে
- কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
- অনশন ভাঙিয়ে আমজনতার তারেককে হাসপাতালে পাঠালেন সালাহউদ্দিন
- ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে ঢাকার কড়া জবাব
- সরকারের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি সোমবার স্থগিত
- ঢাকায় একযোগে পুলিশের ‘বড় মহড়া’
- প্রধান উপদেষ্টা ডাকলে আমরা যাব, অন্য দল দিয়ে কেন : সালাহউদ্দিন
- ‘আজকাল’ সম্পাদকের শুভেচ্ছা
- মামদানির বিজয় বাংলাদেশি ‘আঙ্কেল আন্টিদের’
- ঐকমত্য কমিশনের সমালোচনা নিউইয়র্ক বিএনপির
- ফিরোজ সভাপতি ও আলমগীর সাধারণ সম্পাদক
- জ্যাকসন হাইটসে আলাদীন রেস্টুরেন্ট ও সুইটসের উদ্বোধন
- জামাইকায় ‘নবান্ন রেস্টুরেন্ট’র উদ্বোধন
- নির্বাচন শনিবার
- বাংলাদেশ সোসাইটির জমকালো সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব
- ‘জগাখিচুরি’ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত
- বিপুল ভোটে বিজয়ী সোমা সায়ীদ
- ঝড়ের বেগে সব জয় করলেন কে এই মামদানি?
- ব্রুকলিনে শাহানার রেকর্ড ভোটে বিজয়
- ইতিহাস গড়লেন মামদানি
- আজকাল ৮৯৫
- সংঘাতে ৮ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল: ট্রাম্প
- যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন স
- এবার মঞ্জুরুলের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জাহানারার
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- মন্তব্য প্রতিবেদন
বন্ধ করুন আষাঢ়ি নির্বাচনের গল্প - আজকাল ৮৬৯ সংখ্যা এখন বাজারে
- ‘আজকাল’-৮৭০ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- এসাইলাম আবেদন ফি হাজার ডলার!
- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
