বাংলাদেশের জনগণ কী চায় তা দিল্লির বোঝা উচিত
আজকাল রিপোর্ট -
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৪

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রতিবেশী দেশের জনগণের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং কোনো ব্যক্তি, দল বা নেতার ওপর ভিত্তি না করে ভারতের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে পুনরায় দৃঢ় করা। একথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক কূটনীতিকরা। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে ভারত সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ নেত্রী তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভরশীল ছিল। অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, হাসিনার শাসনকে ‘কর্তৃত্ববাদী’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করবে।
বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের’ (বিইআই) সভাপতি হুমায়ুুন কবীর হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন: আমি মনে করি আমাদের নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়, সব পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাই উত্তম কাজ হবে। বাংলাদেশ ও ভারত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং উভয়কেই শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি বসবাস করতে হবে। ভারতের উচিত সরকার যারই হোক, প্রতিবেশী হিসেবে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।
হুমায়ুুন কবীর একজন সাবেক কূটনীতিক। তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বলেন যে, ‘বাংলাদেশের বিদ্রোহটি অভ্যন্তরীণ এবং তরুণদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। তাদের গলায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার প্রতিধ্বনি শোনা গেছে। তারা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং স্বচ্ছতার মতো মূল্যবোধ নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু আমাদের কিছু ভারতীয় বন্ধু অস্বস্তি বোধ করছে। কারণ তারা বাংলাদেশের সামপ্রতিক ঘটনাগুলো একটি নির্দিষ্ট লেন্সে পর্যবেক্ষণ করছে। কোনো না কোনোভাবে তারা ভিন্ন মতামত বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে তরুণদের মতামত, যারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভবিষ্যৎ গড়ার ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’
ড. ইউনূস যখন ১৬ই আগস্ট মোদির সঙ্গে তার প্রথম ফোনালাপ করেন তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি নয়াদিল্লির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং দেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ঢাকাভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, নয়াদিল্লি হাসিনা ও তার সরকারকে নিঃশর্ত ও একচেটিয়াভাবে সমর্থন জুগিয়ে গেছে। এর জেরে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের প্রতি জনসাধারণের ক্ষোভ বেড়েছে।’ ড. দেবপ্রিয় মনে করেন, ‘প্রকৃতপক্ষে ভারতকে এখন পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করতে হবে। আশা করি ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে জিম্মি করে রাখবে না। বাংলাদেশেরও ভারতের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো মোদি এবং ড. ইউনূসের ফোনকলে প্রতিফলিত। ভারত আয়োজিত ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিটে ড. ইউনূসের অংশগ্রহণ ছিল একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতীতকে পেছনে ফেলে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নে আরও সুযোগ থাকবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো শাফকাত মুনির বলেন, ‘বাংলাদেশিদের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে যে, ভারত একক ব্যক্তি এবং একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ। তাই ভারতের জন্য জরুরিভিত্তিতে ঢাকাকে এবং বাংলাদেশি জনগণকে ইঙ্গিত দেয়া দরকার- তারা প্রতিবেশী দেশের জনগণের সঙ্গে আছে, তাদের আশা-আকাক্সক্ষার সঙ্গে আছে।’ মুনির মনে করেন, ভারত ও বাংলাদেশের জন্য গঠনমূলক ও উৎপাদনশীল সম্পর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তা ভারতকে মেনে নিতে হবে। মুনির বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আসবেন, আবার চলে যাবেন। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের মধ্যে। সেই সম্পর্ক নতুন করে ঝালিয়ে নেয়ার সময় এসেছে।’
তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে, ভারত সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্য শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে বাংলাদেশে একজন বিশেষ দূত পাঠাতে পারে। কারণ বাংলাদেশের বিপ্লবকে ‘জনবিপ্লব’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া দরকার। হুমায়ুন কবীর ভারতে দুটি কূটনৈতিক পদে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলছেন- ‘ঘটনার দ্রুততা ভারতীয় পক্ষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের উচিত গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাক্সক্ষাকে সমর্থন করা এবং তাদের সহায়তা করার জন্য ইতিবাচক মন নিয়ে এগিয়ে আসা। ভারত যদি তা করে, তাহলে একটি বোঝাপড়ার পরিবেশ তৈরি হবে। যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে দু’দেশের সম্পর্ককে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’

- ‘কালি হোটেল অ্যান্ড রুফটপ’র টপিং আউট সেরিমনি
- নোমান শিবলীর দাফন সম্পন্ন
- জিয়া সাইবার ফোর্সের কমিটি ঘোষণা
- ‘কক্ষপথ৭১’র আত্মপ্রকাশ
- বেলাল আহমেদের পদোন্নতি
- নোয়াখালী সোসাইটি’র নির্বাচন ২৬ অক্টোবর
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নির্বাচনে দিল্লির যত মাথাব্যথা
- রোজারিও হত্যায় অভিযোগ প্রমাণিত
- জামাত কেন এবারই ক্ষমতায় যেতে চায়!
- ড. ইউনূস আসছেন ২২ সেপ্টেম্বর
- অঘটন ঘটাতে মরিয়া আওয়ামী লীগ
- অ্যাসেম্বলীতে মেরীর প্রার্থীতা ঘোষণা
- রহস্যে ঘেরা তাদের সফর
- মান্নান সুপার মার্কেটে ফেডারেল এজেন্সী
- আজকাল ৮৮৮।
- ট্রাম্পের ‘ল্যাসে-ফেয়ার’ অবস্থানই নেতানিয়াহুকে বেপরোয়া করছে
- এবার মেমফিসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করছেন ট্রাম্প
- গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
- চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
- আট বার বাড়ার পর স্বর্ণের দাম কমলো
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালে যা বললেন নাহিদ ইসলাম
- রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
- বৃহস্পতিবার থেকে ৫ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে ৭ দল
- আবার দখল সড়ক
- সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
- বাংলাদেশসহ ৫ দেশকে ‘হুমকি’ ভাবছে ভারত
- ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন আইএমএফ প্রধান
- যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গাজা সিটিতে সবচেয়ে বড় স্থল অভিযানে ইসরায়েল
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- টক দই খেলে কী উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- আবরার ফাহাদকে কেন স্বাধীনতা পদক দেওয়া হচ্ছে: ফারুকী

- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা