জনগণের সেবক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় বলেই মানুষ ভোট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ গত দশ বছরে জনগণের সেবক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে বলেই মানুষ ভোট দিয়ে আবারও বিজয়ী করেছে। জনগণ বুঝতে পেরেছে শুধু আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, দেশের উন্নয়ন হয়; দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এটা মনে করে বলেই সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে তারা নির্বিশেষে সমর্থন দিয়েছে।’
শনিবার (১২ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্য নির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দুর্নীতিগ্রস্ত, সাজাপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি বলেই জনগণ নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখান করেছে। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা লুটের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে আছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হত্যামামলা, দুর্নীতি এবং মানিলন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। জনগণ তাদের এসব তৎপরতা গ্রহণ করেনি।’
অতীতের মতো সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনও বিএনপি বানচালের চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এবারও তাদের নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা সবাই দেখেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনও তারা বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৮ এর নির্বাচনে বিএনপি যদি মনোনয়ন বাণিজ্য না করতো, তাহলে হয়তো তাদের ফলাফল আরও একটু ভালো হতে পারতো।’
তিনি বলেন, ‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে, আমি অন্তত এইটুকু দাবি করেত পারি- তখনই কিন্তু এদেশের মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে যে সরকার জনগণের সেবক হতে পারে, সরকার জনগণের জন্য কাজ করতে পারে। আর সরকার কাজ করলে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়, এটা তখনই আমরা প্রমাণ করতে পারলাম।’
১৯৯৬ থেকে ২০০১ বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা স্বর্ণযুগ ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু ষড়যন্ত্র কখনও থেমে যায় না। ২০০১ সালে চক্রান্ত করে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। আমরা ভোট বেশি পেলাম কিন্তু সরকার গঠন করতে পারলাম না। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের জীবনে যে দুর্বিষহ অবস্থা ছিল, সেটা আমরা সকলেই জানি। সেটা নিয়ে আর আমার বেশি বলার প্রয়োজন নেই।’
২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটগভাবে জয়ী হওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার গঠন করার কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে কিন্তু ভোটের হার ২০১৮ সালের নির্বাচনের থেকেও অনেক বেশি ছিল। আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে আমাদের যেটা লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তুলবো এবং দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফলটা যাতে পৌঁছাতে পারি সেভাবে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি বলেই মানুষের এই উপলব্ধিটা এসে গেছে যে- আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে তারা ভালো থাকে, তাদের জীবনমান উন্নত হয়। তাদের দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হতে হয় না। তারা শান্তিতে থাকতে পারে। তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, এটা তারা উপলব্ধি করতে পারে।’
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করার সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এটা দেশের মানুষ কখনও মেনে নিতে পারেনি। ২০১৪ সালে আবার আমরা সরকার গঠন করি। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা একটানা দশ বছর হাতে সময় পেয়েছিলাম, যার ফলে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে একটা উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
২০১৪ সালের নির্বাচনের ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে যারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল? কী করবে? তারাও কিন্তু সকলে এগিয়ে এসেছিল আমাদের এই নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। এখানে ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক-শ্রমিক-কামার-কুমার-জেলে-তাঁতী-মেহনতি মানুষ থেকে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, প্রত্যেকের মধ্যে একটি আশা ছিল যে- আওয়ামী লীগ আসলে তারা ভালো থাকবে, আওয়ামী লীগ আসলে দেশটা ভালো চলবে। আওয়ামী লীগ আসলে দেশের উন্নতি হবে। এই উপলব্ধিটা তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে দানা বেঁধে যায়।’ তাই টানা তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষের সমর্থনের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
এবারের নির্বাচনের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিল, মানুষের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা এবং ভোট দেওয়ার জন্য আগ্রহ। বিশেষ করে এদেশের তরুণ সমাজ, যারা প্রথম ভোটার এবং নারী সমাজের মধ্যে বেশি আগ্রহ ছিল। এবারের নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হলেও কিছু কিছু জায়গায় বিএনপি-জামায়াত মিলে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে গেছে। কোথাও তারা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেছে এবং তাদের এই অপকর্মের কারণে বেশ কিছু প্রাণহানি ঘটেছে, যার মধ্যে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা অনেক আছেন।’
নির্বাচন বানচালের সব ঘটনা লিপিবদ্ধ করা আছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা মাঠে ঘাটে দেখেছেন, টেলিভিশনে দেখেছেন, কীভাবে তারা প্রচেষ্টা চালিয়েছিল নির্বাচনটা বানচাল করার জন্য। কিন্তু তা তারা পারে নাই। এখন বিএনপি নির্বাচনে হেরেছে, এই দোষ তারা কাকে দেবে? দোষ দিলে তাদের নিজেদের দিতে হয়। কারণ, একটি রাজনৈতিক দলের যদি নেতৃত্ব না থাকে, মাথাই না থাকে, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে জয়ের কথা চিন্তা করতে পারে।’
এসময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ তারেক রহমানের বিভিন্ন দুর্নীতির কথা তুলেন শেখ হাসিনা। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল পলাতক আসামিকে দিয়ে রাজনীতি করতে গেলে সেখানে কী রেজাল্ট হয় সেটাই তারা পেয়েছে। তাও হতো না, যদি তারা নির্বাচনে যে প্রার্থী দিয়েছে, সেই প্রার্থী নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যটা না করতো। তাহলে আরও ভালো ফল তারা করতে পারতো।’
মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে বিএনপির মধ্যে বিশৃঙ্খলার কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ জানতেই পেরেছে এদের চরিত্রটা কী? এদের চরিত্র শোধরায়নি তাই বাংলার জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপরও যে কয়টা সিটে তারা জিতেছে, গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের পার্লামেন্টে আসা প্রয়োজন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা সবসময় লক্ষ্য করি কীভাবে গ্রামের মানুষ, তৃণমূলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়। তারা একটু সুন্দর জীবন পাবেন, একটু উন্নত জীবন পাবেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের জীবনমান যাতে উন্নত হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রতিটি কর্মসূচি নিয়েছি।’
বক্তব্যের শুরুতে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বক্তব্য শেষে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সভাপতির সূচনা বক্তব্যের পরে যৌথসভা শুরু হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ৬ জুলাই গণভবনে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম চালানে এলো ৫৭ হাজার টন গম
- বৃহত্তর ঐক্যের জায়গা থেকে জামায়াতের সঙ্গে জোট: নাহিদ ইসলাম
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ
- ইনকিলাব মঞ্চের ৪ দফা ঘোষণা
- যুদ্ধের ইতি টানতে ট্রাম্পের সঙ্গে রোববার বসছেন জেলেনস্কি
- মা হচ্ছেন ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি
- ভারী তুষারপাতের সাক্ষী হতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক সিটি
- ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ২২ গুণ বেড়েছে রাশিয়ার অস্ত্র: পুতিন
- কোচ জাকির মৃত্যুতে মাশরাফি-তাসকিনদের শোক
- খালেদা জিয়া সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন
- পদত্যাগপত্র জমা দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান
- বগুড়ার পাশাপাশি ঢাকাতেও প্রার্থী হবেন তারেক রহমান
- সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিল ইনকিলাব মঞ্চ
- দেশে ফেরার দিনটা আমার হৃদয়ে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে: তারেক রহমান
- এনসিপি নয়, স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন ডা. তাসনিম জারা
- স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে ৩ হাজার ডলার
- অবৈধ অভিবাসীদের গুদামে রাখতে চান ট্রাম্প
- মঈন চৌধুরী’র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
- মানিকগঞ্জ কল্যাণ সমিতির কবরের সনদ বিতরণ
- নবী ও বাবুর নেতৃত্বে ফোবানা (একাংশ) সম্মেলন’২৬ নিউইয়র্কে
- বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সোমা সাঈদ
- জামায়াতের সাথেই এনসিপির নির্বাচনী জোট
- প্লাস্টিকের চেয়ারে বসলেন তারেক
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেককে ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ
- যুক্তরাষ্ট্রের স্টুডেন্ট ভিসা হঠাৎ করেই হ্রাস
- জানুয়ারি থেকে নিউইয়র্কে আবারও বাড়ছে বেতন
- তারেক দিলেন বার্তাঃবিএনপি দেখাল জনসমর্থন
- বাংলার লুথার কিং’র ঐক্যের ডাক
- আজকাল ৯০২
- আগামী ৫ দিন তীব্র হবে শীত, বাড়বে কুয়াশা
- আজকাল এর ৮৯৩ তম সংখ্যা
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- কোন দল জিতবে সংসদ নির্বাচনে
- কে এই জোহরান মামদানি ?
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৮৪ তম সংখ্যা
- ‘আজকাল’-৮৭৫ এখন বাজারে
- টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প
- সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা
- আজকাল ৮৮২ তম সংখ্যা
- ২০২৬ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল
- আজকের সংখ্যা ৮৭৬
- আজকাল সংখ্যা ৮৭৯
- এক কোটি আইডি ডিলিট করল ফেসবুক, শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা
- কবির জন্য একটি সন্ধ্যা
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭৮
- ১৮ জুলাই সবাইকে বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেবে সরকার
- পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর
- শেখ রাসেলের একটি প্রিয় খেলা
- ঢাকার ২৩ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার
- বিকাশের কাছে জিম্মি এজেন্টরা
- আবার ক্ষমতায় আসছে আওয়ামী লীগ: ইআইইউ
- ‘নগদ’কে অনুসরণ করে এগুচ্ছে বিকাশ!
- জাতিসংঘে অভিবাসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবনা গৃহীত
- ৫০ হাজার আসনের ‘শেখ হাসিনা’ ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে পূর্বাচলে
- শেষ ঠিকানা আজিমপুর কবরস্থান
- ভেনামি চিংড়ি চাষে প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাস
- সরকার যথাসময়ে পদক্ষেপ নেওয়ায় কোভিডের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে: প্
- বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দিকে মনোযোগ বাড়ানোর তাগিদ
- শেখ হাসিনার হাতটি ধরে পথের শিশু যাবে ঘরে
- আমিরাতের সঙ্গে বাণিজ্য সমঝোতা স্মারক সই
- চা-চক্রে দেশ গঠনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সেতুমন্ত্রী
- প্রচারণার শুরুতেই সহিংসতা অনাকাঙ্ক্ষিত: সিইসি
