আলুটিলার রহস্যময় সুড়ঙ্গ
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

আলুটিলা গুহা বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক গুহা। খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার মূল শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে সমুদ্র সমতল থেকে ৩ হাজার ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট আলুটিলা বা আরবারি পাহাড়ে আলুটিলা গুহা বা রহস্যময় সুড়ঙ্গ অবস্থিত। স্থানীয়রা একে বলে মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা। আলুটিলা খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে উঁচু পর্বত।
নামে এটি টিলা হলেও মূলত এটি একটি পর্বত শ্রেণী। বিশ্বে যতগুলো প্রাকৃতিক গুহা আছে আলুটিলা সুড়ঙ্গ বা গুহা তার মধ্যে অন্যতম। এ গুহাটি খুবই অন্ধকার ও শীতল। খাগড়াছড়ি বেড়াতে এলে বা সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার পথে সবাই অন্তত একবার নাকি গুহাটি ঘুরে যায়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম সাজেক যাওয়ার আগে এর দর্শন নিয়ে যাব।
দুটি চান্দের গাড়ি থেকে ১৫ সদস্য নামতে গিয়ে প্রথমে থমকে যাই। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের মূল গেটের পাশে দুটি শতবর্ষী বটবৃক্ষ। শান্ত নিবিড় ছায়াবীথি। মাথা উঁচু করে আকাশটা ছুঁয়ে আছে।
সময় স্বল্পতার কারণে টিম লিডারের ডাকাডাকি। পর্যটন কেন্দ্রের গেট থেকে টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করে নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেকে মশাল কিনে নিলাম। প্রথমে ডান পাশের রাস্তা দিয়ে মিনিট কয়েক হেঁটে পেয়ে গেলাম পাহাড়ি সরু পথ। পাহাড়ে ঢাল বেয়ে নিচে নেমে গেছে এ পথটি। এ পথটি বেয়ে নিচে নেমেই চোখে পড়ল একটি ছোট ঝরনা।
পেছনে ফিরে এসে এবার বাম দিকের রাস্তায় হাঁটতে লাগলাম রহস্যময় গুহার সন্ধানে। কিছুক্ষণ পর চোখে পড়ল একটি বিশ্রামাগার ও ওয়াচ টাওয়ার। এখান থেকে খাগড়াছড়ি শহরের বেশ কিছুটা অংশ দেখা যায়। অবলোকন করা যায় আকাশ-পাহাড় আর মেঘের মিতালীর মায়াবী এক আবহ। সত্যিই এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়, হৃদয় মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো অপূর্ব।
একটু এগিয়ে দূর থেকে দেখা গেল আলুটিলার গুহামুখ। আগে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নামতে হতো গুহামুখে। কিন্তু এখন পর্যটন কর্পোরেশন একটি পাকা রাস্তা করে দিয়েছে। ফলে খুব সহজেই হেঁটে যাওয়া যায় গুহামুখে। পাকা রাস্তা শেষ করে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে পাড়ি দিলাম প্রায় ২৬৬টি সিঁড়ি। পেয়ে গেলাম কাক্সিক্ষত সেই গুহা, আলুটিলা গুহা।
কাছে যেতেই গা ছম ছম করা পরিবেশ। সারা শরীর শীতল হতে লাগল। কে যাবে আগে তাই নিয়ে তর্ক-বির্তক। কেউ আবার মশাল জ্বালাতে ব্যস্ত। গুহামুখটির ব্যাস প্রায় ১৭-১৮ ফুট। সবাইকে পাশ কাটিয়ে আমি নিজেই প্রথমে প্রবেশ করলাম। গুহাটি খুবই অন্ধকার ও শীতল। কোনো ধরনের সূর্যের আলো প্রবেশ করে না। একেবারেই পাথুরে গুহা।
গুহার ওপর দিক থেকে টিপটিপ পানি পড়ছে; নিচ দিয়ে বইছে ঝরনা প্রবাহ। খুব সাবধানে পা ফেলে সামনে এগোচ্ছি। সুড়ঙ্গের তলদেশ খুব পিচ্ছিল। তাই খুব সাবধানে মশাল বা আলো নিয়ে গুহা পাড়ি দিতে হচ্ছে। তার মধ্যে গুহার ভেতরের ছবি তোলার প্রতিযোগিতা তো আছেই। জেনে রাখা ভালো, গুহাটি একেবারেই নিরাপদ। দেখতে অনেকটা ভূগর্ভস্থ টানেলের মতো যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ ফুট।
গুহার ভেতরে জায়গায় পানি জমে আছে, রয়েছে বড় বড় পাথর। গুহাটির উচ্চতা মাঝে মধ্যে এতটাই কম যে, আমাদের হামাগুড়ি বা নতজানু হয়ে পাড়ি দিতে হচ্ছে। প্রায় ১২-১৫ মিনিট হাঁটার পর বাইরের সূর্যের আলো চোখে পড়তে শুরু করেছে। যেমনটা দেখে ছিলাম ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে সকালের সূর্যের রশ্মি ঘরে প্রবেশ করা। আবার সিঁড়ি বেয়ে একটু ওপরে উঠে আগের পথ ধরে মূল গেটে আসা।
লোকমুখে শোনা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় খাগড়াছড়িতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে এখানকার জনগণ এ পর্বত থেকেই বুনো আলু সংগ্রহ করে তা খেয়ে বেঁচে থাকত। তারপর থেকে এ পর্বতটি আলুটিলা নামেই পরিচিতি লাভ করে। এখনও এখানে নাকি প্রচুর পরিমাণে বুনো আলু পাওয়া যায়।
সতর্ক : গুহার পাথরগুলো পিচ্ছিল হওয়ার কারণে পা পিছলে যায় এমন স্যান্ডেল বা জুতা ব্যবহার না করাই ভালো। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য মোবাইল টর্চ বা টর্চ লাইট নিয়ে যেতে পারেন। অ্যাডভেঞ্চার ও ভ্রমণপিপাসুদের জীবনে অন্তত একবার হলেও এ গুহাটি ঘুুরে আসা উচিত।
যাতায়াত : ঢাকা থেকে শান্তি, শ্যামলী, হানিফ ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। এছাড়াও বিআরটিসি এবং সেন্টমার্টিন পরিবহনের এসি বাস খাগড়াছড়ি যায়। খাগড়াছড়ি শহর থেকে চান্দের গাড়ি অথবা লোকাল বাসে চড়ে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে যেতে হবে। অথবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বা দুজনের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলেও যেতে পারবেন।
খাওয়া-দাওয়া : খাগড়াছড়ি শহরের কাছেই পানখাই পাড়ায় ঐতিহ্যবাহী সিস্টেম রেস্তোরাঁর অবস্থান। এখানে খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়। তাছাড়া শহরজুড়ে বিভিন্ন মানের খাবার হোটেল পাবেন।
রাত যাপন : খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেলসহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের সহযোগিতা নিতে পারেন।

- ‘কালি হোটেল অ্যান্ড রুফটপ’র টপিং আউট সেরিমনি
- নোমান শিবলীর দাফন সম্পন্ন
- জিয়া সাইবার ফোর্সের কমিটি ঘোষণা
- ‘কক্ষপথ৭১’র আত্মপ্রকাশ
- বেলাল আহমেদের পদোন্নতি
- নোয়াখালী সোসাইটি’র নির্বাচন ২৬ অক্টোবর
- টুটুলের কাছে পাওনাঃ রোকসানা মির্জা ও আজাদের কান্না
- নির্বাচনে দিল্লির যত মাথাব্যথা
- রোজারিও হত্যায় অভিযোগ প্রমাণিত
- জামাত কেন এবারই ক্ষমতায় যেতে চায়!
- ড. ইউনূস আসছেন ২২ সেপ্টেম্বর
- অঘটন ঘটাতে মরিয়া আওয়ামী লীগ
- অ্যাসেম্বলীতে মেরীর প্রার্থীতা ঘোষণা
- রহস্যে ঘেরা তাদের সফর
- মান্নান সুপার মার্কেটে ফেডারেল এজেন্সী
- আজকাল ৮৮৮।
- ট্রাম্পের ‘ল্যাসে-ফেয়ার’ অবস্থানই নেতানিয়াহুকে বেপরোয়া করছে
- এবার মেমফিসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করছেন ট্রাম্প
- গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
- চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
- আট বার বাড়ার পর স্বর্ণের দাম কমলো
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালে যা বললেন নাহিদ ইসলাম
- রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
- বৃহস্পতিবার থেকে ৫ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে ৭ দল
- আবার দখল সড়ক
- সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
- বাংলাদেশসহ ৫ দেশকে ‘হুমকি’ ভাবছে ভারত
- ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন আইএমএফ প্রধান
- যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গাজা সিটিতে সবচেয়ে বড় স্থল অভিযানে ইসরায়েল
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- টক দই খেলে কী উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২
- আবরার ফাহাদকে কেন স্বাধীনতা পদক দেওয়া হচ্ছে: ফারুকী

- বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ১০টি দেশ
- বাসর রাতে ‘সেক্স’, বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়!
- সৌন্দর্যময় স্তন গড়ে তুলতে যেসব বিষয় জেনে রাখা উচিত
- চুমু কত রকম, জানেন?
- ছেলেদের কিছু হেয়ারস্টাইল
- ছেলেদের সাইড ব্যাগ কেন এত উপকারী
- যতনে বাঁধিও চুল, খোপায় বাঁধিও ফাল্গুনী ফুল
- রোজায় ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব নিয়ম মানবেন
- যে ৫ উক্তি আপনার জীবন বদলে দেবে
- সহধর্মিনীতে সুখ চান; ঘরে তুলুন মোটা মেয়ে!
- হতাশা রোধ করবেন যেভাবে...
- কেন পছন্দ করবেন খাটো মেয়ে?
- পুরুষের গোপন সমস্যায় ভায়াগ্রার চেয়েও কার্যকর তরমুজ!
- এটমী`র অথেনটিক পণ্য নিয়ে এল ভেলা কসমেসিউটিক্যালস
- চকলেট খেলে এনার্জি কমে যায়!