মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১   ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সর্বশেষ:
শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৩২

অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় ইন্ধনদাতারা

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৪  

সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলন
চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকলে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত

 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইন্ধনদাতারা দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। হয়তো একেকজনের মতলব একেক রকম। তাদের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক স্বার্থ থাকতে পারে। সাধারণ মানুষের দায়িত্ব হলো ইন্ধনে প্রভাবিত না হওয়া। ইন্ধনদাতারা একটা কিছু পোস্ট করার পর অনেকে তা না বুঝেই ছড়িয়ে দেন। ফলে অনেক অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বনানীর সেনা অফিসার্স মেসে সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান এসব কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২০ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ১২৩ সদস্য হতাহত হয়েছেন। একজন কর্মকর্তা শাহাদাৎ বরণ করেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত অরাজকতা প্রতিরোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, বিদেশি কূটনৈতিক ব্যক্তি-দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রের কেপিআই ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা, কলকারখানা সচল রাখাসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী সার্বিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, চিহ্নিত অপরাধী ও নাশকতামূলক কাজের ইন্ধনদাতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কর্নেল ইন্তেখাব। চট্টগ্রামে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁর অনুসারীরা বিক্ষোভ করেছে। চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এর পর কেন হত্যাকাণ্ড এড়ানো যায়নি?– এমন প্রশ্নের জবাবে ইন্তেখাব বলেন, মৃত্যুর ঘটনা অবশ্যই অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা থাকবে যে কোনো ধরনের মৃত্যু প্রতিরোধ করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত না থাকলে সেখানে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত। সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। আপনারা জানেন, সেখানে বিক্ষোভকারীরা কী সংখ্যায় ছিল।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিন ধরনের গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের একটি হলো চিহ্নিত অপরাধী গোষ্ঠী; যাদের কাজই হচ্ছে অপরাধ করা। আরেকটা হচ্ছে ইন্ধনদাতা। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করছে। আরেকটা বড় গ্রুপ দেশের সাধারণ মানুষ। যেমন ছাত্ররা বা এর আগে গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকরা যা করেছে। আইনশৃঙ্খলাকারী বাহিনীর মূল ভূমিকা কিন্তু চিহ্নিত অপরাধী ও ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে। ছাত্ররা যখন কারও ইন্ধনে পরিস্থিতি না বুঝে পথভ্রষ্ট হচ্ছে, তখন তাদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের একটু চিন্তা করতে হয়। ছাত্ররাই কিন্তু আন্দোলন করে দেশের এমন একটা পরিবর্তন এনেছে। আশা করি, দেশটা ভালো অবস্থায় যাবে।

তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু দেখলে তা যাচাই করতে হবে। ঘটনা সত্য হলেও সহিংস প্রতিবাদ করার প্রয়োজন নেই। অনেক শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, গোয়েন্দা ঘাটতি আছে বলব না। গোয়েন্দা, পুলিশসহ সবার সঙ্গে সমন্বিতভাবে আমরা কাজ করছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা করে কাজ করতে হচ্ছে। এতে অনেকের মনে হতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অনেক ঘটনা আগেভাগে প্রতিরোধ করা গেছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিতরা অপরাধে জড়িয়ে গেছেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে হয়তো সেনাসদস্য বা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। কিছু তদন্ত এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। সর্বোচ্চ চার থেকে এক বছর পর্যন্ত জেল হয়েছে। চাকরি থেকে বরখাস্তের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, গত দুই সপ্তাহে শিল্পাঞ্চলে ৪০টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও ১৮টি সড়ক অবরোধের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। শিল্পাঞ্চল ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ৬৩টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১ হাজার ৩২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহতদের সুচিকিৎসার জন্য বর্তমানে ৩ হাজার ৪৩০ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সেনাবাহিনী। সিএমএইচে এ পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি আহত মানুষের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

 

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর