হাসিনা এখন ভারতের গলার কাঁটা
মাসুদ করিম, ঢাকা থেকে
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত উভয় সঙ্কটে পড়েছে। ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু হিসাবে বিপদের দিনে তাকে ফেলে দিতে পারছে না। আবার তাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ফলে একদা বন্ধু হলেও শেখ হাসিনা এখন ভারতের গলার কাঁটা। বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সামনের দিনে দুই প্রতিবেশির সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা এখনও স্পষ্ট হচ্ছে না। ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে প্রবল আস্থার অভাব দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন ভারতবিরোধী ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ভারতেও চলছে বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা। কঠিন এই চ্যালেঞ্জের সময়ে শেখ হাসিনার উপস্থিতির কারণে ভারত বেশ সমস্যায় আছে।
বাংলাদেশে গত ৫ই আগস্ট গণঅভ্যূত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পতন হলে তিনি ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তারপর থেকে দুই নিকট প্রতিবেশি দেশের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনার দেড় দশকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ‘সোনালী অধ্যায়’ ছিল বলে ভারত থেকে বলা হয়ে থাকে। এই সময়কালে দু’ দেশের মধ্যে অনিস্পন্ন কিছু ইস্যুও সমাধান হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি, স্থলসীমান্ত চুক্তি বিশেষ করে ছিটমহলের বিনিময়, আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মতো বিষয়গুলো সমাধান সম্ভব হয়েছে। তবে সমালোচকরা মনে করেন, শেখ হাসিনার আমলে অনেক ক্ষেত্রে চুক্তি পারস্পরিক স্বার্থে হয়নি। বরং একতরফা ভারতের স্বার্থে হয়েছে। তার বিনিময়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ কিছু পায়নি। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বিদ্রোহী গোষ্ঠী দমনে শেখ হাসিনা ভারতকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছেন। সম্প্রতি ভারতের বড় শিল্পগোষ্ঠী আদানির ঝাড়খন্ডে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়নি। ভারত বাংলাদেশে যথেষ্ঠ আধিপত্য বিস্তার করে চলেছিলো। বাংলাদেশ ছিলো ভারতের কমফোর্ট জোন। শেখ হাসিনার পতন হলে সেই কমফোর্ট জোন বিনষ্ট হয়।
শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেবার পর তাকে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়। ফলে তিনি কোথায় কী অবস্থায় আছেন সেটা জানা যায় তার কিছু টেলিফোন আলোপের মাধ্যমে। তিনি নিজের ফোন থেকে দলের নেতা-কর্মীদেও সঙ্গে কথা বলেছেন। সম্প্রতি তিনি টেলিফোনের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছেন। তিনি নিউইয়র্ক ও লন্ডনের আওয়ামী লীগের পৃথম জনসভায় বক্তব্য রাখছেন। শেখ হাসিনার বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা থাকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাই অর্ন্তবর্তি সরকারের খুবই অপছন্দ। অপরদিকে, মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালে নানা অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচার হচ্ছে। বিচারের লক্ষ্যে কিংবা বিচার কার্যকর করার জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত চায়নি বাংলাদেশ। যদিও ট্রাইব্যুনালে তাকে হাজির করার জন্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তাকে না পেয়ে কিংবা তিনি দেশের বাইরে ভারতে আশ্রিত আছেন বলে আদালতে প্রতিবেদন দেবার পর আদালত আইন মন্ত্রণালয়কে তাকে ফেরত আনার নির্দেশ দিতে পারে। তখন আইন মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলতে পারে। এই প্রক্রিয়াটা এখনও শুরু হয়নি। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হলে তাকে ফেরত আনার কাজ শুরু হতে পারে। তখন ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে তিক্ততা আরও বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দি প্রত্যার্পন চুক্তি আছে। কিন্তু এই চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা যাবে কিনা এই প্রশ্ন ভারত তুলতে পারে। বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি সাধারনত সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে তার সাজা নিজ দেশে খাটার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেরত আনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাছাড়া, রাজনৈতিক কারণে আশ্রিত কারও ক্ষেত্রে এই চুক্তি কার্যকর হবে না। ফলে এটা নিয়ে একটা তিক্ততার সম্পর্ক সৃৃষ্টির আশঙ্কা অবশ্যই আছে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া না হলেও তিনি ভারতে বসে যাতে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে না পারেন সে বিষয়ে দেশটিকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ সফরকালেও ঢাকার তরফে বলা হয়েছে যে, ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বক্তব্য বাংলাদেশের পছন্দ নয়। তার আগে শেখ হাসিনার বিচার যে ট্রাইব্যুনালে হচ্ছে; সেখান থেকে একটা নির্দেশ জারি হয়েছে যে, এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্বেষমূলক কোনও বক্তব্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচার করা যাবে না। ভারতে থেকে শেখ হাসিনা যাবে বক্তব্য না দেন সেই অনুরোধের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, এই বাস্তবতা মেনেই তারা বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক চান।
বিক্রম মিশ্রির বাংলাদেশ সফরের আগে ও পরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে ভারত বিরোধী তুমুল উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। তার একটা কারণ হলো, ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম বাংলাদেশে সংখ্যালঘূ নির্যাতন হচ্ছে বলে অবাধে প্রচার চালানো হচ্ছে। সে কারণে বিশে^ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি শুধু বিনষ্ট হচ্ছে এমন নয়; বরং ভারতের অভ্যন্তরেও বাংলাদেশ বিরোধী মনোভাব গড়ে উঠছে। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার মূল কারণও বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার। তার বাইরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বড় বাঁধা হলো শেখ হাসিনার অবস্থান। এসব কারণে বিএনপি আগরতলা অভিমুখে লং মার্চ করেছে। ভারতীয় হাইকমিশনের দিকে পদযাত্রা করেছে।
ভারত থেকে ইতিবাচক খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি ভারতের পার্লামেন্টের কমিটিতে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ভারত সমর্থন করেনা। তাকে এমন বক্তব্য দিতে ভারত উৎসাহিতও করেনি। বরং শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত ডিভাইস থেকে এসব বক্তব্য দিচ্ছেন। বরাবরই ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, ভারত শুধু আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে। কিন্তু বিক্রম মিশ্রি বলছেন, কোনও একক দলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নয়। বরং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্কে বিশ^াসী ভারত।

- কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা বরখাস্ত
- আন্দোলন ‘হাইজ্যাক’ হওয়ার অভিযোগ নেপালের জেন-জির
- এবার ফ্রান্সে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে তরুণদের সংঘর্ষ
- ভারত বিরোধিতার কারণে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছি
- চীন-ভারতের ওপর এবার ১০০ শতাংশ শুল্ক বসাতে বললেন ট্রাম্প
- মোহাম্মদপুর ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা
- কাতারের পর মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯
- সেন্টমার্টিন থেকে ৪০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
- ইসরায়েলের হামলা: কাতারে বাংলাদেশিদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ
- নেপালে আটকা পড়াদের বিষয়ে যে তথ্য দিল মন্ত্রণালয়
- দেশব্যাপী লোডশেডিং হতে পারে, থাকবে যতদিন
- হোটেলে নেতা খুঁজতে এসে বাংলাদেশি ফুটবলার দেখে শান্ত বিক্ষুব্ধরা
- কাতারে হামলার ব্যাপারে আগে থেকেই জানতেন ট্রাম্প: ইসরায়েলি মিডিয়া
- ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন লক্ষ্যবস্তুরা
- আরও বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
- ছাত্রদল নেতার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা
- নেপালে বিক্ষোভকারীদের হাতে ভারী অস্ত্র, দিনভর যা হলো
- মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে ইসরায়েলি আগ্রাসন, এক মাসে ৬ দেশে হামলা
- ডাকসুর ভোট গণনায় সময় লাগার কারণ জানালেন অধ্যাপক শামীম রেজা
- তৃতীয় দেশে মার্কিন ভিসার আবেদন নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- চুক্তিভুক্ত দেশগুলোকে কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় ট্রাম্পের
- গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৯ পদক্ষেপ স্পেনের
- পদত্যাগ করেছেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- মামদানিকে হারাতে ট্রাম্প কি মাঠে নামছেন
- ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১৮২৮১০ টাকা
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়ার হুমকি ইসরায়েলের
- পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পদচ্যুত ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী
- ডাকসুর ভোট গণনায় ১৪ মেশিন, ঘণ্টায় গোনা যাবে ৮০০-১৩০০
- ভয়েস অব আমেরিকার ৫০০ সাংবাদিককে ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন
- অনির্দিষ্টকালের গণছুটি ঘোষণা পবিস কর্মীদের
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৫৮
- ‘আজকাল’- ৮৫৯
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- টক দই খেলে কী উপকার
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল

- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- তালিকা বানাবে পাঁচ প্রতিষ্ঠান ঢাকা অফিস
- খিজির হায়াৎ হত্যার পরিকল্পনাকারী ২ জঙ্গি রিমান্ডে
- ইসরায়েলের হামলায় ১৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত
- দণ্ডপ্রাপ্তকে নির্বাচনের সুযোগ দিলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে
- মসজিদ ভাঙা নিয়ে চীনে বিক্ষোভ চলছে
- ৫ কোম্পানির বোতলজাত পানি মানহীন
- আবার ধেয়ে আসছে কানাডার ধোঁয়া
- হাওলাদার-নাসিরের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
- শ্রীনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
- স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন জাহাজ ‘অনুপ্রবেশের’ দাবি চীনের
- যুক্তরাজ্যের শরণার্থী হোটেলের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১৫
- রানির শেষকৃত্যে যে তিন দেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি ব্রিটেন
- নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার হাজিরা সোমবার
- শীতে জবুথবু পুরো ভারত