স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশ
প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্বের ৪টি অঞ্চলের ১২টি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে স্মার্টফোন মালিকানায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ৯টি দেশ। এমনকি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারেও বাংলাদেশ তাদের চেয়ে পিছিয়ে। বিগত সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে প্রচুর ব্যয় করলেও স্মার্টফোনের দাম মানুষের হাতের নাগালে আনতে পারেনি। মানুষের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহারে চাহিদা তৈরি করতে পারেনি। ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাবে অর্ধেক জনগোষ্ঠীই এসব সুবিধার বাইরে থাকছে।
মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) চলতি বছরের অক্টোবরে ‘দ্য স্টেট অব মোবাইল ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নিম্নমধ্যম আয়ের ১২টি দেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার–সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক নিয়ে করা জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন
জরিপে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ইথিওপিয়া, উগান্ডা, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর মানুষের ওপর জরিপ করা হয়েছে। ভারত ও ইথিওপিয়া ছাড়া প্রতিটি দেশের ১ হাজার মানুষের ওপর জরিপ করা হয়েছে, যাঁদের বয়স ১৮ থেকে তদূর্ধ্ব।
তথ্যপ্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সম–অর্থনীতির দেশগুলো বাংলাদেশের মতো স্লোগান দিয়ে এত টাকা খরচ করেনি। এত বিনিয়োগ করে, স্লোগান দিয়েও কেন বাংলাদেশ চাহিদা তৈরি করতে পারল না এবং পিছিয়ে আছে, তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এ ছাড়া ইন্টারনেটের যতটুকু ব্যবহৃত হচ্ছে, সেখানে এ দেশের মানুষ ক্রিয়েটরের চেয়ে ভোক্তাই থেকে যাচ্ছে বেশি।
দুটি দেশ বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে
জিএসএমএর জরিপ বলছে, বাংলাদেশে শহরের ৪১ শতাংশ এবং গ্রামের ২৬ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। যেখানে বাংলাদেশের চেয়ে মিসর, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকো এগিয়ে রয়েছে। ইথিওপিয়া ও উগান্ডা শুধু বাংলাদেশের পেছনে আছে।
কারওয়ান বাজারের চা–বিক্রেতা আবুল কালামের স্মার্টফোন নেই। কারণ হিসেবে তিনি জানান, স্মার্টফোন তাঁর প্রয়োজনও নেই। কথা বলার জন্য যে ফিচার ফোনটি আছে, সেটিই যথেষ্ট।
আবার ধানমন্ডির ফল বিক্রেতা মো. মোয়াজ্জেম কিছু টাকা জমিয়ে ছেলেকে একটি স্মার্টফোন কিনে দিয়েছেন; কিন্তু একই পরিবারে আরেকটি স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য তাঁর নেই।
মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন দেশে সিম ও স্মার্টফোনের প্যাকেজ দেওয়া হয়। যেখানে গ্রাহক কিস্তিতে ফোনের দাম পরিশোধ করতে পারেন। বাংলাদেশে এই সুবিধা নেই। একটি স্মার্টফোন কিনতে গেলে নূ৵নতম সাত–আট হাজার টাকা খরচ করতে হয়। একসঙ্গে এত টাকা দিয়ে সবাই ফোন কিনতে পারবেন না। এ ছাড়া দেশে স্মার্টফোনের বেশির ভাগ ব্যবহারকারী তরুণ। যাঁদের অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। অপারেটররা যদি প্যাকেজ সুবিধা দিতে চায়, তখন ঋণের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে চলে আসে।
ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশ অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে। এখানে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের হার শহরে ৪৩ ও গ্রামে ২৭ শতাংশ। তবে প্রতিদিন শহরের ৪০ শতাংশ ও গ্রামের ২৪ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট ব্যবহারেও শুধু ইথিওপিয়া বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। তবে উগান্ডার গ্রামে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাংলাদেশের চেয়ে কম, আবার শহরে বেশি।
জরিপে দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে জানেন; কিন্তু ব্যবহার করেন না।
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শহর ও গ্রামের মানুষের কাছে বড় বাধা হচ্ছে সাক্ষরতা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাব। এরপর শহরের মানুষের কাছে নিরাপত্তা ও গ্রামের মানুষের কাছে সামর্থে৵র বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের বাধা হিসেবে গ্রামের ১১ শতাংশ ও শহরের ৮ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোনের দামের বিষয়টি জানিয়েছেন। অন্যদিকে শহরের ২৮ শতাংশ ও গ্রামের ১৯ শতাংশ বলেছেন, লিখতে ও পড়তে না পারার কারণে তাঁরা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। কিন্তু যাঁরা ইতিমধ্যে ব্যবহার করেছেন, তাঁদের আরও বেশি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডেটার দাম সবচেয়ে বেশি বাধা বলে উল্লেখ করা হয়। এরপরে আছে যথেষ্ট সময় না থাকা।
জিএসএমএর জরিপ বলছে, বাংলাদেশে শহরের ৪১ শতাংশ এবং গ্রামের ২৬ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। যেখানে বাংলাদেশের চেয়ে মিসর, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকো এগিয়ে রয়েছে। ইথিওপিয়া ও উগান্ডা শুধু বাংলাদেশের পেছনে আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশি আগ্রহী।
রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব বা প্রাসঙ্গিকতা তৈরির জন্য অন্যান্য দেশ যে গতিতে নীতি গ্রহণ করেছে, তা বাংলাদেশে হয়নি। ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতে হলে নীতিগত বিষয়ে দ্রুত পরিবর্তন দরকার। তিনি আরও জানান, ডেটার খরচও কমানো যাবে, যদি সরকার সংশ্লিষ্ট নীতিগুলোতে পরিবর্তন আনে।
জিএসএমএ বলছে, বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ মানুষের। ২০১৯ সালে ৭২ শতাংশ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতেন। তা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশে।
কথা বলা, ভিডিও দেখায় ইন্টারনেটের ব্যবহার বেশি
ভিডিও কল ও অনলাইন ভিডিও দেখতে মোবাইল ইন্টারেনেটের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে, যা ৯৩ শতাংশ। এরপরে ব্যবহৃত হয় অনলাইনে কথা বলায়, তাৎক্ষণিক বার্তা আদান–প্রদান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ও বিনোদনের জন্য। সবচেয়ে কম ১২ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করেন কৃষিবিষয়ক তথ্যের জন্য। আর চাকরি খুঁজতে ৩১ শতাংশ, অনলাইনে আয়ের জন্য ৪৫ শতাংশ, পড়াশোনা ও শেখা এবং সরকারি সেবার জন্য ৪৮ শতাংশ, খবর পড়তে ৬৮ শতাংশ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা বলছেন জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের দরকার নেই, তাঁরা জানেনই না কীভাবে এগুলো ব্যবহার করে জীবনকে এগিয়ে নেওয়া যায়। অর্থাৎ তাঁদের কাছে সেই চাহিদা তৈরি করা যায়নি। এ ছাড়া প্রতারকদের জন্য ডিজিটাল জগৎ একটি স্বর্গরাজ্য। ডিজিটাল সাক্ষরতা না থাকায় এবং নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এসব মানুষ নিজেরাই স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন।

- ট্রাম্পের ভুল সমীকরণ, চীনের ফাঁদেই ধরা যুক্তরাষ্ট্র!
- গুণী অভিনেত্রী জাহানারা ভূঁইয়া আর নেই
- তদন্ত হবে আড়ি পাতার
- আন্দোলনকারী ছাত্রদের কাপড় খুলে ভিডিও করে রেখে দিতেন তৌহিদ আফ্রিদি
- যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের দুই বাড়ি ও ছয় কোম্পানির সন্ধান
- নিউইয়র্কে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজকে হেনস্তার চেষ্টা
- মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা, ব্যাপক গোলাগুলি
- হঠাৎ করেই বিচার বিভাগ-পুলিশে ব্যাপক রদবদল, ছয় জেলায় নতুন ডিসি
- হাসনাতকে ‘ছাত্রলীগ’ হিসেবে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন
- জুলাই সনদ বিতর্ক দূরত্ব বাড়ছে রাজনীতিতে
- মিয়ানমারে শতবর্ষী রেলসেতু উড়িয়ে দিলো বিদ্রোহীরা
- ফজলুর রহমানকে নিয়ে ৯৭ সংগঠনের যৌথ বিবৃতি
- যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন ভিসার ফি বাড়ছে প্রায় ১৫০ শতাংশ
- দেশজুড়ে দখল–চাঁদাবাজি নতুন বন্দোবস্তের জন্য অশনি সংকেত: টিআইবি
- পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর
- ফিলিস্তিনিদের ৩০০০ জলপাই গাছ উপড়ে ফেলল ইসরায়েলি বাহিনী
- নেপালকে হারিয়ে জয়ের পথে ফিরল বাংলাদেশের মেয়েরা
- ফেরানো গেল না একজনও
- ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে লাগবে কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকা
- কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতার
- পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের
- নিউইয়র্ক বাংলাদেশী আমেরিকান
লায়ন্স ক্লাবের জমকালো অভিষেক - বরিশাল সিটি ও সদর সোসাইটির বনভোজন অনুষ্ঠিত
- ম্যানহাটান ডাউনটাউন বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের বনভোজন
- ফোবানার উদ্বোধন আগামী শুক্রবার শেরাটন নায়াগ্রা ফলসে
- ডাকসু নির্বাচন: লড়াইয়ে ছাত্রদল-শিবির এগিয়ে
- ‘মৌ মায়ের মতো বউ’
- আমেরিকাবিরোধী কর্মকাণ্ড থাকলেই ভিসা নয়
- সুপ্রীম কোর্ট জাস্টিস পদে সোমা সাঈদের নির্বাচনী সভা
- পাসপোর্টবিহীন প্রবাসীরাও ভোটার হতে পারবেন
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- ৩০ দিন পর থাকবে না ফেসবুক লাইভ ভিডিও, বিকল্প কী?
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৫৮
- ‘আজকাল’- ৮৫৯
- আজ ভালোবাসা দিবস
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- টক দই খেলে কী উপকার
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- এবার ইন্সটাগ্রামে আসছে ডিসলাইক বাটন
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৫৭
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার

- ‘গুগল প্লাস’ বন্ধ হচ্ছে
- টেসলা সিইওর ৫ হাজার কোটি ডলার বেতন যৌক্তিক!
- টয়োটার মানব রোবট ৬ মাইল দূর থেকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য
- ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্মাননা পেলেন অর্থমন্ত্রী
- ছবি এডিটিং ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়
- সাবধান! হেডফোনে গান শুনতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু
- গুগল ম্যাপসে বন্ধুকে লোকেশন জানাবেন যেভাবে
- ফেসবুক অফিসে বোমাতঙ্ক
- তরুণরাই এগিয়ে নিচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশকে : অর্থমন্ত্রী
- হয়রানি বন্ধে ফেসবুকে নতুন ফিচার
- কেমন হবে নকিয়ার নতুন ফোন ৮.১? জেনে নিন বিস্তারিত…
- ভাঁজ করা যাবে এই ফোন
- এআই ব্যবহারের অনুমতি পেল শিক্ষার্থীরা
- ফ্রিল্যান্সারদের ১০ শতাংশ উৎসে কর প্রযোজ্য নয়: এনবিআর
- ফেসবুক ব্যবহারেও এখন করতে হবে টাকা খরচ