শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

শিয়া ও সুন্নি মুসলিমদের মাঝে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে মতের মিল থাকলেও বেশ কিছু দিকে মতভেদ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্ম কোনো ধরনের ভেদাভেদ সমর্থন করে না। শিয়া সুন্নি পার্থক্য যতটা না ধর্মীয় তার চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক এবং ক্ষমতার। শেষ অব্দি এই দুই মাজহাবের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হওয়ার পেছনে যে কারণগুলো দায়ী তা সকলেরই জানা প্রয়োজন-
বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৬০ কোটি মুসলিম রয়েছে এবং এদের মধ্যে অধিকাংশ মুসলমান সুন্নি মতাদর্শের। আরবি সুন্নি শব্দটি এসেছে সুন্নাহ থেকে। এর অর্থ রীতি, প্রথা, আচরণ, বিধান ইত্যাদি। সাহাবীরা হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী, কর্ম এবং নির্দেশগুলো পূর্ণরূপে অনুসরণ করেছিলেন বলে তাদের অনুসারীরাই সুন্নি হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, শিয়া শব্দের অর্থ দল। হযরত আলীর অনুসারীরা শিয়াত-ই-আলী বা আলীর দল নামে পরিচিত। শিয়া মাজহাব প্রথমে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। শিয়া মতবাদের মূল ভিত্তি হলো আলী এবং তার বংশধরেরাই হবে খিলাফতের মূল দাবিদার। তারা মনে করে নেতৃত্ব নির্বাচনের কোনো অধিকারই মানুষের নেই শুধুমাত্র আল্লাহই পারেন মানুষের নেতা নির্বাচন করতে। তাদের ধারণা ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই হজরত আলী (রাঃ)কে খিলাফতের জন্য মনোনীত করে গিয়েছিলেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিয়া মতাদর্শীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও ইরান এবং ইরাকে শিয়ারা বেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ তাছাড়া বাহারাইন, সিরিয়া এবং ইয়ামেনেও অনেক শিয়া অনুসারী বাস করে। হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরতের পর মক্কার ইহুদিরা খুশি হলেও মদিনার ইহুদিরা বিষয়টি ভাল চোখে দেখেনি। মদিনার ইহুদিদের নেতা আবদুল্লাহ ইবনে উবাই মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করতে থাকে। হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের পর ইসলামী বিশ্বে নেতৃত্বের প্রশ্নে মুসলমানরা দুই অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে তাদের মধ্যে এক অংশ নেতা হিসেবে চেয়েছিল হযরত আবু বক্করকে এবং অন্য আরেক দলের সমর্থন ছিল হজরত আলীর (রাঃ) প্রতি। অধিকাংশ মুসলমানের সমর্থনের ভিত্তিতে হযরত আবু বক্কর ইসলামের প্রথম খলিফা নির্বাচিত হন। এরপর ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর ইহুদিদের ষড়যন্ত্রের কারণে ফিরাজ নামক এক আততায়ীর হাতে নিহত হন।
এরপর তৃতীয় খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন হযরত ওসমান (রাঃ)। কিন্তু এর মধ্যেই হজরত উমরের হত্যাকে কেন্দ্র করে মুসলিমরা বিভ্রান্ত ও দ্বিধায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। তৎকালীন ইহুদি নেতা সাবার ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা মুসলিমদের গোপন খবর পাওয়ার জন্য লোক দেখানো ইসলাম গ্রহণ করেন। পরিকল্পনা মতো আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা নিজেকে অতীব ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে থাকে সে-ই প্রথম প্রচারণা শুরু করে যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র পর হজরত আলী খেলাফতের জন্য বেশি যোগ্য। সেইসঙ্গে সে ইসলামের প্রথম তিন খলিফা হজরত আবু বকর হযরত, উমর এবং হজরত ওসমান এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে থাকে। অপপ্রচারের ফলে তৎকালীন ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত ওসমানকেও হত্যা করা হয়। এরপর হযরত আলীর অনুসারীরা দাবি করতে থাকে যেন তাদের নেতাকে খলিফা নির্বাচিত করা হয়।
প্রথমে হজরত আলী খলিফা হতে না চাইলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে তিনি খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় ইসলামে শিয়া সুন্নি বলে কোনো শাখা ছিল না মূলত ইসলাম ধর্মে অনুপ্রবেশকারী কিছু ব্যক্তি রাজনীতি এবং ক্ষমতা চর্চার জন্য ধর্মের নামে এ ভেদাভেদ তৈরি করে। মধ্যপ্রাচ্যে সুদীর্ঘ কাল থেকে চলমান একটি সংকট হলো ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব। ব্রিটিশরা মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিদের উপনিবেশ গড়ে তুলতে সক্রিয় সাহায্য করার মাধ্যমে ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটায় যে দ্বন্দ্বে এখনো তিলে তিলে পুড়ে মরছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

- পাকিস্তানে তালেবানের হামলা, নিহত ১২
- ইনস্টাগ্রামের ফিচার এখন হোয়াটসঅ্যাপে
- ব্যয় হয় না বরাদ্দের অর্থ, এডিপি তলানিতে
- কুয়েতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
- ওয়াশিং মেশিন নিয়ে তর্ক করায় যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় ব্যক্তির শিরশ্ছে
- ফিলিস্তিনের পক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিল ভারত
- শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সুপার ফোরের লক্ষ্যে বিশাল ধাক্কা বাংলাদেশের
- লন্ডনে আক্রমণের শিকার উপদেষ্টা মাহফুজের ফেসবুক পোস্ট
- নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিলেন নিউইয়র্কের মেয়রপ্রার্থী
- রাষ্ট্রে গণতন্ত্র থাকলে বাস্তুতন্ত্র নিরাপদ থাকবে: তারেক রহমান
- আকাশছোঁয়া দাম শিশুখাদ্যের
- শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই
- নিউইয়র্ক ফ্যাশন হাউজের গ্রান্ড ওপেনিং ১৫ সেপ্টেম্বর
- শাহ নেওয়াজ গ্রুপে নতুন মুখ
- ৯/১১ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ
- নিউইয়র্কে সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- গোল্ডেন এজ হোমকেয়ারের উদ্যোগে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ অনুষ্ঠিত
- জামাইকা মুসলিম সেন্টারের ফান্ড রেইজিংঃ ৪ লাখ ডলার সংগৃহিত
- আতিফ আসলাম শো’তে হাজার হাজার শ্রোতার ভীড়
- নারায়নগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শামীম ও সম্পাদক পিন্টু
- বাংলাদেশ সোসাইটির সুবর্ণ জয়ন্তী ২ নভেম্বর
- নেপালের আগুনের স্ফুলিঙ্গ ভারতে ছড়াতে পারে!
- কমিউনিটিতে সৌহার্দ্যরে সুবাতাস!
- জাকসু নির্বাচন:ছাত্রদলসহ পাঁচ প্যানেলের বর্জন
- হোমকেয়ার নিয়ে গভর্নর ও পিপিএল’র অনিয়মে তদন্ত
- ডাকসু ইলেকশন মেটিকুলাসলি ডিজাইন্ড!
- ড.ইঊনূসের আগমনে যুক্তরাষ্ট্র আঃলীগের প্রতিরোধ সমাবেশ ঘোষণা
- জরিপে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে
মামদানির সমর্থনে বাংলাদেশিদের সমাবেশ - ডাকসু নির্বাচন বিএনপির জন্য সতর্কবার্তা
- আজকাল ৮৮৭
- ব্রংকসের খলিল চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বিক্রি হয়ে গেল
- এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে রোববারও
- ‘আজকাল’- ৮৫৯
- ‘আজকাল’- এখন বাজারে।
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৬০
- ঈদের কেনাকাটায় কোন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে ?
- নাট্যজনদের মিলনমেলা কৃষ্টির নাট্যেৎসব প্রশংসিত
- আজকের আজকাল ৮৬১ সংখ্যা
- টক দই খেলে কী উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৭১ সংখ্যা
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- আজকাল ৮৬২তম সংখ্যা
- ইনস্টাগ্রামে ছড়ায় ছবির বিভ্রান্তি
- গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
- ‘আজকাল’- ৮৬৭ সংখ্যা
- আজকের সংখ্যা ৮৬৫
- আজকাল’- ৮৭৪
- আজকাল ৮৬৮ সংখ্যা
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- আজকালের আজকের সংখ্যা ৮৭২

- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- পথ চলার আদব!
- মৃতের আত্মা কখনও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসে না
- কেমন হবে হাশরের ময়দান
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু