বুধবার   ১৮ জুন ২০২৫   আষাঢ় ৪ ১৪৩২   ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

সর্বশেষ:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও অস্ট্রিয়ায় স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৯ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধার ভিডিও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফা আলোচনা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড কী, কখন মোতায়েন করা হয়? যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন কেনেডি ফ্রান্সগামী উড়োজাহাজে চড়ে ইসরাইল ছাড়লেন গ্রেটা থুনবার্গ না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ সিঙ্গাপুরের ঘাম ঝরিয়েও হার বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন কফিতে মশগুল ব্রিটেনে পলাতক সাবেক মন্ত্রীরা! নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধে বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে ভূমিকম্পে ১৭০ প্রিয়জন হারালেন এক ইমাম ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত ট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার দুদিনে নিহত ১৩, চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া যেভাবে মরণফাঁদ হয়ে উঠলো বাংলাদেশের অর্থপাচার তদন্তে ব্রিটিশ এমপিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের সাভারে চলন্ত বাসে আবার ডাকাতি, চালক ও সহকারী আটক ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখার নির্দেশ উসকানিতে প্রভাবিত না হতে বললেন সেনাপ্রধান রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতার আওতায় ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ এনসিপি নেতা হান্নানের পথসভায় হামলা, আহত ‘অর্ধশতাধিক’ নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্র্রঙ্কসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সাবওয়ে ট্রেনে সন্তান প্রসব নিউইয়র্কে আইস পুলিশের বিশাল অফিস উদ্বোধন মেয়রের মামলা প্রত্যাহারে প্রসিকিউটরের পদত্যাগ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশদাতা জন্ম নাগরিকত্ব বাতিল আদেশ আটকে দিল আদালতে নিউইয়র্কে ডিমের ডজন ১২ ডলার নিউইয়র্কে ভালোবাসা দিবস উৎযাপন আমেরিকান বাংলাদেশী টেক কোয়ালিশন’র আত্মপ্রকাশ জামালপুর সমিতির সভাপতি সিদ্দিক ও সম্পাদক জাস্টিস শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশিদের অস্ত্রোপচার বাতিলে কলকাতাজুড়ে হাসপাতালে হাহাকার দি‌ল্লি যাওয়া ছাড়াই পাওয়া যাবে মে‌ক্সি‌কান ভিসা বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৩৭৩

রোগের সঙ্গে যুদ্ধ

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০১৯  

কুকুরকে খেয়াল করেছেন? পোষা কুকুরগুলো যে বাড়িতে থাকে, সেই বাড়ির মানুষগুলোকে সে কিন্তু  ঠিকভাবে চেনে। অথচ, হঠাৎ কোনো সন্দেহভাজন আগন্তুককে দেখলে ঘেউ ঘেউ করে চিৎকার করে।

আপনার বাসা পাহারায় কোনো কুকুর থাকুক বা না থাক, একদিক থেকে আপনার ও আপনার চারপাশের সব প্রাণির মতো আপনার শরীরেও কিছু একটা আছে, যা অহেতুক উৎপাত থেকে রক্ষা করে। সেটা হলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, মানে ইমিউন সিস্টেম।

আপনার বাড়ির কুকুর যদি আপনাকেই তাড়া করত, তাহলে কী হতো- ভাববার বিষয়। কিন্তু কখনোই তা হবে না। তেমনি আপনার ইমিউন সিস্টেমও কখনোই আপনার দেহকে আক্রমণ করে না, আক্রমণ করে ইনভেডার বা আগন্তকদের। কথা হলো দেহ কীভাবে নিজের আর পরের জিনিস আলাদা করে। সেই রহস্যময় কাজকারবার নিয়েই এই লেখা।

ফরাসি বিজ্ঞানী জুল হফম্যান, মাছি (বৈজ্ঞানিক নাম- Drosophila melanogestar) নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেন সহজাত ইমিউনিটির বিষয়ে জানতে পারেন। তিনি ও তার সহযোগীরা মাছির একটি বিশেষ জিন পরিবর্তন করে দেখালেন, তাদের সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে গেছে। তখন নিশ্চিত হলো যে, জাতিজনিক(জেনেটিক) উপায়ে প্রাণিকুলের মধ্যে ইমিউনিটি বিকশিত হয়েছে। তবে মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহে সহজাত ইমিউনিটির ভূমিকা তেমন থাকে না। নতুন রোগের সঙ্গে পাল্লা দেয়ার জন্য অভিযোজিত ইমিউন সিস্টেম গড়ে উঠেছে, নতুন কোনো জীবাণু দেখলেই এরা দমন করতে পারে। দমনের কাজটা হয় তিনস্তরে: দুটো নন-স্পেসিফিক, আর একটা স্পেসিফিক।

মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ হলো ত্বক। জীবাণুকে ত্বক ভেদ করেই তারপর দেহে ঢুকতে হবে। ত্বককে সুরক্ষা দিতে তার চারপাশে লিপিডের একটা স্তর থাকে। সেই সঙ্গে থাকে আমাদের ত্বকে বসবাসকারী কিছু ভালো বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যারা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলোকে ত্বকের ওপর সংলগ্ন হতে বাধা দেয়। কিন্তু ত্বক তো অবিচ্ছিন্ন নয়। ত্বকের মধ্যে মুখছিদ্র আছে, নাসারন্ধ্র আছে, চোখ আছে এগুলো দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করতে চায়। কিন্তু মজার ব্যাপার, প্রতিটা ছিদ্রেরই একটা করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে। 

মুখের স্যালাইভা বা লালা আর নাসাগহ্বরের মিউকাস,চোখের লাইসোজাইম এনজাইম সেটার বিরুদ্ধে  সক্রিয় থাকবে। ধরুন, আপনি জীবাণু গিলে ফেললেন, আসলে এরকম শত শত জীবাণু আপনার খাবারের সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রে ঢোকে। সেগুলোকে মারে পাকস্থলীর গায়ের প্যারাইটাল কোষ থেকে নিঃসৃত হাইড্রোক্লোরিক এসিড। কিন্তু অনেক ব্যাকটেরিয়া এসিড-লাভিং তারা সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকে। কিন্তু পাকস্থলী পার হলেই অন্ত্রে এসে পিত্তরসের ক্ষারধর্মী পরিবেশে তাদের জীবন চলে যায়।

কিছু জীবাণু যেভাবে হোক আপনার দেহের ওপর এসে পড়ল। এবার শরীর কি করবে? তার দুটি প্রধান হাতিয়ার হলো জ্বর আর প্রদাহ। পাইরোজেনের (ফ্যাগোসাইট নামের এক ধরনের সঙ্গে শ্বেত রক্ত কণিকা থেকে ক্ষরিত প্রোটিন) ক্ষরণ অতিরিক্ত হলে রক্ত বাহিকা সংকুচিত হয় ফলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তখন জীবাণুর কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আর প্রদাহ হলে ছুটে যায় দেহের সশস্ত্র বাহিনী-শ্বেত রক্তকণিকা। এর শতকরা সত্তর ভাগই হচ্ছে নিউট্রোফিল। এরা সারা দেহে চষে বেড়ায় আর ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে। একই রকম কাজ করে মনোসাইট।

অবশ্য সে রূপ বদলে হয়ে যায় ম্যাক্রোফেজ। এরা ক্ষণপদ সৃষ্টির মাধ্যমে জীবাণুকে আটকে ফেলে, তারপর লাইসোজোমাল এনজাইমের ক্রিয়ায় জীবাণুর অন্তঃকোষীয় পরিপাক ঘটায়। ইওসিনোফিল আর বেসোফিল এলার্জিক এন্টিবডি আর পরজীবীর প্রতি ক্রিয়া প্রদর্শন করে।
ধরুন এত কিছু পেরিয়েও কিছু প্যাথোজেন আপনার দেহে ঢুকলো। প্যাথোজেন হলো রোগ সৃষ্টিকারী উপাদান। আর সে জানি স্মরণ করে তার নাম এন্টিজেন।

এবার জীবাণুকে থামাতে আপনার দেহের নন-স্পেসিফিক ইমিউন সিস্টেম ব্যর্থ। তাই এবার আপনার দেহকে অন্য রাস্তা খুঁজতে হবে। এবার আপনার দেহকে ইমিউনিটি অর্জন করতে হবে, সেটাই হলো তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা, প্রতিটি প্যাথোজেনের এন্টিজেন যেমন আলাদা, তেমনি তার প্রতিকার ও আলাদা। সেটা করা হয় ইমিউনোগ্লোবিউলিন-জাতীয় পাঁচ ধরনের প্রোটিন IgA, IgB, IgM, IgG আর IgD-এর সমন্বয়ে। 

এদের বলা হয় এন্টিবডি। প্রতিটি এন্টিবডির ভেরিয়েবল প্রান্ত থাকে অনন্য। যেটা সুনির্দিষ্টভাবে একটা এন্টিজেনের জন্য সুনির্দিষ্ট। টি লিম্ফোসাইটের নির্দেশনা লিম্ফ নোডে থাকা প্লাজমা কোষে এন্টিবডি সংশ্লেষিত হয়। আর একবার এন্টিবডি তৈরি হয়ে গেলে সেটার বর্ণনা দেহে লিপিবদ্ধ থাকে। এ কাজটা করে প্লাজমা কোষের মতোই আরেক প্রকারের দীর্ঘজীবী বি লিম্ফোসাইট, যাদের আমরা স্মৃতিকোষ বলি। 

তাই সংক্রামক রোগ একবার হলে পরে হওয়ার সম্ভাব্যতা কম থাকে। আর মেরুদণ্ডীদের রোগ প্রতিরোধের এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে তৈরি হয় ভ্যাকসিন। ব্রিটিশ চিকিৎসক এডওয়ার্ড জেনার এক বসন্ত রোগের ওপর কাজ করে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেন। এ পদ্ধতিতে মূলত জীবাণুকে মেরে ফেলে বা দুর্বল করে ফেলে দেহে প্রবেশ করানো হয়, যাতে দেহ তার বিরুদ্ধে এন্টিবডি সংশ্লেষণ করে স্মৃতিকোষে সংরক্ষণ করে রাখে।

তিনস্তরে কুকুর আপনার বাড়ি পাহারা দেয়, তারপরও আপনি অসুস্থ হন। এগুলো কোনো কাজেরই না, তাই মনে হচ্ছে? ভেবে দেখেছেন, মরার কতক্ষণ পরেই এই জীবাণুগুলো দেহকে পচানো শুরু করে, অথচ আপনি বছরের পর বছর দিব্যি বেঁচে আছেন, এই জীবাণুগুলো নিয়েই।

ভাবতে থাকুন, আপনার কুকুর যদি আপনাকে দেখলে ঘেউ ঘেউ করে, মানে আপনার ইমিউন সিস্টেম যদি আপনার সুস্থ-সবল কোষকে ক্রমাগত  মারা শুরু করে, তাহলে কী হবে? উত্তরটা নাহয় না-ই দেয়া হলো, ভাবুন, তারপর নাহয় নেট ঘেঁটে রেফারেন্স মিলিয়ে নিবেন! 

আমরা আশা করছি, নিকট ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা প্রাণিকুলের ইমিউনিটি সিস্টেম বা সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে আরো ভালো করে জানতে পারবেন, আর সেই সূত্রে আমরা আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে আরো কার্যকরভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে পারব। সেই সঙ্গে বাঁচতে পারব অনেক রোগের হাত থেকে!

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর